নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
‘ওয়াকা ওয়াকা’খ্যাত গায়িকা শাকিরা। শাকিরা ‘হিপস ডোন্ট লাই’, ‘ওয়াকা ওয়াকা’, ‘লোকা’ গেয়ে নেচেছেন। আর তাঁর সঙ্গে নেচেছে পুরো বিশ্ব। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত অ্যালবামের মালিকদের একজন। কে-মিক্স ভার্সনে রচিত "ওয়াকা ওয়াকা ,------দিস টাইম ফর আফ্রিকা" গানটি শাকিরা'র ৭ম স্টুডিও এ্যালবাম স্যাল এ্যাল সোলেতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১০ জুন, ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটোতে অনু্ষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ফ্রেশলীগ্রাউন্ড ব্যান্ড দল নিয়ে ওয়াকা ওয়াকা গানটি পরিবেশন করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। এছাড়াও, ১১ জুলাই, ২০১০ সালের চূড়ান্ত খেলার পূর্বেও ঐ একই গান পরিবেশন করেছিলেন তিনি ও তার দল। গানটি বিশ্বকাপে দাপ্তরিকভাবে নির্বাচিত করা হলে শাকিরা বেশ উৎফুল্ল হন। ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ওয়াকা ওয়াকা গানটি ছিলো দারুন উদ্দীপনা ও উজ্জ্বীবিতমূলক। বিশ্বব্যাপী তাঁর অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি শাকিরার মাতৃভাষা স্পেনীয় হলেও, তিনি অনর্গল ইংরেজি, পর্তুগিজ, এবং ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। ভালো বুদ্ধিমত্তা ও আইকিউ পরীক্ষায় ভালো স্কোর করার জন্যও শাকিরা বিশেষভাবে পরিচিত। মাত্র চার বছর বয়সে শাকিরা তাঁর প্রথম কবিতাটি লেখেন, যার শিরোনাম ছিলো “লা রোসা দে ক্রিস্টাল” (La Rosa De Cristal), অর্থাৎ “স্ফটিকের গোলাপ”। বড় হওয়ার সাথে সাথে তিনি তার বাবাকে একটি টাইপরাইটারে গল্প লিখতে দেখে এ ব্যাপারে আগ্রহী হন এবং বড়দিনের উপহার হিসেবে একটি টাইপরাইটার চান। সাত বছর বয়সে তিনি একটি টাইপরাইটার পান এবং তখন থেকেই তিনি কবিতা লেখা চালিয়ে যান। তার কবিতাগুলো ক্রমেই গানে রূপ নেয়। শাকিরার দুই বছর বয়সে তার এক বড় সৎ ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। এ কারনে তার বাবা নিজের দুঃখ ঢাকতে চার বছর কালো চশমা পরে ছিলেন। এ ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শাকিরা আট বছর বয়সে তার প্রথম গান "তুস গ্রাফাস ওসকুরাস" (Tus Gafas Oscuras) লিখেন যার অর্থ "তোমার কালো চশমা"। স্কুল জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। সেখানে তার নিজস্ব বেলি ড্যান্সিং-এর সাথে তার কণ্ঠে স্বার্থকভাবে রক অ্যান্ড রোল, ল্যাটিন, পূর্ব মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গীত ফুটিয়ে তুলতেন। শাকিরা ১৯৯৫ সালে কলম্বীয় টেলিনোভেলা এল ওয়াসিস-এ লুইসা মারিয়া চরিত্রে অভিনয় করেন। মানবদরদী শাকিরার একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন রয়েছে। নিজের জনপ্রিয় অ্যালবাম 'পিয়েস ডেসক্যালজোস'-এর নামে ১৯৯৭ সালে শাকিরা তার ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন নিজ দেশে। সার্বজনীন শিক্ষার প্রচারই এর মূল উদ্দেশ্য। যার অর্থায়নে তিনি মানব সেবার কাজ করে থাকেন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি আটটি বিদ্যালয় গড়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন চ্যারিটেবল কনসার্টে তিনি অংশগ্রহণ করেন, তার বিভিন্ন অ্যালবাম ও গান থেকে অর্জিত কিছু অর্থ তিনি এই ফাউন্ডেশনে দান করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্ত আছেন ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে। ২০০৩ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাকিরা ইউনিসেফের গুডউইল এম্বাসাডর হন৷ এর আগে এত অল্প বয়সে কেউ এই সম্মান পায়নি। ২০০৭ সালে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে গুডউইল এম্বাসাডর হয়ে শাকিরা যান বাংলাদেশে৷ ১৭ থেকে ১৯শে ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন৷ উদ্বাস্তুদের সঙ্গে কথা বলেন, সময় কাটান৷ বাংলাদেশের পটুয়াখালীতে তিনি যান৷ সেখানে বাচ্চাদের লেখাপড়ার বিষয়ে ইউনিসেফের কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেন৷ বিশেষ করে যে সব বাচ্চা ইউনিসেফের স্কুলে পড়াশোনা করছে তাদের খোঁজ খবর নেন তিনি৷কলম্বীয় গায়িকা-গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত প্রযোজক, নৃত্যশিল্পী ও জনহিতৈষী শাকিরার আজ ৪৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৭৭ সালের আজকের দিনে তিনি কলম্বিয়ায় জন্মগ্রহন করেন। গায়িকা-গীতিকার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী শাকিরা জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
(তিন কালের শাকিরা)
শাকিরা ১৯৭৭ সালের ২ফেব্রুয়ারি কলম্বিয়ার, বার্রানকিলাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল। আরবিতে শাকিরা শব্দের অর্থ “কৃতজ্ঞ”। এটি আরবি “শাকির” শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। তার নামের পরবর্তী অংশ “ইসাবেল”এসেছে তাঁর দাদির নামানুসারে। এর অর্থ “আমার ঈশ্বর আমার প্রতিজ্ঞা”, “আমার ঈশ্বরের ঘর”। তাঁর দ্বিতীয় ডাকনাম রিপোল এসেছে ক্যাটালান থেকে। তার মা নিদাইয়া দেল কারমেন রিপোল তোর্রাদো এবং লেবানিজ বংশোদ্ভূত বাবা উইলিয়াম মেবারাক শাদিদের একমাত্র সন্তান। শাকিরার মোট ভাইবোনের সংখ্যা আট, যাঁরা সবাই তার বাবার আগের স্ত্রীর গর্ভজাত। তার দাদা-দাদি লেবানন থেকে নিউ ইয়র্কে বসবাস করা শুরু করেন এবং সেখানেই তার বাবার জন্ম হয়। এরপর ৫ বছর বয়সে তার বাবা সেখান থেকে কলম্বিয়াতে চলে আসেন। বার্রানকিলাতে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। স্কুল জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। চার বছর বয়সে শাকিরার বাবা তাকে এক্টি স্থানীয় মিডল ইস্টার্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। এখানেই তিনি প্রথমবার ডোম্বেক শোনেন এবং টেবিলের উপর উঠে নাচতে শুরু করেন। ডোম্বেক একটি আরবীয় বাদ্যযন্ত্র যা বেলি ড্যান্সিং এ ব্যবহার করা হয়। তিনি তার ক্যাথলিক স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের গান শোনাতে ভালোবাসতেন। কিন্তু দ্বিতীয় গ্রেডে থাকার সময় তিনি তার স্কুলের গায়কদল নির্বাচনের সময় বাদ পরেছিলেন কারণ তার গলার কম্পন খুবই শক্তিশালী ছিল। স্কুলে তাকে প্রায়ই দুষ্টুমির জন্য ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হত। তিনি প্রতি শুক্রবারে তার শেখা বেলি ড্যান্সিং এর ধাপগুলো স্কুলে করে দেখাতেন। শাকিরার মাঝে কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরি করতে তার বাবা তাকে স্থানীয় পার্কের অনাথ শিশুদের দেখাতে সেখানে নিয়ে যেতেন। সেই দৃশ্যগুলো তার মনে গেঁথে যায় এবং একদিন তিনি এই শিশুদের সাহায্য করবেন বলে মনে মনে ঠিক করেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় প্রযোজকদের সহায়তায় শাকিরার সঙ্গীত জীবনের প্রথম দুইটি অ্যালবাম প্রকাশ পায়, কিন্তু সেগুলো কলম্বিয়ার বাইরে খুব একটা পরিচিতি পায় নি, এবং সেগুলো ব্যবসায়িকভাবে সফল না হওয়ায় শাকিরা পরবর্তীতে নিজেই নিজের অ্যালবাম প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে তার নিজস্ব প্রযোজনায় অ্যালবাম পিয়েস দেসকালসোস (Pies Descalzos) প্রকাশ পায়; যা তাকে লাতিন আমেরিকা ও স্পেনে খ্যাতি এনে দেয়, এবং তাকে একজন রহস্যময় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে দোন্দে এস্তান লোস লাদ্রোনেস (¿Dónde Están Los Ladrones?) অ্যালবামটি শিল্পী হিসেবে তার গুরুত্ব বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই অ্যালবামটির জন্য তিনি রোলিং স্টোন, অল মিউজিক গাইড, এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের সঙ্গীত সমালোচকদের কাছ থেকে উৎসাহব্যাঞ্জক সাড়া পান। শাকিরা সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা সাইটে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যে কিনা ফেসবুকে ১০০ মিলিয়ন লাইক পেয়েছেন। তিনি ম্যারাকানা স্টেডিয়ামে দাঁড়ানো আছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার একটু আগের মুহূর্ত ছিল সেটা। ছবিটি ৪ দিনের মধ্যেই ৩.৫ মিলিয়ন লাইক পেয়ে গেছিল, এটাই এই তারকার সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া ছবি।
(শাকিরা, পিকে ও তাদের দুই পুত্র সন্তান)
ব্যক্তিগত জীবনে শাকিরার প্রথম প্রেমিকের নাম অ্যান্টোনিও। অ্যান্টোনিও ছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো ডে লা রুয়ার ছেলে। শাকিরা ও অ্যান্টোনিও দীর্ঘ ১১ বছর একসঙ্গে বাস করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রেম টেকেনি। বিচ্ছেদের পরই শাকিরার বিরুদ্ধে আড়াই'শ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেছিলেন অ্যান্টোনিও। আদালতে দাখিল করা কাগজপত্রে অ্যান্টোনিও উল্লেখ করেন, শাকিরা নামটি একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্ব নিজের বলেই তিনি মনে করেন। এছাড়া শাকিরার তুমুল জনপ্রিয় 'হিপস ডোন্ট লাই' ও 'ওয়াকা ওয়াকা' গান দুটি তৈরির ভাবনাও প্রথম তার মাথায় এসেছিল। এসব কারণেই তিনি মনে করেন, শাকিরার আয়ের একটি অংশ তার প্রাপ্য। কিন্তু মামলাটি ধোপে টেকেনি। এরপর আরও ৩টি মামলা করেন তিনি। কোনো মামলায়ই তিনি সুবিধা করতে পারেননি। সবগুলো মামলার রায়ই শাকিরার পক্ষে যায়। অ্যান্টোনিওর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর স্প্যানিশ ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকেকে নতুন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন শাকিরা। জেরার্ড পিকের সাথে শাকিরার পরিচয়টাও গান ও ফুটবলের মাধ্যমেই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে স্পেনের হয়ে অনুশীলনে শাকিরার সঙ্গে পিকের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। পিকে ছিলেন দলীয় অনুশীলনে আর শাকিরা গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অফিসিয়াল সঙ্গীত 'ওয়াকা ওয়াকা'র রেকর্ডিংয়ে। তখন থেকেই তাদের শুরু। আর ঠিক তার এক বছর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমের ঘোষণা দেন এ জুটি। তাদের দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর। জেরার্ড পিকে শাকিরার চেয়ে ১০ বছরের ছোট। তারপরও কোনো বাধা মানেনি তাদের ভালোবাসা। এখন তাদের সংসারে রয়েছে দুইজন ছেলে সন্তান।
২০১৭ সালের নভেম্বরে অতিরিক্ত সংগীতচর্চার কারণে তাঁর গলায় রক্তক্ষরণ হয় এবং কণ্ঠের জটিল সমস্যা ধরা পরে। ডাক্তার শাকিরাকে কথা বলা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। ডাক্তার তখন বলেছেন, ‘কণ্ঠের ওপর কোনো চাপ দেওয়া যাবে না।’ দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে সেই সব দিনের কথা। শাকিরা বলেন, ‘আমি জানতাম, আমার তারুণ্য, আমার সৌন্দর্য সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে। আমি সে জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু কণ্ঠ হারিয়ে যাবে, সেটা কল্পনাও করিনি।’ শাকিরা আরও জানান, কণ্ঠ তাঁর অস্তিত্ব। কণ্ঠ ছাড়া তাঁর বেঁচে থাকা আর না থাকার কোনো মানে নেই। তখন শাকিরা অন্যদের সঙ্গে ইশারায় যোগাযোগের চেষ্টা করতেন। কিন্তু তাঁর কথা কেউ বুঝত না। তাই লিখে যোগাযোগ করতেন। তখন তাঁর বাচ্চারা এতটাই ছোট যে লেখাপড়া করতে পারত না। এখন তাঁর বড় ছেলের বয়স চার আর ছোট ছেলের দুই বছর। ৩টি গ্র্যামি, ১৩টি ল্যাটিন গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পী তখন এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে বিছানা থেকেই উঠতে চাইতেন না। সারা দিন বিছানায় পড়ে থাকতেন। একসময় ডাক্তার জানান, অপারেশন করা দরকার। কিন্তু সেখানে ঝুঁকি ছিল। শাকিরা ভেবেছিলেন হয়তো অলৌকিক কিছু ঘটবে। অবশেষে দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সুস্থ হয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে ‘এল ডোরাডো ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ করেছেন। জীবনে শাকিরা প্রায় কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখেনি। তবু শাকিরা চান, তাঁর একদিন একটা খামারবাড়ি থাকবে। সেখানে তিনি সন্তানদের নিয়ে সবজি চাষ করবেন, গরু পালন করবেন। আর? আর যা মন চায়, খাবেন। এছাড়া শাকিরার একান্ত চাওয়া নিজের আর পরিবারের সুস্থতা তিনি চান, তাঁর জীবনসঙ্গী জেরার পিকে আর তাঁর দুই সন্তান যেন সব সময় সুস্থ থাকে। ব্যক্তিগত আর পেশাগত জীবনের সাফল্যের চেয়েও সুস্থতা বেশি জরুরি বলেই মনে করেন শাকিরা। জনহিতৈষী শাকিরার আজ ৪৩তম জন্মবার্ষিকী। গায়িকা-গীতিকার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী শাকিরা জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিতো দেখেছি,
আপনার হয়ে আমি শুভেচ্ছা তার
ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবোনে!
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০০
হাবিব ইমরান বলেছেন:
এক সময়ের ক্রাশ। যদিও বয়সে প্রায় ডাবল।
আসলে ভালোবাসা কোন বয়স মানেনা।
ভালোবাসা, ভালোবাসা।
নূরু ভাই, আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিন প্লিজ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ ইমরান ভাই
সত্যি তাই, ভালোবাসার বয়স নাই
জাত পাত কিছুই নাই। কারন
ভালোবাসা ভালোবাসাই।
আপনার শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দিলাম ইথারে!
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।
তাহলে ম্যারাডোনা কে নিয়ে লিখুন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার জন্ম ৩০ অক্টোবর
আর ম্যাডোনার জন্ম ১৬ আগস্ট।
দুজনই জীবন্ত কিংবদন্তি !! তবে দুজনার বিচরণ
ক্ষেত্র আলাদা। একজন খেলার মাঠে আর একজন
স্টেজে । আপনি সম্ভবত গানের কণ্ঠশিল্পী ম্যাডোনার
কথা বলতে চেয়েছেন। তার নাম ম্যাডোনা লুইজ চিকোন।
আমেরিকার একজন খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী। আগে সিদ্ধান্ত নিন
কার কথা জানতে চান(!!)
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: গাজী সাহেব এর কমেন্ট পড়তে আসলাম, এখনো করেনাই, আবার ঘুরে যাবো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব ভোট টোট নিয়ে ব্যস্ত !!
বাংগালীরা কেন আমেরিকানদের
চেয়েও ভোট কম দিচ্ছেন, কে ভবিষ্যৎবানী
করতে পারেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গবেষণায়
ব্যস্ত আছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো গো
যদিও তুমি দেখতায় না আমরার শুভেচ্চা হাহাহাহ