নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৪


বাংলাদেশের শিল্পকলার ক্ষেত্রে আধুনিক ধারার চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী। তিনি ছিলেন একাধারে চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, লেখক এবং অধ্যাপক। শিল্পী রশিদ চৌধুরী আপাদমস্তক, সর্বাঙ্গ মনে, ঔদার্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া উচ্ছল জীবনাদর্শের প্রতীক একজন কর্মনিষ্ঠ মানুষের নাম। তার ব্যক্তিজীবন থেকে শিল্পী জীবন পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল তার মানুষী রূপসত্তা।ছোটবেলা থেকেই শিল্পী হবার বাসনা ছিল রশীদ চৌধুরীর মনে। চারু ও কারুকলা কলেজের যে ক’জন ছাত্র সাহিত্যানুরাগী ছিলেন, তাঁদের একজন রশিদ চৌধুরী। রশীদ চৌধুরী ছিলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র। তাঁর ব্যাচেরই ছাত্র ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আবদুর রাজ্জাক, কাইয়ুম চৌধুরী, মুর্তজা বশীর প্রমুখ। শিল্পী জয়নুলের যোগ্য উত্তরসূরি রশিদ চৌধুরীও বাংলাদেশে শিল্পচর্চার প্রসারে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। জয়নুলের চিত্রকলায় মুনশিয়ানার মতোই রশিদেরও ছিল মেধা ও বুত্পত্তি। কিন্তু উভয়েই শিল্পকলা প্রসারে আত্মনিয়োগ করতে গিয়ে নিজস্ব শিল্পচর্চায় নিজেরাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন! ফলে সঙ্গত কারণেই সক্ষমতার বিচারে সৃষ্ট শিল্পসম্ভারের সংখ্যা ও মান বিচারে আরো উত্কর্ষ ও অধিক হতে পারত তা বলাই বাহুল্য। ১৯৫৪ সালে আর্ট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে পাস করার পর এ বছরই ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ মিউজিয়ামে শিল্প-সমঝদারি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে মুর্তজা বশীরের সঙ্গে ভর্তি হন। কিন্তু পাঠ সমাপ্ত না করেই ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৯৫৬-৫৭ সালে স্পেন সরকারের স্নাতকোত্তর বৃত্তি পেয়ে মাদ্রিদের সেন্ট্রাল এস্কুলা দেস বেলিয়াস আর্টেস দ্য সান ফার্নান্দো থেকে ভাস্কর্যে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ১৯৬০-৬৪ সালে ফরাসি সরকারের স্নাতকোত্তর বৃত্তি পেয়ে প্যারিসের একাডেমি অব জুলিয়ান অ্যান্ড বোজ আর্টস থেকে ফ্রেস্কো, ভাস্কর্য ও ট্যাপিস্ট্রি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে মার্কিন সরকার প্রদত্ত বৃত্তির অধীনে আমেরিকায় শিক্ষাসফর করেন। খুব অল্প বয়স থেকেই কখনো ঢাকায়, কখনো চট্টগ্রামে, কখনো কলকাতায়, কখনো স্পেনে, কখনো প্যারিসে, কখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা কখনো অন্য কোথাও, এরকম করেই জীবন কেটেছে তাঁর। ফলে বহু জীবন ও পরিবেশ দেখার অভিজ্ঞতা জমেছিল তাঁর জীবনখাতায়। শিল্পকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য রশীদ চৌধুরী বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে ১৯৬১ সালে ছাত্রাবস্থায় ফ্রান্সে পারিস্থ বোজ আর্ট কর্তৃক ফ্রেস্কো চিত্রকর্মের জন্য প্রথম পুরস্কার, ১৯৬৭ সালে ইরানের তেহরানে আরসিডি দ্বি-বার্ষিক চিত্রপ্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার, ১৯৭৭ সালে চারুকলায় বিশেষ করে ট্যাপিস্ট্রিতে সৃজনক্ষমতার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার ও ১৯৮৬ সালে জয়নুল পুরস্কার উল্লেখযোগ্য। প্রথিতযশা এই চিত্র শিল্পীর আজ ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৬ সালের আজকের দিনে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী রশিদ হোসেন চৌধুরীর ত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শিল্পী রশিদ চৌধুরী ১৯৩২ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ফরিদপুর জেলাররতনদিয়া গ্রামের একটি জমিদার পরিবারে জন্ম নেন। তার ডাকনাম ছিল কনক। পুরো নাম রশিদ হোসেন চৌধুরী। তার পিতা খানবাহাদুর ইউসুফ হোসেন চৌধুরী এবং মাতা শিরিন নেসা চৌধুরাণী। ফরিদপুরে জন্ম হলেও তাঁর শৈশবেই বাবা ইউসুফ সাহেব আবাসভূমি স্থানান্তরিত করে নিয়ে যান নিকটবর্তী রতনদিয়া গ্রামে (বর্তমানে রাজবাড়ি) জেলায়। রশীদ চৌধুরীর দাদা ছিলেন জমিদার। কিন্তু সরকারি আইনে জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি হয়ে গেলে তাঁদের পরিবারের ওপরও একপ্রকার অর্থনৈতিক ধস নামতে শুরু করে। তখন তাঁর বাবা ইউসুফ হোসেন চৌধুরী পেশা হিসেবে ওকালতিকে বেছে নেন। বেশ প্রসারও ঘটে তাঁর ওকালতি ব্যবসায়। পাশাপাশি মুসলিম লীগের রাজনীতিতে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি। রশিদ পিতার রাজনীতি পরিহার করেছিলেন এবং নিজের নামের মধ্যখানের হোসেনও। রশিদ চৌধুরীর প্রথমিক শিক্ষাজীবনের শুরু গ্রামের পাঠশালায়। বাড়িতে একজন মাস্টারও ছিলেন। তিনি ছেলেদের দেখাশোনা করতেন। এরপর যাঁরা গৃহশিক্ষক হয়ে এসেছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন মৌলবি। তাঁরা একসঙ্গে লেখাপড়া, আদবকায়দা ও ধর্মশিক্ষা দিতেন। স্থানীয় রজনীকান্ত হাই স্কুল, আলীমুজ্জামান হাই স্কুল ও কলকাতার পার্ক সার্কাস হাই স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ১৯৪৯ সালে প্রবেশিকা বা ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন তিনি। প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তিনি তৃতীয় বিভাগ পেয়েছেন। এসময় কলকাতা থেকে তাঁদের বাড়িতে এলেন এনামুল হক চৌধুরী। তাঁদের হেনা কাকা, যাঁর সঙ্গে শিল্পী জয়নুল আবেদিন ও কামরুল হাসানের পরিচয় ছিল। একদিন তাঁর চোখে পড়ল, বাড়ির বাইরে বসে কনক মানে রশীদ চৌধুরী একটা গরুর গাড়ির ছবি আঁকায় মগ্ন। দেখে তিনি খুশি হয়ে তাঁকে ছবি আঁকা শেখার পরামর্শ দিলেন এবং ঢাকা আর্ট স্কুলে গিয়ে ভর্তি হতে বললেন। পিতা রাজনীতি করলেও সাহিত্য ও সংগীতানুরাগী ছিলেন। তিনি তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি ভর্তি পরীক্ষা দেন ঢাকার তত্কালীন সরকারি আর্ট কলেজে। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে ছয় মাসের মধ্যে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার শর্তে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৪৯ সালে তাঁকে আর্ট কলেজে ভর্তি করান। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে দেওয়া কথা তিনি রেখেছিলেন। আর তাই তো ৫ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করে রশীদ চৌধুরী ১৯৫৪ সালে আর্ট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগ লাভ করেন।

(রশিদ চৌধুরীর আঁকা- ফেরিওয়ালী)
কর্মজীবনে কর্মজীবন রশিদ চৌধুরী ১৯৫৮ সালে সরকারী আর্ট ইনস্টিটিউটে (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট, ঢাবি) শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। ১৯৬৪ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকার সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রাচ্যকলা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে ওই চাকরি হারান। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম চারুকলা বিভাগে প্রথম শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প-প্রদর্শনকেন্দ্র 'কলাভবন' (বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর চট্টগ্রাম কেন্দ্র) গড়ে তোলেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ প্রতিষ্ঠায়ও ছিলেন মুখ্য উদ্যোক্তা। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ত্যাগ করে ঢাকায় স্থায়ীভাবে চলে আসেন এবং মিরপুরে ট্যাপিস্ট্রি কারখানা গড়ে তোলেন। ১৯৮৪ সাল ট্যাপিস্ট্রি পল্লীর খসড়া প্রণয়ন করেন। অনতিদীর্ঘ জীবনে মোট তেরোটি একক প্রদর্শনী করেছেন শিল্পী রশীদ চৌধুরী। এগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি, ভারতের শান্তিনিকেতন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে। এছাড়া তিনি দেশে ও বিদেশে প্রায় ১৮টি যৌথ প্রদর্শনী করেছেন। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা ঝড়ঝাপটা, আর্থিক অনটন, জীবিকার অনিশ্চিতি তাঁকে অস্থিরমতি করে রেখেছিল, কিন্তু এসব কারণে তাঁর শিল্পচর্চায় কখনো ভাটা পড়েনি। কাজ করে গেছেন অবিরাম, ক্লান্তিহীন। একটি রেখাও টানেননি এমন দিন বোধ হয় তাঁর জীবনে অতি বিরল। প্রচণ্ড সংকটের দিনেও প্রতিরাতে নিয়ম করে তিনি ছবি আঁকতে বসতেন, অন্তত কয়েকটি ছোট খসড়া করেননি এমনটি ছিল দুর্লভ। একইরকমভাবে নানা বিপত্তির মধ্যেও ট্যাপিস্ট্রির মতো জটিল কারিগরি কাজও চালিয়ে গেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে রশীদ চৌধুরী দুটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথমে ১৯৬২ সালে প্যারিসের আকাডেমি অব জুলিয়ান অ্যান্ড বোজ আর্টসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকালীন সময়ে ফরাসি ভাস্কর সুচরিতা অ্যানির সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে, রোজা চৌধুরী এবং রীতা চৌধুরী। ১৯৭৭ সালে সুচরিতা অ্যানির সাথে বিচ্ছেদের পর তিনি চট্টগ্রামের বাঙালি মেয়ে জান্নাতকে বিয়ে করেন। ১৯৭০-এর দশকে রশিদ অনেকটা রং-তুলি ছেড়ে ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নানা ধরনের লেখার মধ্য দিয়ে শুরু করেন সাহিত্যচর্চা। লিখেছেন কবিতা, মূল ফরাসি থেকে ভাষান্তরিত করেছেন করেছেন জাক্ প্রেভের্ এবং রবের দেস্নোস্-এর রচনা। ছোটবেলা থেকেই রশীদ চৌধুরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকত না। মাদ্রিদে প্রবাসকালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ’৮৪ সালের দিকে তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। দেশে-বিদেশে অনেক চিকিত্সা করানোর পরও তা আর সেরে ওঠেনি। ১৯৮৬ সালের ১২ ডিসেম্বর মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। শিল্পী রশিদ চৌধুরীর সম্মানার্থে এবং তার স্মৃতি ধরে রাখতে বাংলােদশে গড়ে ওঠা এই পরিষদ তাঁর জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালন সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও চারু ও কারু শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্যে ওই পরিষদ কর্তৃক 'শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্মৃতি' পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। এই কালজয়ী শিল্পীর সৃষ্টি ও তার যাপন কথাকে এ ছোট্ট কলেবরে ধরা সম্ভব নয়। সে চেষ্টাও অমূলক। এ কথা অনস্বীকার্য যে তার ঘটনাবহুল, বর্ণিল আত্মত্যাগী শিল্প মানসকে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে ব্যাপক গবেষণার বিকল্প নেই। আজ চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।যেখানেই থাকুন না কেন, স্বদেশকে তিনি ভোলেননি। বাংলাদেশও তাঁকে ভুলবে না। একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী রশিদ হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করছি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রাজীব নূর ভাই.
চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিবেদনের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.