নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেল বা গ্যাস নয়, আগামীতে যুদ্ধ হবে পানি নিয়েঃ সমাধানে বাস্তবমুখী পরিকল্পনার বিকল্প নাই

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭


বিশ্বে ৭৬ কোটিরও বেশি মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত, যাদের মধ্যে আড়াই কোটিরও বেশি বাংলাদেশি। আর সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বিশ্বে প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সি ১ হাজার ৪০০ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য জানিয়েছে। পৃথিবীর শতকরা ৭১% পানি হিসেবে থাকলেও এর মাত্র ৩% খাবার যোগ্য যার বিরাট অংশই এন্টার্কটিকা ও গ্রীনল্যান্ডে বরফ হিসেবে জমা আছে অথবা মাটির নীচে।হিসেব করলে দেখা যায় যে, পৃথিবীর মোট পানির মাত্র ০.০১ শতাংশ মানুষের ব্যবহারোপযোগী। তাও আবার পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে। পানি নিরাপদ বিশ্ব ছাড়া স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানব সভ্যতার উন্নয়নের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করাটাই হলো পানি নিরাপদ বিশ্বের মূলমন্ত্র। পানি নিরাপদ বিশ্বের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এর বিধ্বংসী ক্ষমতার অপসারণ। এছাড়া পানি নিরাপত্তা বলতে পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং দুর্বল পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাবগুলো চিহ্নিত করাকেও বুঝানো হয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনায়ন, কৃষি, শক্তি (উৎপাদন), পর্যটন, শিল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার ধারণাও পানি নিরাপত্তার মধ্যে পড়ে। পানি নিরাপদ বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচিত হয়, শিক্ষা অগ্রগামী হয় এবং জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে। সবার জন্য উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা রয়েছে পানি নিরাপদ বিশ্বে; বিশেষ করে নারী এবং শিশুর, পানির উপযুক্ত পরিচর্যার কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় তারা। আধুনিক বিশ্বে যখন বিজ্ঞানের জয় জয়কার সেখানে প্রায় ১৫০ কোটিরও বেশী মানুষের জন্য নাই নিরপদ পানির ব্যবস্থা, আর প্রতি বছর শুধু পানি বাহিত রোগে ভুগে মারা যাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ।

এশিয়ায় পানি নিয়ে সংকট বাড়ছে, তবে সেটা শুধু সমুদ্রসীমার দাবি নিয়ে নয়। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা প্রশ্নে চীনের সঙ্গে অন্য দেশের দ্বন্দ্ব নিয়ে মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এর সঙ্গে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও নৌ চালনার বিষয়টি জড়িয়ে আছে, যা অন্য দেশের স্বার্থকেও প্রভাবিত করে। কিন্তু অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে কৌশলগত প্রতিযোগিতার যে নানা রূপ দেখা যাচ্ছে, তাও কিন্তু কম শংকার কারণ নয়। অন্য মহাদেশের তুলনায় এশিয়ায় মাথাপিছু পানির পরিমাণ সবচেয়ে কম। এমআইটির এক পরিসংখ্যান অনুসারে, সেখানে ইতিমধ্যে পানির সংকট শুরু হয়ে গেছে। এটা আরও অব্যাহত থাকবে। আশংকা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এশিয়ায় পানির সংকট আরও তীব্র হবে। একদিকে ভূ-রাজনীতিতে ব্যাপক মতানৈক্য, অন্যদিকে সুপেয় পানি নিয়ে যে প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে, তা এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। এ লড়াই ইতিমধ্যে শুরু হওয়ার উপক্রম, যেখানে চীন প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। বস্তুত, দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে দখলদারি চালাচ্ছে দেশটি। একই সঙ্গে তারা অনেকটা নীরবেই আন্তর্জাতিক নদীর অববাহিকাও দখলে নিতে শুরু করেছে। তারা মূলত আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এশিয়ায় নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তার করছে। এ কৌশল বাস্তবায়নে চীন বর্তমানে খুবই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। নদীপ্রবাহে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। দেশটি থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক নদী ও হ্রদ বেরিয়ে ১৮টি উজানের দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। চীনে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বাঁধ, পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তারা কখনোই এর ব্যবহারে ইতস্তত করেনি। আসলে, সীমান্তের বাইরে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীর ওপরই এখন তাদের নজর।চীনের এসব আন্তর্জাতিক নদীর বেশিরভাগের উৎস হচ্ছে তিব্বতের মালভূমি, যেটিকে তারা ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে রাজ্যভুক্ত করেছিল। বিস্ময়ের কিছু নেই, চীনের নতুন সব বাঁধ নির্মাণের নতুন সূত্র হল ওই মালভূমি। সম্প্রতি চীনে যে ত্রয়োদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হয়েছে, সেখানেও ওই মালভূমির ওপর ভিত্তি করে প্রচুর বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া চীন সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যেটা বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরাঞ্চলের জীবন। তিব্বতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের অংশ হিসেবে তারা এটি বন্ধ করেছে। এমনকি আরও কয়েকটি কৃত্রিম হ্রদ নির্মাণ করতে তারা ব্রহ্মপুত্রের আরেকটি শাখা নদী আটকে বাঁধ নির্মাণের কথা ভাবছে। পানি নিয়ে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার প্রভাব এ অঞ্চলের বাইরেও পড়বে। ইতিমধ্যে এশিয়ার কিছু দেশ সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে ভূমি লিজ নিয়েছে। তারা নিজেদের দেশে ফসল উৎপাদন করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল। কিন্তু এতে কিছু কিছু এলাকায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার দেইউ কোম্পানি মাদাগাস্কারের অর্ধেক চাষযোগ্য জমি লিজ নিয়ে গম ও পামওয়েল উৎপাদন করে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের বিক্রি করতে চেয়েছিল। সে জন্য তারা যে চুক্তি করেছিল, এর ফলে প্রতিবাদ ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক হস্তক্ষেপে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের পতন হয়েছিল।

পৃথিবীর সকল প্রাণেরই উৎস পানি এবং সকলেই পানির ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর ৭০০কোটি মানুষ কোটি মানুষ আজ খাদ্য ও জ্বালানির মতো মৌলিক বিষয়ের পাশাপাশি যে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা হচ্ছে সবার জন্য বিশুদ্ধ ও পর্যাপ্ত নিরাপদ খাবার পানি।আর যেসব অ্যঞ্চলে পানি স্বল্পতা সেসব অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে পানি যুদ্ধের সম্ভাবনা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিভিন্ন নদীর পানি ব্যবহার করা নিয়ে অনেক যুদ্ধ হয়েছে অতীতে যেমন লেবানন-ইসরায়েল এর মধ্যে হাসবানি নদীর পানি নিয়ে বিরোধ, তেমনি তুরস্ক-সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে ইউফেটিস নিয়ে, সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে গ্যালিলি সাগর নিয়ে। সুদান, মিশর, ইথিওপিয়া ও আরো কিছু দেশের মধ্যে নীলনদ নিয়ে, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার মধ্যে সেনেগাল নদী নিয়ে, ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে হেলমান্দ নদী নিয়ে টানাহেচড়া লেগে আছে। আর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নদী নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানে দেখা দেবে খরা৷ পানির কষ্টে ভুগবেন পাকিস্তানিরা৷ জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ও পাকিস্তান কাউন্সিল অফ রিসার্চ ইন ওয়াটার রিসোর্সের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখন থেকে পানি সংরক্ষণে উদ্যোগ না নিলে আগামীদিনে পানি নিয়ে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে পাকিস্তানে৷ পাকিস্তানের কেউ সেই পানির কষ্ট থেকে ছাড় পাবেন না৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তান ধীরে ধীরে পানি সংকটের দিকে এগুচ্ছে৷ তাই এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানে চাহিদার তুলনায় কমে যাবে জল সরবরাহ৷পাকিস্তানের বর্তমান জনসংখ্যা ২০ কোটি ৩০ লক্ষ৷ কিন্তু আগামী সাত বছরের মধ্যে এই জনসংখ্যা আরও বেড়ে যাবে৷ পানিসংকটের কারণ হিসাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেও দায়ী করা হয়েছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানের পানির চাহিদা বেড়ে হবে ২৭৪এমএএফ

বিশ্বব্যাপী আওয়াজ উঠেছে আগামী বিশ্বযুদ্ধ হবে পানির জন্য। পানি সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ নিজেই। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকেই। তাই পানির অপর নাম জীবন। সেই জীবন নিয়েই এখন টানাটানি চলছে। বিশ্বব্যাপী নদী আর সাগর নিয়ন্ত্রণের জন্য মতাবান দেশগুলো উঠেপড়ে লেগেছে। পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের মানসিক যুদ্ধ এখন চরমে উঠেছে। ভারত ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের মরুকরণের কাজ শুরু করেছে। ভারত ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করেছিল পাকিস্তান আমলে। পাকিস্তান আপত্তি করায় সে সময়ে ভারত এ ব্যাপারে কিছুটা ধীর গতিতে চলে। কিন্তু গোপনে নির্মাণকাজ চালু রাখে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করার জন্য চাণক্যনীতি অবলম্বন করে। এ সময়ে তারা বঙ্গবন্ধুর সরলতাকে কাজে লাগায়। ভারত জানালÑ তারা পরীামূলকভাবে ফারাক্কা চালু করে দেখতে চায় এবং বাংলাদেশকে বেশি পানি দেবে বলে ওয়াদা করে। একই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শঠতার পথ অবলম্বন করে বেরুবাড়ী নিয়ে নেন। বাংলাদেশের দহগ্রাম অঙ্গরপোতা দেবে বলে আর দেয়নি। বাংলাদেশের বহু জমি জোর করে দখল করে রেখেছে। এখনো পানি ও জমি নিয়ে টালবাহানা চলছে। আমাদের দেশে পানযোগ্য পানির প্রধান উৎস নদী-খাল-বিল, হাওর-বাওড়, পুকুর ও জলাশয়। এক সময় এ দেশে ১ হাজারের বেশি নদী থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগই এখন মরে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ হিসাবে দেশে নদীর সংখ্যা এখন ৩১০টি। অন্যদিকে জারে ভর্তি মিনারেল ওয়াটারের নামে খাওয়ানো হচ্ছে দূষিত পানি। রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশে বৈধ ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০০ কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে বোতলজাত পানি, যে কারখানাগুলোর বেশির ভাগ দূষিত বলে অভিযুক্ত। দু-একটি বাদে অধিকাংশ মিনারেল ওয়াটারের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে অপরিচ্ছন্ন স্থানে। রাজধানীর অনেক এলাকাতেই বর্তমানে পানির সংকট চলছে। কিছু কিছু এলাকায় পানি পাওয়া গেলেও তাতে দুর্গন্ধ, পাওয়া যায় ময়লা। ওয়াসার সাপ্লাইয়ের পানি না ফুটিয়ে পান করলে পেটের পীড়াসহ নানা অসুখ-বিসুখে ভুগতে হয়। তাই পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের নুতন করে ভাবতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পানি নিয়ে উদ্ভুত সকল সমস্যার সমাধানে বাস্তবশমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে তা না হলে সোনা-রূপা হিরা জহরত নয়, অচিরেই বিশ্ব যুদ্ধে লিপ্ত হবে পানি নিয়ে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

বিজন রয় বলেছেন: যুদ্ধ হোক নূরু ভাই।
নাহলে অনেক কিছুর সমাধান হয় না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিজন'দা, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে যুদ্ধের বিষয় আমেরিকার ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বলেছিলেনঃ
"একবার যুদ্ধ শুরু হলে সহনশীলতা বলে যে কোনো ব্যাপার ছিল, মানুষ তা ভুলে যাবে"। সহনশীলতার আবশ্যকতা নয় কি?। তবে আপনার পরমর্শ হিটলারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণঃ তিনি বলেছিলেন, "আমি তোমাদের ভালোবাসায় না গিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, কারন যুদ্ধে তুমি হয় বাঁচবে না হয় মরবে, কিন্তু ভালোবাসলে না পারবে বাঁচতে না পারবে মরতে"

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম..

সে পথেই এগুচ্ছে সময়।
আমাদের আর চিন্তা কি? সার্বভৌমত্বকে দু পায়ে দলে যে দেশৈর মন্ত্রী মহোদয় বলেন- বাংলাদেশ ভারতের অংশ!!!
তাদের আর চিন্তা কি?
তিস্তার এক ঘড়া জল না পেলেও দিয়ে আসে ফেনি নদীর জল!
তাদের মারতে কি আর লাগে কোন ছল?

কষ্ট যা হবে আমজনতার
তাই রুখে দাড়াতে হবে তাদেরই!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আসলে যাদের বোঝার কথা তারাই বোঝেনা।
কারন ঈশ্বর মানুষকে প্রচুর ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু
মানুষের মন বোঝার ক্ষমতা দেননি।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

বিজন রয় বলেছেন: নূরুভাই আমি যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই, কবিতা চাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কে আর শখ করে হিটলার হতে চায়!!
শান্তি বর্ষিত হোক ধরায়,
সবাই বাঁচি ভালোবাসায়

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আরব, দক্ষীন আফ্রিকা, অষ্ট্রলিয়া, সমগ্র এশিয়া সবযাগায় পানির চরম ক্রাইসিস।
কেপ্টাউন, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর প্রায়ই পানি থাকে না।
আরব, দক্ষীন আফ্রিকা, অষ্ট্রলিয়া, সমগ্র এশিয়া সবযাগায় পানির চরম ক্রাইসিস।

ম্যাপে দেখুন সমগ্র এশিয়ায় ভেতর বিন্দুর মত বাংলাদেশ ও নেপাল। যেখানে সুপেয় পানির সংকট নেই।
সুত্র World Economic Forum


০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথাঃ
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বে ৭৬ কোটিরও বেশি মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত,
যাদের মধ্যে আড়াই কোটিরও বেশি বাংলাদেশি। সংখ্যাটি নেয়ায়েত কম নয়!!
সুতরাং বাংলাদেশে সুপেয় পানির সংকট নেই বলাটা সত্যের অপলাপ।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে পানি নিয়ে সমস্যা হবে। আমাদের দেশ হলো নদীর দেশ। চারিদিকে পানি।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুপেয় পানির সমস্যা আছে আমাদের দেশেও।
ভবিষ্যতে আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে
অভিজ্ঞদের মত।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে বিশ্বে শীর্ষ ১০টি ক্ষতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশে শনি আসছে ধেয়ে - - -

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !! প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝুঁকির মধ্যে থাকা শীর্ষ ১৫টি দেশের
তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নামও।
নতুন একটি জরিপে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে
বিশ্বের ১৫টি দেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এরমধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে। এছাড়া, ১৫টি দেশের মধ্যে
৯টি বিভিন্ন দ্বীপদেশ। সিরিয়াল অনুযায়ী ১৫টি দেশ হলোঃ

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

শের শায়রী বলেছেন: রাইট আগামী বিশ্বযুদ্ধ হবে সুপেয় পানি নিয়ে। তেল গ্যাসের চাহিদা এখন অনেক কমে গেছে অল্টারনেটিভ এনার্জির সহজ লভ্যতার কারনে। অথচ যেভাবে এই মহামুল্যবান পানি আমরা হেলায় অপচয় করছি কপালে অনেক দুঃখ আছে এই প্রজন্মের বা পরের প্রজন্মের।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষের কথা যদি বলতে চাই তাহলে বলতে হয় ‘সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকী মলো’ গানটির কথা। অতৃপ্ত লালন যেমন মেঘনা নদীর কাছে থেকেও পিপাসায় হাকাকার করেন : ‘সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকী মলো/ ওরে বিধি হারে বিধি/ তোর মনে কি ইহাই ছিল /..ফকির লালন মরল জল পিপাসায়/ কাছে থাকতে নদী মেঘনা।’ আমাদেরও ঠিক হয়েছে একই দশা। তিস্তায় ঘটি ডোবেনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মনে কি ইহাই ছিলো? ফারাক্কা বাঁধের কারনে পদ্মায় বালুচর। বদ্বীপ অঞ্চলের মানুষ আজ লালনের মত জল পিপাসায় কাতর। লালনের পিপসা হয়ত অন্যকোন দিকে ছিলো । কিন্তু নদীমাতৃক বাংলাদেশের পাথরঘাটা, কলাপাড়া, শরণখোলার মত অনেগুলো এলাকার মানুষ সত্যি সত্যিই তৃষ্ণার্ত। তাদের ভরসা পুকুর কিংবা চাতকের মত বৃষ্টির জল।

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এবার আপনি আসল সমস্যা নিয়ে ভাবার শুরু করেছেন।

আমাদের পরিবারের ভাগ আছে ৫ পুকুরে; কিন্তু খাবার কিংবা গোসলের পানি নেই; সবগুলোর পানি বিষাক্ত

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নদীর জলের যেমন কোন আলাদা জাত নেই। ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি সকলেই তো এক জলেতেই শুচি হয়। জলতো কাউকে ভেদাভেদ করে না। তেমনি জলের প্রাপ্যতার ব্যপারেও সব মানুষের রয়েছে সমান অধিকার। তাঁর গান একটা বার্তাই পৌঁছে দেয়, তিনি হিন্দু বা মুসলমান হওয়ার বদলে প্রাণপণে ‘মানুষ’ হতে চেয়েছেন। যদিও তাঁর কথা শোনা বা তার তাৎপর্য বোঝার জন্য সমাজ-মন প্রস্তুত ছিল না । তাই এই কাল বিরোধী সাধককে কালোত্তীর্ন ভাবনা ভেবে নানারকমের আঘাত সইতে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.