নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
নিভৃতচারী কথাসাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরী। কাব্য ও সংগীত জগতেও তাঁর বিচরণ ছিল, বাজিয়েছেন বাঁশি। তবে সব কিছু ছাপিয়ে কথাশিল্পী হিসেবেই তিনি প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত হয়েছেন। তাঁর বাবার প্রভাব এবং পারিবারিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তাঁকে সাহিত্যানুরাগী করে তোলে। বাঁশী, সঙ্গীত আর সাহিত্য এই তিন ভুবনেই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। তবে বাঁশী বাজানেোর প্রতি ছিল প্রবল অনুরাগ। সুচরিতের রচনায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষদের দৈনন্দিন জীবনাচার, বেদনা, অনুরাগ, দ্রোহ ও আর্তি প্রাঞ্জল আর নিরাভরণ ভাষায় জীবন্তরূপ পেয়েছে। চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ, গ্রামীণ জীবন সবার সামনে তুলে ধরার জন্য নিরন্তর কাজ করে গেছেন সুচরিত চৌধুরী। তাঁর লেখালেখি ও ভাবনার মধ্যে প্রজ্ঞার স্পর্শ আছে। ছোটগল্পের জন্যে তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৯৪ সালের আজকের দিনে সুচরিত চৌধুরী প্রয়াত হন। আজ তার ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সুচরিত চৌধুরীর জন্ম ১৯৩০ সালের ২১ জানুৃয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে। তাঁর বাবা আশুতোষ চৌধুরী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর লোকগীতিকা সংগ্রাহক। সুচরিত এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ। মূলত এসব বিষয়ে তাঁর তেমন আগ্রহ ছিল না। তিনি প্রাচী ও সীমান্ত-এর মতো সাময়িকীর সাথে যুক্ত ছিলেন। যা দেশের সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাসঙ্গিক। স্বাধীনতার পর আধুনিক সাহিত্যের প্রতীক হিসাবে নিভৃতচারি সুচরিত চৌধুরী চট্টগ্রামে বসে অসাধারণ সব লেখা লিখে গেছেন। সুচরিত চৌধুরী করাচি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দিগন্তের সম্পাদনা ও প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন, জড়িত ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক রেনেসাঁ, মাসিক উদয়ন ও মাসিক সীমান্ত পত্রিকার সাথে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই চট্টগ্রাম বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি। নিভৃতচারী এই লেখক ‘সুরাইয়া চৌধুরী’, ‘চলন্তিকা রায়’ এবং ‘শুধু চৌধুরী’ ছদ্মনামেও লিখেছেন। ‘শুধু’ সুচরিতের ডাক নাম। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘শুধু চৌধুরীর সেরা কবিতা’, ‘সুরাইয়া চৌধুরীর শুধু গল্প’, ‘আকাশে অনেক ঘুড়ি’, ‘একদিন একরাত’, ‘নদী নির্জন নীল’, ‘সুচরিত চৌধুরীর শ্রেষ্ঠ গল্প’, ‘সুচরিত চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প’, কিংবদন্তীর গল্প: চট্টগ্রাম’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ‘সুরলেখা’ নামে গানের সংকলন এবং ‘নানা’ নামে একটি অনুবাদ গ্রন্থ রয়েছে তাঁর। ১৯৯৪ সালের ৫ জানুয়ারি সুচরিত চৌধুরী প্রয়াত হন। আজ তার ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই
কথাসাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরীকে
চেনা ও জানার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: তাকে চিনলাম। জানলাম।
আপনার মাধ্যমে অনেক লোককে চিনলাম। জানলাম।