![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামাযে খুশু-খুযু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরআন-হাদীসে এ সম্পর্কে অনেক তাকীদ করা হয়েছে। খুশু-খুযুর দুটি অংশ রয়েছে :
এক. নামাযে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থির রাখা। দুই. মনোযোগ ও একাগ্রতা রক্ষা করা। এ দুটি বৈশিষ্ট্যের সাথে যে নামায আদায় করা হয় তাকে খুশু-খুযুযুক্ত নামায বলে। এ দুটি বৈশিষ্ট্য কীভাবে অর্জন করা যায় সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।
এক. বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থির রাখা। যেমন হাত, পা এবং শরীরকে নামাযের বাইরের কোনো কাজে ব্যবহার না করা। অনর্থক নড়াচড়া থেকে বিরত থাকা।
বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) উপর সিজদা করে এবং নামাযে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ ২/১৪, হাদীস : ৮৮৬
নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. বলেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৭৩২২
প্রখ্যাত তাবেয়ী আ’মাশ রাহ. থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তাকে দেখে মনে হত যেন একটি পড়ে থাকা কাপড়। -মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৩৩০৩
তদ্রূপ এদিক সেদিক না তাকানো; নামায অবস্থায় যখন যেখানে দৃষ্টি রাখা নিয়ম সেখানে দৃষ্টি রাখাও বাহ্যিক খুশু-খুযুর অন্তর্ভুক্ত।
আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছি যে, নামাযে এদিক সেদিক তাকানোর ব্যাপারে আপনি কী বলেন? জবাবে তিনি বলেছেন, এটা হল শয়তানের ছোঁ মারা, যা দ্বারা শয়তান আল্লাহর বান্দাদেরকে নামায থেকে গাফেল ও উদাসীন করে ফেলে। -সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭৫১
বিশিষ্ট সাহাবী আবু যর রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাযের সময় আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি সর্বক্ষণ (রহমতের) দৃষ্টি রাখেন যতক্ষণ নামাযী অন্য কোনো দিকে দৃষ্টি না দেয়। যখন সে অন্য দিকে চেহারা ফেরায় তখন আল্লাহ তাআলা তার থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২১৫০৮
দুই. নামাযে মনোযোগ ও একাগ্রতা রক্ষা করা।
ক) এমন মনোভাব নিয়ে নামায আদায় করা যে, এটিই তার জীবনের শেষ নামায।
বিশিষ্ট সাহাবী আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আল্লাহর রাসূল! আমাকে সংক্ষিপ্তভাবে দ্বীনের কিছু কথা বলে দিন। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যখন নামায পড় তখন জীবনের শেষ নামায আদায়কারীর মতো নামায পড়। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৪৭১
খ) পুরো নামায এ অনুভূতি নিয়ে আদায় করা যে, আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখছেন, আমি তার সামনে দন্ডায়মান।
প্রসিদ্ধ হাদীসে-জিবরীলে এসেছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি এমনভাবে ইবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ। আর তুমি যদি আল্লাহকে না-ও দেখ তবে আল্লাহ তো তোমাকে অবশ্যই দেখছেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮
গ) সাথে সাথে এ খেয়াল করবে যে, আমি আল্লাহ তাআলার সম্মুখে দাঁড়িয়েছি এবং তাঁর সাথে কথা বলছি। কেননা নামায হল আল্লাহ তাআলার সাথে একান্তে কথোপকথন করা।
সহীহ বুখারীতে এসেছে, সাহাবী আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন সে আল্লাহর সাথে একান্তে কথা বলে; যতক্ষণ সে তার নামাযের জায়গায় থাকে। -সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪১৬
উপরে বর্ণিত পন্থাগুলো অবলম্বনের পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার কাছে একাগ্রতা অর্জনের জন্য নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় দুআও করতে হবে।
মনোযোগ রাখার আরেকটি সহজ পন্থা হল, নামাযের কিরাত ও আযকারের দিকে মনোযোগ রাখা। অর্থ বুঝলে অর্থের দিকেও ধ্যান রাখা। কখনো অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্যদিকে খেয়াল চলে গেলে ক্ষতি নেই। তবে স্মরণ হওয়ামাত্র পুনরায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে হবে। স্মরণ হওয়ার পরও অন্য কিছু খেয়াল করতে থাকা বা ইচ্ছাকৃত অন্য কিছুর খেয়াল আনা নিষিদ্ধ। তাই এ থেকে বিরত থাকতে হবে। এভাবে নামায পড়লে ইনশাআল্লাহ তা খুশু-খুযু বিশিষ্ট নামায বলে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য যে, সাহাবা-তাবেয়ীন ও বুযুর্গানে দ্বীনের নামাযের বিবরণ পাঠ করাও খুশু-খুযু হাসিলের ক্ষেত্রে সহায়ক। তবে তাদের যেসব ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের খুশু-খুযুর বিবরণ পাওয়া যায় সেসব ঘটনা পাঠ করে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কারণ খুশু-খুযুর বিভিন্ন পর্যায় আছে এবং চেষ্টা অব্যাহত রাখলে আল্লাহ তাআলার ফযল ও করমে ধীরে ধীরে উচ্চ পর্যায়ের খুশু-খুযুও হাসিল হতে পারে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ঐ পর্যায়ের খুশু-খুযু অর্জনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
-আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/২৫২; তাফসীরে কুরতুবী ১/২৫৪
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
নূর আদনান বলেছেন: যথার্থই বলেছেন।পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
ডাঃ নাসির বলেছেন: আন্তরিক মোবারকবাদ। ঈদ মোবারক
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৮
নূর আদনান বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক মোবারকবাদ ও ঈদ মোবারক। ভাল থাকবেন।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
না পারভীন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট , ধন্যবাদ ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২
নূর আদনান বলেছেন: পোষ্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করার ধৈর্য প্রদান করুন। আমিন।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
নূর আদনান বলেছেন: আমিন।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬
ময়নামতি বলেছেন: অত্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়লাম।
অনেক ভাল একটি পোস্ট দেয়াতে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পোস্টে প্লাস।++++++++++++
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
নূর আদনান বলেছেন: প্লাসের জন্য ও পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক ও সুযোগ দান করুন, আমিন।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
বেকার যুবক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। নামাজ পাঁচ ওয়াক্তই পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় নামাজের মধ্যেই যেন পৃথিবীর সব চিন্তা মাথায় এসে জড়ো হয়। এর মধ্যে অনেকগুলো চিন্তা আবার খুব কার্যকর প্রমাণিত হয়। জানিনা কোনটা শয়তানের ধোকা, আর কোনটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো চিন্তা। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
নূর আদনান বলেছেন: আমিও চেষ্টা করি তবে মাঝে মাঝে হয়ে ওঠেনা। চিন্তার কথা আর বলেননা, মনের সাথে আর পারিনা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আশা করি সহি ও মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন।আর আমার জন্য দোয়া করবেন, আমিও দোয়া করি আল্লাহ্ যেন আপনাকে বেশিদিন বেকার না রাখেন
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক ও সুযোগ দান করুন, আমিন।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দরকারী পোস্ট । ধনবাদ
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
নূর আদনান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক ও সুযোগ দান করুন, আমিন।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার ১টা বিষয় নিয়ে খুব ভাল ১টা পোস্ট দিসেন নূর।অনেক ধন্যবাদ ||
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২
নূর আদনান বলেছেন: ভাল বিষয়ের পোষ্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করার ধৈর্য প্রদান করুন। আমিন।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯
নূর আদনান বলেছেন: আমিন।
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
মুদ্দাকির বলেছেন: সুন্দর++
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
নূর আদনান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪০
তারেক বলেছেন: খুবই কাজের জিনিস মুসলমানদের জন্য। কিন্তু এই পোষ্ট খুব কমই লোকজন পড়বে ,কারন এতে কোন মধু নাই(নারী,অশ্লীল বর্ণনা ইত্যাদি)