নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর-মীনা দিবসঃ মীনা দিবসে মীনার পক্ষ হতে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭


আজ ২৪ সেপ্টেম্বর-মীনা দিবসঃ মীনাকে তো আমরা সবাই চিনি। মীনা একটি প্রতিকী চরিত্র। এই চরিত্রের মাধ্যমে শিশুদের আধিকার, শিক্ষা, সাংস্কৃতি, বিনোদন, শারীরিক ও মানসিক ভাবে বেড়ে ওঠার চিত্র ফুটে উঠে। মীনা কার্টুনে একটি পরিবারের কাহিনী ফুটে উঠেছে। সেখানে মীনা সময়মত স্কুলে যায়, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে, পরিবারের বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করে,অন্যের বিপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। আমাদের প্রিয় সেই মীনার টিয়া পাখি মিঠু আর ছোট ভাই এর নাম রাজু। সে কিন্তু গ্রামের মেয়ে। ছোট ভাই রাজু ছাড়াও তার পরিবারে আছে বাবা-মা, বোন আর দাদী। আদরের টিয়া পাখি মিঠু সারাক্ষণ মিনার সঙ্গেই থাকে। কার্টুনটি আমাদের অনেকেরই প্রিয় কারণ এখানে মীনার অনেক বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতা আমরা দেখেছি। সবার জন্য ভালো কিছু করতে মীনা সবার আগেই থাকে। সবসময়ই তার আগ্রহ, কিসে এলাকার মানুষের উপকার হয়। কিভাবে বুদ্ধি করে সে চোর ধরেছিলো তা তো আমরা দেখেছি। এতে অবশ্য এটাও বোঝানো হয়েছে যে শিক্ষা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কি তাই, মীনা তার বাবাকে ঠকে যাবার হাত থেকেও বাঁচিয়েছিলো। এজন্যই মীনা কার্টুন সারা পৃথিবী জুড়েই ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক অধিসংস্থা ইউনিসেফ-এর আহ্বানে প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস পালিত হয়ে থাকে। এজন্য বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মিনার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। মিড ডে মিলের থিম নিয়ে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘মায়ের দেওয়া খাবার খাই, মনের আনন্দে স্কুলে যাই। মীনা দিবসে বিশ্বের সব শিশুদের সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক-–এই প্রত্যাশা আমাদের।

বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশসমূহে দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিশেষ দিনটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও উৎসব উদযাপন করা হয়। এই কর্মসূচিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সার্ক প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দিনটিকে মীনা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত তার ফলশ্রুতিতে গ্রামাঞ্চলের শিশুরা অনেক এগিয়ে গেছে বিগত দিন গুলো থেকে। তাই প্রতি বৎসর এ দিনটি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের শিশুরা উৎসব ও প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে আজ পালিত হচ্ছে মীনা দিবস। শিশুদের বিদ্যালয়ে লেখা পড়ার সাথে সাথে তাদের অন্যান্য ভাল অভ্যাস যেমন চিত্রাঙ্কন, নাচ গান, খেলা ,সাস্থ্য সচেতন ও তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য জাতিসংঘ আমাদের দেশের শিশু দের উদ্বুদ্ধ করে আসছে।

পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ার আর্থসামাজিক অবস্থা খুবই নাজুক। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এই সমাজে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্থ মেয়েরা। কিছু কিছু দক্ষিণ এশীয় দেশে মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার ছেলেদের তুলনায় ৫০% বেশী কম। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পুষ্টির মাত্রাও কম। মেয়েদের সমস্যার প্রতি মনোযোগের সঙ্গে গুরুত্ব প্রদান ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উপলব্দি থেকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা পরিষদ ১৯৯০ দশককে কন্যা শিশু দশক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই ঘোষণার আলোকে দক্ষিণ এশিয়ার ইউনিসেফ এবং তাঁর সহযোগীদের মিলিত উদ্যোগে মীনা কার্টুন, কমিক বই ও শিক্ষা উপকরণ তৈরি করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে মেয়ে শিশুর সম অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মেয়ে শিশু ইস্যু আরও জোরদার করে তোলার প্রতীক হিসেবে মীনা চরিত্রটিকে বেছে নেয়া হয়। মীনা প্রতিকটা সমাজ সংস্কারক এক কন্যাশিশু। সমাজের নানা সব কাজে মীনার পদচারণা চোখে পড়ার মতো। গ্রামে সেনিটারী পায়খানা ব্যবহার, টয়লেটের পর সাবান ব্যবহার, বাল্যবিবাহ রোধ, শিশুদের সমান অধিকার, এবং সব শিশুদেও বাধ্যতামূলক শিক্ষা এসবের প্রকাশ এই মীনা কাটুন এ। উল্লেখ্য বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে মিনা কার্টুন দেখানো শুরু হয়েছিলো। তারপর থেকে বাংলাদেশের ছেলেবুড়ো প্রত্যেকের কাছেই মিনা দারুণ জনপ্রিয়।

আজ মিনা দিবসে মিনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কোন শিশুকেই অবহেলা না করে শিশুরা যেন ভবিষ্যতে সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যেই সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা দেশ ও জাতী হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াঁতে পারবো। মীনা দিবসে মীনার পক্ষ হতে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।[/sb

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: শিশুদের ভালোবাসি বেড়ে উঠার সুজোগ দেই

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১০

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: শিশুদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে মিনা কার্টুন জড়িয়ে থাক আর বিদেশি উদ্ভট সব কার্টুন প্রচার বন্ধ হোক।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুবই সুন্দর পোষ্ট।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: মীনা কার্টুন আমি এখনও মুগ্ধ হয়ে দেখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.