নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই দুনিয়ায় কেউ কারো নয়

নূর আদনান

চেষ্টা করছি শুদ্ধ হতে, নির্ভেজাল ও শুভ্র হতে। প্রভূ পবিত্র কর মোরে

নূর আদনান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুম’আর দিনের কিছু প্রয়োজনীয় আমল

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর এই দিনটি প্রথমে ইয়াহূদ-নাছারাদের উপরে ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে মতভেদ করে। তখন আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এই দিনের প্রতি (অহীর মাধ্যমে) হেদায়াত দান করেন। এক্ষণে সকল মানুষ আমাদের পশ্চাদানুসারী। ইহুদীরা পরের দিন (শনিবার) এবং নাছারারা তার পরের দিন (রবিবার)...।



যেহেতু আল্লাহ শনিবারে কিছু সৃষ্টি করেননি এবং আরশে স্বীয় আসনে সমাসীন হন, সেহেতু ইহুদীরা এদিনকে তাদের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে বেছে নেয়। যেহেতু আল্লাহ রবিবারে সৃষ্টির সূচনা করেন, সেহেতু নাছারাগণ এ দিনটিকে পসন্দ করে। এভাবে তারা আল্লাহর নির্দেশের উপর নিজেদের যুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়। পক্ষান্তরে জুম‘আর দিনে সকল সৃষ্টিকর্ম সম্পন্ন হয় এবং সর্বশেষ সৃষ্টি হিসাবে আদমকে পয়দা করা হয়। তাই এ দিনটি হ’ল সকল দিনের সেরা। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে নির্ধারিত হওয়ায় বিগত সকল উম্মতের উপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।



--------------------------------------------------------------------------





জুম’আর দিনের কিছু প্রয়োজনীয় আমল



১. জুম’আর দিন গোসল করা। যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াজিব করেছেন। [বুখারীঃ ৮৭৭]



২. জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। [বুখারীঃ ৮৮০]



৩. মিস্ওয়াক করা। [বুখারীঃ ৮৮৭]



৪. গায়ে তেল ব্যবহার করা। [বুখারীঃ ৮৮৩]



৫. উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। [ইবনে মাজাহঃ ১০৯৭]



৬. মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। [তিরমিযীঃ ৫০৯]



৭. মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। [বুখারীঃ ৯৩৪]



৮. আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। [বুখারীঃ ৮৮১]



৯. সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন। [আবু দাউদঃ ৩৪৫]



১০. জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। [আবু দাউদঃ ১০৪৭]



১১. নিজের সব কিছু চেয়ে এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। [বুখারীঃ ৯৩৫]



১২. খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা। [বুখারীঃ ৯৩০]



১৩. কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা। [বুখারীঃ ৯৩৪]



১৪. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। [বুখারীঃ ৮৫৩]



১৫. ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। [ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪]



১৬; খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। কোনো ব্যাক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হয়, কিন্তু, ইচ্ছা করে জুমুয়ার নামাজে ইমাম থেকে দূরে বসে, তবে সে বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [আবু দাউদঃ ১১০৮]



১৭. সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা [আবু দাউদঃ৮৬২] অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।



১৮. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। [আবু দাউদঃ ১৩৩২]



১৯. খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার মার্জিত ভাবে সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। [বুখারীঃ ১০২৯]



--------------------------------------------------------------------------



আমার মনে হয় এটি জুম'আর দিনের প্রধান আকর্ষন, এর চেয়ে কল্যানকর আর কি হতে পারে যদি আপনার প্রার্থনা কবুল হয়?



আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) একদা জুম’আর দিন

সম্বন্ধে আলোচনা ক’রে বললেন,

“ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে দান

ক’রে থাকেন।”

এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।

(সহীহ বুখারী – ৯৩৫,৫২৯৫,৬৪০০; সহীহ মুসলিম –

৮৫২)



আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু সালামের সাথে সাক্ষাত

করে তাঁকে এ হাদীস প্রসঙ্গে জানালাম। তিনি বলেন আমি সে সময়টি জানি।

আমি বললাম, তাহলে আমাকেও বলে দিন, এ ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না। তিনি বললেন, এ সময়টি আসরের পর

হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।



আমি বললাম, তা কি করে আসরের পর হতে পারে? অথচ রাসূলুল্লাহ(সাঃ)

বলেছেন, বান্দা নামাযরত অবস্থায় এই মুহূর্তটি পেয়ে...। অথচ আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন তো নামায আদায় করা হয় না।

আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম(রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কি বলেননি ‘যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে প্রকারান্তে সে নামাযের মধ্যেই থাকে?

আমি বললাম, হ্যাঁ।

তিনি বললেন সেটাই এ সময়।

(সহীহ আত তিরমীযী – ৪৯১; ইবনু মাযাহ – ১১৩৯;

মুয়াত্তা মালিক,৭ম পরিচ্ছেদ; নাসায়ী –

১৪৩৩)

(collected)



আল্লাহ্ তুমি তো অন্তরযামি, কার কোন চাহিদা বা কি সমস্যা আছে তা তোমার চাইতে আর কে ভাল জানে, আল্লাহ্ তুমি আমাদের সকলের চাহিদা পূর্ণ করে দাও এবং সমস্যা গুলো সমাধান করে দাও।

রোগ-শোক ও বিপদ-আপদ থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

মোসতাকিম রাহী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

বোকামানুষ বলেছেন: আল্লাহ্ তুমি তো অন্তরযামি, কার কোন চাহিদা বা কি সমস্যা আছে তা তোমার চাইতে আর কে ভাল জানে, আল্লাহ্ তুমি আমাদের সকলের চাহিদা পূর্ণ করে দাও এবং সমস্যা গুলো সমাধান করে দাও।
রোগ-শোক ও বিপদ-আপদ থেকে আমাদের রক্ষা করুন।


আমীন

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

নূর আদনান বলেছেন: আমীন

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

আহলান বলেছেন: ১২.... খুতবা শুনা ওয়াজিব, মসজিদে ঢুকে ২ রাকাত নামাজ সুন্নত। সুতরাং .. কোনটা আগে করতে হবে?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

নূর আদনান বলেছেন: অনেক মসজিদ আছে যেখানে খুতবার পর সুন্নত নামাজের জন্য সময় দেয়া হয়, তখন সবাই সুন্নত নামাজ আদায় করে । আমার মনে হয় এটায় ভাল। এতে সুন্নত নামাজ ও খুতবা শোনা কোনটারই সমস্যা থাকল না।

জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

নূর আদনান বলেছেন: এই দু রাকাআত নামাজ এটা কিন্তু জুম'আর সুন্নাত নামাজ নয়।

মসজিদে ঢুকে যদি বসতে হয় বা সালাত আদায়ের জন্য বসে অপেক্ষা করতে হয় তাহলে দু রাকাআত নামাজ পড়ে তারপর বসতে হয়, অর্থাৎ মসজিদে ঢুকে বসার পূর্বে দু রাকাআত নামাজ পড়ে বসতে হয়, তা যে সময়েই আপনি মসজিদে প্রবেশ করেন না কেন। আর যদি বসতে না হয় তাহলে এই নামাজ পড়তে হয় না

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

নূর আদনান বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

আহলান বলেছেন: ভাই আগে ওয়াজীব পরে সুন্নাত ... মসজিদে ঢুকে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়তে চাইলে খুতবা শুরুর আগে মসজিদে ঢুকুন ...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৪

নূর আদনান বলেছেন: এটা অবশ্যই সবচেয়ে ভাল হবে

জাজাকাল্লাহ খায়র

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

হািসব্ের্ জা বলেছেন: আমি বললাম, তা কি করে আসরের পর হতে পারে? অথচ রাসূলুল্লাহ(সাঃ)
বলেছেন, বান্দা নামাযরত অবস্থায় এই মুহূর্তটি পেয়ে...। অথচ আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন তো নামায আদায় করা হয় না।
আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম(রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কি বলেননি ‘যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে প্রকারান্তে সে নামাযের মধ্যেই থাকে?
আমি বললাম, হ্যাঁ।
তিনি বললেন সেটাই এ সময়।


এই ব্যাপারটা আমি বুঝিনাই। একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.