নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ নাট্যজন মামুনুর রশীদ। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষণীয়। অন্যদিকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। মামুনুর রশীদ নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি বর্তমানে চলচ্চিত্রে অভিনয়েও বেশ সময় দিচ্ছেন। তার অভিনীত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র রয়েছে মুক্তির প্রতীক্ষায়। নতুন করে যুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের সঙ্গেও। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দার অভিনয় ঘিরেও রয়েছে তার ব্যস্ততা। মামুনুর রশীদের নাটকের সঙ্গে ভালোবাসা ও যোগাযোগের শুরু একেবারে বাল্যকালেই। কিন্তু সেটা তখন ছিল শখের ব্যাপার। নাটকের প্রতি তার আশৈশব এই আগ্রহ পেশাদার রূপ পায় যখন তিনি কলেজের ছাত্র। ১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন যার বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। সে সময় কমেডি নাটকও তিনি লিখতেন। নাট্যশিল্পের প্রতি তার প্রকৃত ভালোবাসা শুরু হয় টাঙ্গাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে তার নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে। সেই সময়টাও তার নাট্যচর্চায় প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। সে সময় কলকাতায় নাটক দেখা তার নাট্যজীবন বিকাশের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে তিনি জানান। এই অনুপ্রেরণা থেকেই ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে তিনি তৈরি করেন তার আরণ্যক নাট্যদল। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে, শ্রেণি সংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলন নিয়ে নাটক রচনা ও নাট্য পরিবেশনা বাংলাদেশের নাট্য জগতে মামুনুর রশীদকে একটা আলাদা স্থান করে দিয়েছে। নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে তিনি একুশে পদকে ভুষিত হন। আজ নাট্যজন মামুনুর রশীদের ৭২তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। লিপিয়ার বর্ষে তার জন্ম হওয়ায় প্রতিবছর তার জন্মদিন পালিত হয় না। চার বছর পরপর গুণী এই শিল্পীর জন্মদিন উদ্যাপনের সুযোগ আসে। সে হিসেবে ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর ১৮তম জন্মদিন! বয়স ৭২ বছর।দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশীদের ১৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা
মুনুর রশীদ ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভাবনদত্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেশায় ছিলেন পোস্ট মাস্পার। ষাটের দশকে তিনি চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকার পলি্টেকনিক ইনিস্টিটিউটে তার লেখা পড়া। তার বাবার অভিপ্রায় ছিল তিনি যেন ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হন। কিন্তু তার ভেতর অভিনয়টাই প্রবলভাবে জেঁকে বসে। গ্রামের সোহরাব-রুস্তম যাত্রা দেখে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হন মামুনুর রশীদ। সেই মোহ থেকে আর বের হতে পারিনি। ১৯৬৪ সালে টিভি নাটকে তার অভিনয় শুরু। সেই নাটকের নাম ছিল ‘একতালা দোতলা’। এরপর ১৯৬৭ সালের দিকে নিজেই টিভি নাটক লেখা শুরু করেন। তখন একই সঙ্গে অভিনয় এবং নাটক লেখা দুটোই চলতে থাকে। সেই সময় আবদুল্লাহ আল মামুনসহ কিছু মানুষের সহযোগিতায় রেডিওতে নাটক করার সুযোগ পান। সেই সময় রেডিওতে নাটক করতে গেলে কমপক্ষে তিন দিন রিহার্সেল করতে হতো। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্রসদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন; কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায়, নাটকটি আর তখন অভিনীত হয় নি। পরে নাটকটি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে অভিনীত হয়। সেই সময়টাও তার নাট্যচর্চ্চায় প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে সে সময়ই তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন এ দেশের নাট্য আন্দোলনে।তিনি তৈরি করেন তার আরণ্যক নাট্যদল। তখন তার ধারণা ছিল, কলকাতার মতো ঢাকায়ও নিয়মিত মঞ্চনাটক হয়। কিন্তু ঢাকায় সেভাবে নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থ হয় না। মামুনুর রশিদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃত। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষনীয়। শ্রেণী সংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু।
মামুনুর রশীদ নাট্যাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। তাকে এ সম্মাননা প্রদান করেছে 'স্বপ্ন কুঁড়ি' নামের একটি সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠন। নাট্যজন মামুনুর রশিদ সত্যেন সেন সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন এবং ২০১২ সালে নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকে ভুষিত হন। এছাড়াও মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মামুনুর রশীদ। সম্প্রতি গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রে স্কুলের হেডমাস্টার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ। গত ৩ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশীদ। অনেক দিন ধরেই পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। বর্তমানে সুস্থ্য আচেন। দেশীয় নাট্যাঙ্গনের অন্যতম পুরোধা বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশীদ ৭২ বছরে পা রাখলেন আজ। বয়স ৭২ হলেও জীবনে মাত্র ১৮ বার জন্মদিন পেয়েছেন তিনি। দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশীদের ১৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ
২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেকদিন ফুল দিনাই। আজ একটা ফুল দিলাম । লোকটা খুব প্রিয় যে।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আলি ভাই
চমৎকার ফুলের জন্য।
৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বিনম্র ফুলেল শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা হানাই
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ লিটন ভাই
ভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশীদের
জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২
নিভৃতা বলেছেন: অসাধারণ এই অভিনেতার জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই।
০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আপু
নাট্যজন মামুনুর রশীদের
জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: মামুনুর রশীদ তার নাটক মুগ্ধ হয়ে দেখি।