নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘পানির জন্য প্রকৃতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২


আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। পানির অপর নাম জীবন। জীবন বাঁচাতে পানির কোন বিকল্প নাই। এক চুমুক পানির জন্য জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত। এ প্রতিযোগিতা এখন বর্তমান বিশ্বের দৈনন্দিন দৃশ্য। পানি সমস্যার সমাধান কল্পে ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে রাষ্ট্রসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় এবং ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালিত হয়। এর পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি এই দিনটিকে নিজ নিজ রাষ্ট্রসীমার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের জলসম্পদ সংক্রান্ত সুপারিশ ও উন্নয়নপ্রস্তাবগুলির প্রতি মনোনিবেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করেন। প্রতি বছর বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থার যে কোনো একটি বিশেষ কর্মসূচি পালন করে থাকে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাষ্ট্রসংঘ-জল বিশ্ব জল দিবসের থিম, বার্তা ও প্রধান সংস্থা নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে সাড়ে নয় কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এ তথ্য জানিয়ে বলছে, বাংলাদেশের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে বাস করছে। কারণ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ৯৭ ভাগ মানুষের পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হলেও বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং মৌসুম ভেদে পানি সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। শিল্পোন্নয়ন ও কৃষিকাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই বাস্তবতায় প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবাে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব পানি দিবস’। বিশ্বব্যাপী পানির অপরিহার্যতা বিবেচনা করে এবছর পানি দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ণয় করা হয়েছে, ‘পানির জন্য প্রকৃতি’ । এই প্রতিপাদের আলোকে প্রকৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানির গুরুত্ব সম্পর্কে সবাই সম্যক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবেন।। পরিসংখ্যানে প্রকাশ, পৃথিবীতে মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক জনশক্তিই পানি সংক্রান্ত এবং পানিকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সারা বিশ্বে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত সে সংখ্যা প্রায় দেড় বিলিয়ন। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ কাজ করছে এবং এই কাজ করতে অন্যদেরও প্রভাবিত করা হচ্ছে।

জীবন ধারণের অতি জরুরী উপকরণ পানি বিশ্বের সর্বত্রই একটি স্পর্শকাতর বিষয়। অথচ বিশ্বের ৭৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দূষিত উৎসের পানি ব্যবহার করে। এর অর্ধেক হচ্ছে সাব-সাহারান আফ্রিকার মানুষ ও অবশিষ্ট অর্ধেকের বেশির ভাগের বাস এশিয়ায় এবং তাদের অধিকাংশই পল্লী অঞ্চলে বাস করে। পৃথিবীর শতকরা ৭১% পানি হিসেবে থাকলেও এর মাত্র ৩% খাবার যোগ্য যার বিরাট অংশই এন্টার্কটিকা ও গ্রীনল্যান্ডে বরফ হিসেবে জমা আছে অথবা মাটির নীচে। হিসেব করলে দেখা যায় যে, পৃথিবীর মোট পানির মাত্র ০.০১ শতাংশ মানুষের ব্যবহারোপযোগী। তাও আবার পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে। আধুনিক বিশ্বে যখন বিজ্ঞানের জয় জয়কার সেখানে প্রায় ১৫০ কোটিরও বেশী মানুষের জন্য নাই নিরপদ পানির ব্যবস্থা, আর প্রতি বছর শুধু পানি বাহিত রোগে ভুগে মারা যাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ। আমাদের দেশে পানযোগ্য পানির প্রধান উৎস নদী-খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর ও জলাশয়। এক সময় এ দেশে ১ হাজারের বেশি নদী থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগই এখন মরে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ হিসাবে বর্তমানে দেশে নদীর সংখ্যা ৩১০ এ নেমে এসেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে নদ-নদীতে পানির চেয়ে বর্জ্যই বেশী। আবার নদীর পানি শুকিয়ে যাবার ফলে কৃষিখাতেও দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। সবমিলে ঝুঁকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। ফলে বাড়ছে নানাধরনের রোগ। এদিকে তিস্তা নদীর পানি যে পরিমাণ কমেছে তাতে প্রবাহ শূন্যতে নেমে এসেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে আসন্ন বোরো উৎপাদন কমবে তিনশ কোটি টাকার। এছাড়া রাজধানীর চারদিকে শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু ও বুড়িগঙ্গা নদীতে পানির চেয়ে বর্জ্যই বেশি। এক শ্রেণীর অসচেতন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কারণে গৃহস্থালি বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, নগরবাসীর পয়ঃবর্জ্য, ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য, নৌ-যানের তেল, ময়লাসহ নানা ধরনের বর্জ্যে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে নদীগুলো। বর্জ্যের সংমিশ্রণে নদীগুলোর পানি কালো, নীল বা লাল রঙ ধারণ করছে। দূষিত ওই নদীর পানি ব্যবহারে হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এ চার নদীকে সরকার আগেই ‘প্রতিবেশ সঙ্কটাপন্ন’ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরীক্ষিত বর্জ্য ১৩টি নদীর মধ্যে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালুর পানির মান খুবই খারাপ। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হিসাবে, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ এই চার নদীতে আছে প্রায় চারশ’র মতো বর্জ্যমুখ।

নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন হচ্ছে কলেরা, ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস-এ, টাইফয়েডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মোক্ষম হাতিয়ার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়াটার ও স্যানিটেশন শাখার সমন্বয়ক গর্ডন বলেন, মলমূত্র ইত্যাদি অনেক রোগের প্রধান উৎস এবং এক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। তিনি বলেন, দূষিত পানি, স্যানিটেশনের অভাব ও স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে অসচেতনতার কারণে সৃষ্ট ডায়রিয়াজনিত রোগে প্রতি বছর ৮ লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়। জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী বিগত দু’দশকে সুপেয় পানি ও পরিচ্ছন্ন স্যানিটেশন ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের শেষে বিশ্বের ৮৯ শতাংশ মানুষ উন্নত পানি সরবরাহের আওতায় এসেছে, যা বিগত দু’দশকের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও ৭৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দূষিত উৎস থেকে পানি ব্যবহার করে। জারে ভর্তি মিনারেল ওয়াটারের নামে খাওয়ানো হচ্ছে দূষিত পানি। রাজধানী ঢাকা ও তার আশে পাশে বৈধ ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় তিনশত কারখানায়ই উৎপাদন হচ্ছে দূষিত খাবার পানি। দু-একটি বাদে অধিকাংশ মিনারেল ওয়াটারের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে অপরিচ্ছন্ন স্থানে। রাজধানীর অনেক এলাকাতেই বর্তমানে পানির সংকট চলছে। অনেক এলাকায় পানি পাওয়া গেলেও তাদে দূগন্ধ ও ময়লা। সরাসরি ওয়াসার সাপ্লাই পানি পান করলে পেটের পীড়াসহ নানা অসুখ-বিসুখে ভুগতে হয়। আর এ সব কারণেই সামর্থ্যবান মানুষ এখন বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য বেসরকারী খাতের মিনারেল ওয়াটারের ওপর নির্ভরশীল।

পৃথিবীর সকল প্রাণেরই উৎস পানি এবং সকলেই পানির ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর ৭০০কোটি মানুষ কোটি মানুষ আজ খাদ্য ও জ্বালানির মতো মৌলিক বিষয়ের পাশাপাশি যে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা হচ্ছে সবার জন্য বিশুদ্ধ ও পর্যাপ্ত নিরাপদ খাবার পানি। আর যেসব অ্যঞ্চলে পানি স্বল্পতা সেসব অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে পানি যুদ্ধের সম্ভাবনা। যেমন লেবানন-ইসরায়েল এর মধ্যে হাসবানি নদীর পানি নিয়ে বিরোধ, তেমনি তুরস্ক-সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে ইউফেটিস নিয়ে, সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে গ্যালিলি সাগর নিয়ে। ইসরায়েল-ফিলিস্তান ও জর্দানের মধ্যে জর্দান নদী নিয়ে সুদান, মিশর, ইথিওপিয়া ও আরো কিছু দেশের মধ্যে নীলনদ নিয়ে, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার মধ্যে সেনেগাল নদী নিয়ে, ইরান ও আফগানিস্থানের মধ্যে হেলম্যান্ড নদী নিয়ে আর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিবাদতো আছেই। তাই পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের নুতন করে ভাবতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পানি নিয়ে উদ্ভুত সকল সমস্যার সমাধানে বাস্তবশুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে তা না হলে অচিরেই বিশ্ব সোনা-রূপা হিরা জহরত নয়, যুদ্ধে লিপ্ত হবে পানি নিয়ে। বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা আর পানির উৎসের কার্যকর ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে বিশ্ব পানি দিবসে এই প্রত্যাশা আমাদের।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আজ পানি দিবস।
আর আজই পানির অভাবে পড়লাম। বাসায় পানির ফিল্টারটা নষ্ট হয়ে গেছে।
সকালে গোছল করতে গিয়ে দেখি পানি ময়লা। বিছছিরি গন্ধ। ওয়াসাকে ফোণ দিয়ে জানলাম। দুই একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সমবেদনা জানাই রাজীব ভাই,
এর যেন এমন না হয় কারো জীবনে।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বিশ্ব পানি দিবসের দিনেও আমি হাফ কিলো দূর হতে পানি এনে খেয়েছি।এলাকার পানি ভালো না।সবাই কিনে পানি খায়।
হাদিসে বোধহয় আছে,"পানি নিয়ে একটা যুদ্ধ হবে"।
ভালো পোষ্ট। +

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আহা !!
আপনার জন্যও এমন হলো এমন দিনে?
দুঃখিত !!

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পানি দিবসে সবাইকে বিশুদ্ধ পানির, পানিময় শুভেচ্ছা।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্ডল ভাই
তবে প্রথম দুইজন মন্তব্যকারীর
কষ্টের কথা শুনে পানিময় শুভেচ্ছা
জানাতে কুণ্ঠিত হচ্ছি।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: পানি দিবসে গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ নুরু ভাই।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই,
আগের মতো আর পাইনা কেন?
খুব কি ব্যাস্ত !!

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪২

রসায়ন বলেছেন: পানির অপর নাম জীবন B-)

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দূর্মূখেরা বলেনঃ
ঢাকার পানির অপর নাম মরণ

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মানুষ অনেক পানি অপচয় করে। পানির মিটার বসানো উচিত।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অযাচিতভাবে পায় বলেই অপচয়।
তবে সময় ঘনিয়ে এসেছে
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যদা
না বোঝার
পরিণতি বোঝার!

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: শুধু পানিই না, চুলা জ্বালিয়ে রাখে, বিদুৎ খরচ করে, ফ্যান লাইট টিভি ছেড়ে অন্যঘরে চলে যায়। আর কাজের লোকেরা তো পানি অপচয়ে ওস্তাদ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যথার্থই বলছেন ভাই
গ্যাস ফুরিয়ে আসছে,
বিদ্যুতে লোডশেডিং চলছে।
আমাদের সচেতন হওয়া আবশ্যক।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন নূরু ভাই। এই বিশুদ্ধ পানি নিয়ে ভবিষ্যতে মারাত্মক কিছু দেখব। বিশেষ ভাটির দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ সমূহ বিপদের মুখে।

বাংলাদেশ সরকারের এখনই উচিত গঙ্গা ব্যারেজের (যদিও দাদাদের হুমকীতে আমাদের পেয়ারের সরকার এই প্রকল্প বাদ দিয়েছে) মতো প্রকল্পগুলোকে গতিশীল করে দেশে স্বাদু পানির একটি বৃহৎ আধার তৈরি করা। ছোট বড় নদীতে ড্যাম তৈরি করে আমরা সহজেই ক্ষরা মৌসুমে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারি।

আজকেই দেখলাম ভারতের ব্যাঙ্গালোরে পানির জন্য হাহাকার। কিছুদিন আগে কুয়ালালামপুরেও তাই ছিল। আমরাও এগুলো ফেস করতে যাচ্ছি অতি শীঘ্রই। সচেতন হওয়ার এখনই সময় সরকারের।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাই
এত রাতে কষ্ট করে লেখাটি পড়ে
মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ্যতা দান করুন। আমিন

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পানি দিবসের ছবিটি কেমন যেন মনে হলো। হর্ন অফ আফ্রিকা'র দেশগুলোতে যেখানে পানির এতো আকাল, সেখানে পৃথিবী থেকে পানি নিয়ে পৃথিবী'র বাইরের এক গাছে পানি দেওয়া হচ্ছে!!!

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্রকৃতি কাউকে বঞ্চিত করেনা তার অপার মহিমা থেকে
পৃ্থিবীর বাইরে বলে কোন দেশ কি আছে?

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ
এমন হাজারো অধিকার থেকে আমরা
প্রতি নিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি !!

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

starit বলেছেন: বিশুদ্ধ পানি পান করতে Kent water purifier in Bangladesh is the best

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.