নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে গান বাজনা হারাম!! আজাইরা প্যাচাল

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫


অনলাইনে ক্যাচাল করার সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন মাধ্য ফেসবুক, ব্লগ, ওয়েবসাইট। কারও কোনো কথা পছন্দ হলো না, অমনি শুরু হয়ে গেল। কারও কোনো যুক্তি নিজের আবেগ-বিশ্বাসে হানা দিল, শুরু হলো পাল্টা হামলা। কারও প্রমাণ নিজের পূর্বধারণার পরিপন্থী, ব্যাস শুরু হলো ক্যাচাল। আর একবার এই ক্যাচার শুরু হলে তা থামবার নাম নাই। ইসলামি জীবনব্যবস্থার শেষ নাবী মুহাম্মাদ(সঃ) কে তাঁর সময় থেকে শুরু করে আজও বিভিন্ন তকমা দেওয়া হচ্ছে। জাদুকর, কবি থেকে শুরু করে হাল আমলে তাঁর নাম বিকৃত করে বিভিন্ন তকমা দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা তাঁর একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে নিজেদের দাবি করেন, তারাও হরহামেশাই অন্যদেরকে বিভিন্ন তকমায় “ভূষিত” করেন। নিঃসন্দেহে এটা ভিন্নমত পোষণের সবচেয়ে নীচু ধরন যা দুঃখজনক। যখন কোনো মুসলিম যুক্তি ও প্রমাণের সাহায্যে স্রষ্টার অস্তিত্ব, একত্ব, নাবী ও প্রত্যাদেশের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তখন তার সঙ্গে ক্যাচাল করার অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রথমে তাকে মৌলবাদীর “তকমা” দেওয়া। তারপর ব্যক্তি আক্রমণ করা। ক্যাচাল করার অন্যতম আরেকটা কৌশল হচ্ছে মূল পয়েন্ট থেকে দূরে সরে গিয়ে পার্শ্ববিষয়ের উপর আলো ফেলে সেটা নিয়ে তর্ক করা। কী বলা হচ্ছে সেটা ভালো করে না-বুঝেই ঝাঁপিয়ে পড়া হয়। কোনো সন্দেহ নেই, মানুষের অহংবোধ, আগে থেকে লালিত বিশ্বাস এক্ষেত্রে যৌক্তিক ও ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা থেকে বিরত রেখে তাকে ক্যাচালে উদ্বুদ্ধ করে।

বেশ কয়েকদনি যাবৎ সামুর পাতা গরম হচ্ছে "ইসলামে গান বাজনা হারাম" কথাটা মিথ্যাতো নয়।ইসলাম ধর্মে গান-বাজনা শোনা হারাম। আর তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে লেশমাত্র সন্দেহ নেই। সলফে সালেহীন; সাহাবা ও তাবেঈন কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, গান অন্তরে মুনাফিকী (কপটতা) উদগত করে। উপরন্ত গান শোনা-অসার বাক্য শোনা এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর্যায়ভুক্ত। আর আল্লাহ তা’আলা বলেন, “মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা অজ্ঞতায় লোকেদেরকে আল্লাহ্‌র পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসাড় বাক্য বেছে নেয় এবং আল্লাহ্‌র প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।” (সূরা লুকমান ৬ আয়াত) তবে গানবাজনা সম্পর্কে এই আয়াতে আরো ব্যাখ্যা আছে। ইসলামে গান-বাদ্য হারাম নয়, হারাম হচ্ছে অশ্লীলতা। অশ্লীলতাকে ইসলাম অবশ্যই হারাম ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোর’আনে রয়েছে, “আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না (সুরা আরাফ ২৮)।” তাহলে যে সকল গান সমূহের মাধ্যমে অশ্লীলতার প্রসার ঘটানো হয় সে সকল গান অবশ্যই হারাম। বর্তমানে আমরা একটি কঠিন সময় অতিবাহিত করছি। পুরো বিশ্ব আজ দাজ্জালীয় ‘সভ্যতা’র করতলগত। এখানে ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই। এখানে শক্তি ও অর্থই সব। অর্থই এখানে সম্মানিত হওয়ার একমাত্র মানদ-। মানুষের মধ্যকার মনুষ্যত্ব আজ ধ্বংসপ্রায়। তাহলে এই যুগসন্ধিক্ষণে এসে আমাদের করণীয় কী? আমাদের একমাত্র করণীয় হচ্ছে এই দাজ্জালীয় ‘সভ্যতা’কে ভেঙ্গে একটি নতুন সভ্যতার নির্মাণ করা। একটি পুরাতন জরাজীর্ণ অট্টালিকাকে ভেঙ্গে সেই জায়গায় নতুন একটি অট্টালিকা নির্মাণ চাট্টিখানি কথা নয়। অনেক সময় দেখা যায় লেখক লিখলেন এক জিনিস, কিন্তু আমাদের পূর্বধারণা, (prejudice), অসচেতনতা কিংবা পর্যালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে বুঝলাম আরেক জিনিস। ফলে আমাদের প্রতিক্রিয়া এক্ষেত্রে সঠিক হবে না। আমাদের ভিন্নমত মূল বিষয়কে পাশে ফেলে তুচ্ছ বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরবে। কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন বিষয় নিয়ে ক্যাচাল শুরু হবে যার সঙ্গে মূল লেখার কোনো সম্পর্কই নেই। তাই যুক্তি ও প্রমাণের সাহায্যে কারও মতের বিরোধিতা করতে হলে নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। ভিন্নমত থাকলে এরপর শ্রদ্ধাপূর্ণ উপায়ে সেটা তুলে ধরুন। লেখককে সহযোগিতা করুন। আসুন ক্যাচাল করে পরিবেশ গরম করে বা সাময়িক তৃপ্তির ঢেঁকুর না-তুলে পরস্পরের প্রতি পর ধর্মের প্রতি সম্মানজনক ও শ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাব গ্রহণ করি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ইসলামে গান-বাদ্য হারাম নয়, হারাম হচ্ছে অশ্লীলতা।


বিদ্বান মশাই, কন তো হুনি, আমার মত অবিদ্বানরা এখন কোন দিকে দৌড়াবে?!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে দৌড়ের উপর থাকতে হবে আ্ব্দুল হাক ভাই
যানেনতো
" দো দিল বান্দা
,,,,,,,কালিমা চোর,
না পায় বেহেস্ত
,,,,,,না পায় গোর।


আগে দিল ঠিক করেন
তা হলেই সব মিলবে।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এখন শুরু করলে শায়েরি!!!

আমি সাধারণ মানুষ, এবং এই দলই বড়। এই দলের লোকরাই বেশির ভাগ স্বর্গ এবং নরকে যাবে। বাকিদের কী হবে?

সুরে সুরে শের বললে ঠিকাছে। সুরে সুরে বাংলায় আল্লাহর গুনগান গাইলে হারাম হয়ে যায়। ভ্যালা ঝামেলা লাগছে!!!

এসব বাদ দিয়ে কেমন সকলে পেট ভরে চারটা ভাত খেয়ে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে সেই চিন্তা ফিকির করলে সকলের মঙ্গল হবে।

প্রায় বিশ বছর ধেয়ান চিন্তা করে অবশেষে আল্লাহকে পেয়েছি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ !! আপনাকে অভিনন্দন !!
আপনি আল্লাহকে পেয়ে গেছেন।
এমন নিশ্চিত হতে পারলে যে কেউ
খুশী হবে। পেট ভরে খেতে পারলেই
শুধু আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন
অন্য সময় নয়? মানুষের উচিৎ সর্বাবস্থায়
আল্লাহর গুনগান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ছবিটা নিশ্চয় আপনার?

যাক, খামোখা সময় নষ্ট করতে চাই।

সকলের মঙ্গল হোক।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জি্ আমিও তাই বলেছি আমার লেখায়
আজাইরা ক্যাচাল পরিহার করি আমরা।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: যারা ক্যাচাল করে তাদের সারাদিনও যদি বলেন তাহলে তাদের কান বধির থাকবে, তাদের চোখ অন্ধ থাকবে, তাদের মন গোমড়া থাকবে। এদের বলে কিছু লাভ নেই। বছর বছর আগে আল্লাহ একটি জাতিকে সরাসরি আলৌকিক ভাবে অনেক কিছু দেখিয়েছে তারপরও ওরা মানেনি। আর এরাই তো সেই জাতির উত্তরসূরি তারা কি ভাবে মানবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
চমৎকার ভা্বে ক্যাচালে না জড়ানোর
নসিহত করে। আমি এতক্ষন ক্যাচােলেই
ছিলাম। আপনাকে সাথে পেয়ে সাহস পেলাম।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। হেদায়াত সবার কপালে থাকে না। মহানবী (সাল্লালাহু আলাইহিস সালাম) এর সময়ও কিছু মানুষ কাফের অবস্থায় মারা গেছে। তবে আফসোস এটাই যে শেখার এবং জানার সুযোগ থাকার পরও এরা সত্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আসলে মানুষকে হেদায়াতের মালিক
একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীন। তার
দয়া ও করুনা ছাড়া কারো পক্ষেই হেদায়েত
নসিব হয়না। আমাদের তিনি হেদায়েত দান করুন
আর ইসলামের প্রতি অটুট থাকার তৌফিক দান করুন।
আমিন

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

নজসু বলেছেন:



আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ বোঝার ক্ষমতা দান করুন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সুজন ভাই।
আপনার নেক দোয়া
কবুল হোক আল্লাহর
দরবারে। আমিন

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ছবি আপু
আল্লাহ আমাদের সবাইকে
হেদােয়েত দান করুন। আামিন

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো ও কল্যাণকর গান বাজনা হারাম না। মানে যা মানুষকে আনন্দ দেয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে সকল গানের কখায় অশ্লিলতা নাই
যে গানে আল্লাহ ও রসুল (স}) এর গুনগান
থাকে, যে গানে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ
পায় সে গান হারাম নয়। যেমনঃ হামত, নাত

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

একাল-সেকাল বলেছেন:
ইসলাম মুমিন বান্দারের আনন্দ কেড়ে নিতে চায়না। তবে সংরক্ষিত এলাকায় যেমন সীমানা প্রাচীর থাকে, ঠিক তেমনি মুসলিমরা নির্ধারিত আদেশ/ নিষেধের মধ্যে থেকেই আনন্দ উপভোগ করবে, যেখানে বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা থাকবেনা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ একাল সেকাল
সলাম পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ইসলামের উদ্দেশ্য হলো দুনিয়াতে
শান্তি ও পরকালে মুক্তি। তাই ইসলামের বিধান জীবনব্যাপী।
সুখ-দুঃখ জীবনেরই অংশ।
নিষ্পাপ আনন্দ ও বৈধ বিনোদন সুন্নত। বিনোদনের
উপায়-উপকরণগুলোর প্রায় সব কটিই প্রিয় নবীজি (সঃ) ও
সাহাবায়ে কেরাম প্রয়োগ ও উপভোগ করেছেন। যেমন গল্প,
কৌতুক, হাস্যরস, খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি, পদ্য প্রণয়ন,
গদ্যপাঠ, সাহিত্যরচনা, সংগীত ইত্যাদি।
বীপত্নীগণসহ বহু নারী সাহাবিও কবিতা ও
সাহিত্য রচনা করেছেন। হজরত আয়েশা (রাঃ)
ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি অনেক কবিতা লিখেছেন।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: যে ব্যাক্তি ফুল,শিশু এবং সঙ্গিত পছন্দ করে না,সে মানুষ খুন করতে পারে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শিশুদের ফেরেশতাদের সাথে
তুলনা করা হয় এই কারনে যে
তখনও তারা নিস্পাপ। সুতরাং
শিশুদের অপছন্দ করার কোন
কারন নাই।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: হামদ ও নাতে যদি বাদ্যযন্ত্র লাগিয়ে দেন তাও হারাম হবে। ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম বলা হয়েছে।বাদ্যযন্ত্র ব্যতীত গান গাওয়া যাবে হামদ ও নাত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্রিয় নবীজি (সঃ) দফ (বিশেষ বাদ্যযন্ত্র) বাজনা শুনতেন।
যুদ্ধজয়ের পর বালিকারা নবীজি (সঃ) কে দফ বাজিয়ে গান গেয়ে বরণ করত।
ইসলামে বিনোদনের ক্ষেত্রে যে বিষয় লক্ষ রাখা হয় তা হলো,
কল্যাণকর ও প্রশান্তিদায়ক হতে হবে। এমন আনন্দ নয়, যা
পরিণতিতে বেদনার কারণ বা উপলক্ষ হবে। জ্ঞানচর্চা সর্বোত্তম বিনোদন।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



গানবাজনা নিয়ে ব্লগার "নীল আকাশ" এক পোষ্ট দিয়েছে; ছবি যোগ করেছে, খোলা কবর, আমি এই ধরণের ছবি দেয়া ঠিক নয়, বলাতে তর্ক হছ্ছিল, সে আমাকে "মুনাফিক" ডেকেছে; এরপর আরেকটা ঐ ধরণের ব্লগার "হাবিব স্যার", সে ঐ পোষ্টে গিয়ে আমাকে "মোনাফেক" ডেকেছে; এগুলো শিবিরদের ভাষা, এসব শিবিরেরা কি ব্লগিং করছে?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেবু বেশী চিপলে তিতা হয়ে যায়।
এই টপিকটা বানের পানির মহো
ব্লগ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে দূর্বার গতিতে।
সবারই উচিত সীমার মদ্ধে থাকা।
আপনিও মাঝে মাঝে লিমিট ক্রস
করেন। জ্ঞান বিতরন করা মহৎ গুন
তবে সব ক্ষেত্রে বা সমভাবে বিদ্যা
বিতরন করলে ভজঘট লাগতেই পারে।
সুতরাং সর্বক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা গ্রহন করা
বুদ্ধিমানের কাজ। ইদানিং আপনার দেখাদেখি
খান সাহেবও ভজঘট লাগিয়ে দি্চ্ছে।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "সবারই উচিত সীমার মদ্ধে থাকা। আপনিও মাঝে মাঝে লিমিট ক্রস করেন। "

-আমি গানবাজরা "হারাম/হালাল" নিয়ে পোষ্ট দিইনি; আমি বলেছি যে, মদীর মুসলমানেরা ইহুদী সংস্কৃতিকে গ্রহন করেনি; গানবাজনা ইহুদী ও খৃষ্টানদের সংস্কৃতি ও ষহর্মের সাথে যুক্ত। পুরো বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে গান-বাজনার বিপক্ষে কথা বলে থাকে জামাত-শিবির ও তালেবানরা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার গান-বাজনার বিপক্ষে শুধু ইসলাম ধর্ম কেন অবস্হান নিলো?
পোস্টে অনেক মন্তব্য করেছেন যা ইসলাম ধর্মে সমর্থন করেনা। যার খুশি গান গাইবে.
যে খুশি নাচবে এটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার তবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে প্রতিটি
মুসলমানের কর্তব্য একে নিরুৎসাহিত করা। সকলেই তার নিজ নিজ কর্মফল ভোগ করবে।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৭

নতুন বলেছেন: আপনি যখন এই আলোচনাকে ফালতু বলবেন তখন তো আরো প্রশ্ন আসবেই।

কোরানের একটা আয়াত দেখান যেখানে গান বাজনা হারাম বলা আছে। ;)

দেখাতে পারবেন না।

কোরানে জেনাকরা, মদ পান, সুদ, শুকরের মাংস, এই রকমের অনেক কিছুই হারাম ঘোষনা করা হয়েছে, তাহলে গান বাজনা সরাসরি হারাম কেন ঘোষনা করা হলো না?

কেন অনথ`ন শব্দকে গান হিসেবে ব্যক্ষা করা হচ্ছে? তবে কি আল্লাহ কে ডিঙ্গিয়ে এই সিদ্ধান্ত বড়াবাড়ি নয় কি?

সহী হাদিসে আছে রাসুল সা: এর সামনেই আয়শা রা: কে দুই মেয়ে গান শোনাচ্ছিছেন এবং আবু বকর রা: নিষেধ করলে রাসুল সা: তাকে থামিয়ে দিয়েছিলেন,

অবশ্যই বাজে কথার গান,কবিতা,লেখা খারাপ কিন্তু তাই বলে সব গান হারাম বলা বাড়াবাড়ি। যেহেতু কোরানে আল্লাহ করেন নাই, তাই মানুষ কিছু হাদিসের কথা বলে একে হারাম করা ব্যক্তিগত ক্ষোভ বলেই আমি মনে করি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সম্ভবত আপনি আমার লেখাটি সম্পূর্ণ না পরে
শুধু মাত্র শিরোনামের উপর আলোকপাত করে
মন্তব্যটি করেছেন। আমার লেখাতে বলা আছেঃ

গানবাজনা সম্পর্কে এই আয়াতে আরো ব্যাখ্যা আছে।
ইসলামে গান-বাদ্য হারাম নয়, হারাম হচ্ছে অশ্লীলতা।
অশ্লীলতাকে ইসলাম অবশ্যই হারাম ঘোষণা করেছে।
পবিত্র কোর’আনে রয়েছে, “আল্লাহ মন্দ কাজের
আদেশ দেন না (সুরা আরাফ ২৮)।”
তাহলে যে সকল গান সমূহের মাধ্যমে
অশ্লীলতার প্রসার ঘটানো হয় সে সকল গান অবশ্যই হারাম।

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: নূরু ভাই, আপনার অনেকগুলো কমেন্টের জবাব এমন ফরমেটে লেখা প্রথমে দেখে ভড়কে গিয়েছিলাম- এটা কবিতা না কমেন্ট? পড়ে নিশ্চিত হলাম এটা কবিতা না। এমন ভয় দেখাবেন না।

ঘুষ হারাম সকলেই জানে, এরপরেও প্রচুর লোক ঘুষ খায়। বাংলাদেশে যারা মদ খায় এদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যাই বেশি বলে শুনি । নামাজ পড়া ফরয সবাই জানে এরপরেও প্রচুর লোক নামাজ ত্যাগ করে। কোনটা হারাম কোনটা হালাল এটা আল্লাহতালা নিজে মাটিতে এসে যদি বলে দেয়, এরপরেও কিছু লোক মানবে , কিছু লোক মানবে না। মানা না মানার স্বাধীনতা আল্লাহতালা আপাতত সবাইকে দিয়ে রেখেছেন। যার খুশি মানুক, যার খুশি না মানুক -আমাদের পক্ষে বলা ছাড়া খুব বেশি কিছু করার সুযোগ নেই।

এই বয়াতির নাম কোনদিন শুনিনি । এই ক্যাচালের কারনে গোটা দেশ এখন বয়াতির নাম জানে।

বর্তমানে পৃথিবীতে কোনো দেশে ইসলামিক শাসন চালু নেই। ইরান- সৌদি আরবে সরকারের টিকে থাকতে যতোটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ ইসলামিক শাসন চালু । আছে বাংলাদেশে কোন ইসলামী আইনের কারণে বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে অভিযোগকারীকে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। ওই বয়াতির বিরুদ্ধে কে অভিযোগ এনেছে তা আমার জানা নাই। তবে নিশ্চয়ই তিনি তাঁর অভিযোগ প্রমাণ করেছেন; না হলে পুলিশ তাকে ধরল কেন?

পুলিশ পুলিশের কাজ করুক , আদালত আদালতের। আমরা ব্লগাররা ক্যাচাল করে যাই। ক্যাচাল ছাড়া জীবন ভালো লাগেনা। যারা পাঁঠা তারা পাঁঠা ছিলো, থাকবে; এই নিয়ে আপনি দুঃখ করবেন না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাসান ভাই ভয়ের কোন কারণ নাই।
এখনতো গদ্য কবিতা এমনই হয়। সে
যা হোক খালি গান বাজনা বিষয়ক চ্যালেঞ্জের জন্য শরীয়ত বয়াতীকে গ্রেফতার করা হয়নি।
শরীয়ত সরকার আরো অনেক শিরকী কথাবার্তা বলেছেন। তার মধ্যে কয়েকটা হলঃ
১। মহানবী(সাঃ) মাতৃগর্ভে থাকতেই একজনকে মুরীদ করেছিলেন।
২। মহানবী (সাঃ) নিজেই আল্লাহ(নাউজুবিল্লাহ)। তিনি আলী (রাঃ) কে বলেছেন,
যে আমাকে দেখেছে তার আল্লাহ দেখার আর বাকী নেই। (নাউজুবিল্লাহ)।
৩। নবী গান না শুনলে ঘুমাইতো না। এটা বুখারী শরীফের কথা। (নাউজুবিল্লাহ)
৪। দাউদ (আঃ) ছিলেন একজন বয়াতী। তিনি মুখ দিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন। (নাউজুবিল্লাহ)।
এটা নাকি কোরআনে লেখা আছে। (মিথ্যা) এছাড়াও
ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেমদের 'শালার বেটা' বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন।
তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৮

নতুন বলেছেন: অস্লীল কথা বাতা অবশ্যই হারাম,

এখন কয়টা গানে অস্লীল কথাবাত্রা থাকে?

ভালো কথার গান তাহলে হালাল?

তাহলে ইসলামে গান বাজনা হারাম না।

কারন সমাজই কিন্তু অস্লীল কথা, কবিতা,গান,মুভি,গল্প,উপন্যাস খারাপ চোখে দেখে, এইগুলি সভ্য সমাজে হারামই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলামে হামদ, নাত কি হারাম করেছে?
যে গানে স্রষ্টা এবং তার সৃষ্টির প্রশংসা থাকে।
খোদার হাবিবের স্তুতি করা হয় তা অবশ্যই
হারাম না। হামদ ও নাতে কি কখনো বাদ?
যন্ত্রের ব্যবহার দেখেছেন। আসলে সবই জানেন
এবং বুঝেন তার পরেও তর্কের জন্য তর্ক করেন।

১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ফোকলা দাতে ডাল চিবানো যায় নাকি?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফোকলা দাঁতে ডাল চিবানোর অভিনয় করা যায়।
এতে কোন বিধি নিষেধ নাই। আপনার সব দাঁত কি
পড়ে গেছে?

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামে গান হারাম এসব সেরকম স্পষ্ট লেখা নেই।
কিন্তু ছবি হারাম, সেটা স্পষ্ট লেখা।

আপনে সবার আগে প্রফাইল পিক থেকে ছবিটা সরান,
এরপর পাসপোর্ট ও ন্যাশানাল আইডি পুড়াইয়া ফেলান।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বৈশাখী ভাই শুভ সকাল। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে,
সর্বজন গ্রহণযোগ্য অভিধান লিসানুল আরবসহ অন্যান্য অভিধানে তাসবিরের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তসবির বা ছবি হলো যার আকার, পরিধি ও স্থিতি আছে ৷ মোবাইল, ইন্টারনেট ও টেলিভিশনের ছবি তথা ডিজিটাল ছবির আকার, পরিধি ও স্থিতি নাই ৷ যন্ত্র চালু না করলে ছবির কোন অস্তিত্ব দেখা যায় না ৷ তাই এটি কোন ক্রমেই তাসবির নয় ৷ ডিজিটাল ছবিকে জোর করে তাসবিরের হুকুমে ঢুকাতে চাওয়া এক প্রকার গোঁড়ামি ৷ আরব উলামায়ে কেরামের মতে ডিজিটাল ছবি- যার কোনো আকার, পরিধি ও স্থিতি নাই তা সম্পূর্ণ জায়েজ ৷ সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় শায়খ ড. সালেহ আল-উসাইমিন এর ফতোয়া ডিজিটাল ছবি জায়েজ ৷ তাঁর এই ফতোয়া প্রদানের পর ডিজিটাল ছবি জায়েজ হওয়ার ব্যাপারে আরবের সকল উলামায়ে কেরাম একমত পোষণ করেছেন ৷ তবে প্রিন্টেড ছবির আকার, পরিধি ও স্থিতি রয়েছে ৷ তাই এটি তাসবিরের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় নাজায়েজ ৷ তবে প্রিন্টেড ছবি জায়েজ হতে হলে জরুরতে দ্বীনিয়্যা শর্ত ৷আলোচ্য এই মূলনীতির আলোকে দীনী প্রয়োজনেও প্রিন্টেড ছবিও জায়েজ বলে গণ্য হবে ৷ একটি ছবি এক হাজার শব্দের চেয়েও বেশি কার্যকরী ৷ কোনো বক্তব্যের প্রমাণ ও প্রভাব সৃষ্টির জন্য দ্বীনী প্রয়োজনে পত্রিকায় ছবি ছাপতে হয় ৷এটি হবে মিডিয়ার প্রয়োজন ৷ তা ছাড়া এনআইডি, পাসপোর্ট করাও জরুরতের অন্তর্ভূক্ত হবে ৷ দ্বীন প্রচারে উলামায়ে কেরামের মিডিয়ায় আসা জরুরী ৷ বিশেষত টেলিভিশনে ৷ কারণ এটির মাধ্যমেই সবচে' বেশি মানুষের কাছে পৌঁছা যায় এবং এটিই সবচে' বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম ৷ এখনও এ নিয়ে ইখতেলাফ করতে থাকা উলামায়ে কেরামের জন্য আত্নঘাতী ছাড়া আর কিছু নয় ৷ মূল- ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক
সুতরাং আজা্ইরা ক্যাচাল না করাই শ্রেয়। আগে জানতে হবে তার পর ধীরে সুস্থে উত্তর দিতে হবে। এটা গাজীসাবের পোস্টে দেখুন কত উপকারী।

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অ ভাই, ইতা কিতা কইলেন!

আ্ন্নেরেতো আমি মুক্ত জ্ঞানের মানুষ ভাবি! :)

ভাইজান তর্ক নয় কু তর্ক নয় আলচনা দরকার। জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার সাথে। ইজমা এবং কিয়াসের পথে।
মুনাফিক, কাফের ফতোয়া যারা হুটহাট দিয়ে ফেলে তারা যে কত বড় পাপ করে নিজেরাও জানে না।
যাকগে সে কথা। গান নিয়ে কাঠ মোল্লাদের সমস্যা আজকে নতুন নয়। সেই গুরু নজরুলকেও কাফের ফতোয়া দিয়েছিল।
পরে তিনি যখন লিখলেন- তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে, বক্ষে আমার কাবার ছবি চক্ষে মোোহাম্মদ রাসুল- তখন তাদের মূর্খ ভাবননা জল পেল! আমতা আমতা করে বলে - না গান হারাম না।, তবে সব গান না!

বিষয়টা অনুভবের। বিশ্বাসের। ভব্যতা বোধের।
এই কুলে আমি আর ঐ কুলে তুমি
মাখানে নদী ঐ বয়ে চলে যায়... কি করে হারাম হয়?
সবার সাথে উপভোোগ্য একটা গান। এই গান আপনাকে ইসলাম থেকেও সরিয়ে দেয় ন।
আপননার বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করে না। তাহলে!

আবার অন্যদিকে দেখুন-
চোলিক্যা পিছে ক্যায়া হ্যায়....চলি কা পিছে
এটা সাধারণ সভ্য সমাজই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। গ্রহণযোগ্যতার সাধারণ মাপকাঠিতেই এটা অশ্লীল বলে মানুষ গ্রঞন করেনি।

দয়াল পার কর আমারে ---
একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর রে মনন আমার
কিংবা
দম মাস্ত কলন্দর মাস্ত মাস্ত কিভাবে হারাম হয়?

পাপ পূন্য ভাল মন্দের যে মাপকাঠি বেসিক তা আগে অনুভব করতে হবে।
ইসলাম কিন্তা দাড়ি আর টুপিতে নেই। সবার আগে এই কথাটা বুঝি নিন। ইসলাম আরবেও নেই।
বিদায় হজ্বে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন কারো উপর কারো বিশেষ অধিকার নেই তাকওয়া ব্যাতিত।

কারবালার ময়দানে আরো স্পষ্ট হয়েছে সত্য মিথ্যা। একপাশে দাড়ি টুপি জুব্বা ওয়ালা ইয়জিদ বাহিনী। আহলে বায়াত ইমাম হোসাইনকে হত্যার উদ্ধেশ্য দাড়ানো। অন্যপাশে ইমাম হোসাইন শাহাদাতের পবিত্র পেয়ালা পানে আল্লাহরর পথে সুদৃঢ়।
কে মুসলিম?
ইয়জিদের দল যে মুসলিম ছিল না, দাড়ি, টুপি জুব্বাই যে মুসলমানের পরিচয় য়- ইমাম হোসাইন রা: এর শেষ ভাষননে তা স্টষ্ট হয়েছে। যেখন তিনি বলেন- তোমাদের মাঝে কি একজন মুসলমানও নেই - যে আহলে বায়াতের পক্ষে আসবে? ইয়াজিদ দলর থেকে একজনও আসেনি। তারা মুসলিম ছিল না। তারা মুসলমানও ছিল না।

এই ব্যবধানটা যত পরিস্কার হবে ঈমান তত মজবুত হবে। জ্ঞানের পথ প্রশস্ত হবে।

সেই ইয়াজিদ গং দীর্ঘ ৪০ বছর ক্ষমতায় থেকে নবী এবং আহলে বায়াতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং অর্থ ব্যায় করে ইসলামের মূলোৎপাটন করেছিল গোত্রিয় হিংসা বিদ্বেষ থেকে। উমাইয়া আব্বাসীয় দ্বন্ধে ক্ষতি হয়েছে ইসলামের। যারা রাসুল প্রেমি সাহাবা ছিলেন তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার, জেল, জুলুম, হত্যা সহ নানাবিধ উপায়ে ম্যানিপুলেট করেছে হাদীস সমূহ। তাদের পক্ষের হাদীস সমূহ রেখে অন্য সকল হাদীস বিলোপনে অর্থ, ক্ষমতা সবই ব্যায় করেছে। আবু জর গিফারী রা: আপোষ করেন নি ইয়জিদি শক্তির সাথে- উনার জীবন কাহিনী দেখূন। এইরকম শত হাজার সাহাবা শাহাদাত শ্রেয় মনে করেছেন ইয়জিদের মিথ্যা আনুগত্য প্রকাশ না করে।

ইতিহাসের কি অদ্ভুত ঘুনর্ণ আবারো - হাজার বছর পরর সত্য নেই একই ধারায় মূখৌমূখি
কারবার ময়দানের মতো - তুমি কোন পক্ষে?
ইয়াজিদের?
না ইমাম হোসাইনের?

কারণ সত্য আর মিথ্যা।
ইয়াজিদ মিথ্যা। হোসাইন রা: সত্য। যে কোন একটাকে বেছে নিতে হবে।
কারণ সত্য একটাই।
বর্তমান আরবীয় তেলের অর্থে দূভ্যাগ্যজনক ভাবে ইয়াজিদিজমকে পেট্রোনাইজ করা হচ্ছে ওহাবী মতবাদের আড়ালে।
তারা ইসলামের মুক্ত জ্ঞান চর্চা এবং বিকাশের বদলে ইসলামকে বদণাম করে, ব্যাকডেটেড প্রমাণ করে এমন সব তত্ত্বকে ধার করে। ইসলাম বদ্ধ ধর্ম নয়।সময়ের সাথে প্রয়োজন বদলাবে জেনেই কিন্তু কোরআন হাদীসের পর ইজমা এবং কিয়াসের জানালা খোলা রেখে গেছেন রাসুল সা: ।

আমরা কি রাসুল সা: কে মানবো? না সউদ গোষ্টিকে?
যে সউদরা স্বাভাবিক সুস্থ রাজীনীতিই জাননে না। নতজানুতায় রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সাম্রাজ্যবাদের গোলামী করে?
অথচ ইসলামতো মাথা উঁচু করে বাঁচার ধর্ম। বাকী সব গভীর তত্ত্ববিচার বাদই দিলাম।

তাই সত্য জ্ঞানে সত্য অনুভবে সময় ব্যায় করতে হবে। গবেষনা করতে হবে। ভিন্নমত হলেই কাফের মোাফিক ট্যাগিং নয়...
সত্য ধারনে চাই সত্য সাধন।




১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ভৃগু দাদা সালাম জানবেন।
আপনার জানা মিথ্যা নয় । আমি
নিজেকে মুক্ত মনের মানুষই ভাবি।
তবে ধর্মের বিধি নিষেধ মেনে চলার
চেষ্টা করি। বলতে পারেন ধর্মের ক্ষেত্রে
আমি কিছুটা কনজারভেটিভ। যেহেতু
ধর্মীয় ব্যপারে আমার জ্ঞান সীমিত তাই
আমি এ বিষয়ে যাদের গভীর জ্ঞান ও শিক্ষা
রয়েছে তাদের কাছ থেকে যেনে নেই কোনটা
হারাম কোনটা হালাল।
আমি আমার লেখায় বলেছি গান হালাল কি হারাম
তা নিয়ে বেহুদা ক্যাচাল না করাই শ্রেয়। মানুষকে
আল্লাহ সকল জীবের সেরা ঘোষণা দিয়েছেন এবং
সেই পরিমার বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়েছেন। সে জানে
কোনটা হারাম আর কোনটা হালাল। মানুষের মনোর
অগোচরে কোন পাপ নাই। পাপ করলেই তার মন তাকে
বলে দেবে কোনটা পাপ। গান হারাম নয় তখনই যথন
তার কথায় অশ্লীলতা থাকেনা। যেমনঃ সৃষ্টিকর্তার গুনগান
হামত এখানে কোন অশ্লীলতা পাবেন না, তেমনি নাতে রসুেলেও
কোন অ্শ্লীতা নাই। দেশাত্ববোধক গান, প্রাকৃতিক বা সৃষ্টির গুনগানে
কোন অশ্লীলতা পাবেন না। তাই এগুলোকে কেউ হারাম বলবে না। তবে
কুত কুতি মাইয়া অথবা পেরেক মাইরা দে টাইপের গান কি হালাল হবার
শ্রেণিতে পরে? যা হোক যার ইচ্ছা গান শুনবে, যার ইচ্ছা শুনবে না এটা
একান্তই নিজস্ব্ ব্যাপার তবে কোনটা হারাম আর কোনটা হালাল তা স্মরণ
করিয়ে দেয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দ্বায়িত্ব। হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ।
আল্লাহ সবাইকে সহি বুঝ দান করুন। আমিন

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

যারা ধর্মের অগভীর জ্ঞান (shallow knowledge) নিয়ে বিভিন্ন ক্যাচাল লাগায় তারা ফোকলা দাতে ডাল চিবুতে চায়। আমার দাত ফোকলা হলে আমিও ক্যাচাল লাগাতাম। এসবের সাতেপাঁচে আমি নেই ;)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যথার্থ বলেছেন,
আমি সবাইকে এই বিষয় নিয়ে
ক্যাচাল না করার অনুরোধ করেছিলাম
কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাশ এই লেখাতেই
বেশী ক্যাচাল হচ্ছে। আমিও এর সাতে পাঁচে নাই

২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ ধরণের অনেকগুলো লেখা পড়লাম। মানে গান-বাজনা বিতর্ক নিয়ে। বুঝতে পারি না কী মতামত দেব।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হুজুগে বাঙ্গাল বলে একটা কথা প্রচলিত আছে
আমাদের সমাজে। একবার যদি কোন বিষয়ে
ক্যাচাল শুরু হয় তা আর থামতে চায়না।
এর পিছনেও ইসলামের মুখোশ পড়া
শত্রুরা লুকিয়ে আছে কিনা্ তা খতিয়ে
দেখা আবশ্যক। আজাইড়া প্যাচালে
জড়িয়ে তারা ইসলামের আদর্শ থেকে
মানুষকে বিচ্যুত করতে চায় কিনা্?

২২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪২

সাসুম বলেছেন: ব্লগার বিদ্রোহী'র কমেন্ট এ কি সুন্দর যুক্তি! অথচ আমরা ফলো করি সৌদি তেল চিটচিটে পাঠাদের শেখানো আর দেখানো পথেই।
আপনি গান, ফুল আর শিশু অপছন্দ করলে আপনি মানব এর কাতারে পরেন না। ধন্যবাদ

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখানে তথাকথিত অশ্লীল গানকে হারাম বলা হয়েছে
শ্লীল গানগুলিকে নয় যা শুনলে আত্মার প্রশান্তি আসে,
সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি আসে সেই গানগুিরি নয়।
এখানে শিশু বা ফুলের উপমা আসার কথা অবান্তর।
ক্যাচাল গান নিয়েই থাকুক। ট্রাক পরিবর্তন করলে
আবার ক্যাচাল হবে ভিন্ন ধারায়।
যে মানুষ খুন করে তার ঘরে কি বাচ্চা থাকেনা?
অনেকে তার নিজের সন্তানের জন্যও মানুষ খুন করে।
ফুল বিক্রেতাও খুনি হতে পারে। ফুল বাগানের মালিও
খুনি হয়। ভালো থাকুন

২৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: @ প্রিয় হাসান কালবৈশাখি ভাই,



আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পবিত্র ঘোষনা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি। উনি আমাদের গুরু, আধ্যাত্মিক নেতা। ঘোষনা বাস্তবায়ন হইলে ওনার নেতৃত্বে পাসপোর্ট, এন আই ডি পুড়াইয়া দিবো। আর কি কি পুড়াতে হবে জানায়েন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আপনি আমার চেয়ে কম ভালোবাসেন না। আশা করি আপনাকেও সবার পাশে পাবো।
অনেক ভালোবাসা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি কি কইলাম আর
আপনি কি বুঝলেন তা
যেই তিমিরে সেই তিমিরেই
রয়ে গেলো। এন আইডি আর
পাসপোর্ট পোড়ালে পাক্কা ঈমানদার
হওয়া যাবে? নাকি ক্যাচাল ক্যাচালই
রয়ে যাবে !!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.