নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
প্রখ্যাত বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। তিনি দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। শাহনাজ রহমতুল্লাহর গান সম্ভবত সংগীতের প্রবল শক্তির কথাই মনে করিয়ে দেয়।একটা জাতীয় দিবস তাঁর গান ছাড়া চলবেনা।এরকম দেশ ও সমাজের সকল সীমা অতিক্রমকারী শিল্পী আর পাওয়া যাবেনা। দীর্ঘ ৫০ বছর গান গেয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। তার উল্লেখযোগ্য গানসমূহের মধ্যে রয়েছে এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল্, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমায় যদি প্রশ্ন করে, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায় । প্রথমোক্ত তিনটি গান বিবিসির একটি জরিপে সর্বকালের সেরা বিশটি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পায়। কালজয়ী গানগুলো শতাব্দীর অস্তিত্ব পর্যন্ত টিকে থাকবে। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আজ কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী। কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
(জ্যেষ্ঠ ভাই প্রয়াত চিরসবুজ অভিনেতা জাফর ইকবালের সঙ্গে কিশোরী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ছবি সংগ্রহ)
শাহনাজ রাহমত উল্লাহ ১৯৫২ সালের ২রা জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এম ফজলুল হক, মা আসিয়া হক। মায়ের হাতেই ছোটবেলায় তার গানের হাতেখড়ি। পরিবারের সবার কাছে তিনি ছিলেন আদরের শাহীন। ছোটবেলাতেই তিনি শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে নতুন সুর চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। সেই থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত নিয়মিত গান করেছেন। শাহনাজ রহমত উল্লাহ প্রথম উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেন ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছে। এরপর তিনি ওস্তাদ মনির হোসেন, গজল সম্রাট মেহেদী হাসান, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কাছেও গানে তালিম নেন। বিয়ের পরে তিনটি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেছিলেন এ শিল্পী। খান আতাউর রহমানের সুরে আবার তোরা মানুষ, আলাউদ্দীন আলীর সুরে সাক্ষী ও আনোয়ার পারভেজের সুরে ছুটির ফাঁদে চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে টেলিভিশনে গান গাইতে শুরু করেন। শাহনাজ রহমত উল্লাহ সত্তরের দশকে অনেক উর্দু গীত ও গজল গেয়েছেন। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচী টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন। প্রখ্যাত গজলশিল্পী মেহেদী হাসানের কাছে তিনি গজল শিখেছেন। ২০১৪ সালে সংগীত শিল্পী হিসাবে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করেন এ শিল্পী। ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তির সঙ্গে সময় থাকতেই গান থেকে বিদায় নেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। বছর ছয়েক আগে হঠাৎই গান ছেড়ে দিয়েছিলেন এ কিংবদন্তি শিল্পী। গণমাধ্যমে ছিলেন অনুপস্থিত। জীবিনের শেষের দিকে এসে ধর্ম চর্চায় প্রবলভাবে ঝুঁকেছেন। নিজেই বলেছেন ওমরাহ করে এসে তাঁর আর গান গাইতে ভাল লাগেনা।তবুও তার গাওয়া গানের মাঝেই তার ভক্ত শ্রোতারা তাকে খুঁজে বেড়ান। মৃত্যুর একবছর আগে শাহনাজ রহমতুল্লাহ গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে বলে ছিলেন, এখন আসলে জীবনযাপন বদলে গেছে। সারাক্ষণ মহান আল্লাহর ধ্যানেই মগ্ন থাকি, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেই চেষ্টা থাকে আমার। এ ছাড়া আরও একটি কারণ হলো ধর্মপরায়ণ জীবন বেছে নেওয়া। তখন তিনি বলেছিলেন, ওমরাহ করে আসার পর আর গান করতে ইচ্ছা করেনি। আমি নামাজ পড়া শুরু করেছি। নামাজ পড়েই সময় কাটছে। ৫০ বছরের ওপরে গান গেয়েছি, আর কত গাইব?
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৩ সালে শাহনাজ রহমতুল্লাহর মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমত উল্লাহর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক মেয়ে নাহিদ রহমত উল্লাহ এবং এক ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমত উল্লাহ। মেয়ে নাহিদ রহমতুল্লাহ থাকেন লন্ডনে আর ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতুল্লাহ কানাডায়।শাহনাজের ভাই আনোয়ার পারভেজ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এবং আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও গায়ক। ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’। শাহনাজ রহমতুল্লাহকে যেতে দেয়া হলো তবে সোনার গাঁয় নয় তিনি গেলেন বিধাতার সান্নিধ্যে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২৩শে মার্চ ঢাকার বারিধারায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। শাহনাজ চলে গেলেও রয়ে গেছে তার মধুঝরা কণ্ঠের কালজয়ী গানগুলো। আজ কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী। কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিজন দাদা শুভ সন্ধ্যা।
কেমন আছেন? আপনার
কুশল কামনা করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: সবার জন্ম মৃত্যু আপনি জানেন।
আমার মৃত্যু কবে তা কি জানেন?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জন্ম-মৃত্যুর হিসাব রাখেন যিনি
তিনি অবশ্যই জানেন । আমি
যানি যেদিন আপনার আমার
মৃত্যু নির্ধারিত তার এক সেকেন্ডও
বেশী থাকা যাবেনা নশ্বর এই পৃথিবীতে।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানাই
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ছবি আপু আপনাকে ধন্যবাদ
তবে খুবই মিস করেছি আপনাকে
এবারের ব্লগ ডের মিলন মেলায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২
বিজন রয় বলেছেন: অসাধারণ গায়িকা।
ধন্যবাদ নূরুভাই।