নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে শিশু সাহিত্য রচনায় যাঁরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের মধ্যে গোলাম রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য। গোলাম রহমান রচিত শিশুতোষ গ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘আজব দেশে এলিস’, ‘রকম ফের’, ‘বাড়ি নিয়ে বাড়াবাড়ি’, ‘পানুর পাঠশালা’, ‘বুদ্ধির ঢেঁকি’ ও ‘চকমকি’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শিশু সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। আজ তাঁর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭২ সালের আজকের দিনে ঢাকায় তিনি এক আততায়ীর হাতে নিহত হন। শিশু সাহিত্যে ও সাংবাদিকতায় অনন্য ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক গোলাম রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
গোলাম রহমান ১৯৩১ সালের ২৮ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। গোলাম রহমান ১৯৪৭ সালে কলকাতার মডার্ন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন এবং ১৯৪৯ সালে কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজে, ল ভর্তি হলেও ১৯৫০ সালে সামপ্রদায়িক দাঙ্গার সময় পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) চলে আসেন। বাংলাদেশে এসে তিনি জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হলেও শিক্ষা সমাপ্ত করতে পারেন নি। ঢাকায় এসে ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখেই তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সে সময়কার প্রায় সব পত্রিকাতেই তিনি কখনো না কখনো যুক্ত ছিলেন। তবে তার সাংবাদিকতার সূচনা কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ এবং দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায় শিশুদের পাতা ও সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনার মাধ্যমে। দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায় শিশুদের পাতা ও সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনার কাজে নিেযোজিত ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রয়ের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন; নিউ মার্কেটে তাঁর 'প্রিমিয়ার বুকস্' নামে তাঁর একটি বইয়ের দোকান ছিলো। ১৯৬০ খৃষ্টাব্দে 'মধুবালা' নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেনন নিজস্ব সম্পাদনায়।
গোলাম রহমান শিশুদের জন্য একাধারে উপন্যাস, গল্প, কবিতা প্রভৃতি যেমন রচনা করেছেন তেমনি সকল বয়সীদের জন্য লিখেছেন ছোট গল্প, নাটক, আত্মজীবনী। তাঁর লেখা অতি পরিচিত কিছু গ্রন্থ হচ্ছেঃ ‘আমাদের বীর সংগ্রামী’, ‘নেতা ও রাণী’, ‘জীবনের বিচিত্রা’ ইত্যাদি প্রবন্ধ গ্রন্থ এবং ‘চেনামুখ’ নামে একটি নাটক রয়েছে। ১৯৬৯ সালে শিশু সাহিত্যে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত বেশ কিছু রচনা নিয়ে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে ‘গোলাম ঢাকায় এক আততায়ীর হাতে নিহত হন। আজ তাঁর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। শিশু সাহিত্যে ও সাংবাদিকতায় অনন্য ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক গোলাম রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আামি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই খান সাহেব।
এখন আপনি প্রায় সবার প্রতিটি লেখায় দু/এক
শব্দের হলেও মন্তব্য করেন। সাধুবাদ সে জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।