নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের এমন প্রতিক্রিয়ার বিপক্ষে সরকারের চুপ থাকা উচিত নয়!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র কি চলতেই থাকবে? দেশপ্রেমিক দাবিদার সরকার নীরব?
সাম্রাজ্যবাদী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে। গত ৬ নভেম্বর-২০১৬ এক টুইট বার্তায় সে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে বলে। এর আগে গত জুন মাসেও সুষমা স্বরাজ ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এমন দাবি তুলেছিলো। এছাড়া গত ৩ মাসের মধ্যে ভারতের আরএসএস, বিজেপি, শিবসেনা, বজরং দল, দুর্গা বাহিনীসহ বিভিন্ন উগ্র মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এমন উদ্ভট অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উস্কানি দিয়েছে। চলতি ২০১৬ সালের বিগত মে মাসে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল দেশের প্রশাসনকে না জানিয়েই বাংলাদেশে এসে সংখ্যালঘুদের সাথে দেখা করেছিলো। এমনকি গত জুলাই এ আসামের কংগ্রেসের এক বিধায়ক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণারও ডাক দিয়েছিলো।
সুষমা স্বরাজসহ ভারতের বিভিন্ন উগ্রবাদী রাজনৈতিক নেতা ও দলগুলোর এই উদ্বেগ প্রকাশ করা ও বক্তব্য যে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক এতে সন্দেহ নেই। কারণ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদের উপর এ ধরনের কোনো নির্যাতন বাস্তবত নেই। দেশে সাধারণভাবে যে নৈরাজ্য এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, তাতে নির্বিশেষে মানুষ নির্যাতত হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বহুদিন ধরে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ এই কনসেপ্টটা চালু হয়ে আছে। দেশে প্রতিদিন খুন, রাহাজানি, ডাকাতি ইত্যাদি নানা অপরাধমূলক কর্মকা- চলে আসছে। সেটা অনেক সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে আবার বেশিরভাগ সময়ে রাজনৈতিকভাবে। কিন্তু এই অপরাধমূলক ঘটনার ভুক্তভোগী যদি সেখানে সংখ্যালঘু হয়, তাহলে আশ্চর্যজনকভাবে সেই ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ ঘটনাটি হঠাৎ করেই মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে কভারেজ পেতে থাকে। এ পর্যায়ে সেটা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়। বিভিন্ন কথিত মানবাধিকার সংগঠন এই তুচ্ছ ঘটনা তথা তিলকে তাল বানিয়ে ব্যাপক মিছিল-মিটিং-সমাবেশ করে থাকে।
কিন্তু এক্ষেত্রে যা লক্ষ্য করার বিষয় তা হচ্ছে, মুসলমানরা অনেক অধিক সংখ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, এমনকি নিহত হলেও কেউ বলে না যে, মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা সাম্প্রদায়িকভাবে মুসলমানদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। কিন্তু কোনো সংখ্যালঘু অপরাধ করে তার প্রাপ্য শাস্তির শিকার হলেও কিছু লোক সমস্বরে বলতে থাকে, ‘সংখ্যালঘুদের’ উপর নির্যাতন হচ্ছে! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই নির্যাতন ‘সংখ্যালঘু’ বলে হচ্ছে না। যারা অন্যদের জমি দখল করছে, ঘরবাড়ি লুটপাট করছে, মানুষের উপর নির্যাতন করছে- তারা চোর, ডাকাত, অপহরণকারী ক্রিমিনাল- কোনো সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতকারী নয়। তাদের এই আক্রমণের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা বা বিশেষভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের কোনো ব্যাপার নেই।
সূত্রঃদৈনিক আল ইহসান থেকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৯

কালীদাস বলেছেন: দুইবছর আগে প্রথম যখন ফ্লাস হল যে আমরা সাবমেরিন কিনছি, ইন্ডিয়ার কোন এক মন্ত্রী ওদের পার্লামেন্টে প্রশ্ন তুলেছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেন কিনছে, সাবমেরিন আমাদের কি দরকার। আমার প্রচন্ড ইগোতে লেগেছিল সেদিন। আমরা সাবমেরিনে চড়ে খোলা সাগরে বাতাস খেতে যাব, ঐ শালার সমস্যা কি? ওর বাপের টাকায় কিনছি যে ওর পারমিশন নিয়ে কিনতে হবে?

এই সাহসগুলো ওরা পায় আমাদের কিছু কিছু পলিটিশিয়ানের অতি ভক্তি আর লিডিং মিডিয়ার অতিরিক্ত ভারত বন্দনা থেকে। পারষ্পরিক ভাল সম্পর্ক থাকবেই, তাই বলে সেচ্ছায় সারাক্ষণ দাদাভক্তি তো আমাদেরই দোষ।

এনিওয়ে, মুসলিমরা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার শিকার- এটা অত্যন্ত হাস্যকর একটা স্টেটমেন্ট। ঠিক ইসরাইলে যেমন জুইশরা হামাসের ঢিল খেলে দাবি করে যে হামাস রকেট হামলা চালিয়েছে ঠিক সেরকম।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তারা নজর রাখে এটা তাদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপার কিন্তু বেফাঁস, উদ্ভট, আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলার প্রতিবাদ সরকারের করা উচিত। যাইহোক আমি বলিনাই বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা হয়! বলতে চেয়েছি যার উপরই হোক সেগুলো ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য। একজন মুসলমান এর ঘর পুড়লে যদি বলা হয় সাম্প্রদায়িক হামলা তখন হাস্যকর শুনায় তেমন হিন্দুদের ঘর পুড়লেও সাম্প্রদায়িক হামলা বললে হাস্যকর শুনায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.