নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস আজঃ বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো এই হোক আমাদের অঙ্গীকার

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০



১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস আজ। বিশ্ব মানবতার জন্য মারাত্মক হুমকি এইডস। ১৯৮৮ সালে এই ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই দিবস চালু করা হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি এবং সে বছরই ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এইডস বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এর স্বাস্থ্যগত দিকের পাশাপাশি মানবিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। সেই থেকে এই দিবস পালনের সূচনা। দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এইডস-এর প্রতীক হিসেবে নির্ধারণ করা হয় লালফিতা বা রিবন। লালফিতার মাধ্যমে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতাসহ প্রতিরোধের অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়।



বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি কেস শনাক্ত হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশে ৩৩৮ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার এখনও কম হলেও আশঙ্কামুক্ত নয়। দেশে কয়েক হাজার মানুষ নিজের অজান্তে এইচআইভি জীবাণু বহন করছে এবং অন্যদের শরীরে ছড়াচ্ছে। ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশে নতুন করে ৩৭০টি এইচআইভি কেস শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ২৯৯ জন এইডস রোগী সনাক্ত হয়েছে। ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ২৪১টি। ওই সময়ের মধ্যে এইচআইভি থেকে এইডসে রূপান্তর হয় ৯৫ জন এবং ৮২ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে ইউএন এইডসের হিসাব মতে বাংলাদেশে আট হাজার থেকে ১৬ হাজার এইচআইভি আক্রান্ত রোগী আছে।



জাতিসংঘের এইচআইভি ও এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডসের সর্বশেষ ‘ইউএনএইডস গ্যাপ রিপোর্ট’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এইচআইভি আক্রান্তদের ৫৪ শতাংশ অর্থাৎ বিশ্বের ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ জানেই না যে তারা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্বে এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে ৩ কোটি মানুষ। বাংলাদেশে এ সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার। বাংলাদেশে শুধু ২০১৩ সালেই এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২ নারী পুরুষ। ২০১০ সালে যা ছিল ৩৭ জন। ২০১৩ সালে ২৭০ জনের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটে। যার মধ্যে ৯৫ জনের শরীরে এটি এইডস আকারে রূপান্তরিত হয় এবং ওই সংখ্যক মানুষ মারা যায়। দেশে গত ২৫ বছরে এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্য ৪৭২ জন। ভয়াবহ এই রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে বিশ্ব এইডস দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস মৃত্যু নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়ব সবাই, এই আমাদের অঙ্গীকার’। ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি-৬ অর্জনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে এইচআইভি/এইডস শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, পরিচর্যা ও সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।



সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে এইচআইভি ও এইডস কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনকে আরো সংহত করতে পারলে রোগটি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারব। বিশ্ব এইড দিবসে বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নিজে এই মরণব্যাধি থেকে বাচুন অন্যকেও সচেতন করুন ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি আমার সা্ধ্যমতো চেষ্টা করছি
আপনিও করুন।
ধন্যবাদ সচেতন
করার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.