নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮:৪৫ এ সাভারে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনটিতে পোশাক কারখানা, একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্যান্য দোকান ছিল, সকালে ব্যস্ত সময়ে এই ধসের ঘটনাটি ঘটে। ভবনটিতে ফাটল থাকার কারণে ভবন না ব্যবহারের সতর্কবার্তা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছিল। সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই নয়তলা এই ভবনটি রানা প্লাজা হিসেবে পরিচিত এবং এর মালিক সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০০৭ সালে রানা প্লাজা নির্মাণ করার আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত ডোবা। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে এটি ভরাট করা হয়। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর তথ্যমতে ভবনের উপরের চার তলা অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ভূগর্ভস্থ তলায় গাড়ি রাখার জায়গা এবং দ্বিতীয় তলার বিপণিকেন্দ্রে বহু দোকান ছিল। তৃতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা ছাড়াও এর ওপরের দুটি তলা খালি ছিল। ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল প্রথম তলায়। গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় ৫০০০ এর মত কর্মী কাজ করত। নয়তলা রানা প্লাজা ধসে মারা যান ভবনটিতে অবস্থিত পাঁচ পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক। আহত হন এক হাজার ১৬৭ জন শ্রমিক, যাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন ৮১ জন। এখনো ৭৪টি লাশের পরিচয় জানা যায়নি। বিশ্বের ইতিহাসে রানা প্লাজা ধস ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৫ম বছর আজ। মর্মান্তিক রানা প্লাজা দূর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের এবং তাদের পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল ভবনটির ফাটল নিশ্চিত হওয়ার পর ভবন ছেড়ে চলে যেতে বলা সত্ত্বেও, অনেক গার্মেন্টস সুপারভাইজাররা ভবনটিকে নিরাপদ ঘোষণা করে শ্রমিকদের পরের দিন কাজে ফিরতে বলা হয়। নির্দেশ মত শ্রমিকরা যথা সময়ে কাজে যোগ দিলে সকাল ৯:০০ টার দিকে ৯তলা ভবনটির প্রথম তলা বাদে বাকি সবগুলি তলা ধসে পড়ে। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। ধসে পড়ার সময় ভবনটিকে প্রায় ৩০০০ কর্মী ছিল। কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল নারী যাদের সাথে তাদের শিশু সন্তানও সেখানে নার্সারী সুবিধায় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দ এবং কাঁপনে তারা ভূমিকম্পের আশঙ্কা করেন। পরে বেরিয়ে দেখেন বিরাট এলাকা ধুলা বলিতে ধোঁয়াটে হয়ে পড়েছে।" দূর্ঘটনার পর সাধারণ জনগণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালায়। এই ঘটনার ১৭ দিন পর ১০ মে ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। হতাহতদের পরিবারের আর্তনাদ আর আহাজারিতে আজও আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল একদিনের জাতীয় শোক পালন করা হয়। এঘটনার পর উত্তেজিত পোশাক শ্রমিকরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবীতে ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যপক আন্দোলন গাড়ি ও বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর চালায়। ২৫ শে এপ্রিল ঢাকা উন্নয়ন কতৃপক্ষ ভবন ও ঐ ভবনের গার্মেন্টস মালিকদেরকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে সরকারীভাবে আলাদা কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবার আহ্বান করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় দায়ীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। ২৭শে এপ্রিল এই ভবনের দুটি গার্মেন্টসের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া সাভার পৌরসভার দুজন প্রকৌশলীকেও গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়া হয়। ২৮শে এপ্রিল এই ঘটনায় দায়ী ভবন মালিক সোহেল রানাকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় র্যাব গ্রেপ্তার করে। রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। রানা প্লাজার ৯টি তলায় অবস্থিত পাঁচটি পোশাক কারখানায় এসব শ্রমিক কাজ করতেন। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনকে। ক্লেইমস কমিটির মাধ্যমে এবং বেসরকারিভাবে এসব শ্রমিক পরিবার এক লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ অনুদান পেয়েছেন। রানা প্লাজা ধসের পর একটি সহায়তা তহবিল গঠন করে বিজিএমইএ। প্রতিটি সদস্যকে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করে তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাঁচ হাজার ৪০০ সদস্যের মধ্যে বিজিএমইএর তহবিলে মাত্র এক হাজার ৮৪২ সদস্য সাড়ে ১৪ কোটি টাকা টাকা জমা দেয়। এর মধ্যে বিকেএমইএ দেয় এক কোটি টাকা। বিজিএমইএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই তহবিল থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় তিন কোটি ৯০ লাখ, বেতন-ভাতা সাত কোটি ৬০ লাখ, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দুই কোটি, প্রসূতি শ্রমিকদের সহায়তায় চার লাখ ২০ হাজার এবং উদ্ধার ও পুনর্বাসনকাজে ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গঠিত রানা প্লাজা অ্যারেঞ্জমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রানা প্লাজার পাঁচ কারখানায় ২৯ পোশাক তৈরী করানো ২৯ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য গঠিত চার কোটি ডলারের ‘রানা প্লাজা ডোনারস ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করা হলেও এর মধ্যে ১৬ প্রতিষ্ঠান তহবিলে অর্থও দেয়নি, কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ২৮ জানুয়ারি এই তহবিল গঠিত হলেও আজ পর্যন্ত এই ফান্ডে জমা পড়েছে মাত্র এক কোটি ৫০ লাখ ডলার যা প্রতিশ্রুত অর্থের এক-তৃতীয়াংশ। সাভারের রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পার হলেও এখনো এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিকদের পরিবার ন্যায্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পায়নি। এমনকি কে কত ক্ষতিপূরণ পাবেন, তা-ও চূড়ান্ত হয়নি।
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর বিষয়ে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সোহেল রানার ব্যক্তিগত সব সম্পদসহ ধসে পড়া রানা প্লাজার চার পোশাক কারখানার মালামাল জব্দের বিষয়ে একটি রিট করেছিলো। এ রিটের আদেশে বলা হয়েছে রানা প্লাজার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি বিবিধ মামলা করা হয়। ওই মামলার আলোকেই সোহেল রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা সোহেল রানার ব্যক্তিগত সকল সম্পত্তি যথা সাভার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজার ১৮ শতক, বাজার রোডের বহুতল ভবন রানা টাওয়ারের ১০ শতক এবং ধামরাইয়ে সোহেল রানার মালিকানাধীন ১ একর ৪৬ শতাংশের ওপর নির্মাণ করা রানা ব্রিকসসহ যে স্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আদালত আমলে নিয়েছেন। এ মামলায় ২৪ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ৪টি মামলা হলেও তার মাত্র একটিতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলায় সরকারি চার কর্মকর্তাসহ যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি সেই চার কর্মকর্তা হলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দফতরের পরিদর্শক (প্রকৌশল) ইউসুফ আলী, উপ-প্রধান পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকা বিভাগীয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান দফতরের যুগ্ম শ্রম পরিচালক জামসেদুর রহমান এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)ইমারত পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। এর মধ্যে ইউসুফ আলী ও শহিদুল ইসলাম নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খানসহ মোট ২৩ জন জামিনে আছেন। আর সোহেল রানা, সরকারি কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন ও জামসেদুর রহমানসহ ছয়জন কারাগারে আটক আছেন। রানাকেও জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে তার জামিন আদেশ স্থগিত করা হয়।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মামলা দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব ও শ্রমিকদের প্রতি দায়িত্বশীলতার অভাবকে দায়ী করেছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন। তিনি বলেন, এটা শ্রমিক না হয়ে অন্য কেউ হলে ভিন্ন কিছু হতো। তিনি বলেন, শ্রমিক মারা গেলে কিছু টাকা অনুদান দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলে, সেখানে বিচারটা প্রাধান্য পায় না। অভিযুক্তরা জামিন পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আকতার। তিনি বলেন, এতোবড় হত্যাকাণ্ডের পর কেন অপরাধীরা জামিন পায় তাতো জানা কথা। তিন বছরেও শাস্তির সম্মুখীন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হয়তো ভাবছে, যতো সময় যাবে ততো মানুষের মন থেকে ক্ষত মুছে যাবে এবং বিচারপ্রার্থীরা সরে যাবেন। বিচারের এধ রনের দীর্ঘসূত্রিতা আমরা আগেও দেখেছি। এর সুরাহা হওয়া জরুরি। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, রানা প্নাজার শ্রমিক হত্যার বিচার দ্রুত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু এর দীর্ঘসূত্রিতা এ ধরনের রানা প্লাজা ও তাজরীনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির পথকেই আরও প্রশস্ত করে। কারখানার মালিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ দোষীরা শাস্তি পেলে অন্য কারখানার মালিক এবং কারখানা পরিদর্শকসহ সরকারি কর্মকর্তারা সতর্ক হতেন এবং শ্রমিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতন। কিন্তু শাস্তি না হওয়ার ফলে শ্রমিকদের বিষয়ে মালিকদের অমনোযোগিতা, অবহেলা কমার জায়গা তৈরি হলো না। দোষীদের শাস্তির বিষয় বিচার প্রক্রিয়ার ঝুলন্ত অবস্থা এবং দীর্ঘসূত্রিতা এটাই প্রমাণ করে যে, আমাদের দেশের সরকার এবং মালিকের কাছে এই শ্রমিকদের জীবন এবং স্বপ্নের কোনও মূল্য নেই। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ প্রদান, খুনিদের বিচার, আহতদের পুনর্বাসন ও গার্মেন্টস শিল্পে ২৪ এপ্রিল শোক দিবস পালনের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। মর্মান্তিক রানা প্লাজা দূর্ঘটনার ৫মবর্ষ পূর্তিতে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের এবং তাদের পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিন্তু আমরা বড়ই বিস্মৃতপ্রবণ জাতি
দ্রুত ভুলে যাই সব কিছু।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: নূরু ভাই, পড়তে সমস্যা হল। লেখটা দুই-তিন প্যারা করবেন।
রানার আপডেট তথ্য কী???
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্ডর ভাই
লেখাটি ৪ প্যারায় লেখা হয়েছে।
২/৩ প্যারায় করা হলে আরো সমস্যা হবার কথা।
যা হোকঃ
রানা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাজা হয়েছে রানা ও তার মায়ের।
সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় রানার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
২০১৭ সালের ২৯ অগাস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মামলায় রানার মা মর্জিনা বেগমকে ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার সম্পদের ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন বিচারক। গত ২৯ মার্চ জজ ইমরুল কায়েস এ মামলারও রায় দেন।
ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, রানার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা ও মাদকের মামলাও
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
দুটি ছবির মাঝেও প্যারা করতে হবে। এভাবে, মোবাইলে পড়তে সমস্যা হচ্ছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুঃখিত মন্ডল ভাই
বুঝতে পারিনাই যে আপনি
মোবাইল থেকে পড়ছেন।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ চমৎকার।
তথ্যবহুল, বিশ্লেষণধর্মী সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।
অনেক অজানা কথা জানলাম। আপনার ভালবাসা লেখার শরীরে লেপ্টে আছে।
আমার শুভেচ্ছা নিন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বরকতউল্লা ভাই
চমৎকৃত আর উৎসাহিত হলাম
আপনার নান্দনিক মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা আপনান জন্য আর
রানা প্লাজা ভবন ধসের নিহত
সকলের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি আহতদের
জন্য সমবেদনা।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।তবে কষ্ট পেলাম,বিষয়টিতো দুর্ঘটনার।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যিই বেদনাদায়ক
এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে
না ঘটে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই তাই,
ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসন
করা অত্যাবশ্যক।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২১
মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: কষ্টের স্মৃতি
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ফখরুল ভাই
আমরা হয়তো অনুভবকরতে
পারবোনা কি কষ্টের স্মৃতি বহন করে
চলছেন নিহত/আহতদের পরিবার।
৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: রানা প্লাজার জন্য কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা সরকার সংগ্রহ করেছে সে টাকা গুলো কোথায় গেল?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হয়তো সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে
তা বিলিবল্টন করেছেন।কিছুটা হয়তে
মিসইউজ হয়েছে।
৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: শ্রমিকরা যে আয়ের তাতে তাদেরকে দু-চার লাখ করে দিলে তাদের মোটা মুটি একটা ব্যবস্থা হতো কিন্তু তা হয়নি। তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়নি।
০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একটা টাকাও দেওয়া হয়নি, কথাটা বোধ হয়
সঠিক নয়।
০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাদের টাকা দেওয়া হয়নি, কথাটা বোধ হয় সঠিক নয়।
সবাই কিছুনা কিছু ক্ষতিপূরণ পেয়েছে যদিও তা পর্যাপ্ত নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: রাপা প্লাজার ঘটনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে।