নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান আর আইভীর লোকদের সংঘর্ষ হয়েছে। একজন হলেন মহান সংসদের সাংসদ আরেকজন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সন্মাণিত মেয়র! তাদের এই সংঘর্ষটি ছিলো হকারদের উচ্ছেদ নিয়ে। একজন আরেকজনের মুখোমুখি হওয়ার জন্য একটা কারন দরকার ছিলো এটা একটা কারন শুধু। তাদের এই সংঘাত কোন রাজনৈতিক সংঘাত না, জনস্বার্থের জন্যও না এটা তাদের আধিপত্য বজায় রাখা আর বিস্তারের সংঘাত ছিলো! শামীম ওসমান তার প্রভাব ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আর আইভী নারায়ণগঞ্জে ঠুঁটোজগন্নাথ হয়ে থাকতে চাচ্ছে না নিজের বলয় বাড়াতে মরিয়া!
এদের দুইজনেই পৈতৃকসূত্রে আওমীলীগের রাজনীতিতে! কেন্দ্রীয় আওমীলীগের কাছে দুজনেরই গুরুত্ব আছে। শামীম ওসমান মূলত খালেদা জিয়ার ফেনী সফর বাধা দিয়ে হিরো হয়েছেন আরেকটা কাজও উনি অবশ্য করেছেন গোলাম আজমকে নারায়নগঞ্জে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিলেন। তবে এসব হিসেব করে যদি আওমীলীগ তার গুরুত্বের মাপকাঠি হিসেব করে তাহলে, এমন কথা, বাধা আওমীলীগে আরো অনেকেই দিয়েছেন! ছাত্রলীগের সিদ্দিকী নাজমুল হাসানের এক হুমকীতেই খালেদা জিয়ার জয়দেবপুরের সভা বাতিল হয়ে যায়, বিএনপির লোকদের নেড়ীকুত্তার মত পিটাবে এমন কথাও তার মুখ থেকে নিঃসৃত হয়েছে!
ওয়ান এলেভেনের সময় মতি প্রিন্সিপালের কথা মনে আছে? উনি বলেছিলেন যারা সংস্কার প্রস্তাব দিবে, নেত্রীকে মাইনাস করার কথা বলবে তিনি দা নিয়ে দাড়িয়ে আছেন, জয়দেবপুর আসলেই কোপাবেন! শেখ হাসিনার কাছে এগুলি বীরত্বপূর্ণের মাপকাঠি হলে শামীম ওসমানের চেয়ে তিনি হাজারগুন বীরত্বপূর্ণ কথা বলেছেন!
আইভীর প্রতি যে অভিযোগ, তিনি বিএনপি, জামাতের লোক নিয়ে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নেমেছেন! আসলে শামীম ওসমানের মত প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিরুদ্ধে এছাড়া এর বিকল্প কিছু হাতে নেই আইভীর! অবশ্য তিনি বলেছেন শামীম ওসমানের বাপ এলেও তিনি তাকে দেখে ছাড়বেন! এটা মন্দ বলেননি তার বাবা চুনকাও শেখ মজিবের কথার অবাধ্য হয়েছেন, দল ত্যাগও করেছেন, বিদ্রোহী পার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন!
যাইহোক শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের জন্য কখনোই আশীর্বাদ ছিলেন না। এই এলাকা এমনিতেই আওমীলীগ অধ্যুষিত এলাকা উনার সাফল্য বলতে উনি শেখ হাসিনার সমাবেশে গার্মেন্টস গুলি বন্ধ করে জনসভায় লোকজন সরবরাহ করেছেন, শেখ হাসিনার ডাকা হরতালের সময় নারায়ণগঞ্জের কল-কারখানায় তালা মারতে পেরেছিলেন!
আইভী একজন দাম্ভিক মহিলা, আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতা দেখানোর জন্য মরিয়া এগুলি তার কথাবার্তায় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে!
কেন্দ্রীয় আওমীলীগ এদের দুইজনের ব্যাপারে দুভাগে বিভক্ত! মনে হচ্ছে এদের এই সমস্যা কেন্দ্রীয় আওমীলীগের কাছে নেই তাই সংঘাত সংঘর্ষে কিছু সাধারন মানুষ ও তাদের পালিত ক্যাডারবাহীনীর বিয়োগান্তক পরিণতির মধ্য দিয়ে প্রশমিত হবে! তাই ঐখানকার সাধারন মানুষের প্রতি পরামর্শ এদের দুইজনের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিছুদিন আগে কাজে নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলাম, চা দোকানে এসব নিয়ে মুখরোচক আলোচনা হয়, তেমন উৎকণ্ঠা দেখা যায়না! তবে কলকারখানার মালিকদের বেশ উৎকন্ঠিত দেখা গেছে! তারপরেও এদের সংঘাতে পথাচারীর প্রাণ হলেও যেতে পারে কিংবা কেউ বলির পাঠাও হতে পারে।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ভাই বনাম বোন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এরা নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করে রাখছে!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারায়গন্জের লোকজন এমনিতেই কিছুটা মাফিয়া ধরণের; মাঝে মাঝে কিছু না ঘটলে ওরা আনন্দ পায় না