নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্রাভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক,সংলাপ রচয়িতা, কাহিনীকার চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক আতাউর রহমান খান। যিনি তিনি খান আতা নামে বহুল পরিচিত। তার মা তাকে আদর করে ডাকতেন "তারা"। খান আতা নামে পরিচিত এই গুণীজন বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, যার মধ্যে ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'জীবন থেকে নেয়া' উল্ল্যেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অবদান। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধক গান লিখেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করে সাহায্য করেন। এছাড়া তার চলচ্চিত্র ও গানে দেশ ও মানবতার কথা বারে বারে উঠে এসেছে। জীবন থেকে নেয়া ছবিতে তার গাওয়া "এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে", বাঙ্গালি জাতিকে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়বার মানসিক শক্তি যুগিয়েছিল। ১৯৩৭ সালে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ঢাকা জিলা সংগীত প্রতিযোগীতায় খান আতা 'মন পবনের ডিঙ্গা বাইয়া' গান গেয়ে প্রথম স্থান দখল করেন। বহুমূখী প্রতিভাধর প্রখ্যাত গায়ক, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক খান আতাউর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯৯৭ সালের আজকের দিনে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রথিতযশা অভিনেতা, গীতিকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
খান আতাউর রহমান ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা রামকান্তপুর গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম জিয়ারত হোসেন খান এবং মায়ের নাম যোহরা খাতুন। খান আতার মা তাকে আদর করে ডাকতেন "তারা"। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন খান আতা। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে তিনি আইএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। এসময় তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনে তিনি পরিবারের এক সদস্যের চোখে পড়ে গেলে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পরেই মেডিকেল ছেড়ে চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এবারো তার বোহেমিয়ান স্বভাবের কারণে তিনি সেখানে থাকলেন না। এ বছরেই তিনি লন্ডনে ফটোগ্রাফি বিষয়ক একটি বৃত্তি লাভ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি সেখানে যাননি। ১৯৪৯ সালে আবার তিনি বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। এবারো উদ্দেশ্য ছিল একই। এবার তিনি প্রথমে মুম্বাই যান। মুম্বাই গিয়ে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন, চলচ্চিত্র জগতের আনাচে কানাচে গিয়েছেন। এসময় তিনি জ্যোতি স্টুডিওতে ক্যামেরাম্যান জাল ইরানির শিক্ষানবিশ হেসেব কিছুদিন কাজ করেন। বিএসসি পরীক্ষা না দিয়েই ১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে চলে আসেন করাচী। করাচী এসে তিনি রেডিও পাকিস্তান এ সংবাদপত্র পাঠক হিসেবে যোগ দেন।
এ সময় খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গসঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ জহুরী খানের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন খান আতা। ১৯৫৩ সালে ভর্তি হন সিটি লিটারারি ইনস্টিটিউটের নাট্যকলা বিভাগে। একই বছর লন্ডনের পাকিস্তান স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। এখানেই আরেকজন প্রতিভাবান বাঙালি ফতেহ লোহানী এর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। তখনো চলচ্চিত্রের ব্যাপারে তার উৎসাহ কমেনি। যার কারণে তিনি প্রায়ই লাহোর যেতেন। ফতেহ্ লোহানী কিছুদিন পরে লন্ডন চলে গেলে ১৯৫২ সালে খান আতা একটি পোল্যান্ডীয় জাহাজে করে লন্ডন পাড়ি জমান। সেখানে অনেক বাঙালি অনুষ্ঠানে গায়ক এবং অভিনেতা হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এখানে এস এম সুলতানের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের উপকরণ যোগানে সাহায্য করেন তিনি। খানা আতা এবং তার সাথীরা এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী এবং বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। লন্ডনের সিটি লিটারেরি ইন্সটিটিউটে তিনি থিয়েটার ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হন। পরের বছরেই তিনি ইউনেস্কোর বৃত্তি নিয়ে ১৯৫৪ সালে শিক্ষা সফরে হল্যান্ড গমন করেন। লন্ডনে ফিরে একটি কলেজে অঙ্ক ও ইংরেজির শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন থিয়েটার কোম্পানিতে প্রায় দুই বছর কাজ করেন।
১৯৫৫ সালে আবার লন্ডনে ফিরে এসে থিয়েটার রয়াল, ইউনিটি থিয়েটার, আরভিং থিয়েটারে সকল স্থানীয় গ্রুপের সাথে কাজ করতে থাকেন খান আতা। এসময় তিনি কিছুদিন বিবিসি’র সাথেও কাজ করেছেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৯৫৭ সালে তিনি পাকিস্তান অব্জারভারে চাকরি নেন। এরপর তিনি রেডিওতে গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক, আবৃত্তিকার এবং অভিনেতা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত ছবি জাগো হুয়া সাভেরাতে মূল ভূমিকাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবনের সূত্রপাত হয়। তার বিপরীতে ছিলেন তৃপ্তি মিত্র নামক ভারতীয় অভিনেত্রী। এ ছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি আনিস নামটি ব্যবহার করতেন। তার অভিনীত প্রথম বাংলা ছবি "এদেশ তোমার আমার" মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালে। এহতেশামের এই চলচ্চিত্র এ দেশ তোমার আমার-এ তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬০ সালে জহির রায়হানের সাথে গড়ে তোলেন লিটল সিনে সার্কেল। এর পরের বছরগুলোতে জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় তার।
খান আতা অভিনেতা এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন কখনো আসেনি, যে নদী মরুপথে, সোনার কাজল এর মতো সফল চলচ্চিত্রে। তাঁর রচিত ও সুরারোপিত পাঁচ শতাধিক আধুনিক, দেশাত্মবোধক, শিশুতোষ ও বিষয়ভিত্তিক গান আজো জনপ্রিয়। বিশেষত দেশাত্মবোধক সঙ্গীতে তার সুর সৃষ্টির ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। খান আতাউর রহমান একটি বিশেষ গায়কী ঢঙ প্রবর্তন করেন। সূর্যস্নান ছবিতে ১৯৬২ তে তিনি উপহার দেন পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে এর মতো গান। যাতে কন্ঠ দেন কলিম শরাফী। তার প্রথম পরিচালিত ছবির নাম অনেক দিনের চেনা। ছবিটি ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায়। এরপর তিনি রাজা সন্ন্যাসী, সিরাজউদ্দৌলা, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, সাত ভাই চম্পা, অরুণ বরুণ কিরণমালা, আবার তোরা মানুষ হ, সুজন সখী, আরশী নগর, এখনও অনেক রাত প্রভৃতি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। অন্যদের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালক, কেন্দ্রীয় চরিত্র ও অভিনেতা হিসেবে কুশলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৬৩ সালে জহির রায়হানের কাঁচের দেয়াল ছবিতে তিনি নিয়ে আসেন শ্যামল বরণ মেয়েটি শীর্ষক একটি জনপ্রিয় গান। সূর্যস্নান ছবির গীতিকার হিসেবে এবং কাঁচের দেয়াল ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে পাকিস্তান ফিল্ম ফেস্টিভাল এ ১৯৬৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাহানা, সাগার, আখেরি স্টেশান, মালা প্রভৃতি উর্দু ছবিতে সঙ্গীত পরিচালানা করেছেন। ১৯৬৯ সালে জহির রায়হানের পরিচালনায় জীবন থেকে নেয়া তে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তিনি এ খাঁচা ভাংবো আমি কেমন করে শীর্ষক গানের কথা লিখেন এবং নিজেই কন্ঠ দেন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর তৈরি করেন আবার তোরা মানুষ হ যার বিষয়বস্তু ছিল যুদ্ধ পরবর্তী বাস্তবতা। ৮০'র দশকের শেষে বানান হিসাব নিকাশ এবং পরশপাথর নামের দুইটি ছবি। মুক্তিযুদ্ধের উপর ১৯৯৪ সালে তিনি এখনো অনেক রাত নামের একটি ছবি তৈরি শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে ছবির কাজ শেষ হয়। এ ছাড়াও তিনি বাংলার কবি জসীম উদ্দীন, গঙ্গা আমার গঙ্গা, গানের পাখি আব্বাস উদ্দিন সহ বেশকিছু তথ্যচিত্রও তৈরি করেছেন।১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধক গান লিখেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য এবং চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করে সাহায্য করেন। ’৭০ এবং ’৮০'র দশকে উপহার দেন সাবিনা ইয়াসমীনের কন্ঠে এ কি সোনার আলোয়, শাহানাজ রহমতুল্লাহের কন্ঠে এক নদী রক্ত পেরিয়ে এর মতো গান। খান আতাউর রহমান প্রায় ৫০০ গানের গীতিকার।
চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, নিগার পুরস্কার, মস্কো ও তাসখন্দ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘সূর্যস্নান’ ছবির গীতিকার হিসেবে এবং ‘কাঁচের দেয়াল’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে পাকিস্তান ফিল্ম ফেস্টিভালে ১৯৬৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পান।
ব্যাক্তিগত জীবনে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমান তিনবার বিয়ে করেন। লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে তিনি শার্লি নামক এক ইংরেজ নারীকে বিয়ে করেন। বাংলাদেশে আমিন নামে এক ছেলে হওয়ার পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তিনি সঙ্গীত শিল্পী মাহবুবা হাসনাতকে বিয়ে করেন। মাহবুবা হাসনাত ও খান আতার ঘরে জন্ম নেন কণ্ঠশিল্পী রুমানা ইসলাম। এরপর ১৯৬৮ সালে প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন। খান আতা ও নিলুফারের ঘরে জন্ম নেন বর্তমান প্রজন্মের শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা আগুন।
১৯৯৭ সালের ১লা ডিসেম্বর পরলোক গমন করেন এই গুণী চলচ্চিত্র কর্মী। সম্প্রতি খান আতাকে 'রাজাকার' বলে অভিহিত করেছেন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। এ সম্পর্কে খান আতা ‘এখনও অনেক রাত’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে খান আতাউর রহমান বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালীন আমি একটি বিবৃতিতে সই করতে বাধ্য হয়েছিলাম। সই করার আগে সেখানে আরেকটি সই দেখতে পাই। তাৎক্ষণিক তাকে ফোন দিই ‘আপনি সই করেছেন দেখছি ওরা অস্ত্রসহ এসেছে, আমি কি করব? টেলিফোনের ওপাশ থেকে জবাব আসে দিয়ে দেন। আমি সই করি। বিশ্বাস না হলে আজকে আমার মহরত উদ্বোধন করতে আসা কবি সুফিয়া কামালকে জিজ্ঞাসা করুন।’ (মাহবুব আজাদ রচিত খান আতাউর রহমান। বাংলা একাডেমি। প্রকাশকাল ২০০১)। আমরা জানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেক কিছু তৎক্ষণাৎ আদায় করা যায়, পরে তা বোঝাও যায়, কোনটা চেতনার প্রশ্ন, কোনটা ভয়ের মাধ্যমে আদায় করে নেয়া। খান আতা তখন বাধ্য হয়ে সেখানে স্বাক্ষর না করলে তাকে আমরা হয়তো হারাতাম, যেমন হারিয়েছি শহীদুল্লাহ কায়সার, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদকে। যদি তাকে হারাতাম তাহলে পরে তার কাছ থেকে পেতাম না কালজয়ী অমর কিছু কাজ- ‘হায়রে আমার মন মাতানো দেশ, হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি, রূপ দেখে তোর কেমনো আমার পরাণ ভরে না বা নয়নমণি দেশ আমার সোনা মণির দেশ আমার। দেশের ক্লান্তিকালে আবার গেয়ে উঠতেন না ‘ও আমার জন্মভূমি তুই স্বাধীন হবি কবে, আরো কত রক্ত দিবো, এই যুদ্ধ শেষ হবে কবে? খান আতা তার কাজের স্বীকৃতিতে একুশে পদক পেয়েছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। একজন দেশদ্রোহী এতসব কিছু কীভাবে পায়? কোন শিল্প, সাহিত্য কিংবা শিল্পীর দেশ থাকেনা, ভৌগলিক সীমাবদ্ধতায় তাকে আটকে রাখা যায়না। তাঁরা সার্বজনীন, সব দেশের সব মানুষের জন্য। একাধারে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রাভিনেতা, সুরকার, গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, প্রযোজক, সংলাপ রচয়িতা, কাহিনীকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা খান আতাউর রহমানের আজ ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রথিতযশা অভিনেতা, গীতিকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শঙ্খচিল,
প্রথিতযশা অভিনেতা, গীতিকার,
নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার
খান আতাউর রহমানের
মৃত্যুবার্ষিকীতেশ্রদ্ধা
জানানোর জন্য।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জয় বাঙলা জয় বাঙ্গালির।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জে মামা,
জয় বাঙলা।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এ খাঁচা ভাঙ্গবো আমি কেমন করে - এই অসমাপ্ত গানের রচয়িতা আমার প্রিয় চাচাজান কিংবদন্তি খান আতাউর রহমান, যিনি বাংলা চলচিত্রকে উপহার দিয়েছেন “আবার তোরা মানুষ হ” এর মতো ছায়ছবি। যা শতবার দেখলেও আবার নতুন করে দেখার মতো একটি পূর্ণদৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবি, যেই ছবি অনুসরণ করে একটি দেশ - বাংলাদেশ পরিবর্তন করে দেওয়া সম্ভব।
পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করি এই মহান মানুষটিকে বেহেস্তবাসী করুন, জ্ঞানে সজ্ঞানে জানা অজানায় তিনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন আল্লাহপাক যেনো তার মাগফেরাত করেন। এই মহান মানুষটিকে আল্লাহপাক শান্তির শীতল ছায়া দান করুন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খান আতাউর রহমান আপনার চাচা ছিলেন
যেনে প্রীত হলাম। আল্লাহপাকের কাছে
তার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করছি।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিভাবান একজন মানুষ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি, আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০১
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: আল্লাহ্ তাকে জান্নাত নসীব করুন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ মৃধা ভাই
আপনার মন্তবের জন্য।
দেখা হবে ব্লগ-ডে'র আয়োজনে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রথিতযশা অভিনেতা, গীতিকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
...........................................................................................................................................................
আমার পরম শ্রদ্ধা থাকল এই গুনী জনের প্রতি ।