নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আআত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, বিশ্বাসঘাতক এবং চরমভাবে বদমেজাজি টাইপের একটা প্রাণী। নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা শুরু করেছি ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ। এরও অনেক আগেই অগোছালো হয়ে গিয়েছিলাম(আসলে বাধ্য হয়েছিলাম) । তবে স্বপ্ন ছিল ক্যাম্পাস লাইফে নব উদ্যমে নিজেকে পুনর্গঠন করব ।
এই ৩ বছর ৩ মাসে হয়ত পেরেছি হয়ত পারিনি। রাখডাক না রেখেই লিখছিঃ
* ফ্রন্ট দ্যা ক্যামেরাঃ
আমি প্রতি সেমিস্টারেই Attendance problem Face করি। স্যার/ম্যামগণের সহানুভূতি কিংবা জরিমানা (এক্সটার্নাল স্যারদের কোর্সে দিয়েছি) সাপেক্ষে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হই। সাপ্তাহিক কিংবা যেকোনো ছুটির দিনে বাড়ির পানে ছুটে যাই এবং ফলস্বরূপ ক্লাস মিস করি। রেজাল্ট বা সিজিপিএ হয় খারাপ। সবাই ভাবে আমি একটু বেখেয়ালি(হয়তবা তাই)। এটা হচ্ছে ক্যামেরার সামনের ঘটনা।
* এবার আসি বিহাইন্ড দ্যা ক্যামেরায় :
আমার জন্মের ২ বছরের মধ্যেই বাবা মারা যাওয়ার পর যিনি পরিবারের হাল ধরেছিলেন তিনি আমার মা। উনিই আমাদের সবাইকে(ভাই-বোনদের) শিক্ষার ভিত গড়ে দিয়ে এতদূর নিয়ে এসেছেন। বাবা মারা যাওয়ার সময়, দাদার সম্পত্তি থেকে মাকে কিছুই দেওয়া হয়নি। এখন অবশ্য দেওয়া হয়েছে। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে।২০১৩ সালে আমার বড়বোন(যাকে বাড়ির কাছেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল) মারা যাওয়ার পর মা ভেঙ্গে পড়েছেন অনেকটাই। বাড়িতে একা থাকেন। শারীরিক ভাবে অসুস্থ। বাজার করে দেওয়ার মানুষটিও নেই উনার। তাই ছুটে যেতে হয় বাড়িতে যখন তখন। জানি, Attendance Problem হবে তবুও যেতে হয় বাড়ির পানে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মায়ের জন্য কিছুই করা হচ্ছেনা। নিজেকে বড় বেশি স্বার্থপর মনে হয়। কি করব আমি???
* চাওয়া ও অপ্রত্যাশিত দন্ধ(বানান টা সঠিক করতে পারিনি অভ্র তে)
মা আপাতত বিএসসি টা ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই চাচ্ছেন না।
আর এই বিএসসি ডিগ্রী টা কবে পাব সেটা মা জিগ্যাস করলে কোন সদুত্তর আমি দিতে পারিনা। আসলে পাব কিনা সেটাও জানিনা। কারণ,
নিয়মের ভেড়াজালে সবকিছুই বন্দি।
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে যেমন ক্লাস পরীক্ষা নিয়মিত দিতে হবে, তেমনি বিবেকের কাছে নিজেকে মানুষ দাবি করতে হলে মায়ের বিপদে আমাকে মায়ের পাশে দাড়াতেই হবে নচেৎ মানব জীবন টাই বৃথা। নিজেকে ক্ষমা করতে পারবনা কোনদিন ও। মনুষত্ব আর বিএসসি দুইটার দন্ধ কখনোই কাম্য ছিলনা/ নয়। কিন্তু নিয়ম ও আইন মাঝে মাঝে আমাকে এই দুইটার দন্ধের মুখোমুখি দাড় করায় তখন আমি হতাশ হই। অনেক বেশি হতাশ...............।
* পরিশেষেঃ
সকলের সহযোগিতায় ও মায়ের অদম্য প্রেরণায় এই দুইয়ের দন্ধ এড়িয়ে ৩য় বর্ষে আছি। আরও কিছুদিন সকলের সহযোগিতা চাই। বিশেষ করে স্যার ও ম্যামগণের(যদিও যতটুকু সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা সবাই আমাকে করেছে/করে)। আর বন্ধুদের কে কি আর বলতে হয়/হবে?
আমার জন্য না যতটুকু তার চেয়ে বেশি আমার মায়ের জন্য(যদিও সবশেষে পুরুটাই আমার কাজে দিবে) বি এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীটা আমার চাই। মায়ের মুখের হাসিটা দেখতে চাই।
পরিশেষে সকলের কাছে আমার মায়ের সুস্থ দেহ, মন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
**Burning Question:
সেশন জট, সিডিউল ছাড়া ক্লাস, অকারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া, রেজাল্ট দিতে দেড়ি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সকল সমস্যার কি কোন সমাধান নাই???
০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৬
নাম্ব পেডেস্ট্রিয়ান বলেছেন: ভাই আমি এমন এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যেখানে এখনও বি এস সি ডিগ্রী পেতে প্রায় ৬ বছর লাগে।
২| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
তানজির খান বলেছেন: খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। আমারও বাবা নেই। জীবনকে কিন্তু মানিয়ে নিতে হয়। আমি পারিনি কিন্তু হাল ছাড়া যাবেনা ভাই। আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল।
০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
নাম্ব পেডেস্ট্রিয়ান বলেছেন: হুম মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটু অন্যভাবে পড়েন আশা করি মন ভাল হয়ে যাবে। কেননা এটা লিখার সময় আমার মন আনন্দ বেদনার দুলাচলে দুলছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৩
সুমন কর বলেছেন: এখন তো সেশন জট অনেক কমে গেছে।
শুভ কামনা।