নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক মৈত্রেয়ী দেবীর ৩০তম ত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবশিষ্য "ন হন্যতে" উপন্যাসের অবিনশ্বর স্রষ্টা মৈত্রেয়ী দেবী। ‘ন হন্যতে’ বাংলা ভাষায় বহুল পঠিত স্মৃতিচারণমূলক এক অসামান্য উপন্যাস। বলা হয়ে থাকে যে, ‘ন হন্যতে’ একাডেমিক পুরস্কারপ্রাপ্ত একালের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। বইটি ইংরেজি ভাষায় ‘ইট ডাজ নট ডাই’ নামে অনূদিত ও প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন ভাষায় বইটি অনুবাদ করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত ন হন্যতেএকটি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। রোমানীয় দার্শনিক মিরচা এলিয়েড লিখিত তাদের সম্পর্ক ভিত্তিক উপন্যাস লা নুই বেঙ্গলীর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ এই উপন্যাসে মৈত্রেয়ী দেবী নিজের বিবৃতি তুলে ধরেছেন। "ন হন্যতে" হন্য মানে শরীরে" অর্থাৎ "শরীরকে হনন করা গেলেও একে হত্যা করা যায় না"। সে ঠিকই রয়ে যায়। সময় বা পরিস্থিতি হয়ত ক্ষণিকের জন্য তার উপর প্রলেপ দিতে পারে কিন্তু দেহস্থিত সেই সত্য অমর। কিন্তু কী সেই বস্তু যা রয়ে যায়- ধর্মীয় রক্ষণশীলদের কাছে যা আত্মা, সত্যান্বেষীদের কাছে সেটাই সত্য, অনুসন্ধিৎসুকের চোখে সেটাই জ্ঞান। আর সেই সত্যকে ধারণ করে বাংলা সাহিত্যে সৃষ্টি হয় এক অসামান্য উপন্যাস ‘ন হন্যতে’। আর আত্মজীবনীমূলক এই গ্রন্থের শিল্পকার মৈত্রেয়ী দেবী। ন হন্যতে তাকে বিশেষ খ্যাতি এনে দেয়। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ও সালমান খান, ঐশ্বর্যা রাই এবং অজয় দেবগন অভিনীত ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দিভাষী চলচ্চিত্র 'হাম দিল দে চুকে সনম' “ন হন্যতে” থেকে আংশিক অনুপ্রাণিত। যদিও চলচ্চিত্রে তার ঋণস্বীকার করা হয়নি। এখানে ঐশ্বর্যা রাই মৈত্রেয়ী দেবীর ও সালমান খান মিরচা এলিয়েডের চরিত্রে অভিনয় করেন। সাহিত্য ছাড়াও সমাজসেবায় অনন্য অবদান রেখেছেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন। আজ ঔপন্যাসিক মৈত্রেয়ী দেবীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। "ন হন্যতে" উপন্যাসের অবিনশ্বর স্রষ্টা মৈত্রেয়ী দেবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯১৪ সালে ১ সেপ্টেম্বর ইংরেজ শাসিত বাংলার চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মৈত্রেয়ী দেবী। পিতা সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত একজন দার্শনিক এবং প্রবন্ধকার আর মা হিমানী মাধুরী রায়। তার শৈশব কাটে বাবার বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝারার গৈলা গ্রামে। পরে পিতার কর্মক্ষেত্রের সুবাদে কৈশোরেই সপরিবারে চলে আসেন কলকাতার ভবানীপুরে। একদিকে পিতার আদর্শ আর অন্যদিকে তৎকালীন কলকাতার 'এলিট' সম্প্রদায়ের সাহচর্য, মৈত্রেয়ী দেবীর মননে আনে দার্শনিকতার ছাপ। মৈত্রেয়ী একে ছিল ভীষণ সুন্দরী - তার বড় বড় কাজল-আঁকা চোখ, ছিপছিপে বাঙালি আদলে গড়া মাটির মূর্তির মতো চেহারা অনেককেই মুগ্ধ করতো। একইসাথে বয়সের তুলনায় তার বুদ্ধি, স্বভাব, গাম্ভীর্য ও বিদ্যানুরাগ তাকে তার সমসাময়িক কিশোরীদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিল। বাবার কাছে বাংলা, ইংরেজি, সাহিত্য, সংস্কৃতির শিক্ষা নিতে নিতে অচিরেই মৈত্রেয়ী সাহিত্যানুরাগী এক কিশোরীতে পরিণত হয়। এরপর মৈত্রেয়ীর জীবনে আসেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথকে সে গুরু বলে শ্রদ্ধা করতো, ভালোবাসতো। কবিগুরুও অল্পবয়েসী সেই ভক্তটিকে অগাধ স্নেহ করতেন। এভাবেই এক অসাধারণ পরিবেশে বিদ্বান বাবা, স্নেহময়ী মা, ভাইবোন, লেখাপড়া, সংস্কৃতিচর্চা ও তার হৃদয়ের খুব কাছের রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকেন মৈত্রেয়ী। ১৯২৮ সালে ২১ বছর বয়েসী রোমানিয়ান শ্বেতাঙ্গ যুবক মির্চা এলিয়াদ, সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের অধীনে ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে গবেষণা করার উদ্দেশে কলকাতায় আসে। পেয়িং গেস্ট হিসেবে অধ্যাপক দাশগুপ্তের ভবানীপুরের বাড়িতেই একটি কক্ষ নিয়ে থাকার ব্যবস্থা হয় মির্চার। মৈত্রেয়ী তখন ১৪ বছর বয়েসী এক উঠতি কিশোরী। কিন্তু তার ব্যক্তিত্ব ছিল বয়েসের তুলনায় অসাধারণ। পরিচয়ের ক'দিনের মধ্যেই মির্চা টের পেলো, এই বাচ্চা মেয়েটি চিন্তায় ও ব্যক্তিত্বে অত্যন্ত পরিণত। মৈত্রেয়ীর লেখা কবিতা, তার গভীর জীবনবোধ, সবকিছুই মির্চাকে বিস্মিত করত। সে মৈত্রেয়ীর কাছে একটু একটু করে বাংলা শিখছিল কিন্তু তার চেয়েও বেশি শিখছিলো বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতির প্রতি মৈত্রেয়ীর অতুলনীয় প্রেম। তাদের দুজনের এই বন্ধুত্ব কিছু মাসের মধ্যেই বেশ শক্তপোক্ত হয়ে উঠলো। এর মধ্যেই মৈত্রেয়ীর মাধ্যমে মির্চা জানতে পারলো রবীন্দ্রনাথকে। তাঁর প্রতি মৈত্রেয়ীর অদ্ভুত ভক্তি দেখে মির্চা অবাক হলো, সঙ্গে যেন খানিক ঈর্ষাও হলো তার। মির্চা ও মৈত্রেয়ীর গায়ের রঙ, ভাষা, ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি সবই আলাদা। মির্চা ছিল শ্বেতাঙ্গ, মৈত্রেয়ী গাঢ় বাদামী বর্ণের। রোমানিয়ান মির্চা ধর্ম পালন না করলেও জন্মেছিল খ্রিস্টান পরিবারে, মৈত্রেয়ীর বাবা যুক্তিবাদী দার্শনিক হলেও তাদের পরিবারটি ছিল মূলত রক্ষণশীল হিন্দু পরিবার। এই সমস্ত বাধাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে মির্চা এলিয়াদ ও মৈত্রেয়ী দেবী পরস্পরের কাছে আসতে লাগলো। কবিতা, দর্শন, গানের আদান-প্রদানের ভেতর অনেকটা অজান্তেই, তারা হৃদয়ের আদান-প্রদান করে ফেললো। কিন্তু মৈত্রেয়ীর মা সেদিন তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে জানতে চেয়েছিলেন, “তুমি কি মির্চাকে বিয়ে করতে চাও?” মৈত্রেয়ী কান্না জর্জরিত কণ্ঠে তার মাকে বলেছিল, “হ্যাঁ, চাই, আমি ওকে ভালোবাসি।” কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকিয়েই মৈত্রেয়ী বুঝতে পেরেছিল মির্চা আর তার বিয়ে কখনো সম্ভব নয়। অন্তত এই পরিবারের কেউ এই বিয়েতে কোনোদিন সম্মতি দেবে না। পরদিন সকাল হতেই সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত যে ভালোবাসা আর সম্মান নিয়ে মির্চাকে এ বাড়িতে এনেছিলেন, ঠিক ততটাই অসম্মান আর ঘৃণা নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন। নির্মম যবনিকাপাত হলো মির্চা ও মৈত্রেয়ী দেবীর প্রেম উপাখ্যান। ১৯২৮ সালে কলকাতার ভবানীপুরে শুরু হওয়া এই হৃদয় ভাসানো প্রেমের উপাখ্যানের শাখা ছড়িয়ে গেছে সুদূর ইউরোপ, আমেরিকাতেও। মির্চা এলিয়াদ ও মৈত্রেয়ী দেবীর অনিঃশেষ ভালোবাসা সে যুগের ধর্ম বর্ণ ও জাতের ভেদাভেদের কাছেও হার মানেনি। তারা তাদের ভালোবাসার মাঝেই বেঁচে আছেন। নিজেদের প্রেমকে এই ঐশ্বরিক মর্যাদা দেয়ার ক্ষমতা হয়তো সকলের হয় না, কিন্তু মৃত্যুকে অতিক্রম করা অসমাপ্ত প্রেমের এমন উপাখ্যান ভালোবাসার প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখে। মির্চা ও মৈত্রেয়ীর এই অভূতপূর্ব প্রেম নিয়ে ১৯৮৮ সালে দ্য বেঙ্গলী নাইট নামের চলচ্চিত্র তৈরি করেন নিকোলাস ক্লতজ। মৈত্রেয়ীর চরিত্রে অভিনয় করেন সুপ্রিয়া পাঠক।

ইতিহাস আর সাহিত্যে অসমাপ্ত প্রেমের গল্প বরাবরই মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে। এমনকি যেসব প্রেমের পরিণতিতে মধুর মিলন হয়েছে, সেসবের চাইতেও বেশি আবেদন যেন ব্যর্থ প্রেমেই লুকিয়ে থাকে। বিরহে কাতর দুটো মনুষ্য-হৃদয়ের ব্যাকুলতা মানু্ষের অন্তরকে সবসময় ছুঁয়ে যায়। কিন্ত জীবন,সময় আর নদীর স্রোত থেমে থাকেনা কারো জন্য সে সব সময় গড়িয়েই চলে সম্মূখে! ১৯৩৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করার পরে মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৩৪ সালে কলকাতার ড. মনমোহন সেনের সাথে বিয়ে হয়ে যায় মৈত্রেয়ী দেবীর। দুটি সন্তানের জনক জননী হন এই দম্পতি। কাজের সূত্রে হিমালয় ঘেঁষা দার্জিলিং এর মংপুতে থাকতেন এই দম্পতি। মংপুতে সিনকোনা চাষের গবেষণায় ড. মনমোহন সেনের বিশেষ অবদান ছিল। রবীন্দ্রনাথের ভাবশিষ্য আর স্নেহে লালিত মৈত্রেয়ী দেবী কবিগুরুকে আমন্ত্রণ জানান মংপুতে বেড়িয়ে যাবার জন্য। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে মৈত্রেয়ী দেবীর আমন্ত্রণে চারবার অবকাশ যাপনের জন্য মংপুতে গিয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ ছাড়া নানা অনুষ্ঠানে কয়েকবার তিনি আমেরিকা, চীন, কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলো ভ্রমণ করেছিলেন। তার ‘অচেনা চীন’, ‘মহাসোভিয়েত’, ‘চীনে ও জাপানে’ প্রভৃতি গন্থ এ বিষয়ে স্মরণীয়।মাত্র ষোল বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উদারতা’ প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের ভূমিকা স্বচ্ছন্দে লিখে দিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘চিত্তছায়া’। মংপুতে কবিগুরুর থাকাকালীন সময়ে কবিগুরুর সাথে তার অন্তরঙ্গ কথোপকথন নিয়ে মৈত্রেয়ী দেবীর অনবদ্য গ্রন্থ ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ ১৯৪২ সালে প্রকাশিত হয়। পাঠক সমাজে ব্যাপক সমাদৃত এ গ্রন্থটি ‘টেগোর বাই ফায়ারসাইড’ নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়। রবীন্দ্র বিষয়ক তার অন্যান্য বইগুলো হলঃ ‘স্বর্গের কাছাকাছি’, ‘কবি সার্বভৌম’, ‘রবীন্দ্রনাথ গৃহে ও বিশ্বে’, ‘রবীন্দ্রনাথ: দি ম্যান বিহাইন্ড হিজ পোয়েট্রি’।

সাহিত্যরচনা ছাড়াও সমাজসেবামূলক কাজে নিবেদিত ছিলেন মৈত্রেয়ী দেবী। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালে তিনি ‘কাউন্সিল ফর প্রমোশন অব কমিউনাল হারমনি’ সংস্থা স্থাপন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সমর্থনে তিনি অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধে শরনার্থী শিবিরের অনাথ শিশুদের জন্য তিনি ‘খেলাঘর’ স্থাপন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ সংস্থার কাজ কর্ম দেখাশুনা করেছেন। এছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায/ মৃত্যুবরণ করেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র মৈত্রেয়ী দেবী। রুচির যে আভিজাত্য, পান্ডিত্যের যে প্রাঞ্জল প্রকাশ, আবেগের যে দীপ্ত উচ্চারণ আজ প্রায়শই দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে, সে সময় মৈত্রেয়ী দেবীকে ফিরে পড়তেই হবে। উপন্যাসের ক্ষেত্রে হোক, কিংবা স্মৃতি- লেখায় কিংবা রবীন্দ্রনাথের সৃজন রহস্যের অংশীদার হতে। স্বর্গের কাছাকাছি যেন উন্নীত হতে পারে আমাদের অস্তিত্বের বোধ। আর মৃত্যুদিনের প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে সেই অমোঘ শ্লোক-
“ অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে। ’’

বিশ্বাসের পৃথিবী জুড়ে থাক মননের মৈত্রেয়ী।আজ ঔপন্যাসিক মৈত্রেয়ী দেবীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। "ন হন্যতে" উপন্যাসের অবিনশ্বর স্রষ্টা মৈত্রেয়ী দেবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখাটি পুরো না পড়েই শ্রদ্ধা জানালেন মনে হয় !!
জানতে হলে পড়তে হয়, পড়ুন, জানুন তার পরে লিখুন।
শরীর ভালোতো ?

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

নিভৃতা বলেছেন: ন হন্যতে এবং মির্চা এলিয়াদের লা নুই বেঙ্গলি দুইটা উপন্যাসই পড়েছিলাম বহু বছর আগে। আবার পড়তে হবে। অনেক অজানা তথ্য জানার সৌভাগ্য হয় আপনার পোস্ট থেকে। শ্রদ্ধা ও সালাম আপনাকে।
মৈত্রেেয়ি দেবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ নিভৃতা আপু
আজকালের ডিজিটাইল পোলাপাইন
পড়তে চায় না, তাই জানতেও পারেনা।
জানতে হলে পড়ার বিকল্প নাই, তাই
আমি তাদের পড়ার আহ্বান জানাই।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

মিরোরডডল বলেছেন: মিরচা এলিয়েড এর লা নুই বেঙ্গলী আর মৈত্রেয়ী দেবীর ন হন্যতে
দুটো লেখাই পড়েছিলাম ।
তাদের ভালবাসার গল্প ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও মৃত্যুর গণ্ডি পেরিয়ে যে প্রেম তা মির্চা ও মৈত্রেয়ী দেবীর প্রেম।
১৯২৮ সালে কলকাতার ভবানীপুরে শুরু হওয়া এই হৃদয় ভাসানো প্রেমের
উপাখ্যানের শাখা ছড়িয়ে গেছে সুদূর ইউরোপ, আমেরিকাতেও। মির্চা এলিয়াদ ও
মৈত্রেয়ী দেবীর অনিঃশেষ ভালোবাসা সে যুগের ধর্ম বর্ণ ও জাতের ভেদাভেদের
কাছেও হার মানেনি। তারা তাদের ভালোবাসার মাঝেই বেঁচে আছেন।
নিজেদের প্রেমকে এই ঐশ্বরিক মর্যাদা দেয়ার ক্ষমতা হয়তো সকলের
হয় না, কিন্তু মৃত্যুকে অতিক্রম করা অসমাপ্ত প্রেমের এমন উপাখ্যান
ভালোবাসার প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখে।
“ অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে। ’’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.