নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহিমান্বিত মুক্তির পূণ্যময় রজনী ও দোয়া কবুলের রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শব-ই-বরাত আজ

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮


আজ ১৪ শাবান ১৪৩৯ হিজরী, ১ মে ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ, মঙ্গলবার দিবসের সূর্য অস্ত গেলেই এক অপার্থিব পবিত্রতায় আবৃত রজনীর আবির্ভাব ঘটবে মহিমান্বিত মুক্তির পূণ্যময় রজনী ও দোয়া কবুলের রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শব-ই-বরাত এবং আগামী কাল বুধবার সূর্যোদয় অবধি এ রাতের মহিমাময় ফজিলত অব্যবহত থাকবে। মাহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিস্কৃতি লাভের পরম সৌভাগ্যের রজনী শব-ই-বরাত বা মুক্তির রাত। মধ্য-শাবান হচ্ছে আরবী শা'বান মাসের ১৫ তারিখ, যা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শবে বরাত বা শব-ই-বরাত নামে পালিত একটি পূণ্যময় রাত। ‘শব-ই-বরাত’ দু’টি শব্দের সমষ্টি। প্রথম শব্দটি ‘শব’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ রাত রজনী। দ্বিতীয় শব্দটি ‘বরাত’ আরবি শব্দ, যার অর্থ মুক্তি। এভাবে শব-ই-বরাত অর্থ মুক্তির রাত। বাংলা ভাষায় বরাত শব্দটি ব্যবহৃত ও প্রচলিত যার অর্থ ভাগ্য, অদৃষ্ট। এ ক্ষেত্রে শব-ই-বরাত অর্থ হবে ভাগ্যরজনী। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানগণ বিভিন্ন কারণে এটি পালন করেন। তবে এক এক দেশে এই মহিমান্বিত রজনীর নাম আলাদা আলাদা। ইরান ও আফগানিস্তানে শবে বরাত নিসফে শাবান, মালয় ভাষাভাষীর কাছে নিসফু শাবান এবং আরবী ভাষাভাষীর কাছে এই বরকতময় রজনী নিসফ শাবান নামে পরিচিত। কোনো কোনো অঞ্চলে লাইলাতুল দোয়াও বলা হয়। আমাদের দেশে এই রাত ‘শবেবরাত’এবং লাইলাতুল বরাত নামে পরিচিত। হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন, (হযরত মুহাম্মদ ইবনে মাইসারা ইবনে আখফাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে) তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, শাবান মাস থেকে পরবর্তী শাবান মাস পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দেয়া হয়। এমনকি লোকেরা যে বিবাহ করবে, সেই বছর তার থেকে কত জন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার তালিকা এবং তার মৃত্যুর তালিকাও প্রস্তুত করা হয় ওই বছরের অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শবেবরাতে।

হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, (হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত) তিনি বলেন, "সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন শা’বানের পনের তারিখ রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন,কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।” “কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান করব।” “কোন মুছিবতগ্রস্থ ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব।” এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ্, মিশকাত) হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে-যারা ১৪ শাবান রজনীতে ইবাদত করবে তাদের জন্য মুক্তি। আর যে ব্যক্তি পরদিন রোজা পালন করবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।’ পবিত্র এ রজনীতে ফজিলত ও ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। নবী করিম (স) স্বয়ং এ রাতের অর্ধেক সিজদার মাধ্যমে অতিবাহিত করতেন। হাদিস শরীফে এ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) এসে নবী করিম (সঃ)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি উঠুন, নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এটি ১৪ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য একশ’টি রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। আপনি আপনার উম্মতদের জন্য দোয়া করুন। কিন্তু মাদকাসক্ত, নেশাখোর, সুদখোর, জাদুকর, গণক, কৃপণ, পিতা মাতার অবাধ্য ও দুঃখদানকারী, জেনাকারী ও হিংসা বিদ্বেষকারীদের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করবেন নাকারন এদের জন্য আল্লাহর শাস্তি নির্ধারিত আছে, এসব লোক তওবা করে নিজ নিজ বদ কার্যাবলি পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত এ রাতে ক্ষমা করবেন না।

কুরআন কারিমে শব-ই-বরাত সম্পর্কিত স্পষ্ট কোনো আয়াত পাওয়া যায় না গেলেও আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি বরকতময় রাতে। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এই রাতে হেকমতপূর্ণ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত করা হয়।’ (সুরা দুখান, আয়াত ২-৩) কোরআনের ব্যাখ্যাকারদের অনেকে আয়াতে উল্লিখিত ‘লাইল’ থেকে শবেকদর উদ্দেশ্য বললেও কয়েকজন ব্যাখ্যাকার এর অর্থ শবেবরাত বলেছেন। রাসূল (সাঃ) হাদিসে এবং প্রখ্যাত আলেম-ওলামা ও তাফসীরকারীগণ শবেবরাতের বহু তাৎপর্য এবং এই রাতের মহিমার কথা উল্লেখ করেছেন। এই রাত সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এরশাদ করেছেন, এই রাতে ইবাদতকারীদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবলমাত্র তারা ক্ষমার অযোগ্য যারা আল্লাহর সাথে শিরিককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী (মদ্যপানকারী), জিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারী। অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ‘জিব্রাইল (আঃ) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানিয়ে দিন, তারা যেন শবেবরাত রাতকে জীবিত রাখে।’ অর্থাৎ তারা যেন ইবাদতের মাঝে কাটিয়ে দেয়। রাসূল (সঃ.) আরেকটি হাদিসে বলেছেন, ‘এই রাতে আসমান থেকে ৭০ হাজার ফেরেশতা জমিনে এসে ঘুরে ফিরে ইবাদতকারীগণকে পরিদর্শন করেন এবং তাদের ইবাদতসমূহ দেখেন।’ অন্য হাদিসে এসছে, ‘যে ব্যক্তি শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতে ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।’

প্রসঙ্গত হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃনিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। যথাঃ (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।”। এ ছাড়াও সিয়াহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রাতের কথা ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, ঐ হাদিস মতে, এক রাতে আয়েশা [রাঃ] ঘুম থেকে উঠে পড়লেন কিন্তু হযরত মুহাম্মদ [সঃ] বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মহানবীকে [সঃ] খুঁজতে বের হলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দেখতে পেলেন। মহানবী [সঃ] বললেন, ১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং [আরবের] কালব্‌ উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন। উল্লেখ্য, সেসময় কালব্ গোত্র ছাগল পালনে প্রসিদ্ধ ছিল এবং তাদের প্রচুর ছাগল ছিল। এই হাদিসের নিচে ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন, "হযরত আবু বকরও [রাঃ] এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়। আমি (ইমাম তিরমিয়ী) শুনেছি ইমাম বুখারীকে [রঃ] বলতে এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের মাঝে একজন জায়েফ (দূর্বল বা কম গ্রহণযোগ্য) ছিলেন।" এর ভিত্তিতে বলা হয়, এই হাদিসটি সম্পুর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য না হলেও মিথ্যা নয়। এটি সত্য হবার সম্ভবনা আছে। ফিকাহ্‌ বিশারদদের মতে জায়েফ‌ হাদিস যদি কুর'আন পরিপন্থী না হয় তবে তা মানা যায়।

পবিত্র শবে বরাত পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করে পরবর্তী দিনে পবিত্র রোযা রেখে মহান আল্লাহ পাক তাঁহার ও তঁহার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জন করা। পবিত্র শবে বরাতে কোন কোন ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে তা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তাঁহাদের মধ্যে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। তবে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য তাকীদ ও নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে। যেমন-
১। পবিত্র শবে বরাতের নামায পড়বে। ৪, ৮, ১২ রাকায়াত। দুই দুই রাকায়াত করে।
২। পবিত্র ছলাতুত তাসবীহ এর নামায পড়বে, যার দ্বারা মানুষের গুনাহখাতা ক্ষমা হয়।
৩। পবিত্র তাহাজ্জুদের নামায পড়বে, যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক এর নৈকট্য হাছিল হয়।
৪। পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে, যার দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
৫। ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল, হযরত মুহাম্মদ [সঃ] এর খাছ সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
৬। যিকির-আযকার করা, যার দ্বারা দিল ইছলাহ হয়।
৭। কবরস্থান যিয়ারত করা, যার দ্বারা মৃত্যুর কথা স্মরণ হয় এবং পবিত্র সুন্নত আদায় হয়।
৮। গরিব-মিসকীনকে দান ছদকা করবে ও লোকজনদের খাদ্য খাওয়ানো।
সর্বোপরি পুরো রাত্রিই অতিবাহিত করতে হবে পবিত্র যিকির-ফিকির, তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে। যাতে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক হযরত মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। আর পবিত্র শবে বরাতে আল্লাহ পাকের পূর্ণ নিয়ামত লাভের জন্য সর্বোত্তম উসীলা বা মাধ্যম হযরত মুহাম্মদ [সঃ] আলাইহিস সালাম। তাঁর পবিত্রতম ছোহবত মুবারকে থেকে সারারাত্রি জাগরণ ও পবিত্র সুন্নত মুতাবিক মক্ববুল দোয়া, মক্ববুল মুনাজাত শরীফ তাঁর মধ্যে শরীক হওয়া, অতি উত্তম ও সহজ পদ্ধতিতে পবিত্র রাত্র ইবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করা এবং পরবর্তী দিনে রোযা রাখা। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ১৪ শাবানের রাতে নামাজ আদায় করে, তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং সদ্য প্রসূত নবজাত শিশুর মতো গুনাহ থেকে পবিত্র হবে। যে ব্যক্তি ১৫ শাবানের দিন রোজা রাখবে, সে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি পাবে। এ রাতের ইবাদতের কোনো সীমারেখা বা নির্ধাতির কোনো নিয়ম নেই। অন্যান্য নফল নামাজের মতো ২ রাকায়াত করে নফল নামাজের নিয়তে নামাজ আদায় করলেই শব-ই-বরাতের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। পুণ্যময় শবে বরাতের নামাজের সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন-হাদীস পাঠ ও বিভিন্ন রকম দোয়া-দুরুদ এবং তাসবিহ-তাহলিল ও জিকির করলেও যথেষ্ট নেকী পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কোরআন মজিদের অনেক সূরায় ঘোষণা করেছেন, ‘আমি সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রোতা এবং মহাপরাক্রমশালী। আবার বলেছেন, ‘আমি পরম দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।’ আল্লাহ পাক প্রতিনিয়ত আমাদের গোনাহ মাফ করে দিচ্ছেন। তবে যে গোনাহার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে আল্লাহর দরবারে মানুষ হিসেবে আমরা বুঝতেও পারছি না মহান আল্লাহ সেই অপরাধ মার্জনা করে দিয়েছেন। কিন্তু যে অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে বা হচ্ছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী যদি পুনরায় সেই অপরাধ কর্মটি করেন; তাহলে তার পূর্বের ক্ষমা তো বাতিল করাই হবে এবং এজন্য সেই ক্ষমা প্রার্থনাকারী ব্যক্তির গোনাহের পাল্লা আরও বেশি ভারী হবে। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে সেই ব্যক্তির ক্ষমা প্রার্থনার দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

মহা দয়ালু আল্লাহ তায়ালা নিজ বান্দাদের ওপর দয়া ও ক্ষমার কেবল অসিলা তালাশ করেন, যেকোনো পথেই হোক ক্ষমা করার বাহানা খোঁজেন। তাই দয়াময় আল্লাহ তায়ালা তাঁর গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য বিভিন্ন স্থান ও সময়-সুযোগ বাতলে দিয়েছেন, যাতে বান্দা নিজ কৃতকর্মে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায়, আর আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেবেন। তাই আসুন, এই বরকতময় রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমরা আমাদের গোনাহ মাফের সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাই। এই রাতে অনেকে আতশবাজি করেন। এটা অনুচিত কাজ। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি বেদআদ কাজ। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত করুন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সব মানুষের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করছি। সেই সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার/আপনাদের শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়ে তাদের সুপথে চালিত করুন। এই রাতে ঘুমিয়ে থাকা অনেক ফজিলতের তাদের জন্য যারা এই রাতে আল্লাহর নাফরমানি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ঘুষ দুর্নিতে লিপ্ত থাকেন। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে পবিত্র শবে বরাত যথাযথ আদায় করার তাওফীক দান করুন। বিশ্বের সকল মুসলিমের পবিত্র শবে বরাতে সকল নিয়ামত অর্জিত হোক এই কামনায়..আমীন!

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! যথার্থই পোষ্ট আজকের দিনে।নূর ভাই ভাল লাগলো।লাইকও দিয়েছি।


অনেক ভালো লাগা আপনাকে।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই
শবে বরাত বা শব-ই-বরাত একটি পূণ্যময় রাত। শাবান মাস থেকে পরবর্তী শাবান মাস পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দেয়া হয়। এমনকি লোকেরা যে বিবাহ করবে, সেই বছর তার থেকে কত জন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার তালিকা এবং তার মৃত্যুর তালিকাও প্রস্তুত করা হয় ওই বছরের অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শবেবরাতে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে শবে বরাত এর গুরুত্ব অনুধাবন করার তৌফিক দিন। আমিন

২| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সবাইকে শব-ই-বরাতের পূণ্যময় রজনীর শুভেচ্ছা। আপনাকেও।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শব ই বরাতের সকল কল্যাণ
আমাদের সবার জীবনে বয়ে
আনুক অনাবিল অপার্থিব আনন্দ।

৩| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: সকল মানুষের বরাত ভালো হোক অনাগত দিনগুলোতে।

বিদূরিত হোক যত সব অন্যায়-অনাচার...।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আখেনটেন
পুণ্যরাতের কল্যাণ
বর্ষিত হোক আমাদের
সকলের জী্বনে।

৪| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এই রাতের উছিলায় আল্লাহ মানুষের ইবাদত বন্দেগীকে কবুল করুণ।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহর দরবারে আমাদের সকলের
নেক আশা কবুল হোক। আমিন

৫| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন যে, আল্লাহ ক্ষমা করতে চান, কিন্তু মদাসক্ত, সুদখোর, যাদুকর, জেনাকারী, মাতা-পিতাকে যারা কষ্ট দেয়, নেশাখোর, হিংসুকদের তিনি ক্ষমা করবেন না; এটা কি লজিক্যাল? ক্ষমা কাদের দরকার? তা'হলে তিনি কাকে ক্ষমা করবেন, পীর, দরবেশ, হযরত, কামেলদের?

আপনি ভুল লিখেছেন? নাকি আপনি ভুল লোকদের লেখা থেকে লিখেন? ভেবে দেখেন, আপনার লেখায় কোন লজিক আছে?

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার বোঝার ভুল আছে,
কারন আপনি সবসময় তর্ক পছন্দ করেন।
মূর্খের সাথে তর্কে না যাওয়াও একটি ইবাদত।
আজ রাতে ঘুমিয়ে থাকাও একটি এবাদত তাদের জন্য
যারা বেদাত কাজে নিয়োজিত থাকে।

আপনাকে বুঝাতে গেলে আমার সময়ক্ষেপন হবে যার
কোন মূল্য নাই। এই সময়টুকু আমি অন্য কাজে ব্যায় করলে
আল্লাহ আমাকে কোন ছুতায় মাফ করে দিতে পারন।

আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলছি আজ পূণ্যময় রাতে যারা খাস দিলে
তওবা করে ওই সমস্ত (মাদকাসক্ত, সুদখোর, যাদুকর, জেনাকারী,
মাতা-পিতাকে যারা কষ্ট দেয়, নেশাখোর, হিংসুক) কাজ থেকে
ভবিষ্যতে বিরত থাকবে আল্লাহ তাদের মাফ করে দিবেন।
সোবহান আল্লাহ
বুঝলেন কিছু !! আপনার বোঝার কথা নয়,
দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে হেদায়েদ দান করুন।

৬| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

শামচুল হক বলেছেন: কেউ কয় পুণ্যের রাত কেউ কয় বেদাত - - -! এখন কোন দিকে যাই -- -

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যারা বলে বে'দাত তারা পূণ্য কররতে যানেনা,
যারা বলে পূণ্যময় রাত তারা সঠিক তবে
বে'দাত বর্জন করে পূণ্য হাসিলের তরিকা
জানতে হবে। আমার লেখাটি ভালো ভাবে
পড়ুন বুঝতে পারবেন কোন তরিকা বে'দাত
আর কোনটি সঠিক।

৭| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন যে, আমাদের নবী (স: ) যেন আল্লাহের কাছে মদাসক্ত, সুদখোর, যাদুকর, জেনাকারী, মাতা-পিতাকে যারা কষ্ট দেয়, নেশাখোর, হিংসুকদের হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা না করেন; এটা কি লজিক্যাল? তা'হলে আল্লাহ কাকে ক্ষমা করবেন, পীর, দরবেশ, হযরত, কামেল, ওলিদের?

আপনি ভুল লিখেছেন, সন্দেহ নেই! আপনাকে আপনার ভুলের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, আপনি দুনিয়ার ম্যাঁওপ্যাঁও শুরু করেন।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ইজ্জত যায় না মরলে
আর খাছলত যায়না ধুইলে।
আপনার খাছলত হারপিক দিয়ে ধু্ইলেও যাবেনা।
একজন সাহাবি বলেছিলেন,মূর্খের সাথে কখনো তর্ক করিও না কারন সে তোমাকে তার লেভেলে এনে তোমাকে হারিয়ে দিবে-যখনই কারো সাথে যুক্তিতর্ক করার সময় দেখবেন সে বারবার কথার প্রসংগ পাল্টাচ্ছে আর আপনাকে গালি-গালাজ ও অপমান করার চেষ্টা করছে তখনই ধরে নিবেন মূর্খ আপনার সামনে।-এবং আমি মনে করি মূর্খদের সাথে তর্ক করাটাই বড় মূর্খতামী।

আমি আমার লেখার ২য় প্যারার শেষে উল্লেখ করেছি,
"হাদিস শরীফে এ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) এসে নবী করিম (সঃ)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি উঠুন, নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এটি ১৪ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য একশ’টি রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। আপনি আপনার উম্মতদের জন্য দোয়া করুন। কিন্তু মাদকাসক্ত, নেশাখোর, সুদখোর, জাদুকর, গণক, কৃপণ, পিতা মাতার অবাধ্য ও দুঃখদানকারী, জেনাকারী ও হিংসা বিদ্বেষকারীদের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করবেন না। কারন এদের জন্য আল্লাহর শাস্তি নির্ধারিত আছে, এসব লোক তওবা করে নিজ নিজ বদ কার্যাবলি পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত এ রাতে ক্ষমা করবেন না।"
এখন এ রাতে যদি খাস দিলে তওবা করে ওই কাজ না করার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করে আল্লাহর কাছে মাফ চায় তবে কি তিনি তাকে মাফ করে দিবেন না?

এত মূর্খ্ কেন আপনি ?

৮| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে অভিনন্দন।

চাঁদগাজী ভাইয়ের ৭ নং মন্তব্যটি বেশ মজার।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীর গজর গজর শুধু এখানে না
সব যায়গায় ফোঁস ফোঁস, ছোঁবলে
বিষ না থাকলে যা হয়। ফোঁস ফোসানীই সার।
তিনি কোরআন হাদীসের ব্যাখ্যাকে ভুল বলার
ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।

৯| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের নবী(স: ) উনার সমস্ত উম্মত ও সমগ্র মানব সমাজের জন্য আল্লাহের কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন কিনা? এবং আল্লাহ কি বলেননি যে, আমাদের নবী উনার সবচেয়ে ঘনিষ্ট?

-আপনি নিজের মন গড়া কথা বলছেন। আপনি নবী(স: ) কি বলেছেন, সেটা বলুন, উনার সাহাবীদের কথা কম বলুন; উনার সাহাবীরা শিক্ষিত ছিলেন না, লিখতে পড়তে জানতেন না; সেসব লোক কি বলতে কি বলেছেন, বুঝা মুশকিল!

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি নবী (সঃ) বিশ্বাস করলে তাঁর সাহাবীদেরও
বিশ্বাস করতে হবে। তবে বিশ্বাস করা না করা
আপনার ব্যাপার। তাই বলে অবান্তর প্রশ্ন করে
মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। ইদুর ধরার মন্ত্র
পুঁজি করে সাপ ধরতে যাবেন না।

১০| ০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ধর্মীয় পোষ্টেও "ফুলেল শুভেচ্ছার" মত এটা সেটা যোগ করে দিয়ে কনফিউশানের সৃষ্টি করেন; প্রশ্ন করলে, ইঁদুর ধরার মন্ত্র যন্ত্র ইত্যাদি যোগ করে ম্যাঁওপ্যাঁও শুরু করেন।

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি ভালো দৌড়াতে পারেন বলেই
আমি আপনাকে তাড়িয়ে মজা পাই !!

১১| ০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাকে তাড়াতে মজা পেয়ে, ধর্মীয় ব্যাপারেও মজা যোগ করে দিলে সমস্যা হচ্ছে।

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবার সব কিছু বোঝার ক্ষমতা থাকেনা,
আপনার নাই, মেনে নিয়েছি।

১২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শবে বরাত নিয়ে লেখা ঠিক আছে।। অনেক জ্ঞান পাপী এসব নিয়ে ভুলভাল বকছে।।



#চাঁদগাজীর কি মাথায় সমস্যা আছে????

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্ডল ভাই
আমার যা বিশ্বাস তাই আমি আমার
লেখায় তুলে ধরেছি। অন্য কারো বিশ্বাসে
আঘাত দেবার জন্য নয়।
দূর্যনেরা বাহানা খোঁজে মানুষকে গোমরাহ
বানায়। আল্লাহ আমাদের গোমরাহী থেকে
দূরে রাখুন। আমিন।

অফটপিকঃ এই সমস্যা তার আজ থেকে নয়! পুরোনো ব্যামো!! ডাক্তার কবিরাজ ব্যার্থ !!!

১৩| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি যা বিশ্বাস করি, আপনি তা লিখেন না। আপনি যা বিশ্বাস করেন তাই লিখেন।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাউকে তোয়াজ করলেই শুধু তার বিশ্বাসকে লিখতে পারা যায়।
অন্য বিষয়ে তোয়াজ করলেও হাদিস-কোরান নিয়ে তোয়াজ করার
কোন সুযোগ নাই। আমি যা লিখেছি তা আমার বিশ্বাস, এখানে
তসলিমা নাসরিনের বিশ্বাসকে লিখে আমি গুনাহগগার হতে পারি কি?

১৪| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শবে-বরাতের রজনী নিয়ে যত ধরণের বিপরিতমুখী কথা হচ্ছে, এতেই বুঝা যাচ্ছে যে, ইসলাম সম্পর্কে ব্লগারদের ধারণা পুরোপুরি পরিস্কার নয়। আপনার কি অবস্হা, পরিস্কার?

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্লগারদের কথা ছেড়ে দিন, আপনি কি পরিস্কার !
আপনি এরাতে নামাজ পড়ার পক্ষে না বিপক্ষে ?
হালুয়া রুটির পক্ষে না বিপক্ষে?

১৫| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: শব-ই-বরাতের পূণ্যময় রজনীর শুভেচ্ছা।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সনেট কবি,
পূণ্যময় রজনীতে আপনার পরিবারের সবার
জন্য বরকত ও মুক্তির প্রার্থনা করছি।

১৬| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

দারুন পোষ্টে ভাললাগা +++

কালকে এরকম এক চাঁদগাজী টাইপ পেয়েছিলাম পথে- এক মুরুব্বীকে থামিয়ে যাচ্ছে তাই ভাব মারা ডায়ালগ দিচ্ছে!
পরে বল্লাম আপনার জানাটা অর্ধেক সত্য! পুরো নয়!
একটু আলাপে বুঝলাম পুরাই সেই টাইপ! মূর্খের সাথে তর্ক করতে টাইপ সত্যে
আপনার মতো হারপিক ধৌলাই দিতে পারি নাই ;) মুরুব্বীকে সরিয়ে নিজেও সরে এসেছী!
মূর্খকে তার মূর্খতায় আরো ডুবতে ছেড়ে দিয়ে।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু'দা
অনেক দিন পরে আপনার মন্তব্য পেয়ে
খুশী হলাম।
বাহানা বাজদের সম্পর্কে একটি উক্তিঃ
পবিত্র কোর আনে সুরা আন নিসার
৪৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা,
এখন যদি কেই এই আয়াত শুনেই নামাজ ছেড়ে দেয় তা হলে তাকে জ্ঞানপাপীই বলতে হবে কারন
তিনি পরবর্তী আয়াত সম্পর্কে জেনে বা না জেনে বাহানা খুঁজলেন নামাজ না পড়ার জন্য।
ওই একই আয়াতের পরবর্তী অংশে বলা হয়েছেঃ
"তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক",

গাজীমিয়া হলো ক্যাচাল টাইপের বাহানা বাজ!
সবকিছুতে ক্যাচাল লাগাইয়া ঘোলা পানিতে মাছ শিকার
করতে ওস্তাদ !

১৭| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

অদৃশ্য বালক বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর আলোচনার জন্য। তবে যারা জ্ঞানপাপী (চাঁদগাজী লেভেলের লোক) তাদের বিষয়ে কিছু বলার নেই। আবার দুঃখ লাগে যখন দেখি কিছু কিছু নামধারী মুসলমানও উল্টা পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ইদানিং কালে সবচাইতে ভায়বহ বিষয় মনে হচ্ছে ল-মাজহাব বা আহলে হাদিস দলের বিষয়গুলো। তারা ইন্টারনের এমন এমন সব ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে যা দেখে সাধারণ মুসলমানগণ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। এবং এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে কারণ মানুষ এখন কোন কিছু জানতে চাইলে একজন হাক্কানি আলেমের কাছে যাওয়ার চাইতে ইন্টারনেটে খোঁজে। আর সেখানেই ল-মাজহাব বা আহলে হাদিস দলের লোকজন বিভ্রান্তিরক ভিডিও দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজন করুন, আমিন।

বরাত নিয়ে লা-মাজহাবিদের বিভ্রান্তির অনেক যথাযথ উত্তর এখানে দেয়া আছে।

https://www.youtube.com/watch?v=THxSxDx4q3k

০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য বালক
খুব ভালো লাগলো আপনার নাতিদীর্ঘ মন্তব্য।
ফেৎনা জামানায় আমরা যেন কারো দ্বারা
বিভ্রান্ত না হয়ে ঈমান নিয়ে পরকালের
জন্য কিছু অর্জন করতে পারি সে বিষয়ের
দিকে খেয়াল দিতে হবে।
ইন্টারনেটে অনেক আজগুবি কথা ও ছবির
সমারোহ আছে যা দেখলে কোমলমতিরা
বিভ্রান্ত হতে পারে। তাই তা দেখা থেকে
বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ভালো থাকবেন, জ্ঞানপাপীদের কাছ থেকে
দূরে থাকবেন। আমিন

১৮| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: একটু দেরিতে হলেও পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
দেরীতে হলেও লেখাটি পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.