নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই জাতীয় পাট দিবসের ন্যায় এবার ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া দেওযা হয়েছে। এবার জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন' আজ ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) বস্ত্রখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উদযাপন করা হবে। বিগত সরকারের সময় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করে সরকার। দিবসটি কেন্দ্র করে পাটশিল্পে এক ধরনের আশার আলো জেগে ওঠে। গতি পায় পাটশিল্প। এই শিল্পের মতো বস্ত্রশিল্পকে আরও জনপ্রিয় ও গতিশীল করতে উদ্যোগ নেন তৎকালীন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বস্ত্রশিল্পে সোনালি ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে। বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশ সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে হবে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় নির্ধারণ করে ‘বস্ত্রনীতি ২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বস্ত্রশিল্পে সাফল্য অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে উৎসাহ প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে একটি আনুষ্ঠানিক দিবস উদযাপন উদ্দেশ্যগুলোকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে। পাশাপাশি বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা আয়োজন করা হলে এ শিল্প বিকাশে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। এ দিনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বস্ত্র শিল্পের স্টেকহোল্ডাররা দিবসটি উদযাপন করবেন। পাটশিল্পের ন্যায় বস্ত্র খাতেও সোনালি ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টিতে সারাদেশে স্কুলপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা প্রদান ও উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ১ম জাতীয় বস্ত্র মেলার সাফল্য কামনা করছি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
nuru.etv,[email protected]
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা
আমার এ দেশ ভাই রে
ধানের মাঠে ঢেউ খেলানো
এমন কোথাও নাই রে।।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার এবারের মেলার কথা কই প্রিয় নূরু দা
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
থন্যবাদ লিটন ভাই.
এবারের মেলার কথা হলোঃ
‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আলোচনাসভা ও বস্ত্র খাতের সব অংশীজনের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও পাটসচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ বস্ত্র খাতের অন্যরাও এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া আগামী ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণার সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শিল্পের শিল্পিত পোষ্ট এটি।
পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
আমার শুভেচ্ছা নিন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ বরকতউল্লাহ ভাই
লেখাটি পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা/ তাহার মাঝে আছে এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা/ এমনটি দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি ।