নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ৪৫্তম শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৯


প্রতিথযশা কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। তিনি বনফুল ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। লেখক পেশায় চিকিৎসক হলেও সাহিত্য চর্চা ছিল তাঁর নেশা। স্কুলে পড়ার সময়ই ‘বনফুল’ ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় তিনি গল্প লিখেছেন। গল্পগুলো আকারে ক্ষুদ্র হলেও বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থঃ বনফুলের গল্প, বিন্দুবিসর্গ, তন্বী, অনুগামিনী। বাস্তবজীবনে ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিচিত্র উপাদান তাঁর গল্প ও উপন্যাসে নিপুণভাবে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলঃ তৃণখণ্ড, জঙ্গম, অগ্নি, নির্মোক, সে ও আমি ইত্যাদি। এ ছাড়া বনফুলের কবিতা, ব্যঙ্গ কবিতা, চতুর্দশপদী, জীবনী নাটক শ্রীমধুসূদন, বিদ্যাসাগর তাঁর অনন্যসাধারণ সৃষ্টি। বিভিন্ন পুরস্কারসহ তিনি পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন পরীক্ষাপ্রবণ শিল্পী। ছোটগল্প পরিকল্পনায় তাঁর মৌলিকতা, তীক্ষ্ম মননশীলতা ও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে মানবচরিত্রের উপস্থাপন পাঠকের মনে বিস্ময় উদ্রেক করে। আবার এ ধারাতেই তাঁর গল্প জীবনের অভিজ্ঞতায় সরস, গভীর ও নৈর্ব্যক্তিক ভাবনায় স্বাতন্ত্র্য। তাঁর গল্পের অন্য বিশেষত্ব ও অভিনবত্ব হচ্ছে স্বল্প অবয়ব। তাঁর অধিকাংশ গল্প এ সূত্রে বাঁধা বলে এগুলিকে বলা হয় অনুগল্প। বলা যেতে পারে ছোটগল্প রচনায় তাঁর প্রতিভা সম্যকরূপে বিকাশ লাভ করে। ছোটগল্প কত ছোট হতে পারে, খন্ডিত বা আকস্মিকতাজনিত অসমাপ্তির বোধ কীভাবে সৃষ্টি না হয় তার পরীক্ষা তাঁর গল্পগুলিতে পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র পরিসরের মধ্যে গভীর চিন্তা ও জটিল অভিজ্ঞতার নিপুণ প্রকাশ তাঁর ছোটগল্পগুলিকে এক অসাধারণত্ব দান করেছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ-বনফুলের গল্প (১৯৩৬), বিন্দুবিসর্গ (১৯৪৪), অদৃশ্যলোকে (১৯৪৬), তন্বী (১৯৪৯), অনুগামিনী (১৯৫৮), দূরবীণ (১৯৬১), মণিহারী (১৯৬৩), বহুবর্ণ (১৯৭৬), বনফুলের নতুন গল্প (১৯৭৬) প্রভৃতি।আজ কবি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ৪৫্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ১৮৯৯ সালের ১৯ জুলাই অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মনিহারীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ডা. সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ও মাতা মৃণালিনী দেবী। তাদের আদি নিবাস হুগলী জেলার শিয়াখালা। তার অনুজ অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক। পূর্ণিয়ার সাহেবগঞ্জ স্কুল থেকে ১৯১৮ সালে ম্যাট্রিক এবং হাজারীবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে ১৯২০-এ আইএসসি পাশ করেন। ওই বছরই তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তবে ষষ্ঠবার্ষিক শ্রেণিতে পড়াকালীন বিহারের পাটনায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বিহার থেকে আসা ছাত্র হিসেবে নতুন প্রতিষ্ঠিত পাটনা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত হয়ে সেখান থেকেই ১৯২৮ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে বনফুল কলকাতার একটি ল্যাবরেটরিতে কিছুকাল শিক্ষানবিসি করেন। তারপর মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জের মিউনিসিপ্যালিটি হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার পদে কিছুকাল দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি ভাগলপুরের খলিফাবাগে নিজ উদ্যোগে The Secro-Bactro Clinic নামে একটি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করে খ্যাতিমান ডাক্তার হিসেবে পরিচিত হন। প্যাথলজিস্ট হিসাবে ৪০ বৎসর কাজ করেছেন। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে স্থায়ীভাবে কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন।

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কৈশোর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের নাম লুকোতে তিনি বনফুল ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময় মালঞ্চ পত্রিকায় একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। শনিবারের চিঠি তে ব্যঙ্গ কবিতা ও প্যারডি কবিতা লিখে সাহিত্য জগৎতে নিজের আসন স্থায়ী করেন। এছাড়াও নিয়মিত প্রবাসী, ভারতী এবং সমসাময়িক অন্যান্য পত্রিকায় ছোটগল্প প্রকাশ করেন। সাহিত্যসাধনায় বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব কথাশিল্পে। নতুন ধারা ও বিচিত্র ধরণের কাহিনী নির্মাণে তিনি অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি উপন্যাস লিখেছেন একষট্টিটি, গল্প ছয়শত। তাঁর উপন্যাসের বিষয়- ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, চিকিৎসাবিদ্যা, মনস্তত্ত্ব, প্রেম প্রভৃতি। তাঁর উপন্যাসগুলিতে লক্ষ করা যায় মানব জীবনের নানা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতির প্রকাশ। যথার্থ শিল্পীর বেদনাবোধ তাঁর সৃজনী প্রতিভায় বিদ্যমান। তিনি বিপুল কৌতূহলী মনে ও সহমর্মিতায় মানব জীবনকে দেখার চেষ্টা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- তৃণখন্ড (১৯৩৫), জঙ্গম (তিন খন্ড, ১৯৪৩-১৯৪৫), অগ্নি (১৯৪৬), ডানা (তিনখন্ড, যথাক্রমে ১৯৪৮, ১৯৫০ ও ১৯৫৫), স্থাবর (১৯৫১), অগ্নীশ্বর (১৯৫৯), হাটেবাজারে (১৯৬১), ত্রিবর্ণ (১৯৬৩), ভুবনসোম (১৯৬৩), প্রচ্ছন্ন মহিমা (১৯৬৭), উদয় অস্ত (দুই খন্ড, ১৯৫৯ ও ১৯৭৪) প্রভৃতি। তাঁর প্রত্যেকটি উপন্যাসের গঠনভঙ্গি স্বতন্ত্র এবং অভিনব। তিনি কাহিনী বর্ণনা করেন কখনও নাটকীয় সংলাপে, কখনও স্বগতোক্তিতে, কখনও কবিতায়। তিনি উপন্যাসের গঠনরীতি এবং কথন-কৌশলে যেসব পরীক্ষা করেন, তা বাংলা সাহিত্যে বিরল। তিনি কিছু ইংরেজি উপন্যাস অনুবাদ করেন যা দেশজ পটভূমি ও চরিত্রের বিন্যাসে অলঙ্কৃত। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূবনসোম।

সমাজের অবহেলিত মানুষের সেবা করা ছিল বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জীবনের ব্রত। এক্ষেত্রে ডাক্তারি ছিল তাঁর অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু এ সেবাতেই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি সাধারণ, নিরন্ন, অবহেলিত, শ্রমজীবী মানুষের জীবন আঁকতে চেয়েছেন শিল্পে। তাঁর কাছে এর এক অসাধারণ মাধ্যম ছিল ছোটগল্প। ছোটগল্প রচনায় তিনি তুলনাহীন মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর ছোটগল্পে মানবজীবনের বিচিত্ররূপের সমাবেশ ঘটেছে- যেমন গল্পের বিষয়বস্ত্ততে, তেমনি ব্যাপক সৃজনশীলতায়। তাঁর ছোটগল্পে মানবজীবনের নানা স্ববিরোধিতা, দুর্জ্ঞেয় রহস্য, আত্মানুসন্ধানের প্রয়াস লক্ষ করা যায়। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় নাটক রচনাতেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রহসন, একাঙ্কিকা, চিত্রনাট্য, নাটিকা ছাড়াও তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনচরিত অবলম্বন করে নাটক রচনা করেন, যাতে পাওয়া যায় তাঁর সৃজনশীল প্রতিভার অপর একটি ভিন্ন রূপের পরিচয়। উনিশ শতকের দুই বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে লেখা তাঁর নাটক, শ্রীমধুসূদন (১৯৪০) ও বিদ্যাসাগর (১৯৪১)। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় এ দুটি নাটকের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে এঁদের ব্যাপকভাবে ও যথার্থরূপে পরিচিত করিয়ে দেন। বাংলা সাহিত্যে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়কে বলা যেতে পারে এ ধারার নাটক রচনার পথিকৃৎ। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের রচনায় আছে সুস্থ জীবনের আকাঙ্ক্ষা, মূল্যবোধের চেতনা, অন্ধ সংস্কারের বিরুদ্ধে ধিক্কার। তাঁর রচনারীতি সুমিত ও সংক্ষিপ্ত, তাঁর দৃষ্টি নির্মোহ ও নিরাসক্ত; জীবনের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ, তুচ্ছ ও বিরাট সবকিছুর মধ্য থেকে শিল্পের উপাদান সংগ্রহের ক্ষমতা তাঁর রচনাকে দিয়েছে বৈচিত্র্য এবং গভীরতা। সাহিত্য-সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ বনফুল ১৯৫১ সালে শরৎস্মৃতি পুরস্কার , ১৯৬২ সালে রবীন্দ্রপুরস্কার, ১৯৬৭ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক, ১৯৭৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি এবং ১৯৭৫ সালে ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি লাভ করেন। আজ বনফুল মানে শ্রী বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ৪৫্তম প্রয়াণ দিবস। কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবিবলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৬

নিভৃতা বলেছেন: উনার অনেক বই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আব্বার সংগ্রহশালায় উনার অনেক বই ছিল। লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তাম। তবে সেগুলোর বেশির ভাগই এখন বিস্মৃতির অন্তরালে চলে গেছে।

বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ নিভৃতা আপু
মনে হয় একজন সত্যিকারের
বই প্রেমীকে পেলাম যে বিস্মৃত
লেখকদের সন্ধান জানে।
ভালো থাকবেন।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: তার শ্রেষ্ঠ গল্প সমগ্র পড়েছি। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি প্রচুর পড়েন।
ভালো অভ্যাস।
না পড়লে জানা যায়না।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অত্যন্ত মেধাবী ও ব্যতিক্রমী ধারার ছোটগল্পকার বনফুল-এর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবুহেনা ভাই, সালাম নিবেন
কেমন আছেন, অনেক দিন পরে
আপনার সাক্ষাৎ মিললো!
সব ভালোতো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.