![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
অনেকদিন ধরেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মসজিদভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ধর্মচর্চা নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। জামায়াত ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক মত পোষণ করছে। এমনকি জামায়াতের অনেক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমর্থন জানানো মিত্র দলগুলোও এই বিষয়টিতে নীরব বা সমালোচনামুখর। বলা যায়, মসজিদভিত্তিক রাজনীতির পক্ষে জামায়াত ছাড়া অন্য কোনো দল বা গোষ্ঠী প্রকাশ্যে এমনকি অপ্রকাশ্যও সমর্থন দেয় না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়— আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদ থেকেই তাঁর রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এমনকি বিচার-আচার, যুদ্ধের প্রস্তুতি, ও রাষ্ট্রীয় পরামর্শও মসজিদ থেকেই সম্পন্ন হতো। কথাগুলো সত্য, তবে এখানে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলা প্রয়োজন— নবী করীম (সা.) মসজিদে রাজনীতি করেননি, বরং করেছেন খিলাফত প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা।
“রাজনীতি” শব্দের মূল অর্থই হলো “রাজার নীতি”; অথচ আমাদের নবী (সা.) রাজা ছিলেন না, বরং আল্লাহ্র রাসূল ও উম্মাহর নেতা ছিলেন।
এখানে আরেকটি বিষয় নবী করীম (সা.)কে উদাহরণ হিসেবে টানলে তাদেরকে আগে এটা প্রমাণ কিংবা স্পষ্ট করতে হবে তারা নবী কিংবা আমাদের খলিফাগনের মত করেই রাজনীতি করছে।
নবী মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় মসজিদে নববীতে রাষ্ট্রীয় ও খিলাফতের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, বিশেষ করে মক্কা ও মদিনা বিজয়ের পর থেকে। কারণ, তখন রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আলাদা প্রাসাদ বা দপ্তর ছিল না। ফলে মসজিদই ছিল কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ও সামাজিক কার্যক্রমের স্থান। পরবর্তীতে আব্বাসীয় ও ওসমানীয় খেলাফতের যুগে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমগুলো মসজিদ থেকে সরিয়ে প্রশাসনিক ভবন বা প্রাসাদে স্থানান্তর করা হয়।
এখন প্রশ্ন আসে— গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মসজিদভিত্তিক রাজনীতি কতটা যুক্তিসঙ্গত? গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যদি আপনি মসজিদের ভেতরে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে চান, তাহলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বাধা, সমালোচনা, এমনকি সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেবে। কারণ গণতন্ত্রে প্রতিপক্ষ দল সর্বদা আপনাকে বাড়তি সুবিধা নিতে বাধা দেবে— এটিই গণতন্ত্রের স্বভাবসিদ্ধ বিষয়।
আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) থেকে শুরু করে হযরত আলী (রাঃ) পর্যন্ত খিলাফতের সব কার্যক্রমই মসজিদ থেকে পরিচালিত হয়েছে— তবে তা ছিল খিলাফতি শাসনব্যবস্থা, গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র ও খিলাফতের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান।
জামায়াতের দায়িত্বশীল ও সমর্থকদের অনেক সময় জিজ্ঞেস করা হয়— আপনারা যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করছেন, ইসলাম কি সেটাকে সমর্থন করে? তখন তারা বলেন, “এর চেয়ে ভালো কোনো উপায় আপাতত নেই; রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে আমরা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করব।” কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার আগেই তারা খিলাফতের মতো কার্যক্রম মসজিদে পরিচালনা করতে চাইছেন, যার কারণেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংঘাত ও বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে।
বাস্তবে, আমাদের সমাজে মসজিদগুলো নির্মিত হয় দল-মত নির্বিশেষে, সাধারণ মুসলমানদের অর্থায়নে। এখন যদি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল সেখানে তার আদর্শ প্রচার করতে চায়, তাহলে অন্যান্য দল ও গোষ্ঠী স্বাভাবিকভাবেই আপত্তি তুলবে।
জামায়াতের এখন উচিত হবে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দলীয় অফিসগুলোতেই সীমাবদ্ধ রাখা, অথবা প্রয়োজনে সেগুলোকে নিজেদের আদর্শিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।
শেষে আবারও মূল কথায় ফিরে আসি— যদি দলীয় রাজনীতির প্রচারণা, বক্তৃতা, বা নির্বাচনী সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা মসজিদের ভেতরে হয়, তাহলে মসজিদ দলীয় স্বার্থের হাতিয়ার হয়ে পড়ে। এখান থেকেই শুরু হয় দ্বিচারিতা ও বিভাজনের বীজ বপন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন এবং সত্যের পথে অটল রাখুন।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
১৯৭১ সালের পরাজিত জল্লাদেরা জাতিকে সুদানে পরিণত করতে পারে।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: মসজিদ ভিত্তিক রাজনীতি হলে মসজিদ হবে মারামারির ক্ন্দ্রস্থল।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জান্নাতি দল ক্ষমতায় গিয়ে খিলাফত কায়েম করে মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনীতি চর্চা করবে। বর্তমানে যা হয় তা মহড়া।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: @ কুতুব, কোরানে ভোটের কথা কোন সুরার কোন আয়াতে বলা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাত এবং দাড়িপাললার কথা কুরআনে বলা আছে। যদি বেহেশতে যেতে চান জামাতকে ভোট দেয়া ছাড়া উপায় নাই ।
।