নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা ওবায়দুল কাদের যদি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে সংসদ ভবন যায়, উনাদের লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। আর আপনি আমি যদি যাই তাহলে আমাদের লাগবে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা।
আপনি হয়তো বলবেন আপনি নিজেকে উনাদের সাথে তুলনা দিচ্ছেন কেনো? কোথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেক্রেটারি কিসের সাথে কি!
যাইহোক আমি উনাদের সাথে তুলনা দিচ্ছি না, যেটা বলতে চাচ্ছি উনারা যখন রাস্তায় বাহির হোন তখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে রাস্তা ফাঁকা করে যাবেন এটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে রাস্তায় বাহির হবার ১ ঘন্টা আগে থেকেই রাস্তা ফাঁকা করা শুরু করে! যারা সদরঘাট থেকে মিরপুর বিকেলে আসা যাওয়া করে তারা প্রতিদিনই এই ভিআইপি রোড পাসিং এর যন্ত্রনায় পড়ে। গতকাল ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে বিকেল সাড়ে তিনটায় বাসে উঠে রাত আটটায় মিরপুর-১১ এ পৌঁছেছি! এক ঘন্টা আগে রোড ক্লিয়ার করতে গিয়ে আরো দুই, তিন ঘন্টার জ্যাম লাগিয়ে ফেলে! এমনিতে ঢাকার রাস্তার দৈর্ঘ্যর হিসেবে যানবাহন বেশি। তাই এসব ভিআইপি রোড পাসিং এর সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো যায় সেটা ভেবে বের করা উচিত।
এছাড়াও আরো অনেকগুলি কারন আছে যেমন আপনি যদি নেভী হেডকোয়াটার থেকে বনানী ফ্লাইওভারের রাস্তায় ১০ দিন দাঁড়ান তাহলে কমপক্ষে ৫-৬দিন দেখবেন আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের বাস উল্টো পথে আসছে! আবার প্রায়ই দেখি পুলিশের প্রিজন ভ্যান গুলিও উল্টাপথ দিয়ে যাওয়া আসা করে, মনে হয় তারা জরুরী আসামী পরিবহণে নিয়োজিত! আমাদের সরকারী কর্মকর্তারা তো প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়ে যান উল্টা পথে আসা যাওয়ার কারনে!
কয়েকদিন আগে রুপসী বাংলা হোটেল থেকে একটা মাইক্রোবাস বাহির হচ্ছে, সামনের সিটে বসা একজন লাল আলোর দণ্ড নাড়িয়ে রাস্তা খালি করছে উপরে সাইরেন বাজতেছে। আমি কাছে গিয়ে দেখি একটা টিভি চ্যানেলের গাড়ি! ভিতরে ড্রাইভার আর সেই লোক ছাড়া কেউ নেই!
আবার অনেকে প্রাইভেট গাড়িতে ভিজুয়াল লাইট ব্যবহার করছে, কালো গ্লাসের গাড়িও দেখা যায় অহরহ! কালো গ্লাস নিয়ে কি একটা আইন হয়ছিলো মনে হয়, ঠিক শিওর না! তবে সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রেস, ছাত্রলীগ এমন স্টিকার নিষিদ্ধ করেছে এটা মনে আছে তবে রাস্তায় বাহির হলে দ্বিধায় পড়ে যাই!
সে যাইহোক রাস্তার সংকীর্ণতার কথা বাদ দিয়ে আইন বহির্ভূত সৃষ্ট কারণ গুলি বন্ধ করা গেলেও প্রতিদিন অনেক মূল্যবান শ্রমঘন্টা সাধারন পাব্লিকের বেঁছে যাবে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে উনাদের বোধোদয় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ! মির্জা ফখরুলের জন্য এখন রাস্তা ফাঁকা করা হয়না, উনি মন্ত্রী হলে এসব মনে পড়বে না!
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫২
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলেছেন: কাদেররা বাংলাদেশী, আপনি তো বাংলাদেশী না, তাই সময় বেশী লাগে আরকে
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: খারাপ বলেননি, আগারগাঁও গিয়ে ক্লিয়ার হতে চেয়েছিলাম। জ্যামের কারনে যেতে ইচ্ছে করছে না
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০২
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আমাদের যে রাস্তা আছে যদি সঠিক নিয়মে গাড়িগুলো চলত তাহলে মোটামুটিভাবে চলা যেত। ভিআইপি আমাদের দেশের সব একটা সমস্যা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমনিতেই রাস্তা সংকীর্ণ তার উপর ট্রাফিক নিয়মকানুন গুলি মানা হলে কিছুটা লাঘব হতো সমস্যার। আমদের দেশে ভিআইপির সংজ্ঞাটা একটু আলাদা!
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৫
সুমন কর বলেছেন: সহমত। এ নিয়ে অনেক লেখা হচ্ছে, হবে............তবুও সমাধান হবে না !!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সমাধান করার কিছু চেষ্টা করা হচ্ছে তবে অপরিকল্পিত সেটা! মৌচাক ফ্লাইওভার হওয়াতে যানযোট কমেনি বরং বেড়েছে! ভিআইপি রাজনীতিবিদগন নিজেদের এলাকায় না গিয়ে ঢাকায় পড়ে থাকেন এগুলিও সমস্যা। ঢাকার অনেক সরকারী অফিস ঢাকার বাহিরে নিয়ে গেলে বা বিভাগ ভিত্তিক সেবা দিলে জনপ্রবাহ অনেক কমবে। মোটকথা সমস্যা সমাধান করতে হলে আপনার আগে সমাধান করার স্বদিচ্ছা থাকতে হবে।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩২
ফিনিক্স! বলেছেন: দেশের নীতিনির্ধারক আর আইনের রক্ষক যারা, তারাই যখন আইন ভাঙছেন, তখন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা কে ভাববে!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনারা আইন করেন, আইন ভাঙ্গেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। রিক্সাওয়ালা উল্টাপথে গেলে তার চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়,উনারা গেলে জরুরী সেবায় বিবেচনা হয়!
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
করুণাধারা বলেছেন: আইন ভাংগায় অগ্রণী হন তারাই যাদের অন্য লোকেদের অনুসরণ করার কথা যেমন উচ্চপদের আমলা, পুলিশ, বিচারপতি এবং আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা। কত ভাল হত যদি একটা দিন এরা সবাই দোতালা বাস জ্যামের রাস্তায় চালিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট অনুভব করত!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কট্টর সরকারী পক্ষের সাপোর্টার আমার বন্ধুও সেইদিন আমার সাথে বাসে বসে ভিআপিদের গালি দিচ্ছে!
তাদের কর্মকান্ড সাধারন মানুষের মনে হতাশা সৃষ্টি করছে!
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: তারা দেশের জন্য কাজ করেন, আপনি আমি তো নিজের জন্য কাজ করি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার আপনার কাজের যোগফল দিয়ে উনারা দেশ চালাচ্ছেন। এমন চলতে থাকলে মাইনাস ফল এসে পড়বে।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু বিশাল দক্ষ লোকের দরকার; এটা কঠিন সমস্যা
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা বিশ্বাস করা কঠিন দেশে দক্ষ লোক নেই, তবে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। যদু,মধু, কদু এগুলি নিয়ে ভেবেভেবে তাদের পকেট ভারী করছে!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: সহমত পোষণ না করে পারছিনা।
কিযে একটা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে তাঁর ইয়ত্তা নেই।তবুও আশা রাখি ওনাদের(দেশের কর্তাব্যক্তিদের) একদিন বোধোদয় হবে।