নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও ভন্ড অনেকের মত...

পাঠকের প্রতিক্রিয়া !

ভাষা হোক সংযত, চিন্তাধারা হোক বিস্তৃত

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫. রাষ্ট্রব্যবস্থাকে মেরামত করা সময়ের দাবী। (ক্যাটেগরি: রাজনৈতিক সমালোচনা)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

"জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব"


অ আ ক খ
১। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোঘণাপত্র
২। অথবা.... মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোঘণাপত্র LEXILOGOS >>
৩। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অথবা... এখানে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
৪। আইন সংক্রান্ত বিষয়- অপরাধ ও শাস্তি
৫। বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ২০ উক্তি
৬। "বঙ্গবন্ধুনামা"! - মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল
৭। তাজউদ্দীন আহমদের কিছু অসাধারণ উক্তি (ফিদেল কাস্ত্রো+ম্যান্ডেলার উক্তি)
৮। "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম "(পাঁচটি পর্বে) - কান্ডারি অথর্ব
৯। হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধঃ ৬ই মার্চ১৯৭১,সবার মনে প্রত্যাশা কখন আসবে স্বাধীনতার ডাক । - আবুল বাহার

১০। স্বাধীনতার ইশতেহার- বাংলার হাসান
১১। "একটি জাতির জন্ম" - লিখেছেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম - সাদী ফেরদৌস
১২। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ৩০০টির অধিক পোস্ট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আর্কাইভ - ফারজুল আরেফিন
১৩। পল্টনের জনসভায় মাওলানা ভাসানী। ( প্রজন্ম - The Daily Ittefaq
১৪। মওলানা ভাসানী ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান
১৫. ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের ইতিহাস। - আমি মুখতার
১৬. বীরশ্রেষ্ঠ - মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
১৭. একাত্তরের শব্দযোদ্ধা। - প্রবাসী পাঠক
১৮. স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতভয় বীর সেনানী ৭নং সেক্টর কমাণ্ডার কর্নেল (অব.) কাজী নূরুজ্জামান, বীর উত্তম এর ৯৪তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা - নূর মোহাম্মদ নূরু


রাজনৈতিক সমালোচনাঃ
১। বাকশাল - মাসুদ করিম
২। সমাজতন্ত্র ছাড়া গণতন্ত্র একটি 'পোড়া রুটি' -মতামত
৩। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ‘অযোগ্যতাই’ আমাদের অভিভাবকহীন করেছিল
৪। সংবিধান ও ধর্মীয় রাজনীতি - Hasan Mahmud :: Official Site
৫। ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা- সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
৬। পৃথিবীর যেসব দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিদ্যমান আছে - তালহা তিতুমির
৭। ‘গরিবের বউ সবার ভাউজ’
৮। আমরা কেন রাজনীতি করি না -Bangladesh Pratidin
৯। সে রাজনীতি দিয়ে আমরা কী করব ? দৃষ্টিকোন-The Daily Ittefaq
১০। ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’! সম্পাদকীয়- The Daily Ittefaq
১১। আর্মি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারে না: কাদের সিদ্দিকী



সামুর সমসাময়িক পোস্টঃ
১। আমরা কি অপ-রাজনীতির কাছে হেরেই গেলাম? - saeedmbhai's bangla blog
২। দেশ দেশ করে মাথা খাচ্ছে তারা, যত নক্সালবাদীর দল ! - অভিশপ্ত জাহাজী
৩। পেশাজীবী রাজনীতি - যোগ্যতা নাকি জনপ্রিয়তা? - নিউটনিয়ান
৪। সবদেশে, সবসময়, ভোট মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করে! - চাঁদগাজী
৫। ‘শত ফুল ফুটতে দিন', শেখ হাসিনার গানের কলি, নাকি অতি আত্মবিশ্বাস? - চাঁদগাজী
৬। ওবায়দুল কাদেরের দায়িত্বহীন কমেন্টগুলো জাতীর জন্য ভীতিপ্রদ - চাঁদগাজী
৭। কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক ও রাজনীতির মাঝে সূচীত হোক একটি নতুন “স্যোশাল কন্ট্রাক্ট” - এক নিরুদ্দেশ পথিক
৮। জোটের পলিটিক্স আর ক্ষমতার রাজনীতি (ফিচার) - কাওসার চৌধুরী
৯। বর্তমান রাজনীতি ও মাশরাফি! - ইলুসন

১০। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা (প্রবন্ধ) - কাওসার চৌধুরী
১১। ছাত্র রাজনীতির মরণ নেশা। - কাওসার চৌধুরী
১২। রাজনীতি, তরুণ প্রজন্ম ও নেতৃত্বগুণ (প্রবন্ধ) - কাওসার চৌধুরী
১৩। সার্টিফিকেট নয়; প্রয়োজন মেধা ও প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন (শিক্ষা) - কাওসার চৌধুরী
১৪। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় - শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণা, দক্ষতা, নৈতিকতা ও রাজনীতি (শিক্ষা) - কাওসার চৌধুরী
১৫। ডাক্তার - ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের আলোকে (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা) - কাওসার চৌধুরী
১৬। সংবাদ সম্মেলন বনাম পদলেহন (ফিচার) - কাওসার চৌধুরী
১৭. ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বনাম বাক-স্বাধীনতাঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ - ভুয়া মফিজ


সহায়ক বই/ব্লগঃ
১। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা - বাংলা-বই ডাউনলোড
২। জাহেদ-উর-রহমান -blog.bdnews24






কিঞ্চিৎ বিনোদনঃ
বউ কত প্রকার ও কি কি - Onim
বউ পটানোর তরিকা - আঁধার রাত



[মন্তব্যঃ
১. লেখক এই পোস্টে কোন মন্তব্য গ্রহণ করবে না।
২. কিছু পোস্ট অনেক আগে সংগ্রহ করা। সেসব লেখা/তার মন্তব্যে কিছু ভুল থাকতে পারে। সেসবে বিভ্রান্ত হবেন না। ]

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ইদানিং কেন জানি লিখতে ইচ্ছে করে না।



[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/numondal/numondal-1547213883-7382a36_xlarge.jpg দেশ

[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/numondal/numondal-1547213997-f20d4d4_xlarge.jpg মন্ত্রি

গণতন্ত্র, তুই আবার কবে আসবি?
বাংলা "গণতন্ত্র" পরিভাষাটি ইংরেজি ডেমোক্রেসি(Democracy) থেকে এসেছে। এই ইংরেজি শব্দটি আবার এসেছে গ্রিকশব্দδημοκρατία(দেমোক্রাতিয়া) থেকে, যার অর্থ"জনগণের শাসন" । শব্দটির দুইটি মূল হচ্ছে δῆμος (দেমোস)"জনগণ" ও κράτος (ক্রাতোস) "ক্ষমতা" থেকে।

গণতন্ত্র বলতে কোনও জাতিরাষ্ট্রের(অথবা কোনও সংগঠনের) এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক বা সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সু্যোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে
আব্রাহাম লিংকন গেটিসবার্গ বক্তৃতাতে (Gettysburg Address) গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন এভাবে 'Government of the people, by the people, for the people.' যার অর্থ হলো-গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের, জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য।

সংসদীয় গণতন্ত্র এক প্রকারের রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থা, যাতে সর্বময় ক্ষমতা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদের উপরে ন্যস্ত থাকে। এই ব্যবস্থায় সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালনকরেন প্রধান মন্ত্রী। এধরনের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নগণ্য।যুক্তরাজ্য, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে এই ব্যবস্থা চালু আছে।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার১১৷ প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।

সংবিধানের প্রাধান্য৭৷ (১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে৷

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে ?
আমি এক লজ্জিত নাগরিক, বিব্রত ভোটার...
বিজয় চেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু এমন বিজয় তো চাইনি!
গণতন্ত্র, তুই আবার কবে আসবি?
স্বাধীনতা এসেছে, মুক্তি আসে নি


পার্লামেন্টারি রাজনীতি আমরা আজও শিখলাম না।
পলিটিশিয়ানরা যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে, আপনারা লেখালেখি করে তাদের বদলাতে পারবেন না।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

ভূমিকা:
"Man is a political animal" এরিস্টটলের কথাটা প্রায়ই মনে পড়ে। যদিও আমাদের পলিটিক্স ভাইরাস আক্রান্ত। দেশের প্রয়োজনে সুস্থ রাজনীতি ও সৎ নেতার কোন বিকল্প নেই।

রাজনীতি থেকে তারুণ্য মাইনাস কেন?
১. গণভবনে যেসব বৈঠক হল, কিংবা ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় খেয়াল করলে দেখা যাবে নেতাদের সবাই বয়স্ক! এদিকে বেশীরভাগ তরুণের ডায়লাগ, "আই হেইট পলিটিক্স"! আমি বুঝি না তরুনরা এত রাজনীতি বিমুখ/অবহেলিত কেন?
২. মাশরাফি রাজনীতিতে এসেছে শুনে খুশি হয়েছি। সাকিবের সীদ্ধান্তেও খুশি। দুজনের জন্যই শুভকামনা। বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের আমি বেশী পছন্দ করি। (অসুস্থ রাজনীতিতে আক্রান্ত/ভাইরাস আক্রান্ত ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির এর বাইরে)

৩. বর্তমান রাজনীতির যেই হাল, নেতারা যদি কামড়া-কামড়ি, মোসেহেবি আর দলকানা মনোভাব না ছাড়ে, একজন ফেরেস্তাকে আনলেও অবস্থার পরিবর্তন হবে না। সত্যি কথা বলতে, রাজনীতি এখন টাকা, ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা আর মোসাহেবির কাছে বন্দি হয়ে আছে। এখানে সততা বলে যে শব্দ আছে, সেটাও ভেজাল। মানে সর্ষের ভেতর পেত্নীর বাস, ভূত বাবাজী কী সহজে সরে!!!

৪. বর্তমানে রাজনীতির মাঠে অন্তত ১৪টি জোট, যাতে মোট দল ১৯৩টি(৩৯টি নিবন্ধিত)। এদের সবাই সুস্থ রাজনীতি বোঝে কিনা সন্দেহ! নেতাদের জন্য:
♦ ব্যক্তি নয়, দেশ আগে
♦ রাজনীতি হোক জনগণের কল্যানে
♦ দেশবান্ধব পররাষ্ট্রনীতি
♦ রাস্তাঘাটে কামড়া-কামড়ি নয়, সুস্থ বিতর্ক হোক সংসদে।
সারমর্মঃ
আমরা এমন নেতাকে নির্বাচিত করি, যারা জনগণের মনের ভাষাকে বুঝতে পারবে। যারা ক্ষমতায় থাকলে নায্য দাবি-দাওয়ার জন্য অান্দোলন করতে হবে না। যারা নিজেরাই বুঝতে পারবে আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোথায় সমস্যা, আর কোথায় রিপেয়ারিং করা দরকার।
এমন নেতা পাব কবে?
যারা দলকানা না হয়ে সত্যিকারের দেশপ্রেমী হবে।



....


১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা.....
প্রথম যখন শুনি, "ম্যাশ সংসদ প্রার্থী হতে যাচ্ছে" প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাগ, ক্ষোভ, হিংসে সবই হচ্ছিল। তবে ডিপলি ভাবলে এটা একইসাথে খুশির খবর ও হতাশাজনক খবর।
আনন্দটা এই কারণে যে-
♣ নেতা হিসেবে আমরা অন্তত ভালো মানুষ(যতদুর আমি তাকে চিনি) পেতে যাচ্ছি।
♣ সুস্থ রাজনীতি করতে পারলে ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মের জন্য সে আদর্শ হতে পারে।
♣ উল্টাপাল্টা কিছু করলে/গতানুগতিক রাজনীতির সাথে গা ভাসালে তাকে ইচ্ছেমত ঝাড়া যাবে।(আমি অন্তত তার ফল্টগুলো নিয়ে শান্তিমত লিখতে পারবো। কারণ কখনো তাকে চরিত্রহীন বললেও, চরিত্র/মানসন্মান চলে যাবার মত এতটা চরিত্রহীন সে নয়, আশাকরি হবেও না।)

আর হতাশার খবর এটা/চিন্তার বিষয় এটা যে-
♣ ম্যাশ হুট করে রাজনীতিতে এসেছে। নড়াইল-২ আসনে অনেক পুরাতন ও পরিশ্রমী কর্মী আছে। এত বছর ধরে যারা রাজনীতি করে আসছে, উড়ে এসে জুড়ে বসাটা তারা নিশ্চয় সুনজরে দেখবে না।

♣ সে মানুষ হিসেব ভালো, আমার পছন্দের ক্যাপ্টেন। ২২গজের ক্রিকেটের চেয়ে রাজনীতির মাঠের খেলা আলাদা। সামনের পথটা অনেক বন্ধুর। একা মাশরাফি কত কী করতে পারবে সেটা প্রশ্নের বিষয়! তবে, একেবারে সব তো আর পরিবর্তন হবে না। দু-চারটা পরিবর্তনও যদি হয় সেটাই বা কম কী!


সমালোচনা:
আমাদের দেশে রাজনীতি হয়, ক্ষমতা, টাকা ও জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে। সাথে দলকানা, মোসাহেবী, জ্বীহুজুর আর তেলের ডিপো এসব গুণ থাকা মাস্ট। রাজনীতিকে আমরা এমন পর্যায়ে নিয়ে এসেছি বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিনের মত নেতা তৈরী হওয়া এখন দূরহ।

সারমর্মঃ সংসদ হোক ভাড়ামীমুক্ত সুস্থ বিতর্কের জায়গা। রাজনীতি হোক মানুষের কল্যানে, রাজনীতি হোক দেশের জন্য।



মন্তব্য সেটিংসঃ করতে পারবেন না।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: স্বৈরাচারী সরকারের ১০টি লক্ষণ ===================
ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে স্বৈরাচারী সরকারের ১০টি লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১। গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে গণমাধ্যম বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকে৷ সরকারের সমালোচনা ও ভুল ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক৷ ফলে সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতে স্বৈরাচারী শাসকরা পত্রিকা, টেলিভিশনকে ভয় দেখিয়ে কোণঠাসা করতে চান৷ .
২। সরকারপন্থি গণমাধ্যম সৃষ্টি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে৷ ফলে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সবক্ষেত্রে সম্ভব হয় না৷ পালটা ব্যবস্থা হিসেবে স্বৈরশাসকরা সরকারপন্থি গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন৷ এর ফলে ব্যাপক হারে সরকারের নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো সহজ হয়৷
৩। রাষ্ট্রীয় সংস্থার দলীয়করণ
রাষ্ট্রের সকল স্তরে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে স্বৈরাচারী শাসকরা পুলিশ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সরকারি আমলাদের মধ্যেও দলীয়করণ প্রতিষ্ঠা করে থাকেন৷ এর ফলে রাষ্ট্রের ভেতর থেকে ক্ষোভ দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়৷
৪। বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারি
রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীতাকারীদের ওপর নজরদারির কাজে লাগানো হয়৷ গোয়েন্দা মারফত পাওয়া তথ্য কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে নানাভাবে হেয় করা ও কোণঠাসা করতে অপব্যবহার করা হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা৷
৫। বিশেষ সুবিধা ও দমনপীড়ণ
স্বৈরাচারী সরকার বা সরকারপ্রধানকে যেসব কর্পোরেট সংস্থা বা ব্যক্তি নানাভাবে সহায়তা করে থাকেন, তাদের বিশেষ রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেয়া হয়৷ বেআইনি উপায়ে কাজ পাইয়ে দেয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে সহায়তা করা হয়৷ অন্যদিকে, যেসব সংস্থা সহায়তা করে না, তাদের ক্ষেত্রে চলে যে-কোনো উপায়ে দেউলিয়া বানানোর প্রক্রিয়া৷

৬। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ
আদালত স্বাধীন থাকলে স্বৈরাচারী শাসকদের নানা সময়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়৷ ফলে শুরু থেকেই স্বৈরাচারী শাসকরা সুপ্রিম কোর্টকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন৷ অনুগত বিচারক নিয়োগ দেয়া, বিরোধীদের ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে, নানাভাবে চেষ্টা চলে এ নিয়ন্ত্রণের৷
৭। একপাক্ষিক আইন প্রয়োগ
স্বৈরাচারী শাসকদের শাসনামলে ‘আইন সবার জন্য সমান’ বাক্যটি থাকে শুধু কাগজে-কলমে৷ বাস্তবে প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য পাস করা হয় নতুন নতুন আইন৷ বিরোধীদের নানা উছিলায় গ্রেপ্তার নির্যাতন করা হলেও, নিজের সমর্থকদের রাখা হয় আইনের আওতার বাইরে৷
৮। ‘জুজুর ভয়’ দেখানো
বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে ভয়াবহ অবস্থা হবে, দেশ রসাতলে যাবে, বিরোধীরা কত খারাপ, ক্রমাগত সে প্রচার চালানো হয়৷ এর ফলে এমন অবস্থা তৈরির চেষ্টা হয় যাতে জনগণের মনে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে একটা নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা যায়৷
৯। দৃষ্টি সরাতে ভীতি সৃষ্টি
ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ধরনের ভীতি তৈরি করে থাকেন স্বৈরাচারী শাসকরা৷ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, গণতন্ত্রহীনতা ও দুঃখ-দুর্দশা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে রাখতে কোথাও জঙ্গি সংকট, কোথাও মাদকবিরোধী যুদ্ধ, কোথাও অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়৷
১০। নির্বাচনে কারচুপি
আগে জোর করে ক্ষমতায় থাকার উদাহরণ থাকলেও, এখন স্বৈরাচারী শাসকরাও নিয়মিত বিরতিতে নির্বাচন দিয়ে থাকেন৷ ‘গণতন্ত্র আছে’ জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলে এমন ধারণা দেয়ার জন্য তারা নির্বাচন দেন৷ কিন্তু সে নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের আয়োজন আগে থেকেই করা থাকে৷
তথ্যসূত্রঃ Duetsche Welle

https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=359128524940005&id=338867286966129&refid=7&_ft_=qid.6667491739298169750

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কাস্টিং ভোট কি?

উত্তরঃ সংসদে কখনো কখনো কোন বিষয়ে দুই পক্ষের হা বা না ভোটের সংখ্যা সমান সমান হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় স্পীকার নিজের ভোট দিয়ে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন। স্পীকারের এই ভোটকেই কাস্টিং ভোট বলা হয়ে থাকে।





ফ্লোর ক্রসিং কি?

উত্তরঃ ফ্লোর ক্রসিং শব্দটি মূলত এসেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে যেখানে ট্রেজারি এবং অপজিশন বেন্চের সদস্যরা ফ্লোরের বিপরীত দিকে বসেন। নিজ সংসদীয় দলের বিপক্ষ দলকে সমর্থন করা থেকেই ফ্লোর অতিক্রম করার ব্যাপারটি এসেছে। ফ্লোর ক্রসিং সাধারণত দুভাবে হতে পারে-
(১) বিপক্ষ দলে সরাসরি যোগ দিয়ে,
(২) কোন বিলে বিপক্ষ দলকে সমর্থন দানের মাধ্যমে
ফ্লোর ক্রসিংয়ের ব্যাপারে সম্ভবত: সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তি উইনস্টন চার্চিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এখনো ফ্লোর ক্রসিংয়ের ঘটনা ঘটে কেননা তাতে সদস্যদের নির্বাচনী আসন হারানোর ঝুকি নেই। টনি ব্লেয়ারের আমলে তার লেবার পার্টির আনা বিলের বিরূদ্ধে ভোট দিয়ে বিলকে আইনে পরিণত হওয়া ঠেকিয়ে দিয়েছিল নিজ দলীয় সংসদ সদআস্যরা। বাংলাদেশের সংবিধানে আর্টিকেল ৭০ এ ফ্লোর ক্রসিংয়ের ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধি-নিষেধ রয়েছে। কোন সংসদ সদস্য ফ্লোর ক্রস করলে তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে না। এতে করে সংসদ সদস্যরা দলীয় লেজুড় বৃত্তিতে বাধ্য হচ্ছেন। আইনপ্রণেতা (Legislator) হিসেবে তাদের সুযোগ সীমিত হয়ে যাচ্ছে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন সংসদ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা পালনের সুযোগ করে দিবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.