নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথিতযশা আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদারের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৮


বাংলাদেশের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী প্রথিতযশা আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদার। যাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ। মানুষের চোখের তারায় হরহামেশাই বন্দি হয় নানান রকম দৃশ্য। আবার তা মুছেও যায়। তবে এমন কিছু দৃশ্য বা প্রিয় মানুষের মুখ আছে যা ব্যক্তির হৃদয়কে আলোড়িত করে। ছবি যেমন ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সংরক্ষণ করে তেমনি মানুষের আবেগ অনুভূতিও জাগ্রত করে। এমন কি মানুষের চিন্তা চেতনা, বোধবুদ্ধিকেও পাল্টে দিতে পারে ৷তবে এমন কোন বস্তু, ঘটনা বা কাহিনী যা ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বা মানবীয় অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এমন ছবি ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য চাই অনুসন্ধিত্সু, সৌন্দর্যপিপাসু ও সৃজনশীল চোখ। ক্যামেরার পেছনে থেকেএমনই এক অনুভূতিশীল শিল্পী যে দিনের পর দিন জাতির জন্য মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন নিরবধি তিনি বাংলাদেশের প্রথিতযশা ও জনপ্রিয় আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদার। তাঁর কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তুলেছেন দেশের জন্য। তারাও যোদ্ধা, ক্যামেরাযোদ্ধা। এমনই একজন যোদ্ধা রশিদ তালুকদার। আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদারের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালে যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্ত ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন কিছু মানুষ। জীবন বাজি রেখে তোলা তাঁদের সেইসব ছবি দিয়ে আজ আমরা ’৭১-কে দেখি, স্মরণ করি। যাদের ত্যাগে আজও ’৭১ জীবন্ত। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তুলেছেন দেশের জন্য। তারাও যোদ্ধা, ক্যামেরাযোদ্ধা। এমন একজন যোদ্ধা রশিদ তালুকদার। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই আলোকচিত্র শিল্পীর আজ ৭৯তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৯ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথিতযশা আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদারের জন্ম দিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

(তরুণ বয়সে রশীদ তালুকদার)
আলোকচিত্র শিল্পী রশীদ তালুকদার ১৯৩৯ সালের ২৪শে অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের চব্বিশ পরগণায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবদুল করিম তালুকদার ছিলেন চাকুরীজীবি এবং মা রহিমা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। বাবা স্টেশন মাস্টার হওয়ায় পৈত্রিক ভিটা মাদারীপুরের কালকীনি থানার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের পরিবর্তে তাঁর জন্ম হয় চব্বিশ পরগণায়। বাবার চাকুরীগত কারণে তিনি বিভিন্ন জায়গায় লেখাপড়া করতে বাধ্য হন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন 'এম ই প্রাথমিক বিদ্যালয়', 'টাওয়ার এম ই প্রাথমিক বিদ্যালয়' এবং 'মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের' সাথে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন - রাজশাহীর 'লোকনাথ হাই স্কুল', 'কক্সবাজার হাই স্কুল' এবং 'রাজা হাই স্কুলে'। ১৯৫৪ সালে তিনি কঙ্বাজার হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা দেন কিন্তু তিনি অকৃতকার্য হন। এর পরে তিনি আবার সিলেটের রাজা হাই স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঐ স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা দেন। শুধু অংকে পাশ মার্কস না থাকায় তিনি কম্পারমেন্টাল চান্স্ পান। এরপর শুধু অংক পরীক্ষা দিয়ে তিনি তৃতীয় বিভাগ নিয়ে মেট্রিক পাশ করেন। মেট্রিক পাশের পর সিলেট থেকে পালিয়ে, কাউকে কিছু না বলে তিনি খুলনায় পরিবারের সাথে মিলিত হন। ১৯৫৭ সালে তাঁর বাবা আবার বদলী হয়ে খুলনা থেকে রাজশাহী চলে আসেন। পড়াশুনার পাট চুকিয়ে পেশা হিসেবে ফটো সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছিলেন রশীদ তালুকদার। রশীদ তালুকদারের ডাক নাম কাঞ্চন এবং সহকর্মীদের কাছে তিনি 'রশীদ ভাই' নামে পরিচিত ছিলেন। যৌবনে রাজশাহীতে পরিচিত ছিলেন 'প্রিন্স রশীদ' নামে। ক্যামেরার ফ্রেমে তিনি বন্দি করেছেন অনেক ইতিহাস, বাস্তবতা, মানবতা। ছবি দিয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন অনেক সত্যকে। তাঁর ছবি বলেছে অনেক নির্যাতিতদের অব্যক্ত কথা।

(নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আহসান-এর সাথে রশীদ তালুকদার)
কর্মজী্বনে ১৯৫৯ সালে ফটো টেকনিশিয়ান হিসেবে পিআইডি বা প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্টে ৮০ টাকা বেতনে যোগ দেন। এর পর ১৯৬২ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় ফটো সাংবাদিক বা আলোকচিত্রী হিসেবে যোগদান করেন। ফটো সাংবাদিক হিসেবে তাঁকে জীবনের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টটি দিয়েছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি শহীদুল্লাহ কায়সার। ১৯৭১ সালে পেশাগত জীবন থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মিশে যান তিনি। নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে শুরু করেন বীরসেনানীদেরকে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে রশীদ তালুকদার দৈনিক সংবাদ থেকে চলে এসে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। সেখানে তাঁর সহকর্মী হিসেবে ছিলেন ইত্তেফাকের সাবেক সম্পাদক রাহাত খান। দৈনিক ইত্তেফাকে তিনি একাধারে ২৯ বছর চাকরি করে ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, রশীদ তালুকদার ছিলেন বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি হালিমা রশীদকে (বিবাহ-পূর্ব: হালিমা খাতুন) বিয়ে করেন। উল্লেখ্য তাঁর স্ত্রী হালিমা রশীদ ২০০৮ সালের ২৩ মে মৃত্যুবরণ করেন।

('৬৫র গণ অভ্যুত্থানের এই ছবিটা তুলে অমর হয়ে আছেন চিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদার)
বীর বাঙালীদের স্বাধিকারের দাবিতে স্বাধীনতা-পূর্ব ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের স্থিরচিত্র ধারণ করে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন রশীদ তালুকদার। আমাদের অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় মিছিলে শ্লোগানরত নিহত টোকাই’এর ছবিটি। গণঅভ্যুত্থানের শেষ মিছিল ছিল এটি। আইয়ু্ব খানের ছবিতে জুতার মালা পড়িয়ে ছাত্র ইউনিয়নের এই মিছিলটি যখন শিক্ষা ভবনের মোড়ে এসে পৌঁছায় তখন রশীদ তালুকদারের চোখ আটকে যায় এই শীর্ণ টোকাই’এর উপর। টোকাইটির চোখের ও মুখের প্রতিবাদী ভাষা সারা দেশের নিপীড়নের কথা মনে করিয়ে দেয়, অন্যকে প্রতিবাদ করতে আহবান জানায় এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডাক দেয়। এ ধরণের আহবান শাসকগোষ্ঠীর কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করে তিনি পিছন ফিরে ঘুরে দাঁড়াতেই শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ইপিআর কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়ে ছেলেটি নিহত হয়। কিন্তু তাঁর ক্যামেরার ফ্রেমে সেই সময়ের নির্ভীক সাহসী প্রতিবাদ জীবন্ত হয়ে আছে, থাকবে। ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনে শহীদ আসাদের মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন রশীদ তালুকদার। তাঁর ক্যামেরায় স্থিরচিত্র হিসেবে ফুঁটে উঠেছিল ছাত্র-জনতার দীর্ঘ মিছিলসহ আসাদের শার্টের ছবি। ক্যামেরার ফ্রেমে তিনি বন্দি করেছেন অনেক ইতিহাস, বাস্তবতা, মানবতা।

(জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাথে রশীদ তালুকদার)
বাংলাদেশের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে রশীদ তালুকদারের আলোকচিত্র। বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব - মাদার তেরেসা, মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম, বুদ্ধিজীবিদের লাশ উত্তোলনের স্থিরচিত্র ধারণ করে রশীদ তালুকদার স্মরণীয় হয়ে আছেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বিশাল সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর আঙুল উঁচিয়ে ভাষণ দানের মুহুর্তটিও তিনি অসাধারণ দক্ষতায় ক্যামেরায় বন্দি করে ফেলেন। বঙ্গবন্ধুর ছবিটি তাঁর তেজোদীপ্ত আত্মপ্রত্যয়, দৃঢ় অবস্থান, কঠিন সংগ্রামের শপথকে যেন প্রকাশ করছে৷ স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি এ ছবির মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়। ক্যামেরার পেছনে থেকে যে মানুষটি দিনের পর দিন জাতির জন্য মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন নিরবধি। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনকেও ক্যামেরায় ধারণ করেন রশীদ তালুকদার। পরবর্তীতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে বুদ্ধিজীবীদের লাশ উত্তোলনের ছবিও তিনিই ধারণ করেন। আলোক চিত্রকলায় অসামান্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণপদকসহ প্রায় ৭৭টি পুরস্কার লাভ করেন রশীদ তালুকদার। তন্মধ্যে ১। ২০০৬ সালে তাঁকে 'ছবি মেলা আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ২। ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি'র পক্ষ থেকে ‘পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড’৩। জাতিসংঘ কর্তৃক ‘নিরাশ্রয়ের জন্য আশ্রয়’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় একত্রে ৬টি পুরস্কার ৪। জাপান ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও আসাহি সিমবুন পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পরপর দুইবার পুরস্কৃত হওয়া অন্যতম।

বহু ঘটনার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী রশীদ তালুকদার মাথায় আঘাতজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ৭২ বছর বয়সে ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। অক্টোবরের ২৪ তারিখ জন্ম নেয়া চিত্রশিল্পীর জীবনবসান ঘটে ৭২ বছরের ব্যবধানে ২৫ অক্টোবর। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে - মিজানুর রশীদ এবং দুই মেয়ে - শাহানা চৌধুরী ও সোনিয়া রশীদকে রেখে যান। ১৯৫৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাঁর এই দীর্ঘ কর্ম জীবনে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের সমৃদ্ধশালী ফটো ডকুমেন্টেশন তাঁর মত এমন আর কারো নেই। কিন্তু এই বিপুল ভান্ডারের যথাযথ সংগ্রহ ও যত্ন না থাকায় অনেক দুর্লভ আলোকচিত্র হারিয়ে আমরা শূন্য হয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে সকলের আরও বেশি মনোযোগী ও সচেতন হওয়া উচিত। কালের স্বাক্ষী জনপ্রিয় এবং কিংবদন্তি এই আলোকচিত্র শিল্পীর ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২০

বিজন রয় বলেছেন: রশীদ তালুকদারের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা
ইনি বাংলাদেশে বড় ইতিহাস।

শুভসকাল নূরু ভাই।

রফিক কেমন আছে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিজন'দা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই তার সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশের বিরাট ইতিহাস।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদার এর জন্য শুভকামনা ও শ্রদ্ধান্জলী
.......................................................................................

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদারের
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা
জনানানোর জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

সাগর শরীফ বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শরীফ ভাই
শিল্পকে জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানানোর
জন্য।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট আলোকচিত্রী।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সত্যিই তাই
রাজীব ভাই

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক কাছের থেকে দেখা আমার অনেক অনেক প্রিয় একজন মানুষ -অসম্ভব ভালো মনের মানুষ।
কিন্তু আপনারা উনাকে আলোকচিত্র শিল্পী বলেছেন কেন ? উনিতো শুধু ফটোই তুলতেনা না ! ফটো তুলি আমরা।উনার ক্যামেরায় জীবনের গল্পগুলোই ধরা পরতো অসমম্ভব মায়া মমতায়। ক্যামেরা উনার হাতে সব সময় শিল্পীর তুলি হয়ে যেত। ঊনসত্তরের গণ আন্দোলন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড়, ১৯৭৪ -এর দুর্ভিক্ষ আমাদের এই সব কঠিনগুলো তার ফটোতেই সবচেয়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে । আমাদের সময়ের ফটোগ্রাফির ভ্যান গগ হলেন রশীদ তালুকদার। ফটোগ্রাফির জন্য উনার ভালোবাসা, চিন্তা ভাবনা আমি খুব কাছে থেকেই দেখেছি।এ'রকম আরেকজন ফটোগ্রাফার পেতে বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সাংবাদিকতার সর্বোপরি দেশের কত দিন যে অপেক্ষা করতে হয় কে জানে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.