নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হয়েছিলো । সে হিসেবে এবার পালিত হচ্ছে তৃতীয় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে "সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই"। পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক। অনিরাপদ খাদ্য ক্যান্সার, কিডনি রোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি।জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সর্বসাধারণকে অবহিতকরণ এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতন বৃদ্ধি করা। জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এ জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। এর সাথে সংগতি রেখে বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। সরকার গত দশ বছরে কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। ফলশ্রুতিতে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের এ অর্জনকে ধরে রাখতে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত নজরদারি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য দিবস এর সঙ্গে সংগতি রেখে সরকার ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে জনগণের নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে।
সর্বসাধারণকে অবহিত করতে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয়সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। তবে আমাদের দেশের নিরাপদ খাদ্যের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। অনিচ্ছাকৃতভাবে নয়, বরং ইচ্ছে করে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর ঘটনা বেশি হচ্ছে। এটা খুবই খারাপ আর লজ্জার। ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীরাও খাদ্যে বা ফসলে ভেজাল দিচ্ছেন। শুধু সচেতনতা দিয়ে হবে না। কারন‘সচেতনতা দিয়ে রাস্তার ছোট ব্যবসায়ীকে হয়তো থামানো যাবে। আবার যারা বড় ব্যবসায়ী, তারাও ভেজাল দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে বিরত রাখা যাচ্ছেনা খাদ্যে ভেজাল দেয়াথেকে। তাই জাতিগতভাবে আমরা একসঙ্গে উঠে না এলে এই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। তাই সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাসহ জনসাধারণকে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে ১৭ মার্চ ২০২০ হতে ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধামননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক মুজিববর্ষে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মুজিব্ আর কি খাইছে
আপনি পেটুক যদি হন
তা হলে খান যা খুশি
সাবাড় করে দিন
ইট কাঠ রড যা
মনে চায়।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: নিরাপদ খাদ্য কোথাও নেই ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের দেশে এত অনিরাপদ
আর ভেজাল খাদ্য আর কোথাও নাই।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
একাল-সেকাল বলেছেন:
টুরিস্ট আকর্ষণে ভেজাল খাদ্য প্রদর্শনী বাংলাদেশে সম্ভব। নইলে ৩৬৫ দিন নিরাপদ খাদ্য দিবস ঘোষণা চাই।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর বন জঙ্গল ছাড়া নিরাপদ খাদ্য পাওয়া সম্ভব না। নুরু ভাই কেমন আছেন?
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৮
এম ডি মুসা বলেছেন: খাদ্য রূজি যোগার কর ,
দেশের সম্পদ সমৃদ্ধ করো
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুজিববর্ষে, ১ বছর মুজিবের মতো খেতে চাই