নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫


চিরকালের গর্বিত উপমা বরেণ্য বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। যিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি একাধারে গবেষক, লেখক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, ভাষা সৈনিক, অভিধানপ্রণেতা। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা গ্রন্থের সংখ্যা অনেক। এ ছাড়াও তি্নি ১৯৪৯ হতে ৫২ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা- এই দুটি পরিচয়ের বাইরেও সর্বজন গ্রহণযোগ্য এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন নির্লোভ ও নির্মোহ এক অবাক করা মানুষ। তিনি স্বস্তি বোধ করতেন প্রধান বিচারপতির পরিচয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব তিনি পালন করেছিলেন সত্য; কিন্তু তিনি এটিকে ‘কণ্টকমুকুটশোভা’ বলে আখ্যায়িত করতেন। নানা লেখাতেই তিনি তা প্রকাশ করেছেন। এই ব্যবস্থাটিকে তিনি অপরিসীম ক্ষমতালিপ্সার প্রতীক বলে গণ্য করতেন। যদিও তিনি তার দায়িত্বটি সুচারুভাবে পালন করেন, কিন্তু তার অভিজ্ঞতা সুমধুর হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাপ তাকে সহ্য করতে হতো। কখনো তা সৌজন্যের ন্যূনতম সীমাও পেরিয়ে যেত। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন না, এ অভিযোগ তুলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া একবার তাকে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আপনাকে আমরা ঘরে থাকতে দেব না, দেশেও থাকতে দেব না।’ উল্লেখ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ভার বইটিতে তিনি নিজেই বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উটকো দায়িত্ব গ্রহণ করতে আমি কোনো উৎসাহ বোধ করিনি। আমি এই দায়িত্ব গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করলে সংবিধানের ৫৮গ(৩) শর্ত অনুসারে আমার অব্যবহিত পূর্বে যিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, তাকে রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারতেন। আমার অব্যবহিত পূর্বে প্রধান বিচারপতি ছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।’ তিনি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে গিয়ে তাকে এ দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। সাহাবুদ্দীন আহমদ জবাব দেন, তিনি দেখতে পাচ্ছেন দেশে ‘রক্তগঙ্গা বইবে’। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপায়হীন হয়ে গুরুদায়িত্বটি নেন। বরেণ্য বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মহাপ্রয়াণের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের আজকের দিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান সেই চিরায়ত না ফেরার দেশে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মুহম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জংগীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস এবং মা গুল হাবিবা ছিলেন গৃহিণী। বাবা জহিরউদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন আইনজীবী এবং একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। তিনি প্রথমে আঞ্জুমান এবং পরে মুসলিম লীগ আন্দোলনের সাংগঠনিক পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন৷ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় হাবিবুর রহমানের পিতা জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভাগীয় নেতা ছিলেন৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে বহরমপুর কারাগারে পাঠায়, অবশ্য কয়েকদিন পরই জহিরউদ্দিন বিশ্বাস মুক্তি লাভ করেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মুশির্দাবাদ থেকে স্থানান্তরিত হয়ে তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং পরবর্তীতে রাজশাহীতেস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন৷ হাবিবুর রহমানের পিতা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস বিয়ে করেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের মিসেস গুল হাবিবাকে। শুধু নানার বাড়ি নয়, বিচারপতি হাবিবুর রহমান নিজেও বিয়ে করেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিববঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। হাবিবুর রহমানের শৈশবের অনেকখানি কেটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের এই শ্যামপুরে (নানার বাড়ি)। পরবর্তীতে শ্যামপুর শ্বশুর বাড়ি হওয়ায় এখানে তিনি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতেন। তিনি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে বি.এ. সম্মান ও ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এম.এ. পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে বি.এ. সম্মান ও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তাকে অনেক অভিধায় ভূষিত করা যায়। তিনি একাধারে ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ এবং আইনজীবী।

১৯৫২ সালে হাবিবুর রহমান তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে। এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে তিনি ইতিহাসের রিডার (১৯৬২-৬৪) ও আইন বিভাগের ডিন (১৯৬১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। তিনি সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল (১৯৬৯), হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (১৯৭২) ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেরও (১৯৭২) সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।। ১৯৯০-৯১ মেয়াদে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে হাবিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে তিনি ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর অস্থিরতার মধ্যে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান অসামান্য ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞার পরিচয় দেন। সব উপদেষ্টার সঙ্গে একত্রে বসে তাদের মধ্যে একাত্মতা গড়ে তোলেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় দেশবাসী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের শান্ত করেন। এই হচ্ছেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, যিনি সকল সময়েই গড়ার মানসিকতায় প্রোজ্জ্বল ছিলেন। আর তাই মহান বিচারপতি ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের অনেক শিক্ষণীয় রয়েছে। এ সময় ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত উঁচুমানের লেখক। নীরবে-নিভৃতে তিনি দুহাতে লিখে গেছেন। তার সেই লেখার পরিমাণ পাহাড়সম। তার লেখালেখির হাতেখড়ি আইন ব্যবসা শুরুর দিকে। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরের ২৯ কি ৩০ তারিখে বই লেখা শুরু করেন। তার গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে অভিধান, নানাবিষয়ে রবীন্দ্র উক্তি সংকলন, বচন-প্রবচন সংগ্রহ, বিষয়ানুযায়ী কোরানের উদ্ধৃতি বিন্যাস, বঙ্গের ইতিহাস সম্পর্কিত বই, বাংলাদেশের ঘটনাপঞ্জি এবং ভাষণের সংকলন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের প্রবন্ধ বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। এর মধ্যে আছে- মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ (১৯৮৩), রবীন্দ্র প্রবন্ধে সংজ্ঞা ও পার্থক্য বিচার (১৯৮৩), কোরান সূত্র (১৯৮৪), রবীন্দ্র রচনার রবীন্দ্রব্যাখ্যা (১৯৮৬), রবীন্দ্রবাক্যে আর্ট, সঙ্গীত ও সাহিত্য (১৯৮৬), বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক (১৯৯৬), যথাশব্দ (১৯৭৪), বচন ও প্রবচন (১৯৮৫), বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক (১৯৯৬), তেরই ভাদ্র শীতের জন্ম (১৯৯৬), কলম এখন নাগালের বাইরে (১৯৯৬), আমরা কি যাব না তাদের কাছে যারা শুধু বাংলায় কথা বলে (১৯৯৬), বাংলাদেশের সংবিধানের শব্দ ও খন্ডবাক্য (১৯৯৭), বাংলাদেশের তারিখ (১৯৯৮), বং বঙ্গ বাঙ্গালা বাংলাদেশ (১৯৯৯), সরকার সংবিধান ও অধিকার (১৯৯৯), মৌসুমী ভাবনা (১৯৯৯), মিত্রাক্ষর (২০০০), কোরান শরিফ সরল বঙ্গানুবাদ (২০০০), চাওয়া-পাওয়া ও না- পাওয়ার হিসেব (২০০১), স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন ও বোবার স্বপ্ন (২০০২), রবীন্দ্র রচনায় আইনি ভাবনা (২০০২), বিষন্ন বিষয় ও বাংলাদেশ (২০০৩), প্রথমে মাতৃভাষা পরভাষা পরে (২০০৪), রবীন্দ্রনাথ ও সভ্যতার সংকট (২০০৪), দায়মুক্তি (২০০৫), উন্নত মম শির (২০০৫), এক ভারতীয় বাঙালীর আত্মসমালোচনা (২০০৫), একজন ভারতীয় বাঙালীর আত্মসমালোচনা (২০০৫), কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ (২০০৬), শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদাতাদের জয় হোক (২০০৭), বাংলার সূর্য আজ আর অস্ত যায় না (২০০৭), উদয়ের পথে আমাদের ভাবনা (২০০৭), যার যা ধর্ম (২০০৭), বাংলাদেশের তারিখ ২য় খন্ড (২০০৭), রাজার চিঠির প্রতীক্ষায় (২০০৭) এবং জাতি ধর্মবর্ণনারীপুরুষ নির্বিশেষে (২০০৭)। শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদাতাদের জয় হোক (২০০৭), বাংলার সূর্য আজ আর অস্ত যায় না (২০০৭) ও স্বাধীনতার দায়ভার (২০০৭)। তার কবিতাগ্রন্থ চারটি। এগুলো হলো কলম এখন নাগালের বাইরে (১৯৯৭), মনের আগাছা পুড়িয়ে (১৯৯৮), সাফ দেলের মহড়া (২০০৪) এবং মানুষের জন্য খাঁচা বানিও না (২০০৭)। সৃজনশীল লেখার স্বীকৃতিসরুপ অনেক সংবর্ধনা, সম্মাননা লাভ করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস গবেষণা পরিষদ পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে দক্ষ প্রশাসক পুরস্কার, ইব্রাহিম মেমোরিয়াল পুরস্কার, অতীশ দীপংকর পুরস্কার, হিউম্যান ডিগনিটি সোসাইটি থেকে সরোজিনী নাইডু পুরস্কার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরস্কার-২০০৫ এবং স্পেশাল কনট্রিবিউশন টু হিউম্যান রাইটস পুরস্কার পান। এ ছাড়া সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পান একুশে পদক-২০০৭।

ব্যক্তিগত জীবনে হাবিবুর রহমানের সংসার জীবনে প্রবেশ ১৯৬১ সালে। বিয়ে করেন ইসলামা রহমানকে। স্ত্রী অধ্যাপনা করতেন। একমাত্র পুত্রসন্তান শাকিল বিন হাবিব জন্মের এক বছর পর ৬ আগস্ট মারা যায়। তিন মেয়ের মধ্যে বড় রুবাবা রহমান, মধ্যমা মেয়ে নুসরাত হাবিব ও ছোট মেয়ে রওনক শিরীন। সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তার কর্মকাণ্ড ও সৃষ্টির জন্য বাঙালি গণমানসে অনেক অনেক দিন জাগ্রত থাকবেন। বরেণ্য বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মহাপ্রয়াণের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। আলোর দিশারি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: উনিই কি বাংলায় সহজ ভাবে কোরআন অনুবাদ করেছেন?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি রাজীব ভাই,
২০০০ সালে তিনি
কোরআন শরিফের
সরল বঙ্গানুবাদ করেন।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার কোন প্রবন্ধ থাকলে, একটা কপিপেষ্ট করে দিয়েন। দেখি গার্বেজ, নাকি দরকারী কিছু!

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে বিচারপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের বই সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য
আপনার সুবিধার্থেঃ বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিনামূল্যে বই ডাউনলোড

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.