নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান অভিনেতা অমলেন্দু বিশ্বাস ওরফে অমল বোস। ষাটের দশকে যাত্রামঞ্চের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তাঁর অভিষেক হয় । ১৯৬৩ সালে সম্পৃক্ত হন ঢাকা ক্লাব থিয়েটারের সঙ্গে। এ সময় বেশ কিছু মঞ্চনাটকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দর্শকনন্দিত হয় তাঁর নির্দেশিত নূরুল মোমেনের নাটক ‘আলো ছায়া’। ঢাকা ক্লাব থিয়েটার ছাড়াও অবসর, শৈবাল, রংধনু, সপ্তরূপা প্রভৃতি নাট্যদলের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে দেশের টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর পর থেকেই তিনি ছিলেন টিভি নাটকের পরিচিত মুখ। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র, মঞ্চ, টিভি ও বেতারে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সার্বজনীন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রচারিত বিশেষ নাটিকায় অসুর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি 'জাতীয় মহিষাসুর' হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। দীর্ঘ ৩৮ বছর ঐ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর বিশেষ নাটিকায় কংসের চরিত্রে অভিনয়েও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্ব্বী।এছাড়াও, বিশিষ্ট পরিচালক ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত পরিচালিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি'র 'নানা-নাতি' পর্বে অমল বোসের নানা ও মোহাম্মদ শওকত আলী তালুকদারের নাতি চরিত্রটি বহুল আলোচিত হয়। নানা চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলমান সময়ের নানা অসঙ্গতিকে সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। আর এভাবেই দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন ‘নানা অমল বোস’। শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে রাজা সন্ন্যাসী, মহুয়া, নীল আকাশের নীচে, সোনালী আকাশ, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, গুনাই বিবি, রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত, অবিচার, হঠাৎ বৃষ্টি, আমি সেই মেয়ে, তোমাকে চাই, মন মানে না প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। আজকের প্রতিবাদ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করে জিতে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি একটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেন তিনি। সত্তরের দশকে অমল বোস পরিচালিত ছবিটি হচ্ছে ‘কেন এমন হয়’। সর্বশেষ তিনি অনিমেষ আইচ পরিচালিত নির্মাণাধীন না-মানুষ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। আজ এই খ্যাতিমান অভিনেতার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের আজকের দিনে তিনি রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান অভিনেতা অমল বোসের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অমল বোস ১৯৪৩ সালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ষাটের দশকের প্রথম থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। একাধারে মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র ও বেতার জগতে পদচারণা ছিল। সেই সুবাদে ঢাকাতেই তিনি জীবনের সিংহভাগ সময় কাটিয়েছেন। ১৯৬০-এর দশকে অমল বোস তার অভিনয় জীবন শুরু করেন মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি ১৯৬৩ সালে থেকে ঢাকা ক্লাব থিয়েটার-এ মঞ্চ নাটকে কাজ করেছেন। নুরুল মোমেনের নাটক আলো ছায়া তার নির্দেশনায় দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। সেই সময় তিনি অবসর, সপ্তরূপা, শৈবাল ও রংধনু নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৬৬ সালে রাজা সন্ন্যাসী ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেছিলেন। এরপর তিনি নীল আকাশের নীচে, শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ-সহ বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি একটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেন অমল বোস। কেন এমন হয় নামের এই ছবিটি তিনি পরিচালনা করেন সত্তরের দশকে। ২০০৪ সালে মতিন রহমান পরিচালিত রং নাম্বার এবং মুশফিকুর রহমান গুলজারের কুসুম কুসুম প্রেম ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। অমল বোস তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নব্বইয়ের দশকে পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত "আজকের প্রতিবাদ" ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন। জনপ্রিয় এ অভিনেতা পেশাগত জীবনে জুট মিলস্ কর্পোরেশনের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে চাকুরী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেই দিন সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে অচেতন হয়ে পড়েন। পরেতাকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এরপর এ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে অমল বোসের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিল তার স্ত্রী - স্বাতী বোস, একমাত্র মেয়ে - মন্দিরা বোস ও জামাই - ইন্দ্রজিৎ সরকার। আজ এই খ্যাতিমান অভিনেতার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান অভিনেতা অমল বোসের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]">n[email protected]
[[email protected]
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার খুব পছন্দের অভিনেতা ছিলেন।
বাংলার আলাউদ্দিনের দৈত্য !!
আচ্ছা দাগন ভুঁইয়াটাকে?
খুব দুষ্ট লোক।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
নজসু বলেছেন:
ইত্যাদিতে নাতীকে দেখলেই আমার অমল বোসের কথা মনে হয়।
শ্রদ্ধা।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছোটবেলার ইজ্জত আলী তালুকদার ! ইত্যাদির নানা। প্রিয় অভিনেতা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো অভিনেতা ছিলেন।