নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষিত হওয়ার অর্থটা কি ? যদি না অন্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে সত্যটা বলার সাহস বুকে না রাখতে পারি ? তাই আমার এই পথ চলা যেন হয় সত্যের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার।

নূর সালাম

নূর সালাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্য নামের পশু আমরা !!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৭


আজ যে বোন রাস্তায় বখাটেদের উত্যক্ত কিংবা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা যতটুকু না বখাটেদের বিরুদ্ধে কথা বলে থাকি তারচেয়ে বুঝি দ্বিগুণহারে লাঞ্ছিত বোনের পোষাক-আশাকের সমালোচনা করে থাকি।
সমাজে এক মহামারি ব্যাধির দেখা দিয়েছে । উত্যক্ত কিংবা ধর্ষণের মতো সংবাদে অধিকাংশকে বলতে শুনি সব কাটা পোষাকের দোষ, ভারতীয় চ্যানেলের দোষ । এইসব চ্যানেল কিংবা পোষাকের বদৌলতেই নাকি মেয়েটি আজ উত্যক্ত কিংবা ধর্ষণের শিকার হয়েছে । সত্যই কি তাই ?
কথায় কথায় আমাদের মধ্যে যারা ধর্মের রাশি টেনে ধরি তাদের কাছে জানতে চাই, হযরত ইউসুফ (আঃ) কে যখন জুলেখা সঙ্গমের প্রস্তাব দিয়েছিল তখন জুলেখার পরিহিত পোষাক কি আজকের এই লাঞ্ছিত বোনের পোষাকের চেয়ে অশোভন ছিল না ? নাকি ইউসুফ (আঃ) এর পুরুষত্বের কোনো প্রশ্ন ছিল ?
চিরন্তন সত্য তো এটাই যে সেখানে ইউসুফ (আঃ) কে আটকিয়েছিল তাঁর উত্তম চরিত্র ও ধর্ম কোনো পোষাক নয় ।
আবার যখন সিন্ধুরাজ জয়দ্রত পঞ্চপান্ডবের স্ত্রী পাঞ্চালীকে লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা করেছিল তখনো পাঞ্চালীর পোষাক নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ ছিল না । কিন্তু তারপরও সে লাঞ্ছিত হয়েছে। পোষাক তাকে বাঁচাতে পারে নি ।
মোদ্দা কথা তো এটাই যে, উন্মাদ-হিংস্র কুকুরের উন্মাদনায় কোনো কারণ লাগে না ।

শুধু যে মেয়েরা রাস্তায় লাঞ্ছিত হচ্ছে তা নয়, আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যৌনোন্মাদ কুকুরে ভরে গিয়েছে। আজ আমাদের বোনেরা কর্মস্থলে তার বসের কাছে নিরাপদ বোধ করে না । নিরাপদ বোধ করতে ভয় পায় তাঁর সহকর্মীর সঙ্গকেও । আজ তাঁরা নিজ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এমনকি নিজ পরিবারের লোককেও বিশ্বাসে ভয় পেতে শুরু করেছে ।
প্রকৃতপক্ষে, পোষাক লাঞ্ছনার কোনো কারণ নয় । কারণ হিসেবে যদি কোনো কিছুকে দায়ী হতেই হয় তবে তা সভ্য মানুষের মুখোশধারী আমরা ও আমাদের নিশ্চুপ প্রবৃত্তি ।

তাই আসুন, লাঞ্ছিত বোনের দিকে আঙ্গুল না তুলে সমাজের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা শরীরের গন্ধশুকো পশুদের বিরুদ্ধে স্বর তুলি এবং নিজ সন্তানদেরকে আদর্শ চরিত্রের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি ।
আমি আশাবাদী, এভাবেই আমরা এক সভ্য ও নিরাপদ সমাজ গড়তে পারি ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

নিকোলাস- রাহাদ বলেছেন: এই শালাদের জন্য নিজের মা বোনকে আর সেইফ রাখা যাবে না।
অনেকে অনেক বড় কথা বলে, কিন্তু যার নিজের মা কিংবা নিজের বোন অথবা নিজের স্ত্রীর সাথে এমন বখাটেরা কোন খারাপ কিছু করেছে, শুধু তারাই বুঝে...

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: যারা এমন কাজ করে তারা অমানুষ।

কিছুক্ষন আগে আমি একটা লেখা পোষ্ট করেছি। আপনার পোষ্টের সাথে কিছুটা সামঞ্জস্য আছে। ইচ্ছা হলে একবার চোখ বুলাতে পারেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এগুলা যৌন-উন্মাদ হয়ে গেছে। স্বাভাবিক চিন্তা করার ক্ষমতা এদের আর নাই। প্রকাশ্যে দ্রুত মৃত্য দিলে কিছুটা কাজ হতে পারে।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কঠিন শাস্তি না দিলে এসব শুধু আলোচনা আর ফেসবুকের খোরাক হিসেবেই থেকে যাবে...

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:
জনসম্মুখে কঠিন শাস্তি দিলে ধীরেধীরে লোপ পেত।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

ক্স বলেছেন: ধর্ষণের জন্য পোশাক দায়ি নয় ঠিক আছে, কিন্তু মমতাজের গান অনেকটা দায়ী। তার গানের ভাষাই অনেকটা এরকম "যৌবন গাছের ফুল মধুতে টগবগ - একবার চাইখ্যা দেখলিনা"

এইসব গান শুনে তরুণ প্রজন্ম ভাবে সব মেয়েরাই বুঝি যৌবনের আগুনে দিশেহারা। তাদের জ্বালা কমানো এইসব তরুণের দায়িত্ব। এর পরে যদি তারা খোলামেলা পোশাক পড়া কোন মেয়েকে দেখে - তখন মনে করে তারা যা ভাবছে, তাই বুঝি ঠিক। কোন তরুণীকে কু প্রস্তাব দেবার পর যখন প্রত্যাখ্যাত হয়, তখন ভাবে - এটা তার মনের কথা না। উপরে ভাব দেখায়, ভেতরে ঠিকই চায়। যখন জবরদস্তি করতে গিয়ে বাধা পায়, তখন সে শয়তানের শিকলে এমনভাবে বন্দি হয়, যে মুক্তি পাবার কোন উপায় থাকেনা।

শুরুটা করে দিয়েছে কিন্তু মমতাজ/ডলি সায়ন্তনী/ আঁখি আলমগীরের সিডাক্টিভ গান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.