নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্রীদেবীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০


সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জুড়ে চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দায় রাজত্ব করা অভিনেত্রী শ্রীদেবী। যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রথম নারী সুপারস্টার বিবেচিত হন। তিনি ছিলেন সনামধন্য চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুরের স্ত্রী। বর্তমান প্রজন্মের এই প্রতিভাবান ও প্রভাবশালী অভিনেত্রীর সাথে যতটা না পরিচয় আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রীদেবীর নাম ও প্রতিভার সাথে পরিচয় এর আগের প্রজন্মের, নাগিন আর মি. ইন্ডিয়া দেখে যারা বড় হয়েছেন তাদের। নায়কের প্রাধান্যভিত্তিক ভারতের সিনেমার জগতে নায়িকার জয়জয়কারের এক নতুন পরম্পরা শুরু হয় এই অসামান্য সুন্দরীর হাত ধরে। তার মৃগনয়না মুখের চঞ্চল হাসি আর পোশাকের দারুণ নির্বাচন নব্বইয়ের দর্শকের হৃদয়ে যেন মি. ইন্ডিয়ার গানের মতো আসলেই বিজলি হয়ে পড়তো। বিশেষত যারা আশি ও নব্বইয়ের দশকে হিন্দি সিনেমার ভক্ত ছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের এই প্রতিভাবান ও প্রভাবশালী অভিনেত্রীর সাথে যতটা না পরিচয় আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রীদেবীর নাম ও প্রতিভার সাথে পরিচয় এর আগের প্রজন্মের, নাগিন আর মি. ইন্ডিয়া দেখে যারা বড় হয়েছেন তাদের। নায়কের প্রাধান্যভিত্তিক ভারতের সিনেমার জগতে নায়িকার জয়জয়কারের এক নতুন পরম্পরা শুরু হয় এই অসামান্য সুন্দরীর হাত ধরে। তার মৃগনয়না মুখের চঞ্চল হাসি আর পোশাকের দারুণ নির্বাচন নব্বইয়ের দর্শকের হৃদয়ে যেন মি. ইন্ডিয়ার গানের মতো আসলেই বিজলি হয়ে পড়তো।শ্রীদেবী প্রায় ৩০০টিরও অধিক সিনেমায় অভিনয় করেন ।শ্রীদেবী তামিল, তেলুগু, হিন্দি, মালয়ালম এবং কিছু সংখ্যক কন্নড় চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। অভিনয় জগতে তার এই দৃঢ় পদচারণা তাকে এনে দিয়েছে আটটি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার সহ অসংখ্য পুরষ্কার। ২০১৩ সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে পান দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক পুরষ্কার ‘পদ্মশ্রী’। আরো আটবার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তামিলনাড়ু রাজ্যের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরষ্কারসহ তিনি ভূষিত হয়েছেন আরো প্রায় একুশটি পুরষ্কার ও সম্মাননাতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ২০১৩ সালে কেরালা সরকার ও ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে থেকে পাওয়া পৃথক দুটি সম্মাননা। ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ২০১৩ সালে সিএনএন-আইবিএনের এক জরিপে তিনি ১০০ বছরে ভারতের সেরা অভিনেত্রী' হিসেবে নির্বাচিত হন। তার এই উঠে আসার পেছনে তার পরিবারের অবদানও কিন্তু কম নয়। জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত শ্রীদেবীর মা বা বড় বোন কেউ একজন সব সময় তার সাথে শুটিংয়ের স্থানে আসতেন। অবশ্য এই ঘটনা থেকে আরো একটি কথা বোঝা যায় যে, রক্ষণশীল মায়ের যথেষ্ট প্রভাবের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।চলচ্চিত্রের বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে গতবছরের এই দিনে তিনি পারাপারে পাড়ি জমান। আজ তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বলিউডের রূপালী পর্দার রানী শ্রীদেবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শ্রীদেবী ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের ভারতের মাদ্রাজের তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন। শ্রীদেবী নামেই জগতে পরিচিত হলেও জন্মগতভাবে তার প্রকৃত নাম শ্রী আম্মা ইয়াগার আইয়াপ্পা। বাবা ছিলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা আইয়্যিপা আর তেলেগু মায়ের নাম রাজেশ্বরী। তার বাবা আইয়্যিপা ছিলেন একজন আইনজীবী। দুই সৎ ভাই আর নিজের এক বোনের সাথে কাটে এই নায়িকার শৈশব। ছেলেবেলায় যে বয়সে আর দশটা শিশু স্কুলের ব্যাগ নিয়ে ছোটাছুটি করে, সেই বয়স থেকেই শ্রীদেবী জুড়ে যান অভিনয়ের জগতের সাথে। স্কুলে আসা-যাওয়ার চেয়ে অভিনয়ের মঞ্চে আসা-যাওয়াতেই তার শৈশবের বেশিরভাগ কাটে। সেই থেকেই শুরু এই নক্ষত্রের পথচলা। বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় পর্দায় নায়িকা হয়ে বাজিমাত করতে থাকা এই নায়িকার অভিনয়ের জীবন কিন্তু শুরু হয় একদম ছোট্টবেলা থেকেই। তারপর থেকে জীবনের মোড়গুলোও কিন্তু তাঁর জন্য সিনেমার জগতের চেয়ে কম ঝলমলে আর রোমাঞ্চকর ছিলো না। সুবিশাল সাফল্য, পর্দার জগতে সেই সময় একজন নায়িকার জন্য সম্ভবত সর্বোচ্চ নামডাক ও জনপ্রিয়তা, একের পর এক সর্বোচ্চ পুরস্কার, আলোচনা-সমালোচনায় ভরপুর ব্যক্তিগত জীবন ও প্রেম, প্রণয় শেষে পরিণয়, দীর্ঘ এক দশকের বিরতির পরেও প্রথম কোনো নায়িকার আবার পর্দায় প্রধান চরিত্রে সবচেয়ে জমকালোভাবে ফিরে আসা আর সবশেষে নিজের সমস্ত গরিমা নিয়ে আকস্মিক বিদায়- রোমাঞ্চকর কোনো সিনেমার কী নেই তার জীবনে? মাত্র চার বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে অভিনয় করেন তামিল সিনেমা ‘থুনায়ভান’তে। এরপরে শিশু শিল্পী হিসাবে আরো অনেক তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম আর কান্নাডা সিনেমায়। বলিউডে তাঁর অভিষেক ঘটে শিশুশিল্পী হিসাবে ‘রানী মেরা নাম’ সিনেমাতে। মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি প্রথম অভিনয় করেন প্রথম সারির চরিত্রে, এই ত্রিকোণ প্রেমের গল্পে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হিসাবে। তামিল ও তেলেগু সিনেমাতে নায়িকা হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরে ১৯৭৯ সালে ‘সোলভা সায়ান’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসাবে তার যাত্রা শুরু হয় এবং ১৯৮৯ সালে ‘হিম্মতওয়ালা’ সিনেমার মাধ্যমে সবার নজরে আসেন। এরপর তার গল্পটা কেবল সফলতার এবং একের পর এক সিনেমার পর্দা কাপানো গল্প। তার ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় যোগ হতে থাকে একের পর এক নাম- ‘মাওয়ালি’, ‘তোহফা’, ‘নায়া কাদম’, ‘মাকসাদ’, ‘মাস্টারজি’, ‘নাজরানা’, ‘মি.ইন্ডিয়া’, ‘ওয়াক্ত কি আওয়াজ’, ‘চাঁদনী’ আরো কত কী! ‘চাঁদনী’ আর ‘মি. ইন্ডিয়া’ সিনেমাতে শ্রীদেবীর লাবণ্যময়ী উপস্থাপনা সে সময়ের দর্শকের মনে এক স্থায়ী মোহনীয়তার সৃষ্টি করে। ‘নাগিনা’, ‘সাদমা’, ‘চালবাজ’, ‘খুদা গাভাহ’, ‘লামহে’, ‘গুমরাহ’, ‘লাডলে’ আর ‘জুদাই’য়ের মতো সিনেমাগুলো শ্রীদেবীর নাম ভারতের চলচ্চিত্র জগতে যেন রূপালী অক্ষরে লিখে দেয়। শ্রীদেবীই প্রথম নায়িকা হিসাবে এই জগতে এতো দীর্ঘস্থায়ী স্থান দখল করে রাখেন। সেই সাথে তিনি নিজের ঝুলিতে নিয়ে আসেন প্রচুর স্বীকৃতি, সম্মান আর জনপ্রিয়তা। আফগানিস্তানে শুটিং হওয়া এক আফগানি মেয়ের প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘খুদা গাভাহ’ এখনো আফগানিস্তানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর একটি। ‘জুদাই’ সিনেমাতে তাঁর অসাধারণ অভিনয় নিয়ে চলচ্চিত্র পত্রিকা ‘বলি স্পাইস’ মন্তব্য করে, “তার ঝাঁঝালো অভিনয় প্রতিভা চরিত্রটির সবটুকু লোভ আর চারিত্রিক গুণাবলি সম্পূর্ণভাবে বের করে এনেছে”। এই সিনেমাটিই শ্রীদেবীকে তার অষ্টম ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার এনে দেয়। বিনোদন শিল্পে তার অবদানের জন্য ২০১৩ সালে ভারত সরকার তাকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি তামিল নাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ ও কেরালা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন।

অনেক সূত্র জানা যায় যে, শ্রীদেবী'র সাথে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে এ সম্পর্ক বজায় ছিল যা শ্রীদেবী পরবর্তীতে সম্পর্ক ছেদ করেন। এর প্রধান কারণ ছিল - প্রথম স্ত্রী যোগীতা বালীকে মিঠুন কর্তৃক বিবাহ-বিচ্ছেদ না ঘটানো। তাঁরা অত্যন্ত গোপনে বিয়ে করেছিলেন বলে জানা যায়, যদিও তা পরবর্তীতে অস্বীকার করা হয়। একপর্যায়ে প্রযোজক বনি কাপুর এক তামিল সিনেমায় শ্রীদেবীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি চেন্নাইতে নায়িকার বাসা পর্যন্ত ছুটে যান কিন্তু শ্রীদেবী সিংগাপুরে থাকায় ভগ্নহৃদয় নিয়ে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে ‘সোলা সায়ান’ দেখার পর বনি সরাসরি শ্রীদেবীর সাথে দেখা করতে তার শুটিংয়ের স্থানে ছুটে যান। অন্তর্মুখী নায়িকা তখন বনিকে তার মায়ের সাথে কথা বলতে বলেন, যিনি অভিনয়ের জন্য বনির কাছে সেসময় প্রায় দশ লাখ রুপি দাবি করেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বনি ১১ লাখ রুপি পারিশ্রমিক দিতে রাজি হন। শ্রীদেবীর মা কিন্তু এতে বনির প্রতি বেশ ভালো মনোভাবই পোষণ করেন। পরবর্তীতে বনি স্বীকার করেছেন যে, এই সবই তিনি করেছেন শ্রীদেবীর কাছাকাছি থাকার জন্য। বনি কাপুর প্রথম দর্শনেই শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ে গেলেও শ্রীদেবী কিন্তু বেশ সময় নেন তার সিদ্ধান্ত নিতে। বনি কাপুর তখন বিবাহিত আর দুই সন্তানের জনক। বলতেই হবে, শ্রীদেবীর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়াটা মোটেও সহজ ছিলো না। মি.ইন্ডিয়া সিনেমার শুটিং চলাকালীন শ্রীদেবী বনি কাপুরের প্রতি আস্তে আস্তে আকৃষ্ট হতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তারা গাঁটছড়া বাঁধেন। তাদের দুই কন্যা আছে- খুশি আর জাহ্নবী। বিয়ের পরপরই বলিউডের এই রানী প্রায় ১৫ বছর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেন। কিন্তু এরপর ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ সিনেমার মাধ্যমে আবার যখন ফিরে আসেন, তা যেন আসলেই রানীর মতোই হয়। ব্যবসায়িকভাবে সফল ২০১২ সালের এই সিনেমার পর তিনি আসেন ‘মম’ সিনেমাতে, প্রমাণ করেন যে সময় তার প্রতিভাকে একটুও ম্লান করতে পারেনি।

হাজারো দর্শকের হৃদয়ের রানী, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জুড়ে পর্দায় রাজত্ব করা শ্রীদেবী দুবাইতে শেষবারের মতো চোখ মুদলেন। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের বাথরুমের বাথটাবের পানিতে দম আটকে তার মৃত্যু হয়। ভাইপোর বিয়ে উপলক্ষে দুবাইয়ে ছিলেন শ্রীদেবী ও তাঁর পরিবার। অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্বামী বনি কাপুর ও মেয়ে খুশি। শ্যুটিংয়ের কাজে অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় দুবাইয়ে ছিলেন না বড় মেয়ে জাহ্নবী কাপুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ছিল শুধুই একটি দুর্ঘটনা। প্রথমে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হলেও ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, হোটেলের বাথটাবে ডুবে আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে তার। শরীরে অ্যালকোহলের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতেই তিনি স্বামী ও কন্যাসহ দুবাই যান। বিয়ে শেষে সবাই ফিরে আসলেও তিনি পরিবারসহ আরো কিছুদিন থেকে যেতে চান। তার মৃত্যুর এই ঘটনার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও পুরো ব্যাপারটা নিয়ে এখন সন্দেহের কুন্ডলীও কম নয়। তার আকস্মিক মৃত্যু বলিউডের ঝলমলে জগতকে শুধু হতবাকই করে দেয়নি, বরং তাঁর হাজারো ভক্তের হৃদয়ে বয়ে আনে মৃত্যুর অন্ধকার মেঘ। আজ শ্রীদেবীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বলিউডের রূপালী পর্দার রানী শ্রীদেবীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: উনাকে আমি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো না। উনি দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেন নি। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান নি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাতে তার কিই বা এমন আসবে যাবে !!
তবে যে সমাজে গুনীজনদেরকে সম্মান জানাতে জানে
সেই সমাজে আরো বেশি বড়মাপের গুনীজনের জন্ম হয়।
সমাজে অনেক প্রতিভাবান মানুষ নানাভাবে লুকিয়ে আছে।
তাদেরকে খুঁজে বের করে সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব।
কাজেই কোন মানুষকে অবহেলা করতে নেই।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা । শ্রদ্ধাঞ্জলী শ্রীদেবী

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্রীদেবীর দ্বিতীয়
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য্।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৮

সোহানী বলেছেন: আহ্ সে সময়কার শ্রীদেবীর নাচ!!!!!! এরকম একজন প্রতিভাবাময় সুন্দরী নায়িকা সত্যিই বিরল। বিনম্র শ্রদ্ধা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চালবাজ ছবিতে তার চালবাজি দেখে আমি মুগ্ধ !!
আমি তাকে প্রায়ই স্মরণ করি। এমন অভিনেত্রী
সব যুগে আসেনা।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শ্রীদেবীর প্রতি অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ আশরাফ ভাই
শ্রীদেবীকে স্মরণ করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.