নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"যাহা সত্য তাহা বলিব । সত্য বই মিথ্যা বলিবনা "

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯


সত্য সুন্দর। সত্য কল্যাণকর। 'সত্য মানুষকে মুক্তি প্রদান করে আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে'। চিরন্তন এই বাণীটি জানেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই বাণীটিকে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনুসরণ করেন এমন মানুষের সংখ্যা খবুই কম। সত্য কথা বলা ও সৎভাবে জীবনযাপন করা মহৎ মানুষের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। মিথ্যা কথা বলা ও অসৎ জীবন যাপন করা অসৎ মানুষের লক্ষণ। সত্যবাদিতা হলো ঈমানের পূর্ণতাদানকারী একটি মহৎ গুণ। ইসলামের দাবি হলো সততানির্ভর জীবন, যে জীবনে থাকে না কোনো অসত্যের চিহ্ন। সত্যবাদিতা নির্ভেজাল ও নির্মল ঈমানের জন্ম দেয় এবং সত্যবাদী ব্যক্তিরাই প্রকৃত অর্থে দুনিয়া-আখিরাতে সফলকাম হয়ে থাকে। সত্যবাদী-সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তিরাই আল্লাহর ওপর যথোপযুক্ত তাওয়াক্কুল ও ভরসা রাখে দুর্যোগ ও দুর্ভোগের সময় ধৈর্যের পরিচয় দেয় স্বচ্ছলতার সময় ঐকান্তিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সত্যবাদীরাই কল্যাণকর কাজে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এবং অকল্যাণকর কাজে তারা হয় প্রতিবাদী-বিদ্রোহী। এ সব কারণেই আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে তাকওয়া ও আল্লাহ-ভীতি ও সত্যবাদী লোকদের সংস্রব অবলম্বন করার জোর নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (সূরা আত-তাওবাঃ ১১৯)।

সত্য কথা বলা, সত্যের সঙ্গে থাকা এবং মিথ্যার পরিবর্তে সত্যকে গ্রহণ করাই সত্যবাদিতা। সত্য মানুষকে মুক্তি প্রদান করে, পক্ষান্তরে মিথ্যা বিভ্রান্তিসহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। সত্যবাদিতা কেবল একজন মানুষের ধর্মীয় জীবনের ক্ষেত্রে নয়, ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক পরিমণ্ডল, সামাজিক পরিণ্ডল; এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।সত্যবাদিতা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, জাগতিক যেকোনো মানদণ্ডের বিচারে এটি একটি ভালো গুণ। সত্যবাদী মানুষকে সবাই ভালোবাসে, চাই তিনি মুসলমান হোন কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বী। কালো হোন কিংবা সাদা। হোন তিনি উঁচু বংশীয় কিংবা সাধারণ কোনো বংশের সদস্য। আলোকিত একজন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সত্যবাদিতা প্রথম ও প্রধান গুণ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সত্য কথা বলা, সত্যের পক্ষে অবস্থান করা এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হওয়ার ব্যাপারে অসংখ্য নির্দেশ এসেছে। আল্লাহ মহান পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে ও নবীজি (সাঃ) বাণীর মাধ্যমে যেসব ভালো গুণাবলিকে আয়ত্ত করতে জোর নির্দেশ প্রদান করেছেন, তার মধ্যে প্রথম সারির গুণ হলো 'সত্যবাদিতা'।
সততা ও সত্যবাদিতা সম্পর্কে কুরআন মাজীদে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। সত্যবাদী ব্যক্তিদের জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন মজিদে বলা হয়েছেঃ
‘আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকার করবে। তাদের জন্য জান্নাতে রয়েছে যার তলদেশে প্রবাহিত হবে নদী। তারা তাতেই থাকবে চিরকাল’ (সূরা আল মায়েদা : ১১৯)।
অর্থাৎ পার্থিব জগতে তাদের সততা পারলৌকিক জীবনে উপকারী হবে। বিচার দিবসে আল্লাহর ভয়াবহ শাস্তি থেকে সত্যবাদিতাই তাদেরকে বাঁচিয়ে দেবে। কুরআন মাজীদে হয়েছেঃ
‘এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর যে, তাদের রবের নিকট তাদের জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা’ (ইউনুস : ২)।
যারা সত্যকে ধারণ করে এবং সত্যকে সত্য বলে মেনে নেয় তাদেরকে আল্লাহ তাআলা মুত্তাকী বলে আখ্যায়িত করেছেন। পবিত্র কোরআনের বলা হয়েছেঃ
‘আর যে সত্য নিয়ে এসেছে এবং যে তা সত্য বলে মেনে নিয়েছে, তারাই হলো মুত্তাকী’ (যুমার : ৩৩)।

সত্যবাদিতাকে তুচ্ছ করে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন- এমন ইতিহাস পৃথিবীতে আগে ছিল না, বর্তমানে নেই এবং ভবিষ্যতেও সৃষ্টি হবে না; হতে পারে না। কারণ সত্য সব ভালো স্বভাব বা সব শুভ্রতার 'মা'। মদিনার কাফিররা মুহাম্মাদ (সা.) আনীত ধর্মকে মানতো না ঠিকই; কিন্তু সত্যবাদী একজন মানুষ হিসেবে তাঁর স্থান ছিল তাদের সবার হৃদয়ের গভীরে। সত্যবাদী মানুষ হিসেবে সবাই ভালোবাসত তাঁকে। নবীজির (সাঃ) সত্যবাদিতা এবং ন্যায়পরায়ণতায় মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন আরবের মুসলিম-কাফির নির্বিশেষে 'আল-আমিন' উপাধিতে ভূষিত করেছিল তাঁকে। তিনি ছিলেন সত্যবাদী একজন আদর্শ মানুষ। নবীজির (সা.) সত্যবাদিতাকে তৎকালীন কাফির-মুশরিকরাও স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। নবীজির (সাঃ) জীবনাদর্শ গ্রহণ করে আমাদের সত্যবাদী হওয়া উচিত। সত্যবাদী মানুষকে সঙ্গী বানানো প্রয়োজন। সত্য একজন মানুষকে কেবল ধর্মীয় 'অর্জনে'র ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখে, ব্যাপারটা কখনোই এমন একপক্ষীয় নয়। সত্যবাদিতা প্রতিটি মানুষকে তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ এবং ঝামেলামুক্তভাবে বসবাস করতে সহযোগিতা করে।

একজন সত্যবাদী মানুষের সংস্পর্শ ধীরে ধীরে সত্যের পথে ধাবিত করবে, পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদী একজন মানুষের সংস্পর্শ মিথ্যার দিকেই পরিচালিত করে। এই মর্মে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, 'হে ইমানদাররা. আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও। (সুরা আত্-তাওবা, আয়াতঃ ১১৯)
সত্যকে গ্রহণ করা এবং সত্য কথার বিজয়ী অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, '(হে নবী) বলো, সত্য এসেছে আর মিথ্যা অন্তর্ধান করেছে। মিথ্যাকে অন্তর্ধান করতেই হবে। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৮১)
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, 'সত্যবাদিতাকে গ্রহণ করো তোমরা, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পুণ্য জান্নাতের পথে পরিচালিত করে, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর কাছে সে সত্যবাদী হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে যায়'। [মুসলিম]
একই বাণীটি হাদিসের অন্য গ্রন্থে একটু আলাদাভাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে মহানবী (সা.) বলেছেন, 'তোমাদের সত্য কথা বলা উচিত, কেননা সত্যবাদিতা অবশ্যই পুণ্যের দিকে পরিচালিত করে, আর নিশ্চয়ই পুণ্য জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে।' এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেছেন, 'সত্য হলো প্রশান্তির মাধ্যম এবং মিথ্যা হলো দুশ্চিন্তা বা ভয়ের উৎস।

গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সত্যবাদিতা বিদায় নিচ্ছে আমাদের জীবন থেকে। সত্যবাদী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে দিন দিন। সামান্য থেকে সামান্য কারণেও সত্য কথাকে ত্যাগ করছি আমরা। গ্রহণ করছি মিথ্যাকে এবং নিজের অজান্তেই জাহান্নামী মানুষের তালিকাভুক্ত করছি নিজেকে। শেষ নবী হজরত মুহাম্মাদের (সাঃ) উম্মত হিসেবে যা কখনোই কাম্য নয়। মিথ্যা কেবল দুশ্চিন্তার সৃষ্টিই করে না, মিথ্যাবাদীরা দুর্বল চিত্তের অধিকারী হয়। তাই আমাদের সবাইকে মিথ্যা বলা ত্যাগ করে সত্যবাদী হতে হবে। তাই আসুন আমরা সকল ক্ষেত্রে সত্যবাদী হই। সততার পরিচয় দেই। সত্যবাদীদরে সঙ্গ অবলম্বন করি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে সাদিকীনদের দলভুক্ত করুন। কথায়-কাজে-আচরণে আমাদের সবাইকে সততার পরিচয় দেয়ার তাওফীক দান করুন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপে সত্যাশ্রয়ী হয়ে জীবনযাপনের তাওফীক দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে মিথ্যা থেকে হিফাযত করুন। কপটতা ও মুনাফিকী থেকে হিফাযত করুন। আমীন ।

সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ,
আল্লাহ আমাদের সবাইকে মিথ্যা
বলা থেকে হিফাযত করুন। আমিন-

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ আমাদের সত্যবাদী হিসেবে চলার তৌফিক দান করুন।
আমিন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল,
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যবাদী হিসেবে
চলার তৌফিক দান করুন।
আমিন।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সত্যময় পোস্ট।

ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্য সুন্দর। সত্য কল্যাণকর।
ধন্যবাদ সরকার ভাই।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাপানীরা বেশী সত্যবাদী, নাকি বাংলাদেশী ও পাকিস্তানীরা সত্যবাদী?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিনয়ের সাথে ইহার গবেষণার দায়িত্ব আপনাকে
দেওয়া গেল। আশা করি শিঘ্রই আপনার কাছ থেকে
পরিসংখ্যানটা্ জানা যাবে, যা জাতির জন্য বিশেষ
জরুরী।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন,
"বিনয়ের সাথে ইহার গবেষণার দায়িত্ব আপনাকে
দেওয়া গেল। আশা করি শিঘ্রই আপনার কাছ থেকে
পরিসংখ্যানটা্ জানা যাবে, যা জাতির জন্য বিশেষ
জরুরী "

-"জাপানীরা সব বিষয়ে বাংগালী কিংবা পাকিস্তানীদের চেয়ে সত্যবাদী" ( এটা আমার স্টেইটমেন্ট )

-এই প্রশ্নটির উত্তর প্রতিটি ব্লগার জানেন; এই সামান্য প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কুটনীতি খেলতে চাচ্ছেন! ব্লগিং মানে শুধু টাইপ করা নয়, নিজের ভাবনাকে তুলে ধরা, সঠিভাবে আলোচনা করা।

সামান্য প্রশ্নের উত্তরের বেলায় আপনি সত্যবাদী হতে পারেননি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যখন এই উত্তরটি আপনার জানা,
তা হলে কেন আবার প্রশ্ন তুললেন।
ক্যাচাল না করলে আপনার পেটের ভাত
হজম হয়না। কতকের মাঝে অসামান্য না হয়ে
সবার জন্য সাধারণ হতে চেষ্টা করেন

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন,
"যখন এই উত্তরটি আপনার জানা,
তা হলে কেন আবার প্রশ্ন তুললেন।
ক্যাচাল না করলে আপনার পেটের ভাত
হজম হয়না। কতকের মাঝে অসামান্য না হয়ে
সবার জন্য সাধারণ হতে চেষ্টা করেন। "

- জাপানীরা যেকোন বিষয়ে বাংগালী কিংবা পাকিস্তানীদের চেয়ে সত্যবাদী, এই বিষয়টি প্রতিটি ব্লগারের জানা আছে, আমারও জানা আছে; আপনি সত্যবাদীতার উপর পোস্ট লেখাতে, সত্যবাদীতায় আপনার অবস্হান বুঝার জন্য এই সোজা প্রশ্নটি করেছিলাম; কিন্তু আপনি উত্তর না দিয়ে নিজের অবস্হান পরিস্কার করেছেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার মত জ্ঞাণীর সাথে আমি অধম
তর্ক করতে চাইনা, আমার অবস্থান আপনি
না বুঝলেও আমার চলার পথ থেমে থাকবেনা।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হেনা ভাই সালাম জানবেন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

কানিজ রিনা বলেছেন: সুন্দর শিক্ষনীয় পোষ্ট, মানুষ যত শিক্ষিত
হচ্ছে সমাজ ততো অবনতির দিকে আগাচ্ছে।
কারন আমরা ধর্মীয় মূল্য বোধ থেকে সরে
যাচ্ছি। অভিনন্দন আপনাকে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তার পরেও অনেকে অহেতুক বিতর্কে
জড়িয়ে পরিবেশ দূষণীয় করে তুলছে।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

মেরিনার বলেছেন: সংবাদকর্মীর মুখে/লেখনিতে কথাগুলো শুনতে খুব অবাক লাগছে - সংবাদ মাধ্যমে তো এখন post truth era চলছে, কি দেশে কি বিদেশে। আলহামদুলিল্লাহ্, উপরন্তু আপনি কুর'আন হাদীসের দলিল দিয়ে কথা বলেছেন!!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চেষ্টা করি সত্য বলতে, সত্য পথে থাকতে,
অনেক পেশার মানুষই অসত্য কথা বলে
অসত্য পথে চলে তেমনি সংবাদকর্মীরাও
সত্য মিথাও বলে থাকেন। শুধু সংবাদকর্মীরা
দোষী হবেন কেন?

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

সুমন কর বলেছেন: সত্য ছাড়া, মিথ্যা একদম সহ্য করতে পারি না !!

ভালো পোস্ট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সহ্য করা এক বিষয় আর
নিজে বলা অন্য বিষয়।
কেউ কেউ মিথ্যা সহ্য করতে না
পারলেও অবলীলায় মিথ্যা বলে।
আশা করি আপনি যেমন মিথ্যা
সহ্য করতে পারেননা তেমনি
মনে রাখবেন অপরেও মিথ্যা
পছন্দ নাও করতে পারে।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

মার্কো পোলো বলেছেন:

সুন্দর লেখা। ভাল লাগলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাতে ধন্যবাদ মার্কো পোলো
লেখাটি ভালো লাগার জন্য।
সাথে থাকবেন আগামীতে
সেই প্রত্যাশায়।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোরানে থাকা সত্বেও, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আরবদেশগুলো মিলে সত্য বলার মানুষ খুবই কম; মিথ্যা এসব দেশের উন্নয়ন পর্য্ন্ত থামিয়ে দিচ্ছে; আবার, জাপানসহ পশ্চিমের লোকজন মুসলিম এলাকা থেকে বেশী সত্যবাদী; ইহার মুল কারণ কি?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাস্টার সাব আমি এত প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করি নাই।
আমি কি ফেল ?

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "একজন সত্যবাদী মানুষের সংস্পর্শ ধীরে ধীরে সত্যের পথে ধাবিত করবে, পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদী একজন মানুষের সংস্পর্শ মিথ্যার দিকেই পরিচালিত করে।" খুবই সত্যি | রাসূল (সাঃ) যখন একজন মানুষ সম্পর্কে জানলেন যে সে মিথ্যে বলে, চুরি করে আর আরো খারাপ করে, তিনি অন্য দোষগুলো সম্পর্কে কিচ্ছু না বলে তাকে মিথ্যে বলতে নিষেধ করলেন প্রথম | মিথ্যে না বলে যেহেতু লোকটার অন্য কাজগুলো করার সুযোগ ছিল না তাই সে একসময় খুবই ভালো একজন মানুষ হয়ে গেলো | এজন্য সত্যি কথা বলার ব্যাপারটা খুবই জরুরি একটা বিষয় সমাজটাকে সুন্দর করতে আর ঠিক রাখতে |ভালো লাগলো আপনার লেখা। ধন্যবাদ|

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,
এই গল্পটি আমি ছোট বেলায়
গুরুজনের মুখে শুনেছি।
মিথ্যা হলো অপরাধের জননী।
মিথ্যা ছাড়তে পারলে অনেক
অপরাধ পরিত্যাগ করা সম্ভব।

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন: truth is always beautiful

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.