নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলচ্চিত্র-জগতে খ্যাতনামা গায়ক নায়ক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়ের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩


গায়ক-অভিনেতা শ্রী অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়। টালীগঞ্জের নিউ থিয়েটার্স-এর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং সেখান থেকেই সুনাম কুড়িয়েছিলেন। সুন্দর কন্ঠের জন্য মাঝে মাঝে জলসাতে গানের সুযোগ পেতেন, দেখতেও ছিলেন সুপুরুষ। শ্রী রামকৃষ্ণের মাহাত্ব প্রচারের জন্য"রঙ্গরস" নাম এক নাটক গোষ্ঠীর স্থাপনাও অসিত করেছিলেন, সমবেত কীর্তন গানের আসরও বসাতেন। এক জলসায় শ্রী পাহাড়ী সান্যাল অসিতের গান শুনে তাকে নিউ থিয়েটার্স-এ নিয়ে আসেন। বাংলা ছবি "প্রতিশ্রুতি" (১৯৪১) ও তার হিন্দী "সৌগন্ধ" ছবিতে সুযোগ পেয়ে গেলেন নায়কের চরিত্রে অভিনয় করার। অভিনয় বা গান, দুটোতেই প্রথম সারিতে ছিলেন অসিত। একক ছাড়াও দ্বৈত গেয়েছেন কানন দেবী, বেলা মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী রায়, শান্তি, ভারতী দেবী ও ইলা ঘোষের সাথে তেমনি আবার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তখনকার নাম করা নায়িকা শ্যামা ("সুহাগ সিন্দুর"), ভারতী দেবী ("মনজুর"), মীনা কুমারী ("পরিণীতা"), সুচিত্রা সেন ("স্মৃতিটুকু থাক") ইত্যাদির সাথে।

নিউ থিয়েটার্স ছেড়ে অসিত বম্বে যান ১৯৫২ তে, "সুহাগ সিন্দুর"-এ অভিনয় করার জন্য । কিন্তু গান গাওয়ায় অসুবিধার জন্য অসিতকে নেপথ্য গায়কের সাহায্য নিতে হয়। বিমল রায়ের "পরিণীতা"(১৯৫৩) ছবিতে যেমন সংবেদনশীল অভিনয় করেছিলেন, তেমনই গেয়েছিলেন গান। সেই ছিল অসিতের শেষ হিন্দী ছায়াছবি -- কেননা, ততদিনে নেপথ্য শিল্পীরা (রফী-মুকেশ-তালাত ইত্যাদি) আসরে নেমে পড়েছেন, গায়ক-অভিনেতাদের গানের জায়গা দখল করতে। পরের বছরগুলিতে ব্যস্ত ছিলেন বাংলা ছায়াছবির অভিনয়ে (শুরুতে নায়ক, পরে পার্শ অভিনেতা হিসেবে), সে তালিকাও সংক্ষিপ্ত না। "প্রত্যাবর্তন" (১৯৫১), “বন্ধু” (১৯৫৮), “নার্স সিসি” (১৯৪৭)”কার পাপে” (১৯৫২), "অর্ধাঙ্গিনী" (১৯৫৫), "তাপসী (১৯৫৭), "নতুন প্রভাত" (১৯৫৭), “স্মৃতিটুকু থাক” (১৯৫৯), "বধূ" (১৯৬২), “এন্টনি ফিরিঙ্গী” (১৯৬৭) , "ছিন্নপত্র" (১৯৭১), ” শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত” (১৯৮২) ইত্যাদি। "প্রতিশ্রুতি" (১৯৪১) ছায়াছবিতে যেমন অভিনেতা-গায়ক ছিলেন (রাইচাঁদ বড়াল সুরকার ছিলেন), তেমনি "নিষিদ্ধ ফল"(১৯৫৫) এবং "জয়দেব"(১৯৫৪) ছায়াছবিতে অভিনয় ও গান, দুটোই করেছিলেন (নচিকেতা ঘোষের সুরে) । আজ এই নায়ক, গায়কের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৪ সালের আজকের দিনে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। চলচ্চিত্ৰ-জগতে খ্যাতনামা গায়ক নায়ক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শ্রী অসিতবরণ ১৯১৩ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিম বাংলার কলকাতার এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ফিল্ম জগতে তার ডাকনাম ছিল ‘কালোদা’। একসময় তবলাবাদক হিসাবে কলিকাতা বেতারে এবং পরে গ্রামোফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। নিখিল ভারত সঙ্গীত সম্মেলনে তার তবলা-বাজনা শুনে পাহাড়ী সান্যাল তার সঙ্গে আলাপ করে তাকে নিউ থিয়েটার্সে নিয়ে আসেন অভিনয়ের জন্য। তার আগেই তবলা-বাজনা নিয়ে চিত্রজগতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল। প্রথম নায়ক হিসাবে অভিনয় করেন ‘কাশীনাথ’ ছবিতে। হিন্দী ‘পরিণীতা’ ছবি থেকে নায়ক হিসাবে তিনি সর্বভারতীয় স্বীকৃতি পান, আর সারা ভারতে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ‘ওয়াপস’ ছবি থেকে। ওই ছবিতে তার গাওয়া ‘হাম কোচোয়ান, হাম কোচোয়ান’ গানটি তাকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দেয়। প্ৰায় শাখানেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। মঞ্চাভিনেতা হিসাবেও খ্যাতি ছিল। ‘রসরঙ্গ’ নামে একটি দল তৈরি করেছিলেন। এই দলের মাধ্যমে তিনি ঠাকুরের কথকতা পরিবেশন করতেন। মাত্র চার বছরের মধ্যে পর পর তিনটি সুপারহিট ছবিতে অসাধারণ গান গেয়ে শ্ৰোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করার বিরল নজির তিনি স্থাপন করেছিলেন। আজ এই নায়ক, গায়কের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৪ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। চলচ্চিত্ৰ-জগতে খ্যাতনামা গায়ক নায়ক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো এই ভদ্রলোকের কোনো মুভি দেখি নি ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তার অভিনীত ছবির তালিকা দেওয়া আছে।
সময় সুযোগ করে দেখে নিবেন।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গায়ক নায়ক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়ের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খ্যাতনামা গায়ক নায়ক
অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়ের
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিবেদনের জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ হেনা ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.