নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাকশাল করেছিলো তখন তিনি বাকশালের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষের সাথে সেভাবে কথা বলেনি। তিনি কেনো বাকশাল করতে চাচ্ছেন, বাকশাল করলে কি উপকার হবে, কিভাবে বাকশাল গঠিত হবে এগুলি নিয়ে কোন সভা-সেমিনার, চোখে পড়ার মতো হয়নি। তখনকার ৮০ভাগ মানুষ পড়ালেখার জানতো না, ঢাকার বাইরে অনেক এলাকায় পত্র-পত্রিকা দুইদিন পরে যেত। তাই সেই সময়ের মানুষ শেখ মুজিব কেনো বাকশাল করতে চায় সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পায়নি।
বাকশাল নিয়ে শেখ মুজিব বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন কিন্তু তখনকার সময় বিবিসি কি সেটাই অনেকেই জানতো না। বাকশাল নিয়ে যদি শেখ মুজিব গ্রামেগঞ্জে যেতেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ডাকতেন, তাদেরকে বুঝাতেন তাহলে এগুলোর পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট এখন দেখা যেত। বেগম জিয়াও মানুষকে বুঝাতে পারতেন না বাকশাল হলো ফেরাউনের তন্ত্র। যাইহোক বাকশাল করলে তাতে পুঁজিবাদীদের কি সমস্যা হবে তারা তখন সেটা বুঝতে পেরেছিল। তারা শেখ মুজিবকে চরমভাবে অপছন্দ করা শুরু করে, ভিতরে ভিতরে মানুষকে ভুল বোঝাতে থাকে। এবং এক পর্যায়ে শেখ মুজিবকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। শেষ পর্যন্ত সবকিছু মিলিয়ে শেখ মুজিব তাদের কাছে পরাজিত হন।
শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তার উচ্চারিত কথাগুলোই বেশ আক্রমণাত্মক। যদিও এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না দুর্নীতি বিরোধী অভিযান লোক দেখানো কিনা! কারণ দুর্নীতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে যেসব ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে, যাদের ধরা হচ্ছে সেগুলো পুরোপুরি সঠিক পথ নয়। কেননা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের ধরলেও পুঁজিবাদী ও সরকারি আমলাদের ব্যাপারে এখনও নিশ্চুপ।
তারপরেও শেখ হাসিনা যদি সত্যিকার অর্থে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মল করতে চায়, তার উচিত হবে দুর্নীতি কিভাবে নির্মূল করতে চায়, নির্মূল করতে গিয়ে কি কি সমস্যা হচ্ছে, নির্মূল হওয়ার পরে কি কি উপকার জাতি পাবে সেগুলি নিয়ে বেশি বেশি সভা-সমাবেশ করে তৃণমূল কর্মী এবং সাধারন জনগনের আরো বেশি সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা। শেখ হাসিনার আশেপাশে যেসব পুঁজিবাদী, আমলা ও রাজনীতিবিদ আছে এদের বেশিরভাগই অসৎ এবং দুর্নীতিবাজ। শেখ হাসিনার এমন অবস্থান তাদের কাছে নিশ্চয়ই স্বস্তিকর নয়। তাই সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল কর্মীদের যদি এই অভিযানের পক্ষে জোরালো সমর্থন থাকে তাহলে তাকে সরিয়ে দেওয়া খুব একটা সহজ হবে না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তার বাবা শেখ মুজিব পরাজিত হলেও তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা এখনো আছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনাকে বেশ সাবধানে পদক্ষেপ নিতে হবে।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা কোন ধরণের "দুর্নীতি দমন" করছেন না, তিনি মাফিয়াকে থামাচ্ছেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাই বলছি উনার পদ্ধতিটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে দুর্নীতিবাজদের বিপক্ষে উনার যে আক্রমণাত্মক কথা সে ক্ষেত্রে উনার সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেষ মুহূর্তে এসে এসব কী কাজে দিবে তা সময়ই বলে দিবে। তবে বেশীরভাগ মানুষ এটাকে আই ওয়াশ ভাবছে। কারণ, গণতন্ত্রহীন ভাবে একটা গণতান্ত্রিক দেশ বেশীদিন চলতে পারে না। সেটা তেনারও মাথায় আছে। এখন এগুলো করলে উনার জনপ্রিয়তা বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি যদি এই ক্যাসিনোর পাশাপাশি বালিশ, পর্দা ওয়ালাদেরও গ্রেফতার করতে পারতেন তাহলে আসলেই সমাজে একটা পরিবর্তন আসত। তারপরও সাধুবাদ জানাতে হবে...
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে শেষ মহুর্তে বলে কোন কথা নেই, শেখ হাসিনা আরো অনেকদিন ক্ষমতায় আছে। তবে ঠিক বলেছেন আমলাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে তবে খুব সতর্কতার সাথে।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
অক্পটে বলেছেন: মূল দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছেনা কেন বলতে পারেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধরা হয়েছে তারা কোন ছোট পদের কেউ না, তারপরেও আরো অনেক পথ হাটতে হবে শেখ হাসিনাকে। তার আশেপাশে দুর্নীতিবাজ ভরা, এদের খুব সাবধানে হ্যান্ডেল করতে হবে।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ক্যাসিনো ওয়ালাদের গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে দূর্নীতি অভিযান সমাপ্ত।
আর কাউকে ধরা হবে না। আরে ধরতে গেলে প্রত্যেককে ধরতে হবে। ক্ষমতায় থাকা সব শালা দূর্নীতিবাজ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এজন্যই বলছি দুর্নীতি নির্মূলে সঠিক পথে সরকার হাঁটছে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:১২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তিনি এখন যা করছেন, এগুলা ৫-৭ বছর আগে শুরু করা দরকার ছিলো।
৫-৭ বছর আগে শুরু করলে আস্তে আস্তে এতদিনে সরকার থেকে দুর্নীতিবাজরা সরে যেতো। এখন হুটকরে, একসাথে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রচুর।