নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫আগষ্ট ১৯৭৫, পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী অভ্যুত্থান। কারণ, মাত্র দুটি সেনা ইউনিট ও গুটিকয়েক জুনিয়র অফিসার দ্বারা সংঘটিত অভ্যুত্থানের ঘটনা শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়, পৃথিবীতেও বিরল। রাষ্ট্র ব্যবস্থা কতটা দুর্বল হলে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকারের পত্তন হতে পারে, ৭৫এর ঘটনা তার বড় উদাহরণ। যদিও ষড়যন্ত্রকারীদের শেঁকড় অনেক দুর পর্যন্ত ছিল।
ঘটনার এতবছর পরেও মনে প্রশ্ন জাগে,
আগষ্টের ঘটনাটা কেন ঘটল?
কীভাবে ঘটল?
ঘটনার জন্য দায়ী কে/কারা?
এর থেকে আমরা আদৌ কি কিছু পেলাম?
আচ্ছা, সেদিন যদি ঘটনাটা না ঘটতো, তাহলে কেমন হত?
এর কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা; কিছু উত্তর আমরা চোখের সামনেই দেখেছি/দেখছি, হয়তো ভবিষ্যতেও দেখবো; আর কিছু উত্তর জানা আদৌ সম্ভব নয়। সব প্রশ্নের উত্তর কি দেয়া সম্ভব??
★★★ ১৫ই আগষ্টের টুকরো কিছু তথ্যঃ
প্রধান টার্গেট, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার রোডের ৬৭৭নম্বার বাসা। পরিকল্পনার মূল হোতা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উত্তর প্রান্তের ১ম বেঙ্গল ল্যান্সার রেজিমেন্ট(ট্যাঙ্ক ইউনিট) নিয়ে মেজর ফারুক। দক্ষিন প্রান্তের টু-ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টর(কামান) মেজর রশিদ। আকামকারী দুজনে সম্পর্কে ভাইরা-ভাই। ফারুক ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের ভাগিনা। তাদের সাথে ছিল: মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদা, মেজর পাশা, মেজর শাহরিয়ার, মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া মৌন সমর্থন দিয়েছে খন্দকার মোশতাকের মত লীগের কিছু নেতা(কানকাটা রমজান); সেনাবাহিনীর ৪৬ব্রিগেড কমান্ডার শাফায়েত জামিল, খালেদ মোশাররফ ও জিয়াউর রহমানের মত আরো কিছু সিনিয়র অফিসার।
আক্রমন কারীদের অস্ত্রশস্ত্রঃ
২৮টি T-54 ট্যাঙ্ক, ১৮টি কামান(105mm), ১২টি ট্রাক ও কিছু জিপ, রাইফেলসহ দুই ইউনিটের(বেঙ্গল লেন্সারের ফার্স্ট আর্মড ডিভিশন ও ৫৩৫ পদাতিক ডিভিশন) সৈন্য।
★★★ ১৫ আগষ্ট শেখ সাহেবকে কি বাঁচানো যেত না?
এই প্রশ্নের উত্তর আরেকটা প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে। প্রশ্নটা হলোঃ হাজার হাজার সেনা(দুটো ইউনিট ছাড়া), নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, বিজিবি(বিডিআর), রক্ষীবাহিরী থাকতে অপারেশানটা কেন সফল হল??
১) গোয়েন্দা ব্যর্থতা/ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অদক্ষতাঃ
রাত ২-৩ টার দিকে অভ্যুত্থান সম্পর্কে সর্বপ্রথম খবর পায় DGFI অাব্দুর রউফ। খবরটি তিনি রাষ্ট্রপতি বা সেনা প্রধানকে না জানিয়ে কচুক্ষেতে লুকিয়েছিলেন। (শেখ সাহেবকে বাঁচাতে গিয়ে কর্নেল জামিল প্রাণ হারান।)
২) দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
শেখ সাহেবের বাসার সামনে ৪০-৫০ জন তালপাতার সেপাই ছিল। বীরেরা(!!!!) লড়াই না করেই আত্মসমর্পন করে।
৩) ধ্বজ রক্ষীবাহিনীঃ
৩২নং রোড থেকে রক্ষীবাহিরীর কোয়ার্টার মাত্র কয়েক মিনিটের পথ। সেদিন রকম প্রতিরোধ না করে, তিন হাজার রক্ষীবাহিনী গোলা বিহীন কয়েকটা ট্যাঙ্ক দেখে আত্মসমর্পন করেছিল।
৪) সেনা প্রধানের সীদ্ধহীনতা, শাফায়েত জামিলের নিষ্ক্রিয়তাঃ
সেনা গোয়েন্দাপ্রধান কর্নেল সালাউদ্দিন ভোর পাঁচটার দিকে অভ্যুত্থানের খবর পান। তিনি সেটা সেনা প্রধানকে জানান, সেনা প্রধান শাফায়েত জামিলকে মুভ করতে বলে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। (৪০০০ সেনা নিয়ে ৪৬ব্রিগেড কমান্ডার শাফায়েত জামিল তারা গুনেছিল। তাই রাষ্ট্রপতির সাহায্যার্থে ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি সৈন্যও মুভ করা যায় নি!!!)
★★★ সমালোচনাঃ
বলতে দ্বিধা নেই, নেতা হিসেবে শেখ সাহেব যতটা সফল শাসক হিসেবে ততটা সফলতা দেখাতে পারেন নি। "যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ, চারিদিকে অভাব অনটন, রাজকোষ শূন্য, বাড়ীঘর-রাস্তাঘাট সব ভাঙা" এমন এক পরিবেশে দেশকে পুনর্গঠন করা কি চাট্টিখানি কথা?? তার উপর যদি থাকে দাতা দেশগুলোর বৈরী আচরণ(আমেরিকা, চীন, সৌদিগং), সীমান্তে অবাধ চোরাচালান, সাথে লীগের দুর্নীতিবাজ নেতা কর্মীর দৌরাত্ব!!!
৭১পরবর্তি দুর্ভিক্ষ ও ১৯৭৪ এর বন্যায় দেশের অবস্থা হয়ে পড়ে আরো নাজুক। ৭৫এর বাকশাল গঠনকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেনি(আমি অবস্য বাকশালের পক্ষে)। তবে দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সততা বা প্রচেষ্টার যে কোন রকম কমতি ছিল না সেটা বলাই বাহুল্য।
আবুল মনসুর আহমেদ তাঁর "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" বইয়ে বলেছেনঃ
"৭০সালের নৌকা ও এবারকার(৭৩) নৌকার মৌলিক পার্থক্য আছে। ৭০ সালেরটা ছিল চড়িবার নৌকা। এবারকারটা চালাইবার নৌকা। নৌকা চালাইতে ডাইনে-বাঁয়ে দুই সারি দাঁড়ী লাগে। নৌকার হাল ধরিবেন শেখ মুজিব ঠিকই, কিন্তু দাঁড়ী হইবেন দুই কাতারে। সব দাঁড়ী একদিক হইতে দাঁড় টানিলে নৌকা(দেশ) সামনে চলিবার বদলে ঘুরপাক খাইয়া ডুবিতে পারে।" (৬২৯পৃ.)
যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
★★★ কী পেলাম আমরা???
"কি পেলাম আমরা? আমাদের যাদের অস্ত্র নাই আমাদের হাতে। যা-আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে- তার বুকের উপরে হচ্ছে গুলি।"
... ৭ই মার্চের কথাটা এখনও আমার কানে বাজে। যেই গণতন্ত্রের জন্য তিনি জীবন দিলেন ৭৫পরবর্তি সময়ে কি সেটা পেয়েছিলাম? ৭৫-৯০বা ৯৫ আহামরি কী হয়েছে দেশে? হয়েছে; মিলিটারি বাকশাল, হাজার হাজার সেনা সদস্যের ফাঁসি, পঞ্চম সংশোধনী ও গণতন্ত্রের নামে প্রহসন।
এটা সত্য, মেজর জিয়ার শাষক হিসেবে কিছু সফলতা আছে(কৃষিতে, চোর ডাকাত ও দুর্নীতি দমনে)। তবে উনি ক্ষমতায় গিয়েছেন অবৈধভাবে, গণতন্ত্রের নামে বিষবৃক্ষ রোপন করেছেন(রাজাকাদের রাজনীতিতে এনে)। উনাকে আমার নেতা বলেই মনে হয় না, উনি বড় জোর কট্টোর শাষক। শুধু মেজর কেন; লীগ, দল, জাশি, জাপাসহ নাম না জানা আরও অনেক দল ও নেতা আছে, কিন্তু আমার পছন্দের নেতা নেই।
হক সাহেব, শহীদ সাহেব, শেখ সাহেব বা মাওলানা ভাষানীর মত দেশপ্রেমিক নেতাদের আজ বড়ই অভাব। এমন দিন কবে আসবে? যেদিন নেতারা দলের চেয়ে দেশকে বেশী ভালো বাসবে, সংসদ হয়ে উঠবে সরকার ও বিরোধীদলে মুখরিত, ফিরে পাব সুস্থ গণতন্ত্র!
রাত পোহাবার কত দেরী, পাঞ্জেরী??
তথ্যসূত্র ও কেন'এর উত্তর জানতে পড়ুনঃ
১. তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা - লে. কর্ণেল (অবএম এ হামিদ পিএসসি
২. হক কথা সমগ্র... মাওলানা ভাষানী
৩. আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর- - আবুল মনসুর আহমেদ
৪. জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-১৯৭৫- অলি আহাদ
৫. ১৫ই আগষ্ট যারা নিহত হয়েছিলেন
৬. এক নজরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - তালপাতারসেপাই
৭. বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে করা বিখ্যাত মানুষ ও মিডিয়ার বানী সংকলন - সাদী ফেরদৌস
.
[ফ্লাডিং-এর কারণে পোস্টে মন্তব্য সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। ]
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই!
সহমত, সুবিধাবাদী পাতি নেতারাই দেশটাকে ডুবিয়েছে।
শেখ সাহের প্রতি শ্রদ্ধা।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেনা বাহিনীর ২ টি ইউনিট কমান্ডের বিনা অনুমতিতে কেনটনমেন্ট থেকে বাইরে গিয়ে, বিশাল হত্যাকান্ড ঘটালো; সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হওয়ার ছিলো?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @কমান্ডের বিনা অনুমতিতে কেনটনমেন্ট থেকে বাইরে গিয়ে
কমান্ডার নেই মানে? ফারুক, রশীদ তাহলে কে??
@সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হওয়ার ছিলো?
.. শাফায়েত জামিল এর জায়গায় আমি থাকলে সেটা দেখিয়ে দিতাম।
পুনশ্চঃ বই কয়টা পড়বেন, কাজে আসবে।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি চোখে কম দেখি, বই পড়া হয় না; নিতান্ত পড়তেই হলে, কমপক্ষে আমেরিকানদের লেখা পড়ি
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওকে আপনি নিজের মত চলুন, সুস্থ থাকুন।
@সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হওয়ার ছিলো?
.. রক্ষীবাহিনী প্রতিরোধ করতে পারতো।
শাফায়েত গিয়ে শেখ সাহেবকে বাঁচাতে পরতো।
বিমান বাহিনি তাৎক্ষনিক অ্যাটাক করতে পারতো।
জুনিয়র অফিসারদের কোর্টমার্শাল করা যেত।
.......
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬
মিথী_মারজান বলেছেন: এমনটা শুনতে পেলে কি হতো জানিনা তবে বাংলাদেশ গঠণে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবশ্যই অনস্বীকার্য।
বেশ সুগঠিত, চমৎকার পোস্ট।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ আপু!
আজকে আমি অনেক পড়েছি! তারপর পোস্ট দিয়েছি।
আইউব ব্যাটা মুরগি চোর,
ব্যাড়া ভাইঙ্গা দিলো দৌড়।
ধরলো ক্যাডা, ধরলো ক্যাডা?
শেখ মজিবর, শেখ মজিবর '।(সংগৃহীত)
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: একদমে পড়ে ফেললাম, বরাবরের মতো পোষ্টটি দুর্দান্ত লাগলো। আপনি কোথায় ছিলেন? আমি আপাতত সেফ হয়ছি কয়দিন আগে।শুভেচ্ছা নিবেন।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ ছড়াকার।
@আপনি কোথায় ছিলেন? আমি আপাতত সেফ হয়ছি কয়দিন আগে।শুভেচ্ছা নিবেন।
.. আমি তো ব্লগে আছি। সেফ হবার খবরও জানি। ঐ পোস্টে সবচেয়ে বেশী কমেন্টও করেছি....
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমি হিমালয় দেখিনি তবে শেখ মুজিব কে দেখেছি
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শোনো, একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: হক সাহেব, শহীদ সাহেব, শেখ সাহেব বা মাওলানা ভাষানীর মত দেশপ্রেমিক নেতাদের আজ বড়ই অভাব। এমন দিন কবে আসবে? যেদিন নেতারা দলের চেয়ে দেশকে বেশী ভালো বাসবে, সংসদ হয়ে উঠবে সরকার ও বিরোধীদলে মুখরিত, ফিরে পাব সুস্থ গণতন্ত্র!
রাত পোহাবার কত দেরী, পাঞ্জেরী?? --- ভালো লিখেছেন। তবে দেশপ্রেমিক ও ভালো প্রশাসক হতে হবে। এই ধরণের নেতা পেতে এ জাতির আরো কতদিন...
বিশ্লেষণী লেখা। বেশ!!
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি হাসিনা আপার কাছ থেকে দুটি বিষয় আশা করেছিলাম:
১. সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ।
২. দক্ষ প্রশাসন।
উনি তো জামাত, শিবির, রাজাকার আর উন্নয়নের মহাসড়ক নিয়ে ব্যস্ত!!!!
পুনশ্চঃ আমার হিসেব মতে, দু-এক দশকের মধ্যে পরিবারতন্ত্র দেউলিয়া হয়ে যাবে। জনগণ চাইলে সুস্থ রাজনীতি ফিরে আসবে।
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২১
ভাইয়ু বলেছেন: শোনা যায় স্বজনপ্রীয়তা শেখ সাহেবের অন্তিম পরিনতির জন্য দ্বায়ী ৷ তিনি নেতা হিসেবে অবিস্বরনীয় তবে শাষক হিসেবে তারই রক্ত হাসু আপা থেকে বহুগুনে পিছিয়ে ৷ দুধকলা দিয়ে যে কাল সাপও পোষ মানানো যায় সেটা হাসু আপা ঠিকই প্রমান করেছেন ...
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: স্বজনপ্রীতি কিছুটা হয়তো ছিল কিন্তু তার জন্য স্ব-পরিবারে নিহত হওয়াটা মেনে নেয়া যায় না। তার চেয়েও বড় কথা সেনাবাহিনীর বড় অফিসারদের নিষ্ক্রিয়তা। যে দেশের জন্য একটা লোক সারা জীবন কষ্ট করলো, প্রতিদানে আমরা তার জীবন নিলাম??
লজ্জা, লজ্জা।
হাসিনা আপা হয়তো ভালো(!) শাসক কিন্তু ভালো নেতা নন।
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৩
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আরে ওটা কি আপনার আরেকটা নিক? আমিওও মনে মনে ভাবছিলাম যে, মন্ডল ছাড়া কেও নয় এ ব্যাটা। যাক বাবা খুশ রহিলাম
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনি ব্লগে নিয়মিত থাকলে ঠিকই বুঝতেন, পাঠক নিকটা কার। আশাকরি এখন থেকে নিয়মিত হবেন। ছড়ার সাথে দু-একটা গদ্যও লিখবেন।
আমি এই নিকে টুকটাক লিখি
ওটাতে পড়ি আর আড্ডা দেই...
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাহলে দারুন হতো। একজন বিশাল লিডার মৃত্যু না হলে অন্তত একটা শোকের দিন কমতো। আমরা সচক্ষে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পারতাম । বঙ্গবন্ধুর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা। আজকে দেশ আরো উন্নত হত, বেগম জিয়াকে জেলে থাকতে হত না। আপনার কবিতা আর আমার এই মন্তব্যও লিখতে হত না।
আমি সব ত্যাগ করতে পারি, তোমাদের ভালোবাসা আমি ত্যাগ করতে পারিনা।- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনার শাসনে জনগণ খুশী ছিল না। তাই মাত্র ৪ বছর আগে স্বাধীনতা দেয়া নেতার মৃত্যুর খবরে জনতা মাঠে নামেনি। এটাক না হয় ঢাকাতে হয়েছে পুরো দেশ কীভাবে মেজরদের আধিপত্য মেনে নিল? বাকী কোন অঞ্চলের নেতাদের কেন মাঠে পাওয়া যায়নি?সবাই কি তাহলে এই ঘটনাকে অনিবার্য ভেবেছিল?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে-.....উইলিবান্ট
এমন এক ঘটনার জন্য মানুষ প্রস্তুত ছিল না। তারা সেদিন আবেগের বহিঃপ্রকাশ করতে পারে নি। তার উপর হঠ্যাৎ করে কারফিউ, সামরিক আইন জারি, দুপুর বারোটার মধ্যেই সেনা প্রধানরা নতুন সরকারকে মেনে নেয়ায়..... এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ কি বা করতে পারতো???
মেজরের জানাযায় লাখো মানুষ হয়েছিল কিন্তু শেখ সাহেব কোটি মানুষের অন্তরে আছেন, থাকবেন।
জয় বাংলা।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
সনেট কবি বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট দিয়েছেন। সে জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।
১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন, ভালো লাগলো পোষ্ট।
আমাদের নেতার খুব অভাব, জানিনা এই অভাব পূরণ হবার কিনা!
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: নেতারা সময়ের প্রয়োজনে তৈরী হয়,
জনগণই নেতা তৈরী করে।
আশাকরি জাতীকে পথ দেখাতে কোন এক হক, শহীদ বা বঙ্গবন্ধুর আগমন ঘটবে।
১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
জানেমন,............
১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এর পেছনে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। পরবর্তীতে হত্যা মামলার রায়েও যেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সরকার হত্যা কারীদের বিচার না করার বিধান রেখে জারি করে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ। এটি ছিল নীল নকশা উত্তর একটি চিত্রনাট্য।
দুই দশকেরও পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয় এবং তার চূড়ান্ত রায়ে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত এই ১২ জনের সবাই তৎকালীন মধ্যম সারির সেনা কর্মকর্তা যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ড এবং পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিল।
কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের যে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এবং তৎকালীন রাজনীতিকদের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বিচারকাজ শেষ হওয়ার পরও অনেকটা অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
"এই হত্যাকাণ্ডের যে দুটো ডাইমেনশন, একটা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আরেকটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর কোনটাই কিন্তু এই বিচারে উঠে আসেনি। দেশের প্রচলিত আইনে আর দশটা হত্যাকাণ্ড যেভাবে হয়ে থাকে সেভাবেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে"। বলেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত কাওসার ভাই। ঘটনার পেছনের রুই কাতলারা আড়ালেই রয়ে গিয়েছে।
(কোনটা আপনার কথা আর কোনটা মিজানুর রহমানের কথা বুঝতে পারলাম না...)
মামলার রায় নিয়ে আমিও একটু পড়লুম....
" হত্যাকাণ্ডের বিচারঃ
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার এবং ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী আ ফ ম মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানীরপর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন৷
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাদী-বিবাদীর আপিলের প্রেক্ষিতে চার দফায় রায় প্রকাশ হয়, সর্বশেষ আপিল বিভাগ২০০৯ সালের৫ অক্টোবর থেকে টানা ২৯ কর্মদিবস শুনানি করার পর ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন[২০]। রায়ে এরই মাধ্যমে ১৩ বছর ধরে চলা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আইনি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
রায় কার্যকরঃ
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়[২১]তারা হলেন-লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিনআহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)[২০]।[২১]এছাড়ও এখনো ১২ জনের মধ্যে ছয়জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতকরা হলেন কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী ও অবসর প্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল মাজেদ[২২]।
১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
নীচের প্যারাটি প্রথম আলোর সাংবাদিক মিজানুর রহমানের কথা; বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে; বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিয়ে উনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে; ভবিষ্যতে হয়তো এগুলো কাজে লাগবে৷ আমি উনার গবেষণাধর্মী লেখাগুলো পড়ি.......
আর প্রতি উত্তরে দারুন কিছু তথ্য সংযোজন করেছেন; এজন্য জানেমনকে পুদিনা পাতার ফ্লেভারে শেষ রাতের গ্রিন টি দিলান.......!!! ভুড়ি কমবে নিশ্চিত!!!
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:০৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই!
রাতে তো ঘুম হল না। সকালে খেয়ে দেয়ে ঘুম দিব....
১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কেন মন খারাপ?
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এক অর্থে মনটা খারাপ, আগষ্টের ঘটনায়, দেশের জন্য।
এক সময় রাজনীতি করার ইচ্ছে ছিল, বাসা থেকে করতে দেয়নি। ইদানিং রাজনৈতিক পোস্ট দিলে একটু চিন্তিত থাকি। এই যা....
১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ।
শেখ সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমত আমি রাতজাগতে পারিনা, কখন যে সুন্দর পোষ্টটি দিলেন টের পাইনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উপর প্রচুর কবিতা দেখলাম।। পাশাপাশি বিস্তারিত পেলাম আপনার পোষ্ট থেকে। সত্যিই একটা ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছিলেন সেদিন তিনি ও ওনার পরিবার। মানবজাতির ইতিহাসে বোধহয় সর্বাধিক কলঙ্কময় দিন । এমন মানবপ্রেমী আমাদের হৃদয়ে আজও অমর হয়ে আছেন।
মৃত্যুদিনে ওনাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা । এমন দিনই বোধহয় আদর্শ, হিংসা হানাহনির অবসান হোক, মানবতার জয় হোক।
শুভকামনা জানবেন।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আরে দাদা, যখন ভালোলাগে ব্লগে আসবেন। সবাই রাতে ব্লগে থাকলে ভোরের পাখি হবে কে??
বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমরা অকৃতজ্ঞের মত তাকে স্ব পরিবারে হত্যা করেছি। এ লজ্জা কোথায় রাখি......?
সুস্থ গণতন্ত্র মুক্তি পাক, জয় হোক মানবতার।
১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে আপনার পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
আপনি কি হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল বই টা পড়েছেন?
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পড়েছি। ওটা রাজনৈতিক উপন্যাস, তার অনেক ঘটনা লেখকের কল্পিত।
যতদুর মনে পড়েঃ
উপন্যাসে খালেদ মোশাররফ আছে। তিনি নায়ককে জেল থেকে মুক্ত করেন। নায়ক এক সময় খুব ধনী হয়ে যায়, গল্পের নায়কা খুব সুন্দর ছিল।....
২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
অন্তরন্তর বলেছেন: এই দিনটিতে অন্তরে রক্তক্ষরণ হয় এবং হবে আমৃত্যু।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
আমি তো এখনও ভেবে পাই না। ওসুরগুলো বঙ্গবন্ধুর বুকে গুলি করলো কীভাবে? যে লেকটা দেশের জন্য সারা জীবন কষ্ট করলো, তাকে হত্যা করতে খুনীদের অন্তরটা কী একবারও কাঁপলো না??
২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
শুধু কর্মীদের বিচার হয়েছে, রাজনীতির অংশ বাদ পড়ে গেছে। সম্পূর্ণ বিচার হতে হলে জাসদ নাম থাকার কথা নয়, ইনু গংদের মুখ জাতির দেখার কথা নয়।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আগষ্টের ঘটনায় জাসদ? কীভাবে??
(ইনু ট্যাঙ্কের উপর লাফিয়েছিল ৭নভেম্বর। ১৫ই আগষ্টের পর কারফিউ ছিল, তখন কেউ মিছিল করে নি। )
বিচার নিয়ে আমার অত মাথা ব্যাথা নেই। সুস্থ রাজনীতি যে এখনও ফিরে আসলো না, বড় সমস্যাটা এখানে।
২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
বিজন রয় বলেছেন: এই ব্লগেই অনেক বঙ্গবন্ধু বিরোধী চোখে পড়ে। পথ এখনো অনেক দূর!
++++
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: দু-একজন অমন থাকবেই। দল, জাপা, জাশি ওদের ভয় পাবার কি আছে??? বরং আমি তো হতাশ হই লীগের কর্মকান্ড দেখে, ওরা বঙ্গবন্ধু নামে মিছিল করে কিন্তু তার আদর্শকে মানে না/প্রয়োগ করে না।
২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে তাঁকে সবচেয়ে বির্তকীত করার পিছনে ছিল মেজর জলিলের জাসদ, ইনু সম্ভবত ছিল গনবাহিনীর প্রধান (এই মূহুর্তে ক্লিয়ার মনে পড়ছে না)। ঐ সময় যদি গনবাহিনীর এত লাফালাফি না করত তাহলে রক্ষীবাহিনী এত লাগত না, (গনবাহিনী ও রক্ষীবাহিনীর সব দলেই মুক্তিযোদ্ধারা ছিল)। জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোন সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে দেখেছেন? কেউ রাস্তায় আসেনি কাদের সিদ্দিকীসহ কয়েকজন বাদে তবে তাঁরা ছিল ঢাকা থেকে দুরে। জনগন না নামার মুল কারণ জাসদ বঙ্গবন্ধুর নামে বিষেদগার করে ফেলেছিল মাঠে। সুবিধাবাদী খন্দকার গং এই পরিস্থিতি কাছে লাগিয়েছিল।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: জাসদ ওদের পাপের শাস্তিতে মরে ভূত, ওরা কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
ঘটনা আংশিক সত্য। তবে সাধারণ মানুষকে দোষ দেবার কিছু নেই। সামরিক আইন, কারফিউ জারি করায় তারা ভীত ছিল। সবার বুকেই চাপা কষ্টি ছিল, যদিও কোন প্রতিবাদ বা মিছিল হয়নি।(৪নভেম্বর হয়েছিল)
২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
উম্মে সায়মা বলেছেন: যে ইমাম শেখ মুজিবকে গোসল দিয়েছিল কাল তার বয়ান পড়েছিলাম। খুব খারাপ লেগেছে পড়ে
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। তার ওভাবে চলে যাওয়াটা এখনো কি মেনে নেয়া যায়??
তবে এটাতো পরিষ্কার, খুনিদের পাশে আজ কেউ নেই, কিন্তু বঙ্গবন্ধু? তিনি আমর হয়ে আছেন কোটি বাঙালীর হৃদয়ে।
২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পণ্ডিতকে এত সময় দিবার কি আছে!
ওকে থাকতে দিন ওর মতো!!
আপনাকে ধন্যবাদ প্রত্যাশার জন্য
কিন্তু দুঃখ একটাই শত রাত পোহালেও
বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবেনা। বঙ্গবন্ধুরা হাজার বছরে
একজন জন্মায়।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পন্ডিতকে সহ্য করতে পারেন না, কিন্তু তার মন্তব্য তো ঠিকই পড়েন..
বঙ্গবন্ধু হয়তো ফিরে আসবে না কিন্তু তার আদর্শতো আছে। ঐ আদর্শ নেতারা বুকে ধারণ করলে আর কি লাগে??
২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৫
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বঙ্গবন্ধু নেতা হিসেবে আদর্শ ছিলেন , কিন্তু শাসক হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন । ওই সময়ে কেইবা বা পারত দেশ সঠিকভাবে চালাতে যা বঙ্গবন্ধু পারেন নি ?
বাকশাল সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে একটা বিশদ লেখা চাই
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে ব্যর্থ শাষক বলার কোন অবকাশ নেই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আর ৭১পরবর্তি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য।
উত্তর জানা নেই।
সময়করে বাকশাল নিয়ে পোস্ট দেব। তবে এ নিয়ে ব্লগে অনেকগুলো পোস্ট আছে। সেগুলো পড়তে পারেন....
http://www.somewhereinblog.net/blog/omipialblog/29119969
http://www.somewhereinblog.net/blog/sumon98316/29104992
http://www.somewhereinblog.net/blog/otiimanob/30178399
২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি।
উনার কাছ থেকে এর বেশী প্রত্যাশা করা উচিত হয়নি।
এই টুকুর জন্যই উনার যা প্রাপ্য এই জাতি আরো হাজার বছরেও সেই ঋণ শোধ করতে পারবে না।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত।
তবে স্বাধীনতার পরবর্তি দেশ গঠন গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ জন্য দক্ষ শাষকে দরকার, কিন্তু দক্ষ শাষক আমরা খুব কমই পেয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা, এখনও দেশে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী করা যায় নি, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।
২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২১
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সত্যিকারভাবে ধারন করে এরকম কেউ কি পলিটিশিয়ান আছে ?
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ইমন, পোস্টের শেষে আমি আমার কথা লিখে দিয়েছি।
তবে, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর বাস্তবতা থেকে বুঝে নিতে হয়!
২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩২
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: তার মত কেউ হতে পারবেনা ,কিন্তু ছিটে ফোটা ধারন করলেও দেশের জন্য কাজ করত
১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত।
আমি চাই সৎ নেতা আসুক, দেশে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী হোক।
লগআউট করলুম.
শুভরাত্রি।
৩০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এই হত্যাকাণ্ড এক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং একই সাথে দেশের বহু লোক জানতেন এমন হবে কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেন নাই। এইটাই বাস্তবতা, সত্য এবং নির্মম
১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হতাশা তো এখানেই। সেনাবাহিনীর একটা অফিসারও এই অন্যায় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করলো না!!!
৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০১
রাকু হাসান বলেছেন:
সত্যি নিজের কাছেই খারাপ লাগছে । এত ভাল লেখা টা আমি মিস করলাম,আগে কেন পড়লাম । ১৪ আগস্ট পোস্ট দিয়েছেন । সে দিন খুব ব্যস্ত ছিলাম ,আসা হয়নি তেমন ,যাক সে কথা।
আপনার পোস্টে বেশ কিছু তথ্য পেলাম যা একদম ই জানতাম না । খুব তথ্যবহুল । শিরোনাম খুব সুন্দর হয়েছে । গানটি ভিষণ ভাললাগার ।
@সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হওয়ার ছিলো?
.. রক্ষীবাহিনী প্রতিরোধ করতে পারতো।
শাফায়েত গিয়ে শেখ সাহেবকে বাঁচাতে পরতো।
বিমান বাহিনি তাৎক্ষনিক অ্যাটাক করতে পারতো।
জুনিয়র অফিসারদের কোর্টমার্শাল করা যেত।
.......সুন্দর বলেছেন।
। শুভরাত্রি ভাই!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: খারাপ লাগার কিছু নেই।
প্রতিমন্তব্যে দেরী হওয়ায় দুঃখিত।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আলীগের পাতি নেতারা বঙ্গবন্ধুর সাথে জনতার দূরত্ব সৃষ্টি করেছিল।
যেটা এখনো করা হয়।
আজকের দিনে উনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।