![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোনের সুখের জন্য মানসিক প্রতিবন্ধী ভাগ্নেকে (২০) হত্যা করেছে মামা। সুদূর নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে এনে হোটেল কক্ষে খুন করা হয় তাকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভাগ্নে মো. সুমন (২০) জন্মের পর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। সে সমাজের বিভিন্ন মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করত, কিন্তু পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করত। যা তার মা হালিমা সহ্য করতে পারত না। বোনের অশান্তি দেখে ভাগ্নেকে হত্যার পরিকল্পনা করে সুমনের মামা শাহেন শাহ।
সেই অনুযায়ী ভাগ্নে মো.সুমনকে (২০) নদী কিংবা সাগরে ফেলে দিয়ে হত্যা করার জন্য গত ৪ জুন চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন শাহেনশাহ। কিন্তু ভাগ্নে পানির কাছে যেতে নারাজ। অগত্যা নগরীর কদমতলী এলাকায় ডায়মন্ড হোটেলে একটি রুম ভাড়া নিয়ে পিতা-পুত্র পরিচয়ে উঠেন দু’জন।
৫ জুন মধ্যরাতে ভাগ্নেকে ১৬টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মুখে স্যান্ডো গেঞ্জি ঢুকিয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় শাহেনশাহ। ৬ জুন নগরীর সদরঘাট থানা পুলিশ সুমনের লাশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেয়।
শাহেন শাহ পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যবহারিত সীমটি সীতাকুন্ডে ফেলে দেয়। সে সীমটি কুড়িয়ে পায় বারবকুন্ডের হাসান নামে এক ব্যক্তি। তিনি কয়েকদিন সিমটি ব্যবহার করেন। পুলিশ হোটেল কক্ষে পাওয়া নম্বরের সূত্র ধরে ওই যুবককে প্রথমে ধরে আনলেও পরে তার সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেন। এরপর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শাহেনশাহ’র খোঁজ পাওয়া যায়।
পরে হাসানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি পুলিশ সীমের কল লিস্ট বের করে ২৯ জুন নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনগঞ্জের লক্ষ্ম্যারচর এলাকার একটি বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে তাকে আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
সদরঘাট থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, ‘বোনের প্রতি ভালবাসা থেকে শাহেনশাহ এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি আসলে খুবই মর্মান্তিক। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা।’
নির্মম খুনের শিকার সুমন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মোহাম্মদনগর এলাকার প্রয়াত মো.শাহআলমের ছেলে। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সুমন জন্ম থেকেই মানসিকভাবে অপ্রকৃতিস্থ।
শাহেনশাহ থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে ওসিকে জানান, সুমন সবসময় বাসায় চীৎকার, চেঁচামেচি করত। সবসময় তার মাকে এবং ভাইবোনদের মারধর করত। সন্তানের যন্ত্রণায় অতীষ্ঠ সুমনের মা তার কাছে এসে সবসময় কান্নাকাটি করতেন। ছোট বোনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি এ ঘটনা ঘটালেও বর্তমানে ভাগ্নের মৃত্যুর জন্য তিনি অনুতপ্ত।
এ ঘটনায় সদরঘাট থানা পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শাহেনশাহকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, ‘আসামী আমাদের কাছে খুনের এক ধরনের বর্ণণা দিয়েছেন। এর পেছনে আরও কোন রহস্য আছে কিনা সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। এক্ষেত্রে আসামীকে প্রয়োজন হলে রিমান্ড চাইব।’
[ এটা কিভাবে সম্ভব ??!!! এখন তো দেখতেছি ভাগ্নের চেয়ে মামাই বেশি মানসিক ভারসাম্যহীন!! খুন ছাড়া কি সমস্যার আর কোন সমাধান নাই ??
]
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
আতা2010 বলেছেন: Click This Link
মুক্তিযোদ্ধা মানেই ধোয়া তুলসী পাতা নয় ! তাদেরও আছে লোভ আর ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: মানুষ যে পশু হয়ে যাচ্ছে তার এইরকম প্রমান অনেক আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
আহলান বলেছেন: মানুষ কি আসলেই ভুদাই!!!