নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের নন্দিত উপস্থাপক ফজলে লোহানীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৭


সাংবাদিক, লেখক, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ফজলে লোহানী। সাংবাদিক-সাহিত্যিক-চলচ্চিত্র প্রযোজকের পরিচয় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল তার উপস্থাপিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের আড়ালে। বাংলাদেশের টেলিভিশনের প্রথম জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান যদি কিছু মনে না করেন এর সফল উপস্থাপক তিনি। বলা হয়ে থাকে টিভি মিডিয়ার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের জনক তিনি। কথা বলার অসাধারণ অঙ্গভঙ্গি আর অভিব্যক্তি তাকে অসাধরণ করে তুলেছিলো। মিডিয়ায় তার গড়ে তোলা ট্রেন্ডের মাঝে আজও ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সব ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। আজ ৩০ অক্টোবর বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৫ সালের আজকের দিনে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানী ১৯২৮ সালের ১২মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার কাউলিয়া গ্রামে এক শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবু লোহানী ছিলেন সেই সময়ের সুপরিচিত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক এবং মা ফাতেমা লোহানী ছিলেন কলকাতা করপোরেশন স্কুলের শিক্ষিকা। ফজলে লোহানী সিরাজগঞ্জ বিএল স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি সমমনা কয়েকজনের সাথে ঢাকা থেকে সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের সাথে যুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এমএসসিতে ভর্তি হন ফজলে লোহানী তবে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেননি তিনি। এরপর ১৯৪৯ সালে তাঁর সম্পাদনায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় উন্নতমানের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা ‘অগ্যতা’। পঞ্চাশের দশকে তিনি ইংল্যান্ডে যান এবং বিবিসিতে কাজ করেন। লেখক হিসেবেও তিনি যথেস্ট খ্যাতিমান ছিলেন। ষাটের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশে ফিরে এসে ফজলে লোহানী সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। এ সময় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং মওলানা ভাসানীর সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লেখক হিসেবেও তিনি অনেক সুনামের অধিকারী ছিলেন। সর্বশেষ ফজলে লোহানী 'পেনশন' নামে একটি সৃজনশীল চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

১৯৭৭-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে টেলিভিশনে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান যদি কিছু মনে না করেন উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন। এই অনুষ্ঠানে শেষ অংশে থাকতো একটি করে টিভি রিপোর্টিং। আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে টিভি রিপোর্টিং এর প্রবর্তন ঘটানোর মতো যুগান্তকারী কাজ তিনি করেছেন। বিশ্বখ্যাত টিভি রিপোর্টারদের মতোই গভীর অভিব্যক্তি নিয়ে হৃদয়ছোঁয়া ভঙ্গিমায় তার করা টিভি রিপোর্টিং মানুষকে কখনো হাসাতো, কাঁদাতো, কখনোবা করে তুলতো বেদনা ভারাক্রান্ত কিংবা ক্ষুব্ধ। ফজলে লোহানীর এই টিভি রিপোর্টিং দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ টিভি দর্শক বিপুল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতো। অনুষ্ঠানটি ১৯৭৯ সালে থেকে তার মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। প্রসঙ্গতঃ তার বড় ভাই ফতেহ লোহানীও ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা, আবৃত্তিকার, চিত্রপরিচালক, সাহিত্যিক, অনুবাদক ও বেতার ব্যক্তিত্ব। ফজলে লোহানী ১৯৮৫ সালের ৩০ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছর বয়সে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর ৩৩তম মৃত্যুদিন। যদি কিছু মনেনা করেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের জনক ফজলে লোহানীর মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

আহলান বলেছেন: লোকটি আসলেই সেই রকম ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আহলান
সুন্দর প্রার্থনার জন্য।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লোক ছিলেন। আধুনিক ছিলেন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই
মন্তব্য প্রদানের জন্য।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: উনি চিরঅমর হয়ে থাকবেন।

রাজীণ নুর , আপনি কি তাকে দেখেছিলেন?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই ধন্যবাদ
তিনি অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন
আমাদের মাঝে আজীবন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.