নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবেক অর্থমন্ত্রী, খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতের ৮৬তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪


বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলির সৎ, ন্যায়নিষ্ট, কর্মযোগী ও স্পষ্টভাষী বিরল ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।একদিকে তিনি সফল অর্থমন্ত্রী, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সরকারের প্রজ্ঞাবান সচিব, কুটনীতিবিদ, গবেষক, চিন্তাবিদ, লেখক ও সংগঠক; অন্যদিকে সহজ-সরল, ক্রীড়াপ্রেমী ও আমুদে মানুষ। সিলেটের কৃতী সন্তান, সারাদেশের গৌরব, দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ, আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতিবিদ, পরিবেশ আন্দোলনের মহান উদ্যোক্তা, জনসেবায় নিবেদিতপ্রাণ ভাষা-সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আব্দুল মুহিত যেন এক পরশপাথর; যেখানেই হাত দেন সোনা ফলে! এক জীবনে তিনি এত বেশি বলেছেন, এত বেশি লিখেছেন, এত এত গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তাঁর সমতুল্য ব্যক্তি খুঁজতে গেলে বেগ পেতেই হবে! রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করেও সৃষ্টি করেছেন বিপুল রচনাসম্ভার। কৃতি ও কীর্তিতে অনন্য এক মানুষ তিনি। চিন্তায়, কর্মে, সৃজনে সর্বদা সময়ের চেয়ে অগ্রসর। তাঁর চিন্তাজাত লেখনী সমাজকে করেছে আলোকিত; দিয়েছে দিকনির্দেশনা। বর্ণাঢ্য জীবনের আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত মুহিতের জীবন। ৮৫ বছরের শেষ প্রান্তে। তবুও যেন চিরতরুণ! কর্মে নবীন ও তেজোদীপ্ত। বয়সের ভার শরীরে পড়লেও তাকে পাত্তাই দিতে চান না তিনি। বহুমুখী প্রতিভা এই নেতার আজ ৮৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৪ সালের আজকের দিনে তিনি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী, খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ এবং ভাষাসৈনিক আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে (সাবেকঃ শ্রীহট্ট) জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের কর্ণধার এডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজ, মাতা সিলেট মহিলা মুসলিম লীগের সভানেত্রী সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী। ৭ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে জনাব মুহিত ৩য়; ভাইবোনরা সবাই উচ্চশিক্ষিত, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত এবং দেশ-বিদেশে স্বনামে পরিচিত। তাঁর দাদা খান বাহাদুর আবদুর রহিম ছিলেন আসাম সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা। অন্য দাদা আবদুল হামিদ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী। আরেক দাদা এস এম আকরাম পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। জনাব মুহিত’র নানা সৈয়দপুর অঞ্চলের প্রখ্যাত জমিদার সৈয়দ আবুল বাশার চৌধুরী। মুহিত’র প্রপিতামহ দানবীর মৌলভী আবদুল করিম, সর্বভারতীয় মুসলীম লীগের নেতা ছিলেন। মুহিত’র ফুফু ছিলেন সিলেট জেলার প্রথম মুসলিম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। গৃহ শিক্ষকের কাছেই তার পড়ালেখার হাতেখড়ি। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনে প্রবেশ গভর্নমেন্ট হাই ইংলিশ স্কুলে (বর্তমানে সিলেট সরকারি পাইলট স্কুল) তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির মধ্য দিয়ে। আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঐ বিষয়ে প্রথম শ্রেণী পেয়ে কৃতকার্য হন এবং একই বিষয়ে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বিদেশে চাকুরীরত অবস্থায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন তিনি। অতঃপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রী লাভ করেন। পড়ালেখার বাইরে এক্সট্রা একাডেমিক কাজের প্রতিও মুহিত’র আকর্ষণ ছিল বেশি, সবরকম খেলাধুলায় তিনি অংশ নিতেন। কবিতা আবৃত্তি, নাটক, হাতে লেখা পত্রিকা, দেয়াল পত্রিকা ইত্যাদি প্রকাশে উৎসাহের সাথে কাজ করতেন। কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, বক্তৃতা বা রচনা প্রতিযোগিতা, বাংলা ও ইংরেজি নাটকে অভিনয় করে বেশ কিছু পুরস্কারও অর্জন করেন তিনি। তখনকার সিলেটের নামকরা প্রতিষ্ঠান মুসলিম সাহিত্য সংসদে সদস্য হন ১৯৪৫ সালে। ওখানে সাহিত্য সভা করতেন। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি ভলিবল, ফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট খেলতেন। স্কুলে থাকতেই বড় বড় সব বই পড়ে ফেলেছিলেন তিনি। ইতিহাস ছিল মুহিত’র খুব প্রিয় বিষয়। সিলেটে মিলাদ উপলক্ষ করে স্কুলে প্রতিবছরই স্বরচিত প্রবন্ধ, কবিতা ও রচনা প্রতিযোগিতা হতো। এগুলোতে মুহিত নিয়মিত অংশ নিতেন; পুরস্কারও পেতেন। এসএম হলে থাকাকালীন ঢাকায় একটি রচনা প্রতিযোগিতা হয়েছিল রোটারীর গোল্ডেন জুবিলী উপলক্ষে; কলকাতা, ঢাকা, মুম্বাই থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। এ প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়ে পুরস্কার পান মুহিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র-সংসদের নির্বাচিত ভিপি হিসেবে সে সময়ের ছাত্র-আন্দোলন ও সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

কর্মজীবনে চৌকস ও মেধাবী ছাত্র মুহিত কর্মজীবনে প্রবেশ করে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেন জন সেবাকে। দেশপ্রেম, সততা, পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও প্রজ্ঞার বর্ণাঢ্য সমন্বয় মুহিত এর কর্মজীবন। ১৯৫৫ সালে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু। এরপর ১৯৫৬-’৫৭ পর্যন্ত লাহোর সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে সিএসপি, ১৯৫৭ জুন-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লায় এসিসট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯৫৮-’৫৯ পর্যন্ত ফরিদপুরের এসিসট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯৫৯-’৬০ সালে বাগেরহাটের এসডিও; ১৯৬০-’৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রটোকল অফিসার; ১৯৬১-’৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণরের ডেপুুটি সেক্রেটারী; ১৯৬২-’৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারী, ১৯৬৪-’৬৬ সালে করাচীতে অবস্থিত পাকিস্তান প্ল্যানিং কমিশনের চীফ অব প্রোগ্রামিং হিসেবে দায়িত্ব পালন; ১৯৬৬-’৬৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারী; ১৯৬৯-’৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে ইকোনমিক কাউন্সিলর; ১৯৭১-’৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনে কাউন্সিলর, ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রবাসী সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত বিদেশ প্রতিনিধি; ১৯৭১ সালে বেসরকারিভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সেক্রেটারী; ১৯৭২ এর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইকোনমিক মিনিস্টার; ১৯৭২-’৭৩ সালে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের দপ্তরে বাংলাদেশ-ভারত ও শ্রীলংকার বিকল্প এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর; ১৯৭৪-’৭৭ সালে ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবিতে বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষে এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর; ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে জেনারেল এরশাদের স্বল্পমেয়াদী নির্দলীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে জনাব মুহিত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে এরশাদ কর্তৃক দল গঠন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত-করণের উদ্যোগ নেয়ায় জনাব মুহিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মন্ত্রী, যিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে ওঠে জনাব মুহিত’র নেতৃত্বে। তিনি প্রথমে ‘পরশ’ এবং পরে ‘বাপা’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশনেরও পরপর দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

অর্থনীতিবিদ, পরিকল্পনাবিদ, কূটনীতিবিদ, পরিবেশবিদ বিশেষত চিন্তাবিদ ও বিশ্লেষকের পাশাপাশি মুহিত’র লেখকসত্ত্বাও প্রশংসনীয়। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩১। দেশে-বিদেশে ২৫টি প্রকাশনায় তাঁর লেখা প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। ২০০০ সালে তাঁর রচিত বই ‘বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব’ ন্যাশনাল আরকাইভস এর বিচারে সেরা গ্রন্থ হিসেবে পুরস্কৃত হয়। তাঁর প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। বিভিন্ন আন্দোলন নিয়ে যেমন চমৎকার গ্রন্থ রচনা করেছেন তেমনি ভ্রমণকাহিনী, স্মৃতিকথা, রাষ্ট্র ও সরকারের রেখাচিত্রও অঙ্কন করেছেন স্বকীয় চিন্তায়। মৌলিক লেখার পাশাপাশি সম্পাদনাও করেছেন বেশ কয়েকটি বই। একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ এ উৎস প্রকাশন প্রকাশ করেছে আবুল মাল আবদুল মুহিত রচনাবলি, যা তাঁর এযাবৎ প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থের মহাফেজখানা। ব্রক্তিগত জীবনে জনাব মুহিত ১৯৬১ সালে তাপুরের উসমানপুর গ্রামের এডভোকেট সৈয়দ মদরিস আলীর কন্যা সৈয়দ সাবিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। সাবিয়া বেগম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রী ছিলেন এবং ইতিহাসে বিএস অনার্স এবং এমএ-তে শীর্ষ পর্যায়ে পাস করেন। তিনি একজন ডিজাইনার হিসেবে নিউইয়র্কের পারসন্স স্কুলের প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ। তাঁদের ৩ সন্তানের মধ্যে প্রথম কন্যা সামিনা ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ, বড় ছেলে সাহেদ বাস্তুকলাবিদ ও নির্মাণশিল্পে নিয়োজিত এবং কনিষ্ঠ পুত্র সামির শিক্ষকতায় নিয়োজিত। জনাম মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশের আনুগত্য প্রকাশে সাহসী ভূমিকার জন্য এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিতে আপনি স্বাধীনতা পদক-২০১৬ এ ভূষিত হন। চিরসবুজ আবুল মাল আবদুল মুহিত বার্ধক্যকে পরাভূত করে এগিয়ে চলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ে এসেছেন টেকসই অবস্থানে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের অর্থনীতির নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বমন্দা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার ভেতরও বাংলাদেশের দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করা ৮৩ পেরুনো যুবক এ এম এ মুহিতের পক্ষেই সম্ভব। নিয়মিত দৈনিক ১৬ ঘন্টা কাজ করেন, কোনো কোনো সময় তারও বেশি। ১৯৭০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ৩৪ বছরে দিনে মাত্র ৪ ঘন্টা করে ঘুমিয়েছেন। সৎ, স্বচ্ছ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ায় অগ্রণী ভূমিকার ব্যক্তিত্ব আবুল মাল আবদুল মুহিত কেবল তরুণ প্রজন্মের কাছেই নয়, তিনি আমাদের সকলের আদর্শ এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আজ জনাব মুহিতের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী। বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলির সৎ, ন্যায়নিষ্ট, কর্মযোগী ও স্পষ্টভাষী বিরল ব্যক্তিত্ব আবদুল মুহিতের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলির সৎ, ন্যায়নিষ্ট, কর্মযোগী ও স্পষ্টভাষী বিরল ব্যক্তিত্ব আবদুল মুহিতের জন্মবার্ষিকীতে
...................................................................................................................................................
আমার ফুলেল শুভেচ্ছা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুণী মানুষের জন্য শুভেচ্ছা জানানোর জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ শঙ্খচিল। ভালো থাকবেন।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: যত যাই বলেন না কেন, ক্ষমতা না থাকলে কেউ দাম দেয় না, সেদিন ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে লোকটার সঙ্গে লোকটাকে দেখলাম, দেখে খুব অসহায় মনে হল। সাথে পাচে কেউনেই শুধুমাত্র বেতনভুক্ত একজন সহকারী ছাড়া।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাতি গাতায় পড়লে চামচিকাও লাথি মারে।
ক্ষমতা না থাকলে কেউ তাকে সমীহ করেনা।
তবে এমন চরিত্র হওয়া ঠিক নয়।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকের দিনে, এই ইডিয়টের মাথায় একটা গাধার টুপি পরিয়ে দেয়ার দরকার।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাউকে সম্মান না করা যার যার ব্যক্তি গত বিষয়।
তবে কাউকে অপমান করা মন্দ কাজ।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

প্রািন্ত বলেছেন: অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন তাঁর মূল্যায়ন অবশ্যই মানুষ করবে। তবে গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতা হাসান মাহমুদ-মোহা: হানিফদের মত বাজে কথা বলার মত নেতা নন তিনি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ
আবুল মাল আবদুল মুহিতের
জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা রইলো

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আলি ভাই
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ
লেখক, আবুল মাল আবদুল মুহিতের
জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: রাবিশ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অল আর রাবিশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.