নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবপ্রেমিক সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও সঙ্গীত প্রযোজক সুর সম্রাট এ আর রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮


আল্লাহ রাখা রহমান পেশাদারভাবে যিনি এ. আর. রহমান হিসাবে পরিচিত। মাদ্রাজের মোৎসার্টখ্যাত ভারতীয় সুরকার, গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক, নানাবিধ যন্ত্রবাদক এবং সর্বোপরি মানবপ্রেমিক এ আর রহমান। সংগীত পরিচালক কিংবা সুরকার মানেই পর্দার পেছনের মানুষ—তাঁর সৃষ্ট সুর সফল হলে সেই গান নিয়ে মাতামাতি হবে। কিন্তু সংগীত পরিচালক কিংবা সুরকার হয়েও যে রীতিমতো প্রথম সারির তারকা হওয়া যায়, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা যায়, তার প্রমাণ এ আর রহমান। ভারতের চলচ্চিত্র জগতে তিনি তারকাদের তারকা। একনামে বর্তমান ভারতবর্ষের সেরা সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে পরিচিত তিনি। মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত হবার আগে এ আর রহমানের নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার। দিলীপের বয়স যখন একুশ তখন তার এক বোনের গুরুতর অসুখ হয়। কোনো চিকিৎসাতেই কাজ হচ্ছিল না। সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন পরিবারের এক বন্ধুর উপদেশে তারা যান শেখ আবদুল কাদের জিলানি নামে মুসলিম পীরের কাছে। তিনি পীর কাদরি নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। পিতার রোগের সময় ওই একই পীরের কাছে দিলীপ পরিবার গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন পিতার অন্তিম সময় বলে পীর কিছু করতে পারেননি। এবার বোনের অসুখের সময় তারা দেরি করেন না। দিলীপ পরিবার যান পীর কাদরির কাছে। তার দোয়ায় অতি আশ্চর্যজনকভাবে দিলীপের বোন দ্রুত সেরে ওঠেন। পিতা ও বোনের অসুখের সময় সমাজের অবহেলা এবং তার বিপরীতে পীরের সদুপদেশ ও সাহায্য গভীরভাবে প্রভাবিত করে তরুণ দিলীপকে ধর্মান্তরিত হতে। তিনি ও তার পুরো পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এভাবেই এ এস দিলীপ কুমার থেকে ওরফে আবদুল রহমান ওরফে আল্লা রাখা রহমান ওরফে এ আর রহমানের পর্যায়ক্রমিক নামান্তর ঘটে। ভারতীয় এই সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও সঙ্গীত প্রযোজক প্রচুর হিন্দি এবং দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন । তার কাজের জন্যে তাকে " মাদ্রাজের মোজার্ট " বলা হয়, এবং তার তামিল ভক্তরা তাকে " মিউজিকের ঝড় " উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তার কাজগুলো ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে ইলেক্ট্রনিক মিউজিক এবং ওয়ার্ল্ড মিউজিক এবং পশ্চিমা অর্কেস্ট্রাল মিউজিকের সম্মিলনের জন্যে বিখ্যাত। তার পুরস্কার গুলির মধ্যে রয়েছে দুটি oscar, একটি 'বাফটা পুরস্কার', একটি গোল্ডেন গ্লোব, চারটি ন্যাশনাল ফিল্ম এওয়ার্ড এবং ১৩ টি ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড। ২০০৪ সালে " টাইম্‌স ম্যাগাজিন " তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৯ সালে লন্ডনের ওয়ার্ল্ড মিউজিক ম্যাগাজিন তাকে "ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মিউজিক আইকন " দের মধ্যে একজন বলে অভিহিত করে । আজ এ আর রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৬৭সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের মাদ্রাজ প্রদেশের তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রণ করেন। ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও সঙ্গীত প্রযোজক এ আর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

আল্লাহ রাখা রহমান ১৯৬৭সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের মাদ্রাজের এক সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এ এস দিলীপ কুমার। মাদ্রাজের নাম এখন চেন্নাই, এ এস দিলীপ কুমারের নাম এ আর রহমান। পূর্ণনাম ‘আল্লাহ রাখা রহমান’। তার পিতার নাম কে আর শেখর আর মায়ের নাম কস্তুরী (এখন করিমা বেগ)। মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত হবার আগে এ আর রহমানের নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার। দিলীপ কুমারের বাবা আর কে শেখর ছিলেন তামিল এবং মালায়ালাম সঙ্গীত জগতের নামকরা সুরকার। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে স্টুডিওতে ঘুরতে যেতেন দিলীপ। হয়তো শৈশবের সেই দিনগুলোই তার মনে সঙ্গীতের নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল, যার কারণে গানই এখন রহমানের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। ৪ বছর বয়সেই তিনি পিয়ানো বাজানো শিখে গিয়েছিলেন। ৯ বছরের দিলীপকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি দেন শেখর। স্বপ্নের ঘোর থেকে বের হয়ে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয় দিলীপ ও তার পরিবার। ১৯৯২ সালেতামিল পরিচালক মণিরত্নম একটি কফির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গলসে সুর দিয়ে মাতিয়ে দেওয়া ২৫ বছর বয়সী ছেলেটিকে সুযোগ দিলেন তার ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালনার। তামিল ভাষায় তৈরি ছবিটি হিন্দিতে ডাব করা হয়েছিল। দুই ভাষাতেই রোজা’র সব কটি গান দারুণ হিট হয়। এর পর থেকে আর পেছনে তাকানো নয়, তার দেওয়া সুর কখনো ফ্লপ করেনি। ১৯৯২ সালের দিকে বাড়ির ভেতরের একটি স্টুডিও (চেন্নাইয়ের 'পঞ্চতন রেকর্ড ইন) তে তিনি একটি তামিল ছবি "রোজা" র মধ্য দিয়ে তার সিনেমা মিউজিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্লে ব্যাক বা চলচ্চিত্রে গান গেয়ে এ আর রহমান এর আত্মপ্রকাশ বম্বে (তামিল, ১৯৯৫) ছবিতে। এর আগে তিনি অনেক গানে কোরাস এ কন্ঠ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম কোন গানে পূর্নাঙ্গ ভূমিকা পালন করেন বম্বে সিনেমার হাম্মা হাম্মা গান টি তে। তার কন্ঠে প্রথম এলবাম বের হয় বন্দে মাতরম শিরোনামে সনি মিউজিক কোম্পানির পক্ষ থেকে এলবাম বাম টি ২৮ টি দেশে একযোগে প্রকাশ করা হয় ১৫ই আগস্ট, ১৯৯৭। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং ইন্টারন্যাশনাল সিনেমায় কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া রেকর্ডিং আর্টিস্টদের মধ্যে একজন। প্রায় দু দশকেরও বেশি সময়ের মিউজিক ক্যারিয়ার এ তিনি ভারতীয় সঙ্গীতে নতুনত্ব দেয়ার, এবং বহু ছবির সাফল্যের পেছনে অবদান রাখার জন্যে প্রশংসিত। তিনি একজন মানবতাবাদী এবং দাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন পাশাপাশি অনেক চ্যারিটির জন্যেও অর্থ সংগ্রহ করে প্রশংসিত হয়েছেন। এ আর রহমান যেকোনো নতুন শহরে গেলে তার প্রথম দেখার জায়গা হলো কোনো মিউজিক স্টোর অথবা কোনো মসজিদ। ওপরওয়ালার ওপর অগাধ আস্থা রহমানের। দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ার সময় বের করবেনই তিনি। ক্যারিয়ার রমরমিয়ে চলার সময়েও একটা পুরনো অ্যাম্বাসাডর নিজে ড্রাইভ করে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসতেন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার ১০০ মিলিয়ন রেকর্ড এবং ২০০ মিলিয়ন ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল। এই হিসাব অনুযায়ী তিনি বিশ্বের বেস্ট সেলিং মিউজিক আর্টিস্টদের অন্যতম। চেন্নাইয়ে রেকর্ডিং স্টুডিও ছাড়াও এ আর রহমান ফাউন্ডেশন এবং কে এম মিউজিক কনজারভেটরি তৈরি করেছেন রহমান।

এ আর রহমান জীবনের প্রথম ছবির জন্যই পেয়েছিলেন রজত কমল (জাতীয় পুরস্কার), আজ পর্যন্ত এই রেকর্ড অন্য কোনো সংগীত পরিচালকের নেই। ‘রোজা’ ছবিটি এবং এর গান সারা ভারতে সুপারহিট হওয়ার পরও চেন্নাই ছেড়ে বলিউডে আসার কোনো পরিকল্পনা করেননি তিনি। হিন্দি ভাষাটা বিশেষ বুঝতেন না। তাই ওই ভাষার সুর করতেও চাইতেন না। কিন্তু রামগোপাল ভার্মাও নাছোড়বান্দা। ‘রঙ্গিলা’র জন্য তারও রহমানকেই চাই। অনেক টালবাহানার পর রাজি হলেন রহমান। আর তার ক্যারিয়ারের একটা নতুন দিকও শুরু হলো। ‘রঙ্গিলা’ ১৯৯৫ সালে সুপারহিট হলো। রহমানের হিন্দি ভীতিও কাটল। এর পরের মোড় আসে ১৯৯৭ সালে। ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে ‘বন্দে মাতরম’-এ নতুন করে সুর দেন রহমান। ‘মা তুঝে সালাম’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে। সেখান থেকে তার ক্যারিয়ারের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হলিউডেও পৌঁছে যান এ আর রহমান। জয় করেন অস্কারও। এর আগে তিনি অনেক গানে কোরাস এ কন্ঠ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম কোন গানে পূর্নাঙ্গ ভূমিকা পালন করেন বম্বে সিনেমার হাম্মা হাম্মা গানটিতে। মুভি বোম্বের (১৯৯৫) তু হি রে.. গানটি এবং বোম্বে থিম মিউজিক ট্র্যাকটি এ তার অনন্য দু’টি সৃষ্টি। তার সেরা অধিকাংশ ট্র্যাক বা মুভিই প্রথমে তামিল ভাষায় করা, যা পরে হিন্দিতে ডাব করা হয়েছে। সেই ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি তামিল, তেলেগু, হিন্দি, মালায়ালাম, মারাঠি, কানাড়া, ম্যান্ডারিন ও ইংরেজি ভাষায় উপহার দিয়েছেন দুই শতাধিকেরও (ডাবিং ও সিঙ্গেলসহ) বেশি অ্যালবাম। ১৯৯৭ সালের ১৫ আগস্ট তার কন্ঠে প্রথম অ্যালবাম বের হয় বন্দে মাতরম শিরোনামে সনি মিউজিক কোম্পানির পক্ষ থেকে। বন্দে মাতরম মাইলস্টোন অ্যালবামটি শুধু ইন্ডিয়াতে তখন বিক্রি হয়েছিল ১.২ কোটি পিস! ১৯৯৯ সালে জার্মানির মিউনিখে কনসার্টে মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০০২-এ বিশ্ববিখ্যাত কম্পোজার অ্যান্ড্রু লয়েড ওয়েবারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রিলিজ দেন তার প্রথম স্টেজ প্রডাকশন বোম্বে ড্রিমস। ২০০৭ সালে তাজমহলকে দ্য নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স-এ স্থান পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রমোশন হিসেবে ওয়ান লাভ গানটি ৬টি ভাষায় রিলিজ দেন। তার মিউজিক করা উল্লেখ করার মতো হিন্দি মুভিগুলো হলো বোম্বে (১৯৯৫), রঙ্গিলা (১৯৯৫), দিল সে.. (১৯৯৮), তাল (১৯৯৯), লগান (২০০১), সাথিয়া (২০০২), রাঙ্গ দে বাসন্তী (২০০৬), গুরু (২০০৭), যোধা আকবর (২০০৮), জানে তু... ইয়া জানে না (২০০৮), স্লামডগ মিলিয়নেয়ার (২০০৮), ইয়ুভরাজ (২০০৮), গজনি (২০০৮), দিল্লি-৬ (২০০৯) ইত্যাদি।

(প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এবং সুরকার এ. আর. রাহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু)
ব্যক্তিগত জীবনে ৩ সন্তানের জনক এ আর রহমান বেশ সুখী একজন মানুষ। স্ত্রী সায়রা বানু এবং তিন সন্তান খাদিজা, রাহিমা ও আমিনকে নিয়ে বেশ ভাল দিন কাটে তাঁর। রহমানের পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই কমবেশি সঙ্গীত জগতের সাথে সম্পৃক্ত। ‘কাপলস রিট্রিট’ সিনেমায় ‘নানা’ গানটি গেয়েছে আমিন এবং ‘এনথিরেন’ সিনেমায় ‘পুধিয়া মানিধা’ গানটি খাদিজার গাওয়া।আজ মানবপ্রেমিক এ আর রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মদিনে জেনে নেয়া যাক কিছু অজানা তথ্যঃ
১) এ আর রহমান আসলে সুরকার নয়, কৈশোরে হতে চেয়েছিলেন ইলেকট্রনিকস অথবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। এ আর রহমান তার স্মৃতিচারণায় বলেন, মিউজিকের জন্য ততটা পাগল ছিলাম না যতটা ছিলাম টেকনোলজির প্রতি। ঘটনাচক্রে মিউজিক ও টেকনোলজি উভয়ের সম্মিলন হয় সিনথেসাইজারের মাধ্যমে।
২) কানাডার মারখামের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে।
৩) আজ শুধু এ আর রহমানেরই জন্মদিন নয়, তাঁর ছেলে আমিনেরও জন্মদিন!
৪) শুধু ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ নয়, এ আর রহমান সুরকার করেছেন হলিউডের জনপ্রিয় মুভি ‘১২৭ আওয়ারস’ এবং ‘লর্ড অব ওয়ার’-এ।
৫) ২০০০ সালে এ আর রহমানেরই জিঙ্গেলে একটি ফরাসি বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল জিনেদিন জিদানকেও!

বেশ কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রহমান ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘স্টপ টিবি’ কার্যক্রমের বৈশ্বিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এবং ‘ইন্ডিয়ান ওশেন’ নামক ভারতভিত্তিক বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৪ সালে সুনামি আক্রান্ত মানুষের জন্য, বিভিন্ন সময় অনাথ শিশুদের সাহায্য করার জন্য কনসার্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেন রহমান। দরিদ্র ও নিপীড়িত জনগণের সাহায্যার্থে নির্মিত ফিচার ফিল্মে বিনা পারিশ্রমিকে সঙ্গীত পরিচালনা করেন এ আর রহমান। ২০০৬ সালে চেন্নাইয়ের দরিদ্র নারীদের সাহায্য করার জন্য ‘দ্য বানায়ান’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের থিম মিউজিক রচনা করেন তিনি। ২০০৮ সালে ‘ফ্রি হাগ ক্যাম্পেইন’ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে রহমান ও শিভামানি ‘জিয়া সে জিয়া’ শীর্ষক একটি গান রচনা করে ভারতের বিভিন্ন শহরে তার প্রচারণা চালান।সুরের বিস্ময়কর জাদুকর এ আর রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। শুভ জন্মদিন সুরের জাদুকর এ আর রহমান।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা শিল্পীর মানবতার জন্য কাজ করা উচিত।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুধু শিল্পীরা কেন, সব মনুষেরই
মানবতার জন্য কাজ করা শুধু উচিত নয় কর্তব্য।
কারন জীবের আত্মারূপে স্রষ্টা স্বয়ং মনুষের তথা
জীবের মধ্যেই অবস্থান করেন। মহাবিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি
হয়েছে সবই স্রষ্টার সৃষ্টি। সমস্ত জীবজগৎ তিনিই সৃষ্টি
করেছেন পরম যত্নে নিয়ে, যেমন পরম ভালোবাসায়
তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। তাঁর মহাশক্তির অন্ততঃ
কিঞ্চিৎ ক্ষুদ্রাংশ শক্তি জীবজগতের তাঁর সৃষ্ট প্রত্যেক
জীবের মধ্যেই বিরাজমান। অর্থাৎ জীবজগতের সবকিছুর
মধ্যেই তাঁর শক্তির এবং তাঁর অস্তিত্বের উপস্থিতি রয়েছে।
কাজেই প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া পদর্শন করা
আমাদের প্রত্যেকেরই পরম কর্তব্য। কেননা জীবসেবা
করলেই প্রকারান্তরে স্রষ্টার সেবা করা হয়। প্রত্যেক জীবের প্র
তি যত্নবান হলে এবং তাদের ভালোবাসলে, তবেই সৃষ্টিকর্তার
প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা হয়।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Happy birthday a r Rahman

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই
সুর সম্রাট এ আর রহমানের
জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা
জানানোর জন্য।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
জাদুকর ! শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৌরভ ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ
মানবপ্রেমিক সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও সঙ্গীত প্রযোজক
এ আর রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয় সুরকার ও প্রিয় তারকা । হিন্দী মিউজিকের এক অনন্য মাইল স্টোন তিনি । মজার ব্যাপার হলো এক দিলীপ কুমার মুসলমান হয়ে হলেন আল্লা রাখা রহমান । আর এক ইউসুফ খান নাম নিলেন দিলীপ কুমার । দুজন অনন্য তারকা । একজন সুরের অন্যজন অভিনয়ের । পোস্ট প্রিয়তে ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম ভাই
আপনার প্রিয় সুরকার ও তারকা এ আর রহমানের
জন্মবার্ষিকীতে আমার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা।

দুনিয়াটা বিচিত্র ও রঙময় তাই
কেউ দুধ বেঁচে মদ খায আবার
কেউ মদ বেঁচে দুধ !!
উভয় তারকাদের জন্য শুভেচ্ছা ও
শ্রদ্ধা জানাই।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুরকার এ আর রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জিবন্ত কিংবদন্তি সুরকার এ আর রহমানের
জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ আশরাফ ভাই।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩২

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো একজন লিজেন্ড সম্পর্কে জেনে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ সোহানী আপু
লেখাটি পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.