নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও ভন্ড অনেকের মত...

পাঠকের প্রতিক্রিয়া !

ভাষা হোক সংযত, চিন্তাধারা হোক বিস্তৃত

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! › বিস্তারিত পোস্টঃ

১১. নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই কী সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে?!!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১



৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারি এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন"। এদিকে ঐক্যফ্রন্টসহ সবাই চাচ্ছে একটা অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। (বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার পর বা সংসদ ভেঙে দেওয়া পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সালে, তাই সংবিধানের ১২৩/৩(ক) ধারা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর ২০১৮ থেকে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ এর মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।)

সামনের নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন মাথায় গিজগিজ করছেঃ
১। দলগুলো প্রচারনা শুরু করবে কবে থেকে? মিছিল করতে তো আমার ভালোই লাগে।
২। নির্বাচন কমিশন কি নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে?/সেনাবাহিনী কি নির্বাচনে থাকবে?
৩। রাজনৈতিক দলগুলো কী সুস্থ গণতন্ত্রের পরিচয় দেবে? নাকি ১৯৯৬/২০১৪এর মত আবার কিছু দেখব?
৪। অনেক নতুন ভোটার তো স্মার্টকার্ড পায় নি, তারা কি কার্ড পাবে/ভোট দিতে পারবে? [আপডেট খবর- পারবে]
৫। ইভিএমের ব্যাপারে কী হলো? ভারতের চেয়েও নাকি ১১গুণ বেশী খরচ হবে? (ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। যেটাই হোক ভোটারদের দক্ষতা, নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।)
৬। জামাত কি এবারের নির্বাচনেও অংশ নিবে!!???(বর্তমানে জামাতের নিবন্ধন বাতিল, তবে নিষিদ্ধ করা হয় নি। যদিও সংবিধানের ১২(ক,খ) অনুচ্ছেদ বলে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ।)
৭। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে? (বর্তমান সংবিধান মতে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হবে।)

ভাট্টিরা(সাংবাদিকরা) তো মইনুলদের নিয়ে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীকে এসব প্রশ্ন করবে কে? আমরা অবস্য প্রশ্নফাঁস(!!) জেনারেশন, অনেক প্রশ্নের উত্তরই আমাদের জানা/অনুমান করতে পারি...;)


শিরোনাম প্রসঙ্গে বলি, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেও আমি অন্তত আশার কিছু দেখি না। নির্বাচনে হয়তো লীগ/দল(জাতীয় ঐক্য) জিতবে। তারা গনতন্ত্রের নামে আগের ক্যাসেটই বাজাবে।
যারা জিতবে, তারা বলবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে। এরপর সংসদে তেলের ডিপো খুলবে, গালির প্র্যাকটিস হবে, আগের দলের অপকর্মের রিসার্স শুরু হবে। বিশাল বাজেট হবে, টাকাগুলো নয়-ছয় হবে/কিছু আঙুল কলাগাছে পরিণত হবে। গরীবরা আরো গরীব হবে, ধনীরা আরো ধনী।
এদিকে যারা পরাজিত হবে(বিরোধীরা) তারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করবে। সংসদে সুস্থ বিতর্ক না করে রাস্তায় গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে নামবে। হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর শুরু করবে। সরকার দলীয়রা কী বসে থাকবে? দুদলের মধ্যে শুরু হবে গুম, খুন, হত্যা, মামলা .... দমন-পীড়ন.... । আমরা প্রতিদিনের খবরে এসব পড়ে, কেউ অন্ধ-বধির হয়ে থাকবে, কেউ পক্ষে-বিপক্ষে কিবোর্ডের যুদ্ধে নেমে পড়বো। আমাদের মত কেউ হয়তো পড়াশোনা/কাজকর্ম ফেলে এসব ভেবে পেরেশান হয়ে যাবে। রাগ ঝাড়বে কিবোর্ডের উপর(পোস্ট লিখবে)। দিন শেষে লাউ-কদু আগের মতই থাকবে। দেশের রাজীনীতি এক চাকাতেই ঘুরবে। সুস্থ রাজনৈতিক ধারা ফিরে আসবে না। আর দেশ? সে তো আপনি চোখের সামনেই দেখছেন...
গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা সবাই বলে, সেটা বুঝে/মানে/বাস্তবায়ন করে কে??

হা বঙ্গমাতা! তোমার ছেলেরা মানুষ হবে কবে?

....

⚠⚠⚠পোস্টটিতে আপাতত মন্তব্য করতে পারবেন না।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নির্বাচন হলেও সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা নেই। আমাদের দেশের রাজনীতি মানেই শয়তানি। যারা জিতবে তারা গত ৫ বছরের সব হিসেব নিকেশ বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
ফলে, শুরু হবে হামলা মামলা, গ্রেফতার, বিচার আদালত, হরতাল অবরোধ।

তবুও চাই নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। ১০ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের যন্ত্রণায় এলাকায় থাকা মুস্কিল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মন্তব্যে সহমত। লাইক। আপনার চিন্তাধারাগুলো সুন্দর।

একদল জিতবে, তারা বলবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে। যারা পরাজিত হবে(বিরোধীরা) তারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করবে। হরতাল, অবরোধ, ভাংচুর, হত্যা, মামলা .... চলতেই থাকবে। দেশের কোন লাভ হবে না। :(

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: তার আগে আমাকে বলেন এরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় কেন? দেশ বা জনগণের সোর জন্য? না কি ক্ষমতায় গিয়ে দেশের বারোটা বাজনোর জন্য?

এরা কারা?
যারা ক্ষমতায় আছে তাদের সাথে এদর পার্থক্য কি ও কতটুকু?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সবাই একই টাইপের, ক্ষমতালোভী।

যারা ক্ষমতায় আছে তাদের সাথে এদর পার্থক্য কি ও কতটুকু?
জটিল প্রশ্ন। প্রথম ছবিতেই অনেক কিছু বুঝতে পারবেন বাঁকিটা আমাদের জানা। :)

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ধন্যবাদ নিজু ভাই।

দেশের লাভ তখন হবে, যখন আমরা দলীয় বলয়ের বাইরে এসে ভালো-যোগ্যদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে পারবো।
যারা রাজনীতির সাথে জড়িত থাকে তারাই সমাজ, দেশের পরিচালক।

সুতরাং, নিজনিজ অবস্থান থেকে সমাজ-দেশ পরিচালক প্যানেলে যাতে বাজে মানুষ আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

(আওয়ামীলীগ বিএনপি সব দলের রাজনীতিতে সংস্কার হোক, ভালো মানুষ আসুক এটাই চাওয়া।)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই। আমরাও চাই দেশে সুস্থ গণতন্ত্র ফিরে আসুক।
নেতারা দলের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিক।

ভালো থাকুন

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

আরোগ্য বলেছেন: গতবার ভোট দিতে গিয়ে আমার এক আত্মীয় ক্ষমতাসীন দলের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে আসে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এরা মানুষ হল না।

দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: গণতন্ত্রের একটি অন্যতম অাবশ্যিক বিষয় হচ্ছে নিজ মতামত জানানোর স্বাধীনতা। ভোটাধিকার হচ্ছে এই মতের চুড়ান্ত রূপ। জনগনের এই দিকটি স্বচ্ছ থাকলে নেতাদের জবাবদিহিতার রাস্তাটাও খোলা থাকে। আর বন্ধ হলে স্বেচ্ছাচারিতার চুড়ান্ত রূপটি গোচরিভূত হয়।

আর একটি জাতি বা সমাজ এক দিনে পরিবর্তিত হয়ে সাধু সমাজে পরিণত হতে পারে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। কাঠামোগত বিন্যাসগুলো পোক্ত না হলে এটি সুদূর পরাহত। অথচ আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো প্রতিনিয়ত ভঙ্গুর হতে হতে এখন নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে এগুলোর।

ক্ষমতায় কে আসবে কে যাবে এটি নিয়ে চিন্তা না করে কীভাবে দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলোকে অারো সহজতর করা যায় তার সমাধান করা উচিত। কোনো রাজনৈতিক দল কি তা করছে? এবং এর দায়টা ক্ষমতাসীনদের উপরই বেশি বর্তায়।

সংবিধান অনুসারে দেশের মালিক জনগণ তাই এর দায়দায়িত্বও নিরপেক্ষভাবে জনগণের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় কি? তারাই সিদ্ধান্ত নিক কাদেরকে তারা মসনদে দেখতে চায়? আপনার কি মনে হয়?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ। পোস্টে যেটা বলতে পারি নি মন্তব্যে সেটা এসেছে।

কথাগুলো সত্য। আমি আসলে কোন দলের উপর আস্থা রাখতে পারি না। আমেরিকার মত আমাদের দেশেও নির্বাচনের আগে দলের নেতাদের ওপের বিতর্কের আয়োজন করা দরকার।

সংবিধান অনুসারে দেশের মালিক জনগণ তাই এর দায়দায়িত্বও নিরপেক্ষভাবে জনগণের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় কি?
প্রশ্নে সহমত জানালেও বাস্তবতা অনেক জটিল। লীগ, দল, জাপা, জাশি এরা কিন্তু জণগনের বাইরে নয়। আমি চাই সবাই সুস্থ চিন্তা করুক। সাদা-কালো বুঝতে শিখুক।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিটা খুব ভাল হয়েছে । সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে আপনি সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা দেখেন না বলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না তা কিন্তু নয় । বাকিটা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের রিপোর্ট কার্ড । আমরা কোন অবস্থায় নৈরাশ্যবাদী হবো না । একদিন না একদিন শুভ চেতনার জয় হবেই। ।


শুভকামনা আপনাকে ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মন্তব্য ও লাইকে ধন্যবাদ ভায়া।

এটা আমার পছন্দের ছবি।(বর্তমান রাজনীতির বিবেচনায়)
দেশের রাজনীতি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। আমাদের ভবিষ্যৎ এখনো বন্ধুর।

আপনাদের মোদি সরকার খুব বদ। গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যাকারীদের সাপোর্ট করে। সংবিধান-কোর্ট বলে, নারীরা রামকৃষ্ণ মন্দিরে যেতে পারবে; তথচ সরকার?

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে?
পূর্বে যেমন ছিল এবারো তেমনি থাকবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সেটাই হবে। :(

সারমেয়র লেজ বলে কথা

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন আমরা জনগন সব সময় বলির পাঠাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বলির পাঁঠা হবার জন্য আমরাও কম দায়ী না। একবার লীগকে জিতিয়ে গুতা খাই, পরেরবার দলকে জিতিয়ে লাত্থি খাই।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

ফেইরি টেলার বলেছেন: বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট চরম , বামে মস্তিস্ক টইটম্বুর । ভালো নির্বাচনের চেয়ে ভালো নেতৃত্ব দেশের জন্য বেশি দরকার

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: "ভালো নির্বাচনের চেয়ে ভালো নেতৃত্ব দেশের জন্য বেশি দরকার।"

আমার পোস্টের সারমর্ম এটাই। দক্ষ ও সৎ নেতা ক্ষমতায় থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে বাধ্য।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

পল্লব কুমার বলেছেন: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হয়ত কিছু জিনিস পরিবর্তন হবে। কিন্তু এই পরিবর্তনের ভেতর আশার কিছু দেখি না। দেশের মন্ত্রী এমপি যারা বড় বড় বুলি ছাড়ে এদের এমন কাউরে দেখবেন না যাদের বিদেশে বাড়ি নাই। এদের ছেলেমেয়েরা খুব কমই দেশে পড়াশুনা করে। এইসব মানুষের কাছে নির্বাচন একটা ব্যবসা, ইনভেস্টমেন্ট। পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের নিজেদের ভেতর। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। এখানে আমরা সবাই বসে বসে আশা করলাম আর পেয়ে গেলাম, ব্যাপারটা এমন না। এই জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আর গনতন্ত্রে ভাল খারাপ এর চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি প্রাধান্য পায়। এখন বেশির ভাগ মানুষ যদি এইসমস্যা গুলো বুঝতেই না পারে, বুঝেও যদি চুপ মাইরা বসে থাকে, কিংবা বুঝার পর কি বোর্ড চাপড়াইতে চাপড়াইতে ছাল তুলে ফেলে, কিছুতেই কোনো লাভ নাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কথাগুলো নিরেট সত্য ভাই। এরাই নাকি দেশপ্রেমী(!!) নেতা!

গনতন্ত্রে ভাল খারাপ এর চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি প্রাধান্য পায়।
সমস্যাটা এখানেই। আমরা এককাপ চা/কয়েকশো টাকা পেলে চোখ বন্ধ করে সিল মেরে আসি। নেতাদেরও তো সুদে-আসলে টাকাটা তুলতে হয়...

কিবোর্ড ছাড়া তো কিছু করার মুরোদ নাই ভাই। ছা-পোষা বন্ধুরা চোখ-কান বন্ধ করে থাকে। ভালো ছাত্ররা বড় চাকরি নিয়ে বিয়েসাদি করে এসি রুম লক করে সিনেমা দেখে। আমরা যে কোন কাজের না, বেয়াদব। শুধু বড় বড় কথা বলি...:(

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !!
তবে নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে
আপনি মানুন বা নাই মানুন !

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনার কথাও সত্য..:(

ধন্যবাদ

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না।
তারপর আরও নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সহমত। চারিদিকে শুধু সমস্যা...:(

ভালো থাকবেন

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: যেদিকে যাই সমস্যা

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: উট পাখির মত বালির নীচে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকো...;)

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১০

ভবিষ্যত বলেছেন: আমার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খা্ওয়ার দিনতো শেষ
নাম আমার জনগন আমি বাংলাদেশ.....

গান এর এই লাইনটি কি কোনদিন সত্যি হবার?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: জানি না ভাই!

তবে লাইনটা সত্য হোক এটা মনেপ্রাণে চাই।

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

ফেনা বলেছেন: চমতকার একটি পোষ্ট।
অনেক অনেক ভাল লাগা।

(জনাব আপনার এই লেখাটা জানাও ডট কম এ সম্পাকীতে দিবার অনুমতি চাইছি।)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: নীচের অংশটা দিতে পারেনঃ


নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই কী সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে?
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ৩১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮"। ঐক্যফ্রন্টসহ সবাই চাচ্ছে একটা অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। (বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার পর বা সংসদ ভেঙে দেওয়া পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সালে, তাই সংবিধানের ১২৩/৩(ক) ধারা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।)

সামনের নির্বাচন নিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন মনে-
১। রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারনা শুরু করবে কবে থেকে?
২। নির্বাচন কমিশন কি নিরপেক্ষতার পরিচয় দেবে?/সেনাবাহিনী কি নির্বাচনে থাকবে?
৩। রাজনৈতিক দলগুলো কী সুস্থ গণতন্ত্রের পরিচয় দেবে?
৪। ইভিএমের ব্যাপারে কী হবে?
৬। জামাত কি এবারের নির্বাচনেও অংশ নিবে?(বর্তমানে জামাতের নিবন্ধন বাতিল, তবে নিষিদ্ধ করা হয় নি। যদিও সংবিধানের ১২(ক,খ) অনুচ্ছেদ বলে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ।)
৭। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে? (বর্তমান সংবিধান মতে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হবে।)

শিরোনাম প্রসঙ্গে বলি, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেও ভবিষ্যতে আশার কিছু দেখি না। নির্বাচনে হয়তো লীগ/দল(জাতীয় ঐক্য) জিতবে। তারা গনতন্ত্রের নামে আগের ঘটনারই পূণরাবৃত্তি করবে। বিজয়ী দল বলবে, নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে। এরপর সংসদে গিয়ে মোসাহেবি শুরু করবে, গালির প্র্যাকটিস হবে, আগের দলের অপকর্মের রিসার্স শুরু হবে। আরো বিশাল বাজেট হবে, টাকাগুলো নয়-ছয় হবে/কিছু আঙুল কলাগাছে পরিণত হবে। মাথাপিচু আয় বাড়বে। গরীবরা আরো গরীব হবে, ধনীরা আরো ধনী।
এদিকে যারা পরাজিত হবে(বিরোধীরা) তারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করবে/নির্বাচন বর্জন করবে। সংসদে সুস্থ বিতর্ক না করে রাস্তায় গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে নামবে। হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর শুরু করবে। সরকার দলীয়রা কী বসে থাকবে? শুরু হবে গুম, খুন, হত্যা, মামলা .... দমন-পীড়ন। আমরা আমপাবলিক প্রতিদিনের খবরে এসব পড়বো। কেউ অন্ধ-বধির হয়ে থাকবো, কেউ পক্ষে-বিপক্ষে কিবোর্ডের যুদ্ধে নেমে পড়বো। দিন শেষে লাউ-কদু আগের মতই থাকবে। দেশের রাজীনীতি এক চাকাতেই ঘুরবে। সুস্থ রাজনৈতিক ধারা ফিরে আসবে না। আর দেশ? সে তো আপনি চোখের সামনেই দেখছেন...
গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা সবাই বলি, সেটা বুঝি/মানি/বাস্তবায়ন করি ক'জন?
হা বঙ্গমাতা! তোমার ছেলেরা মানুষ হবে কবে?

লেখক- নিজু/পাঠক।

.(কিছু বানানে ভুল থাকলে এডিট করতে পারেন।)

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২১

ফেনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ধন্যবাদ।

সত্যি কথা বলতে, আমার পোস্টগুলো চায়ের দোকানে আড্ডা দেবার মানের। সম্পাদকীয় লিখতে আরেকটু সময়, মেধা ও শ্রমের প্রয়োজন।


জাহেদ-উর-রহমান | blog.bdnews24.com - pioneer blog for citizen journalism in bangladesh
উনার সাথে কথা বলতে পারেন। উনি আমার পছন্দের সমালোচক।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এবার যদি ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে তাহলে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে। তবে কামাল হোসেন নাকি কোন পদ নিবেন না। তাহলে বিএনপি এলে সেই আগের মতই সংস্কৃতি চালু থাকবে। তবে নির্বাচনের পর কোন ঝামেলা হবে না এবং দোষারোপের রাজনীতিও বন্ধ হবে যদি শেখ হাসিনার অধীনে শেখ হাসিনা পরাজয় বরণ করেন। কিন্তু এটা কখনো সম্ভব নয়...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ড. কামাল হোসেনের ব্যাপারে বলতে পারছি না।
মন্তব্যে সহমত। এসব তো আমাদের জানা, দেশের জন্য/সুস্থ রাজনীতির পক্ষে কোন দলই আন্তরিক নয়। আর বিরোধী দল হিসেবে লীগ আরো বেশী আক্রমণাত্মক।

যেই ক্ষমতায় আসুক, আমরা সুস্থ রাজনীতির পক্ষে। হারলেও দেশের হয়ে কাজ করা যায়। তারা সংসদে দুটো পক্ষ হোক, সুস্থ বিতর্ক করুক, দেশকে এগিয়ে নিক।

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

ফেনা বলেছেন: জানাও ডট কম

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ধন্যবাদ।

নিজের লেখা পড়তে খারাপ লাগছে না। :P

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জানেমন,
এদেশে "নিরপেক্ষ নির্বাচন" হলো কারো ক্ষমতায় যাওয়া আবার কারো ক্ষমতা থেকে খসে পড়া। যে দল বিজয়ী হবে তারা বলবে ইলেকশন শতভাগ ফেয়ার হয়েছে। যারা যারা হারবে তারা নীল নকশার দোহাই দেবে। এখানে ভোটারদের কৃতিত্ব কেউ দেয় না। আর ভোট কেনা, কালো টাকার দৌরাত্ম্য নিয়েও কারো মাথা ব্যথা নেই।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে ইলেকশনে নিজের ভোট দেওয়াকেই গণতন্ত্র বলে। অথচ, ইলেকশনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার হলো গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধাপ। আর গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে আরো অসংখ্য ধাপ পাড়ি দিতে হয়। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন কোন দলই তা করেনি কিংবা করার প্রচেষ্টা চালায়নি।

অতএব, নিরপেক্ষ ইলেকশনে পাবলিকের কোন লাভ নেই, যে দল ক্ষমতা দখল করবে তারা গণতন্ত্রের নামে আইন আদালত নিজের করে নেবে আর দেশ বিক্রি করে বিদেশে অর্থ পাচার করবে। আসল কথা হলো, সাধারন ভোটারদের কাছে "যেই লাই, হেই কদু"।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: শুভ সক্কাল,

আর জানেমন! জান্টু আপুরা আমাকে পাত্তই দিল না। ওদের কিকরে বোঝাই, আমি খারাপ ছাত্র, উড়নচন্ডি হলেও কোন দলকানা আমার/আমাদের সাথে টক্কর দিয়ে/বিতর্ক করে জিততে পারবে না।

মন্তব্যে সহমত, লাইক।
আমি এটাই বলতে চাচ্ছি ভোট দেয়া মানে একজনকে ক্ষমতায় বসানো, গনতন্ত্র নয়। এরা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এটা শুধু আপনার বা আমার কথা নয়। লাখো মানুষের মনের কথা। আমি আশাবাদী সুদিন আমাদের আসবেই।
জয় বাংলা।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

সিগন্যাস বলেছেন: এদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক এক একটা গরু।তারা এদেশকে সব কিছুকে ঘাস মনে করে। ঘুমের মধ্যেও জাবর কাটে /:)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মন্তব্য পড়ে হাসছি। আমি জানি সচেতন মানুষরা এদের উপর বিরক্ত।

এরা গরু হলেও লাভ ছিল। ছোট থাকতে পড়েছি গরু গৃহপালিত পশু(নেতারা তো বিদেশ থাকে)। এটা অনেক উপকারী। নেতারা গরু হলেও অন্তত; জমি চাষ করা যেত, গাড়ি টানা যেত, দুধও বিক্রি করা হতো। গরুর গোবরও তো উৎকৃষ্ট মানের সার। ভারতে এসব রপ্তানীও করা যেত।:P

২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নির্বাচন না হয় সঠিক হল
কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন দরিদ্রের বাসায় .. মাথায় কোরান, হাত বাচ্চার মাথায়, রেখে শপথ।
"আল্লার দলকে ভোট দিব" - এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনকে দুইটা হাজারি নোট ধরিয়ে দেয়া।
এটাও এক ধরনের নিরপেক্ষ ভোট।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এটাই তো ভোটের ব্যবসা ভাই।

তারপরও বলতে হয় দু-চারটা ব্যতিক্রম ছাড়া গরীব জনগন এখনও সৎ। কিছু টাকা নিলেও ভোটটা তাকেই দেয়।

পুনশ্চঃ হাসিনা আপাও ইদানিং বিনে পয়সায় শপথ করিয়ে নিচ্ছে..:P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.