নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত কিংবদন্তি আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর ইতিহাসে যে সব ব্যক্তিত্বরা নির্যাতিত, অত্যাচারিত নিপিড়ীত আর অধিকার বঞ্চিত মানুষদের জন্যে সংগ্রাম করে গেছেন, সেই সংগ্রামে নিজের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছেন মার্টিন লুথার কিং ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। মার্টিন লুথার কিং ই প্রথম মানুষ যে আমেরিকায় কালো মানুষদের প্রতি বৈষম্যের জন্যে প্রতিবাদ শুরু করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি নির্যাতিত মানুষের জন্যে লড়াই করে গেছেন। তিনি গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৫৯ সালে গান্ধীর জন্মস্থান ভারত সফর করেন। আমেরিকায় নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ। গরিব এবং কৃষ্ণাঙ্গদের আর্থিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পুওর পিপলস ক্যাম্পেইন সংগঠিত করেছিলেন তিনি। আজ এই কৃষ্ণাঙ্গ নেতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এর জন্ম দিনে ফুলেল শুভেচছা।
(৭ বছর বয়সে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র)
১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ষ্টেইটের আটলান্টা সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন মার্টিন লুথার কিং। তার পিতা মার্টিন লুথার কিং সিনিয়র এবং মাতা আলবার্টা উইলিয়ামস কিং। মার্টিনের পিতৃপুরুষেরা বংশানুক্রমিকভাবে ছিল খুবই ধার্মিক। লুথার কিং এর দাদা ও বাবা দুজনেই ছিলেন চার্চের প্যাস্টর (ধর্মযাজক)। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল মাইকেল লুথার কিং, পরবর্তীকালে তাঁর কিশোর বয়সে এই নাম পালটে তিনি নিজেই বাবার নামের অনুসারে নতুন নাম নির্বাচন করেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। যে ছেলে কৈশোরেই নিজের জন্মকালীন নাম পরিবর্তন করে নিজের পছন্দমত নাম নির্বাচন করতে পারে, সেই ছেলে যে কোন এলেবেলে ধরনের ছেলে ছিলনা, তা তাঁর কিশোর বয়স থেকেই বুঝা গিয়েছিল। আটলান্টার বুকার টি ওয়াশিংটন হাইস্কুলে তার স্কুল জীবন শুরু।কালো চামড়ার ছিলো (তখন বলা হতো নিগ্রো) বলে কালোদের জন্য নির্দিষ্ট স্কুলে তাকে যেতে হয়েছিল। কিনতু এই ছেলে এতই মেধাবী ছিল যে তাকে ক্লাস নাইন ও ক্লাস টুয়েলভ পড়তেই হয়নি, দুইবার অটোপ্রমোশন পেয়ে ১৯৪৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মোরহাউজ কলেজ থেকে সমাজ বিজ্ঞান এর উপর স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে বষ্টন ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন শাস্ত্রে পিএইচডি, ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি লাভ করেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
একসময় আমেরিকাতে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সাথে চরম বৈষম্য করা হত। সাদা মানুষ বাসে উঠলে কালো মানুষদের সিট ছেড়ে দিতে হত। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রই প্রথম মানুষ যে আমেরিকায় কালো মানুষদের প্রতি বৈষম্যের জন্যে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁর সত্যিকারের আনুষ্ঠানিক সিভিল রাইটস মুভমেন্ট শুরু হয় ১৯৫৫ সালের ডিসেম্বার মাসের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ১৯৫৫ সালের ১লা ডিসেম্বার তারিখে মিসেস রোজা পার্কস নামের এক সম্ভ্রান্ত আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলাকে পুলিশ এরেস্ট করেছিলো, কারন সেই ভদ্রমহিলা অফিস থেকে বাসে করে ফেরার পথে আরেক সাদা আমেরিকান যাত্রীকে কেনো তার নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি, এটাই ছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। অবশ্য মিসেস রোজাই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি এই ধরনের অভিযোগে এরেস্টেড হয়েছেন, তার আগে অনেকেই এই ধরনের বৈষম্যের শিকারও হয়েছে, জেলেও গিয়েছে। তবে যেহেতু মিসেস রোজা আফ্রিকান-আমেরিকান সোসাইটিতে খুবই পরিচিত ছিলেন, তাই ঐ সোসাইটির সকল লিডাররা ও মার্টিন লুথার কিং এই বৈষম্যমূলক আচরনের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করাকেই বিবেচনায় নিয়ে আসেন। তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন, এখানেই মার্টিন মহাত্মা গান্ধীর অহিংস অসহযোগ আনদোলনের প্রক্রিয়া সমর্থন করে ঐ বাস সার্ভিস সমস্ত কালোদের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। বাসে না চড়ে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বা নিজের গাড়ী চালিয়ে অফিসে যাওয়া আসা করতে থাকেন। ৩৮১ দিন একটানা বাস সার্ভিস বর্জনের পরেই এলাবামা রাজ্যে যে কোন যানবাহনে কালো বা সাদা যাত্রীদের মধ্যে উচ্চনীচ ভেদাভেদকে বেআইনী ঘোষনা করা হয়। গান্ধীজীর সত্যাগ্রহ তাঁকে খুব বেশী অনুপ্রানিত করে তোলে। সত্যাগ্রহ যার মানেই হচ্ছে সত্যকে ধারন করা বা সত্যকে বরন করা অথবা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা কোন সামাজিক মুভমেন্টে প্রতিবাদের প্রধান অস্ত্র হিসেবে। লুথার কিং গান্ধীজীর সত্যাগ্রহে অনুপ্রানিত হয়ে ১৯৫৯ সালে গান্ধীর জন্মস্থান ভারত সফর করেন।
(১৯৫৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আলবামার মন্টেগরীতে ২জন সাদা চামড়ার পুলিশ কর্মকর্তার হাতে গ্রেফতার হন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র)/si]
১৯৫৭ সালে রেফ এবারনেথি এবং অন্যান্য সিভিল রাইট নেতাদের সহযোগিতায় স্হাপন করেন সাউদার্ন লিডারশীপ কনফারেন্স (এসসিএলসি)। আমেরিকার সিভিল রাইট নেতা হাওয়ার্ড থমসন এবং ভারতের নন ভায়োলেন্স এর জনক গান্ধীর মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে কিং অত্যান্ত যোগ্যতার সাথে আমৃত্যু এই সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্টার পাশাপাশি তাদের নৈতিক চরিত্র গঠন নিশ্চিত করাও ছিল এই সংগঠনটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কাজ । লুথারের বাবা দাদারা নিগ্রো হিসেবে সারাজীবন অনেক বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। মার্টিন নিজেও এই বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তার বাবা ছেলেকে শিক্ষা দিয়েছেন ন্যায়ের পক্ষে থাকার, শিক্ষা দিয়েছেন সকলের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য, শিখিয়েছেন সবাইকে ভালোবাসতে। তার বাবা মনে করতেন একমাত্র ভোটের মাধ্যমেই আফরিকান-আমেরিকানরা তাদের প্রতি যত বৈষম্যের অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে। যার প্রভাবে ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে কৃষ্ণাঙ্গদের অর্থনৈতিক মুক্তি, চাকরির সমতা অর্জন এবং সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার লক্ষ্যে কিং, বেয়ারড রাস্তিন এবং আরো ছয়টি সংগঠনের সহায়তায় মার্চ অন ওয়াশিংটন ফর জব এন্ড ফ্রিডম নামে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন। এই সমাবেশ ছিলো আমেরিকার ইতিহাসে সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহা-সমাবেশ। এই সমাবেশে এ যোগ দেবার জন্য ২০০০ বাস, ২১ টি স্পেশাল ট্রেন, ১০ টি এয়ারলাইন্স এর সকল ফ্লাইট ও অসংখ্য গাড়িতে করে মানুষ ওয়াশিংটনে এসেছিল। ওয়াশিংটন মনুমেন্ট থেকে লিঙ্কন মেমোরিয়াল পর্যন্ত যাত্রায় প্রায় ২ লক্ষ জনতা জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং কাজ ও সামাজিক অধিকারের দাবীতে অংশগ্রহণ করে। মুল আন্দোলন আফ্রিকান আমেরিকানদের হলেও, ২ লক্ষ সমর্থকের মধ্যে ও ৫০,০০০ ছিল সাদা মানুষ। সকল ধর্মের, সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে এই সমাবেশে Harry Belafonte, Marlon Brando, Sammy Davis, James Garner, Bob Dylan এবং Joan Baez এর মত তারকারাও এসেছিল। সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লং মার্চ ও মহা-সমাবেশে বর্ণবাদবিরোধী ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নন্দিত মার্কিন নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৭ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণ আই হ্যাভ এ ড্রিম প্রদান করেন।
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এই বক্তৃতাটির মাধ্যমে, ঘোষণা দেন জাতিগত বৈষম্যের দিন শেষ করার ডাক দেন সমতার। তিনি তার ভাষণে তুলে ধরন শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্যমূলক আচরণ আর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতন ও বঞ্চনার কথা। বললেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ নিগ্রোরা পুলিশের বর্ণনাতীত নির্যাতনের শিকার হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ ভ্রমণক্লান্ত নিগ্রোরা শহরের হোটেল বা মোটেলে বিশ্রামের অধিকার পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ আমাদের শিশুরা 'কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য' লেখা সাইনবোর্ড দেখবে। আমি জানি, তোমরা কেউ এসেছ দূর-দূরান্ত থেকে। কেউ জেলের কুঠরী থেকে। কেউ পুলিশের টর্চার সেল থেকে। তোমরা যার যার ঘরে ফিরে যাও। কিন্তু কাদা পানিতে ডুব দিয়ে থেক না। হয়তো আজ বা আগামীকাল আমাদের জন্য সংকটময় হবে। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি, এই স্বপ্নগাথা আছে আমেরিকার অস্তিত্বে। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন এই জাতি জাগ্রত হবে এবং মানুষের এই বিশ্বাসের মূল্যায়ন করবে, সব মানুষ জন্মসূত্রে সমান।
মার্টিন লুথাক কিং এর ঐতিাসিক বক্তৃতাটি আই হ্যাভ এ ড্রিম নামে নামে বিশ্বে পরিচিত পেয়েছে। তবে অনেকেই বলেন বক্তৃতাটি লেখার শুরুর দিকে এই শিরনাম ছিল Normalcy, Never Again যা বক্তৃতাটি লিখে শেষ করার পর পরিবর্তন করা হয় এবং পরিবর্তিত সংস্করণটিই পড়া হয়। এই বক্তৃতাটি ভোটের মাধ্যমে ১৯ শতকের সেরা বক্তৃতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। আই হ্যাভ এ ড্রিম ভাষণটি শুধুমাত্র আমেরিকার ইতিহাসেই নয় সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আলোড়ন তোলা আই হ্যাভ এ ড্রিম (আমি স্বপ্ন দেখি) ভাষণের প্রভাবেই ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার আইন ও ১৯৬৫ সালে ভোটাধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯৬৫ সালের ৭ মার্চ রবিবার তার এসএলসি সংগঠনের সহায়তায় সেলমা থেকে মন্টগোমারির রাজধানীতে এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করেন। কিন্তু পুলিশ আর সরকারী গুপ্তচরদের মিছিলের উপর অমানবিক নির্যাতনের কারনে সেই মিছিলটি শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে যায়। উল্লেখ্য যে আমেরিকার সিভিল রাইট মুভমেন্টের ইতিহাসে সেই দিনটি এখনো'ব্লাক সান ডে' হিসাবে গন্য করা হয়। অন্যদিকে ভিয়েতনামের সাথে আমেরিকার যুদ্ধে জড়িত হওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ আর নিন্দা প্রকাশ করেন।
১৯৬৭ সালের ৪ এপ্রিল নিউইয়র্কে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই যুদ্ধের তীব্র সমালোচনা করে বলেন " আমেরিকানরা ভিয়েতনামকে তাদের কলোনি বানানোর যে বাসনা করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্য আর বর্বরোচিত একটা অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকবে"। এর ঠিক এক বছর পর ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি মেম্ফিসের লরিয়েন মোটলে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী যুবক জেমস আর্ল রে নামক আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই কৃষাঙ্গ মহানায়ক। মানবাধিকার কর্মী কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ। বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং এর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নেতা হতে টাকা লাগেনা।
যোগ্যতা লাগে। তবে
যোগ্যতা আপেক্ষিক বিষয়।
কারো কাছে শিক্ষা যোগ্যতার মাপকাঠি
আবার কারো কাছে সততা। তবে সব কিছুর
মিশেল হলে যোগ্য নেতা হওয়া যায়।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫২
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: যানবাহনে উঠলে ছিট ছেড়ে দিতে হতো সাদা চামড়ার লোকদের জন্য, সীমাহীন বৈষম্য ছিল তো। যাক বর্তমানে তো এ জাতীয় বৈষম্য আমেরিকায় নেই মনে হয়।না থাকলেই ভাল।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ ইকবাল ভাই
বৈষম্য আগেও ছিলো, বর্তমানে আছে
এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যদিও সবাই
গালভরা বুলি ঝাড়ে "আমরা বৈষম্যহীন
সমাজ গড়তে কাজ করছি"
একই প্রকৃতি বা একই সংজ্ঞার পর্যায়ে পড়ে এমন সকল
বৈশিষ্ঠ্য থাকা সত্বেও একটি সাথে অন্যটির যে পার্থক্য
করা হয় বা পার্থক্যের ধারণা গুলি সৃষ্টি করা হয়- সেটিই
হলো বৈষম্য। যেমন ধরা যাক একটি শব্দ “মানুষ”। এ
শব্দটির মধ্যে কোন শ্রেণী বিন্যাস নেই। যা আছে তা হলো
পৃথিবীর সর্বত্র বিচরন করা এমন একটি গোষ্ঠি বা মানুষ
নামে বুদ্ধিমান একটি প্রাণী। এ ধারণা থেকে আফ্রিকার
কালো ও খর্বাকায় পিগমিরা যেমন বলবে “আমরা মানুষ”
ঠিক তেমনি এশিয়, কিংবা ককেশিয়া, কিংবা ইংল্যান্ডের
সাদা চামড়া মানুষ গুলোও বলবে “আমরা মানুষ”।
সুতরাং আমরা মানুষ এটি একটি স্থান কাল পাত্র ব্যতিরেকে
এমন একটি “কমন-ইজম” যার মধ্যে কোন পার্থক্য বা
বৈষম্য নাই। কিন্তু যদি আমরা পৃথিবীতে বসবাস করা
সকল মানুষের আকার, গাত্রবর্ণ, ভাষা, বিশ্বাস বা
ধর্মের বিষয় গুলি নিয়ে চিন্তা করি তাহলে একে
অন্যের সাথে ভুরি ভুরি পার্থক্য পেতে পারি।
আর এপার্থক্য থেকে একে অন্যের চাইতে
শ্রেষ্ঠত্ব খোঁজে, শ্রেষ্ঠত্ব দেখায় এবং এ
ধারণা থেকেই বৈষম্যের সৃষ্টি।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: মানবাধিকার কর্মী কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে মন থেকে শ্রদ্ধা জানাই।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: গত সপ্তাহে অফিশিয়াল কাজেই এই মহামানবের মার্চ অন ওয়াশিংটন এর মুল অডিও শুনলাম। শীরদাড়া সোজা হয়ে যায়। যুগে যুগে এ রকম মানুষেরাই ইতিহাস নতুন করে লিখতে বাধ্য করেছে বিশ্বকে।
অনেক ধন্যবাদ স্যার আপনার লেকার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার নেতা হতে ইচ্ছা করে।
নেতা হলে কি কি লাগে? যোগ্যতা না টাকা?