নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মগের মুল্লুক কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি, উদাহরণসহ পড়ুনঃ
Recived from. Md. .... c/o Late ...
H.F./F.F. No. NIL the following arms/weapnss/Ammunition.
Rifle.. Mark 4 _ No - 191223
Granade...
SBBL gun...
DBBL gun...
Revolver....
Pistol....
Ammunitions.... 20 round
সাক্ষর (ডানপাশে) 22/1/72
Subdivisional Officer
জেলা, বিভাগ
22/1
এটি নিয়ে গতদিন একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যদিও সেখানে গঠনমূলক আলোচনার পরিবর্তে মামুলি একটা বিষয় নিয়ে ক্যাচাল শুরু হয়েছিল।
সে যাই হোক!
আজকে "বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংঘ" এর একটা শাখা থেকে নিশ্চিত হলাম, এটা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাস্ত্র জমা দেবার কাগজ।
এখন আমার মেজাজ গরম! কারণ এটা যার কাগজ উনি এখনো গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা নন! ভাতা বা স্বীকৃতি কোনটাই উনি পান নি!(উনি মারা গিয়েছেন) কেন পান নি, তার অনেক হিসাব, কয়টা বলবো?
লোকগুলো নিরক্ষর,
আমাদের বস্তাপচা সিস্টেম,
প্রশাসনিক জটিলতা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য..
★★★ আসুন সবাই মিলে কিছু গোয়েন্দাগিরি করিঃ
১। মূল কাগটি আমি দেখেছি। তেল চিটচিটে! দেখেই বোঝা যায় অনেক পুরাতন! লেখা অনুযায়ী সেটি যদি ১৯৭২সালের হয়! তবে কার্বন টেস্টেই ধরা যাবে!!
২। কাগজে থাকা রাইফেল নাম্বারের একটা অংশ ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। হস্ত লেখা(রেখা নয়) বিষারদ দিয়ে এটা ১০০% নির্ভূলভাবে বের করা যাবে! ফিঙ্গারপ্রিন্টও মাথায় রাখা যায়! যদিও এত বছর পর সেটা বের করা কঠিন!
২। কাগজটি যেই সময়ই করা হোক! সেই সময়ে একসাথে অনেক জনকেই এমন কাগজ দেয়া হয়েছে! রাইফেল নাম্বার এবং সিগনেচার দেখে কাগজের সত্যতা নিশ্চিত করা কোন ব্যাপারই না!
৩। ঐ এলাকার লোকের সাথে কথা বলে এটা নিশ্চিত, যুদ্ধের মধ্যে কয়েক মাস তিনি হারিয়ে ছিলেন! তবে তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে সেটা তারা বলতে পারে নি! লোকটি যেহেতু মারা গিয়েছেন, তাই সেটা জানাও সম্ভব নয়! তবে তার সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে তথ্যগুলো জানা যাবে! (ঐ এলাকাতে কয়েকটা কান কাটা রমজান, ভূয়া পরিচয়ে ভাতা পায়! তাদের সাথে ভাব/ক্যাচাল কোনটাই আমি করি নি!)
৪। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পরে, কাগজ থাকার পরও তিনি তালিকা ভূক্ত হন নি কেন??!!
অবাক হবার কিছু নেই, মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই তখন এসব কাগজের গুরুত্ব বোঝেনি! সুতরাং অযত্নে, অবহেলায় কাগজটি হারিয়ে যায় এবং প্রয়োজনের সময় সেটা পাওয়া যায় নি! কিছুদিন আগে ওরা কাগজ পত্র সব জমা দিয়েছে! এখন দেখা যাক কতদুর কি হয়!!! (কাগজটি এক বাক্সের ভেতর চাপা পড়ে ছিল, ইংরেজী না জানায় তারা বুঝতে পারে নি এটা কীসের কাগজ!)
এখানে আমি শুধু একজনের কথা বললাম, কিন্তু এমন হাজারো পরিবার আছে যাদের কাছে কোন কাগজ নেই অথচ তারা সম্মুখ যুদ্ধ করেছে! যদিও তারা কোটা বা ভাতা পাবার আশায় যুদ্ধ করে নি। তাই বলে আমাদের কাছ থেকে তারা কি সামান্য স্বীকৃতিটুকুও পাবে না?
এসব নিয়ে লিখতাম না, কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবিঃ নষ্টদের ভীড়ে আগামী প্রজন্ম না ভেবে বসে, এই মানুষটিই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা(!), তা না হলে ভাতা পায় না কেন??
আচ্ছা?
এক পাতার কাগজই কি সব?
নয় মাসের ত্যাগ-তিতিক্ষার সবটুকু কি এক পাতাতে লেখা সম্ভব??
ইদানিং মুক্তিযোদ্ধা কথাটি শুনলে প্রথমেই মনে প্রশ্ন জাগে, লোকটি কি আসলেই যুদ্ধ করেছিল? উপরের লোকটিকেও আমি সন্দেহ করেছিলাম! যাদের জন্য স্বাধীন এক দেশ পেলাম তাকেই করলাম সন্দেহ?? লজ্জা! লজ্জা!!!
আহা!!
ঐ পরিবারের লোকগুলোর চোখে-মুখে কি আকুতিটাই না সেদিন দেখেছি! সেটা কি লিখে প্রকাশ করা সম্ভব??
আমারা কাছে যোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গাটা একটু ভিন্নঃ (ব্যাপক অর্থে)
★ যেই ছেলেটা "জয় বাংলা" বলার জন্য প্রাণ দিয়েছিল, সে একজন যোদ্ধা!
★ পাকিদের শত টর্চারের মধ্যেও যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য দেয় নি, তারাও যোদ্ধা!
★ মুক্তিযোদ্ধাদের যারা থাকতে দিয়েছে, খেতে দিয়েছে, নানাভাবে সাহায্য করেছে, তারাও এক ধরণের যোদ্ধা!
★ জালিমের অন্যায়ে বিরুদ্ধে মজলুমদের মুক্তির জন্য যারা প্রতিবাদ/সংগ্রাম/যুদ্ধ করে তারাই মুক্তিযোদ্ধা। শুধু ৭১সাল দিয়ে সময়ের ফ্রেমে এদের বেঁধে রাখা যায় না! সময়ের প্রয়োজনে যোদ্ধাদের জন্ম হয়! ওরা অদম্য, ওরা নির্ভীক, ওরা বীর, ওরা বিল্পবী, ওরা বিদ্রোহী, ওরা চির অমর!!
★ ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধ! এটা ছিল জালিমদের হাত থেকে মা, মাটি ও মানুষকে মুক্ত করার যুদ্ধ! সুতরাং এটা সবচেয়ে বড় মুক্তিযুদ্ধ! কিন্তু যুদ্ধ কি শেষ?
না শেষ নি, এখনো অনেক বাঁকি.....
দেশকে গড়ে তোলার যুদ্ধ!
মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যুদ্ধ!
অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার যুদ্ধ!
বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর যুদ্ধ!
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সুফল প্রতিটি ঘরে পৌছে দেয়ার যুদ্ধ!
নতুন প্রজন্মের কাছে এক সুন্দর আগামী রেখে যাবার যুদ্ধ!!
এই যুদ্ধের কি শেষ আছে???
.........
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
অরাজগতার রাজ্যে আমি এখন গদ্যময়!
পাইনা খুঁজে ছন্দ,
আপুরা আমায় ভালোবাসে
নইতো আমি মন্দ..
পুনশ্চঃ
রোমান্স-কমেডি বাদ, আমি এখন অ্যকশান হিরো..
২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: সত্য কথাই বলেছেন।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
সব কিছু আজ নষ্টদের দখলে..
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
কাইকর বলেছেন: এক্কেরে খাটি কথা।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন!
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার সংগা এবং শেষাংশে মতভাগ সহমত।
অনেক মুক্তিযোদ্ধাই যুদ্ধ শেষে ফের গেছেন আপনাপন জীবন যুদ্ধে!
সুবিধাবাদীরা শুন্যস্থান পূরণ করে নিয়েছে সুবিধামতো!
চলুক ন্যয়ের জন্য যুদ্ধ।
+++
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী বীর!
৯মাস যুদ্ধ করে যারা ভাবে যুদ্ধ শেষ! তারা বোকার স্বর্গে বাস করে!
যুদ্ধ সবে শুরু, এখনো অনেক বাঁকি.....
সব জ্বলে পুড়ে হোক শুদ্ধ
চলুক ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ।
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
আঁধার রাত বলেছেন: ইদানিংকালে এ কাগজ গুলো খুব বেশী গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভাতা আর চাকুরীর লোভে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এটা অরিজিনাল কাগজের ডাটা!(১০০%)
সাহস না থাকলে এটা আমি প্রকাশ করতাম না!
ঐ এলাকাতে তিনজন ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছে! ওদের একজন ভূয়া
সততা থাকলে আসল, নকল বের করা দুদিনের ব্যাপার!!!
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার মা ও গ্রামের অন্য মেয়েরা বিয়ের আগে সীমান্তের এপারে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে দুকিমি দূর থেকে কলসি করে জল এনে দিত। গ্রামের লোকেরা বাড়ির চাল ডাল আলু দিয়ে ক্যাম্পে খাদ্য সর্বরাহ চালু রেখেছিল। শ্রীমতি ইন্দিরার শাসনে ইছামতির এদিকের মানুষগুলিকে তাহলে কী বলা যাবে। আসছি পরে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: যোদ্ধা শব্দটি আমি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেছি!
(যেমনঃ ব্লগে কেউ সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখলে, আমার কাছে সে একজন যোদ্ধা)
ওরাও হিরো! ওরাও সংগ্রামী যোদ্ধা! যে সংগ্রাম দুঃখী, মেহনতি, অত্যাচারিদের সাহায্য করার সংগ্রাম!!
যুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা বাসীদের অবদান কি কম? ভারত না থাকলে বাঙালিদের কয়েক বছর যুদ্ধ করতে হতো!!
তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ..
৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিজয়ের পরপরই ১ নং সেক্টরে অস্ত্র জমা নিয়েছে ক্যা: এনামের লোকেরা; তারা ইংরেজী লেখা এই রকম কিছু দেয়ার প্রশ্নই উঠে না; কারণ, তাদের কোন অফিস ছিলো না; তারা ভাটিয়ারীতে ক্যাডেট কলেজে অবস্হান করছিলেন। অন্য সেক্টরে এগুলো কিভাবে হ্যান্ডলিং করেছেন, কে জানে!
এটা যদি অফিসিয়েল অস্ত্র জমা নেয়ার কাগজ হয়ে থাকে, তা হয়তো ১৯৭২ সালের কোন এক সময়ে, এডমিনিষ্ট্রেশন চালু হওয়ার পর তৈরি হয়েছিলো।
মুক্তিযু্দ্ধের যেসব ডিফিনেশন আপনি দিচ্ছেন, এগুলো ডোডো পাখীর কিছির মিছির।
১৯৭১ সালের ৬ কোটী মানুষ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, কষ্ট করেছেন, প্রান দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন তাঁরা, যাঁরা অস্ত্রহাতে ১১ সেক্টরে পাকীদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন। যা বুঝেন না, সেটা নিয়ে লাফালাফি কম করলে ভালো হয়।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
"বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংঘ" এর একটা শাখার অফিস থেকে নিশ্চিত হয়েছি, এটা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাস্ত্র জমা দেবার কাগজ। এটি যার কাগজ তিনি পুলিশে চাকরি করতেন! ৮৪তে অবসরে যান!
আপনি আসল টপিক তো ধরতেই পারলেন না!!
প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা ১লক্ষ, অবস্যই তারা বেশী স্বীকৃতি পাবে, ভাতা পাবে! কিন্তু বাঁকি লোকজনের অবদান কি কম!? তারাও তো হিরো?
পাকিদের টর্চারে পড়েছে কখনো??
আপনি এসবের কী বুঝবেন?
৭১সালে লেফট রাইট কারিই শুধু হিরো?
নয় মাস যুদ্ধ করে আপনারা ভেবেছেন কাজ শেষ, এখন নাক ডেকে ঘুমাই!!! দেশটার আজ এই হাল তো এইজন্যই!! খালি বলেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি!!
যা বুঝেন না, সেটা নিয়ে লাফালাফি কম করলে ভালো হয়।
-- এসব বোঝানোর কাজ আপনাদের! যদিও আপনারা সেখানে ব্যার্থ!
আপনার তো যুদ্ধ নিয়ে একটা সিরিজ লেখার কথা ছিল???
৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
সিগন্যাস বলেছেন: আপনিতো জিনিয়াস
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনি না পাঠক?
সমালোচনার একি হাল??
তুলতে হবে লেখকদের ছাল...
৯| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সিগন্যাস বলেছেন: আপনি নাকি কয়েকদিনের জন্য ডুব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
যুদ্ধে যাবো,
জীবন যুদ্ধে!!
১০| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বর্তমান তরুণদের নিয়ে ভাবতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব সংগঠন আছে। তরুণদের স্বপ্ন দেখানোর কেউ নাই।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
দেশ স্বাধীন করেছে এক প্রজন্ম,
সেটাকে নতুন করে গড়ে তুলবে আরেক প্রজন্ম।
আফসোস!!
আদর্শ নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলা যায় নি!!!
মুক্তিযোদ্ধারা এই জায়গায় অনেক কিছু করতে পারতো, স্বাধীনতা পরবর্তি কাজে/দেশ গঠনে তারা ঠিকমত কাজ করতে পারে নি! এই দায় তারা এড়াতে পারে না!!
১১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৪
জুন বলেছেন: এই প্রজন্মেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সামান্য ধারনা দেয়ার উদ্দেশ্যে আমার ক্ষুদ্র লেখাটি দিয়ে গেলাম মন্ডল সাহেব । এটি একটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নিজ হাতে লেখা দিনলিপি আমি শুধু টাইপ করেছি । বয়সের কারনে বা বহুদিন আগের ঘটনায় হয়তো অনেক কিছুই বাদ পরে গেছে । আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন যদি আপনার পড়ার সময় হয় ।
ধন্যবাদান্তে --
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেক্টর ২ রণাঙ্গনে সক্রিয় অংশগ্রহনকারী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বহস্তে লেখা দিনলিপি।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
জুন মাসে জুন আপার আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম!!
লেখাটির লিংকু দেবার জন্য ধন্যবাদ! পড়ছি....
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাতিক্রমি পোষ্ট।
আমার ব্যাক্তিগত মতামত, যারা এমনিই বিভিন্ন টর্চারের শিকার হয়ে যারা প্রান হারিয়েছে এবং মুক্তি যোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছেন কিন্তু তারা মুক্তি যোদ্ধা নন তারা মুক্তি কামি।
যারা জেনে বুঝে নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে বা দেশ স্বাধীন না হলে ফাসি হবে জেনেও যারা যুদ্ধে গেছে তারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আমার কাছে।
এখন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধা বের করা খুব কঠিন, অনেক সুবিদাবাদিরাই ভুয়া কাগজ পত্র নিয়ে মুক্তিযদ্ধা সেজে সুবিদা নিচ্ছে, এখানে চিরুনি অভিযান চালানো ফরজ হয়ে
পরেছে।
পোষ্টে ভাল লাগা রইল।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপন ভাইয়া, দারুন মন্তব্য করেছেন!
আর লেখাটি একটু আবেগে লিখেছি তো!!তাই.....
যারা জেনে বুঝে নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে বা দেশ স্বাধীন না হলে ফাসি হবে জেনেও যারা যুদ্ধে গেছে তারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আমার কাছে।
-- ১০০% সহমত! আমিও এটা মানি, তবে পোস্টে ঠিকমত বোঝাতে পারিনি! যোদ্ধা শব্দটি আমি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেছি! তাই মুক্তিকামীরাও আমার কাছে হিরো, যোদ্ধা!
এখন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধা বের করা খুব কঠিন!
-- এটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আপনি নিজেই এটা করতে পারবেন! দরকার সুধু সততা!!
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৮
কানিজ রিনা বলেছেন: সবকটা জানালা খুলে দাওনা, ওরা আসবে
চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালবেসে
দিয়ে গেছে প্রান। বেশ কঠিন তত্থ তুলে
ধরেছেন। আসল মুক্তি যোদ্ধাদের নির্নয়
প্রয়োজন। গ্রাম থেকে শুরু করা উচিৎ।
গ্রামের ময় মুরব্বিরা বলতে পারবে আসল
মুক্তি যোদ্ধাদের কথা। কতজন ফিরে এসেছে
আর আসেনাই কারা। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
আসল মুক্তি যোদ্ধাদের নির্নয় প্রয়োজন। ্
ঠিক!
ইদানিং সুবিধাবাদী ভূয়াদের ভীড়ে আসলরা অবহেলিত হচ্ছে! তবে কোন সরকারই এসব নিয়ে মাথা ঘামাবে না! কারণ থলের বিড়াল ডাকা শুরু করবে??
১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৪
নাজিম সৌরভ বলেছেন: খাইছে, মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় ঢাল তলোয়ার হাতে বাহুবলি!
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
চলবেই চলবেই!
তাই ছেড়ে গানের কলি
হবো বাহুবলি!
১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
ঢাকার লোক বলেছেন: কানিজ রিনার পরমর্শ অনুসারে গ্রামের মুরুব্বিদের থেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই করা এখনই দরকার, মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন এমন লোক দিন দিন গত হয়ে যাচ্ছে ! আরো দেরি করলে এদের পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে . দুঃখ জনক, কেন জানিনা কিসের ভয়ে কাউকেই একাজে আন্তরিক আগ্রহী হতে দেখিনা ! প্রায় প্রতিটি গ্রামে আজকাল ইস্কুল আছে , ঐসব ইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে কি কি দেখতে হবে , কি কি প্রমান লাগবে বুঝিয়ে দিয়ে, এ দায়িত্ব দিলে এ কাজ সহজেই করা সম্ভব ।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত।
তবে সরকার এসব কাজ করবে না! ভোটে টান পড়বে যে...
আমার এলাকায় তিনজন গেজেটভুক্ত যোদ্ধা আছে, তাদের একজন লুল, মানে ভূয়া!
১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
লায়নহার্ট বলেছেন: {যুদ্ধের মোটিভ স্বাধীনতা হলে, স্বাধীনতার সংজ্ঞায়ন আগে করা চাই}
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ঠিক!!
যুদ্ধের মোটিভ স্বাধীনতা,
সামাজিক স্বাধীনতা
রাজনৈতিক স্বাধীনতা
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা!
মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বধীনতা!
মৌলিক অধিকার নিয়ে নতুন প্রজন্মের বেড়ে ওঠার স্বধীনতা!
.....
১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডল ভাই। মায়ের মুখে সেই ছোট বেলায় শুনেছিলাম, ওরা আমাদের বাংলাভাষীদের মারছে। সেই উন্মাদনায় গ্রামের মসজিদ থেকে ক্যাম্পে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের যে যেভাবে পারে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল। শুধু খাবারদিয়ে নয় সবাই দলবেঁধে ক্যাম্পে রান্নাবান্নারও তদারকি করতো। নাকি এক অসম্ভব আবেগ তৈরী হয়েছিল গোটা এলাকা জুড়ে।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হ্যাঁ এসব তো হওয়াটাই স্বাভাবিক!
ক্যাম্প, ট্রেনিং, শরনার্থী শিবিরের কাহিনী সব তো আমাদের আর আপনাদেরই গল্পো! ওসব কি ভোলা যায়??
ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি!!
১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কে বলে আমার দোস্ত লেখতে পারে না!!! এই লেখাটি ব্লগে স্টিকি হওয়ার উপযুক্ত। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত লেখা। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন, এখন কোন মুক্তিযোদ্ধার নাম শুনলে আমরা প্রথমে ভাবি তিনি ভূয়া নয় তো!!! এটার জন্য আমাদের মূর্খ আর অসৎ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো দায়ী।
তবে মন্ডল ভাই, একটি চরম সত্য কথা বলি, অনেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (কেন্দ্র/জেলা/উপজেলা) নেতৃবৃন্দ টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পয়দা করেছেন। এদেরকেও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
পোস্টে লাইক না দিলে বন্ধুর প্রতি অবিচার করা হবে। দিলাম একখানা লাইক ।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনার চরম সত্য কথাটি ১০০% সত্যি!!!
ওরাই আসল কালপ্রিট! ওরা এখন কালসাপ, কার সাধ্যি আছে ওদে সামনে দাঁড়ায়! বেঁচে থাকলে হয়তো কোন একদিন কার্বলিক এসিড হাতে কোন এক ওঝাকে দখবো!
লেখক আপনি তো জানেনই, আমার ধৈর্য কম, বড় লেখা পড়তে পারি না! (বড় লেখা পড়লে আমি মইরাই যামু....) না পড়ে মন্তব্য করলে অনেকে বিরক্ত হয়! তাই আপনাদের ঠিকমত মন্তব্য করা ....
আপনার গত পোস্টের জন্য ছড়াঃ
তুলসী বনে বাঘ
জেনে রেখো এক শীতে
যায় নাতো মাঘ!
১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আহ শান্তি
প্রিয় দলের জয় এবং দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
ঠিক ঠিক ঠিক!
আর্জে টিনার জয়
নেইতো মোদের ভয়!
২০| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
তিক্ত সত্য উচ্চারন করলেন। দারুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার লিখনির প্রশংসা করতে হয়।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই!
বিদ্রোহীদের এসব তো পছন্দ হবেই
ভালো থাকবেন।
২১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: কোথায় আপনি?
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: একটু ব্যস্ত ছিলাম।
রাতে কথা হবে...
২২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সোহানী বলেছেন: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ গ্রহন আর আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা....... এটার সম্পূর্ন কারন মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের পকেটে ভরার চেস্টা। তাই তৈরী হয়েছে দলাদলি আর সুযোগ নিয়েছে এবং নিচ্ছে ভুয়ারা।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এটা এক্কেবারে সত্য কথা বরফ আপা!
কানকাটা রমজানরা দলীয় ছত্রছায়ায় ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করেছে! অথচ প্রায়ই পেপারে দেখা যায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবন যাপন করছে!!
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেই....
বিদ্রাহী রণক্লান্ত, আমি......
এক গ্লাস পানি দ্যান....
২৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২০
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার কথা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হলে তো কুখ্যাত রাজাকার, অালবদর, আলশামস ও তাদের চেলারা ছাড়া দেশের প্রায় সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। আপনি তো দেখছি হাসু আপাকে অারেক বিড়ম্বনায় ফেলার ধান্ধায় আছেন।
এটা চরম সত্য যে দেশে শত শত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নানা কারণে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারে নি। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করে দেহত্যাগ করেছেন। এদের কেউ আর স্মরণেও রাখে নি। অথচ হালুয়া রুটির জন্য ভুয়ারা লাইন ধরে ভাগবাটোয়ারায় ব্যস্ত অাছে আর জাতির সূর্যসন্তান 'মুক্তিযোদ্ধা' শব্দটাকে গালিতে রূপান্তর করতে এদের অবদান সর্বাগ্রে। আপসোস।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ফারাও ভাইয়ু!!
কত্তোদিন পর!!!
আমার সঙ্গাটা আবেগী সঙ্গা! ওটা তাদের জন্য যারা কাজের কাজ না করে কথায় কথায় রাজাকারদের দোহায় দেয়!!
কাছের-মানুষ, ভাইয়ার মন্তব্যই আমার কথা!
মন্তব্যের শেষ অংশের সাথে ১০০% সহমত!!!
ঐ সালাদের জন্যই....
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:২৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি যোদ্ধা এখন একটি লাভজনক পন্য হয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে বেচে খাচ্ছে
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: প্রথম মন্তব্য কারী হওয়ার জন্য না পড়েই মন্তব্য করলাম এখন গেলুম পড়ে লেখা পড়ে তারপর আসল মন্তব্য করবো