নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
তাসনিম খলিল, সাংবাদিক ইলিয়াস কিংবা পিনাকির কথা শুনলে মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে শুধুমাত্র থাবা দিয়ে ধরে ঘাড় মটকানো বাকি! আওয়ামীলীগের সভানেত্রীকে বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। আসলেই কি আওয়ামীলীগের পালানোর কোনো পথ নেই! মূলত এরা যেসব কথাবার্তা বলে সব কিছুই অনুমান নির্ভর, বাস্তবতার সাথে খুব বেশি মিল নেই। এরা এখন যে কথাগুলি বলছে, এর ভিত্তি হচ্ছে সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা নীতি। এই ভিসা নীতিকে যে যার মত করে ব্যাখ্যা করছে। আমেরিকার এই আরোপ করা বিষয়টি খুবই সহজ একটা বিষয়, যেটাতে একেবারে ক্লিয়ারলি সব কিছু বলা আছে। মোটামুটি ইংরেজি বুঝে এমন মানুষও এই নীতিতে কি আছে বুঝবে।
আসলে একটা সময় আমেরিকা বা পশ্চিমারা বাংলাদেশকে ভারতের চোখ দিয়ে দেখতো। যার জন্য বাংলাদেশ নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে না। ভারত বাংলাদেশকে যেভাবে তাদের কাছে প্রেজেন্ট করত তারা সেটাকে ধরে নিতো বাংলাদেশের অবস্থা। এছাড়াও ভারতের রাজনৈতিক স্টেবিলিটি দেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্টেবিলিটি বিবেচনা করতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে, ভারতের সাথে পশ্চিমাদের সম্পর্ক আগের মত নেই কিংবা বাংলাদেশের গুরুত্বটা কিছুটা বেড়েছে। যার জন্য বাংলাদেশকে বাংলাদেশ হিসেবেই তারা এখন বিবেচনা করছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সব স্টেটমেন্টকে সঠিক মনে করা হচ্ছে না। এজন্য দেখবেন র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং পরবর্তীতে সেটা উঠানোর জন্য ভারতের অনুরোধ আমেরিকা রাখেনি।
৯৭ বিলিয়ন ডলারের জিডিপির একটি দেশ এখন ৪০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপির দেশে উন্নীত হয়েছে সেক্ষেত্রে কিছুটা অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত আছে। এছাড়াও যেসব দেশগুলিতে সঠিক গণতান্ত্রিক চর্চা নেই সেসব দেশগুলিতে চীনের স্পষ্ট প্রভাব বৃদ্ধি পায়। যার জন্য মনে হচ্ছে আমেরিকা তার পররাষ্ট্রনীতিতে এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে।
যাইহোক পিনাকী, ইলিয়াসরা যেভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে তাতে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কিংবা উনার আশেপাশের লোকজন ভয় না পেলেও সাধারণ একজন আওয়ামীলীগ কর্মীর ভয় পাওয়ার কথা। কারণ ক্ষমতা পরিবর্তিত হলে বড় বড় নেতারা কোর্টে, আদালতে দৌড়াদৌড়ি করলেও তৃণমূলের কর্মীদের প্রাণটাই চলে যায়। যার জন্যই ইলিয়াস পিনাকীদের প্রোপগান্ডার কারণে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়। এর আগেও বলেছি শেখ হাসিনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভালো করছেন না, উনি বাকি যে কয়দিন বাঁচে বাঙ্গালীদের সর্ববৃহৎ এই দলটির সভানেত্রী হয়ে কাজ করা উচিত। দলের কর্মীদের কাছাকাছি থেকে নিজেকে ব্যস্ত রাখা উচিত। বর্তমানে উনার থেকে এই দলটিকে বেশি ভালোবাসে এমন কোন নেতৃত্বকে দেখছি না!
০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকার এই ভিসা নীতি ঘোষনায় বিএনপির তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে একেবারে ভাল্যুলেস করে দিয়েছে।
২| ০১ লা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: পিনাকির ভিডিও যারা দেখে তাদের বেশির ভাগই জামাত আর মাদ্রাসায় পড়া পাবলিক । মাথায় সামান্য বুদ্ধি থাকলে তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না । পিনাকি এখন হইছে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর । ইউটিউবের কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য যে কোন কিছু করতে পারে । পিনাকি এর বাইরে আর কিছু নয় ।
০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক তাই।
৩| ০২ রা জুন, ২০২৩ রাত ২:২২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবাই বলছে আমেরিকা বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে আমেরিকা একটি ভিসা নীতি জারি করেছে মাত্র। আর কিছু না।
আমেরিকার ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। বিএনপির প্রধান নেতা তারেক নিজেই প্রমানিত দুর্নিতি ও জঙ্গিবাদের জন্য আমেরিকায় প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত।
সময় নেই নইলে একটা পোষ্ট দিতাম।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তারবার্তায় বলেছিল ,
'তারেকের দুর্নীতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। বার্তায় বলা হয়, তার ব্যতিক্রমী কর্মকান্ডে সরকার এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতার প্রতি জনগণের ভরসা কমে গেছে। আইন লঙ্ঘনে তারেক যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন, তা আইন সংশোধন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা লক্ষ্য অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির সংস্কৃতি গড়ে তোলা ও বজায় রাখার ক্ষেত্রে তারেক যা করেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার জনগণের অর্থ চুরি করায় মুসলিমপ্রধান এই উদারপন্থি দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়েছে এবং একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ ব্যাহত হয়েছে, যা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলে একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তারেকের বেপরোয়া দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কারণে যুক্তরাষ্ট্র মিশনের লক্ষ্যগুলোও ব্যাপকভাবে হুমকিতে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের জন্য তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার রয়েছে। গণতন্ত্রায়ন, উন্নয়ন ও সন্ত্রাসীদের জায়গা না দেওয়া। তারেকের দুর্নীতিতে আমেরিকার তিনটি লক্ষ্য অর্জনই বিঘ্নিত হয়েছে।
এর আগেও ২০০৫ এর মামলায় সিমেন্স কেলেঙ্কারি মার্কিন আদালতে প্রমানিত হওয়ার পর তারেকের বিরুদ্ধে স্থায়ী ভিসা ব্যান, ফ্লাইট ব্যান (আমেরিকাগামি বা আমেরিকার আসেপাসের ফ্লাইটেও চড়তে দিবে না কোন এয়ারলাইন্স) ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সিমেন্স দোষ শ্বীকার করে জরিমানা দিয়ে রেহাই পেয়েছিল। তারেক উপস্থিত না হওয়ায় একতরফা ভাবে রায়ে দোষী সাবস্ত হয়েছিল, তারেকের গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞা এখনো বিদ্যমান থাকার কথা।
মার্কিন সরকারেরও অধিকার নেই মোদির মত ক্ষমতায় আসার পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। যেহেতু আদালতের রায়।
তারেকের ঘুষের টাকা কোকোর একাউন্টে ছিল। সিঙ্গাপুরে। মার্কিন ও সিঙ্গাপুরের আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশে ফেরত আসে ২০১১তে।
০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকা এত কিছু করলো তার মিত্রদেশ যুক্তরাজ্য কিছুই করছে না কেনো! তারেক জিয়া ক্রিমিনাল মাইন্ডের লোক এমন লোককে লন্ডন পুলিশ কিছু করছে না কেনো?
৪| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমেরিকার ভিসা নীতি আসলে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিকে চাপে ফেলেছে - বিএনপি'র বলদগুলো সেটা না বুঝেই কাপড় চোপড় খুলে নাচা শুরু করেছে।
০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এ ভিসানীতির কারণে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি সেটা ভ্যানিশ হয়ে গেছে এক প্রকার।
৫| ০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি মন দিয়ে পড়লাম।
০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর আপনাকে।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪
কাঁউটাল বলেছেন: আমেরিকা বাংলাদেশের সাথে সামরিক চুক্তি করতে চায়/
০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটা অনেক আগ থেকেই করতে চাইছে কিন্তু সেটা আওমীলীগ বিএনপি কোনো সরকারই রাজি হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকার ভিসানীতি তে কি লিখা আছে যে ত্বত্তাবধায়ক সরকার এর অধীনে নির্বাচন হতে হবে??? নাই....তাহলে বিনপির দাবীর কি হবে?