![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ইজাবেল আন মেদেলিন হুপার্ট (Isabelle Huppert) একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফরাসি অভিনেত্রী। Isabelle Huppert Tributeএই অভিনেত্রী ফ্রান্স ছাড়াও ইতালি, রাশিয়া, মধ্য ইউরোপ ও এশিয়ায় অভিনয় করেছেন। ১৯৭১ সালে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি ১১০ এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ইজাবেল আন মেদেলিন হুপার্ট ১৬টি মনোনয়ন নিয়ে তিনি সর্বাধিক সেজার পুরস্কার এবং ৭টি মনোনয়ন নিয়ে সর্বাধিক মলিয়ে পুরস্কার মনোনীত হন। তিনি লা সেরেমোনি (১৯৯৫) ও এলি (২০১৬) চলচ্চিত্রের জন্য দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে সেজার পুরস্কার অর্জন করেছেন। হুপার্ট ১৯৯৪ সালে অর্দ্রে ন্যাশনাল দ্যু মেরিতের শেভালিয়ে এবং ২০০৫ সালে অফিসিয়ে উপাধিতে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৯ সালে লেজিওঁ দনরের শেভালিয়ে এবং ২০০৯ সালে অফিসার উপাধিতে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি ছিলেন মঞ্চ অভিনেত্রী। ১৯৯৬ সালে তিনি য় লন্ডনে সালেমেরি স্টুয়ার্ট নাটকের নাম ভূমিকামঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ২০০ New সালে ৪.৪৮ সাইকোসিসের প্রযোজনায় নিউ ইয়র্কের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের আটলান্টিক থিয়েটার কোম্পানিতে ফ্লোরিয়ান জেলারের দ্য মাদারে অভিনয় করেছিলেন হুপার্ট। আজ ভিনেত্রী ইজাবেল হুপার্ট এর ৬৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৩ সালের আজকের দিনে তিনি ভিনেত্রী ঢফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফরাসি অভিনেত্রী ইজাবেল উহুপার্ট এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
ইজাবেল হুপার্ট ১৯৫৩ সালের ১৬ই মার্চ প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রেমন হুপার্ট একজন তালা প্রস্তুতকারী এবং মাতা আনিক (জন্মনাম: বিউ) একজন ইংরেজি ভাষার শিক্ষক। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে হুপার্ট সর্বকনিষ্ঠ। তার পুরো নাম ইজাবেল আন মেদেলিন হুপার্ট। চলচ্চিত্র পরিচালক কারোলিন হুপার্ট তার বড় বোন। তার শৈশব কাটে ভিলা-দাভ্রেতে। তার পিতা ইহুদি ছিলেন এবং তার পরিবার অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির (বর্তমান প্রেসভ) এপের্জেস ও আলসাস-লরাইন থেকে ফ্রান্সে আসে। হুপার্ট তার মায়ের ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুসারে বেড়ে ওঠেন। তার মায়ের দিক থেকে কালো সয়েরদের একজন তার প্র-মাতামহ ছিলেন। ছোটবেলায় তার মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি অভিনয় শুরু করেন এবং প্যারিসের কিশোরী তারকা হয়ে ওঠেন। তিনি পরবর্তীতে কনসারভেতোইর অঁ রেয়নমেন রেজিওঁ দ্য ভার্সাইলে পড়াশুনা করেন, এবং সেখান থেকে তিনি অভিনয়ে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি কনজারভেতোইর ন্যাশনাল সুপেরিউর দার্ত দ্রামাতিকে পড়াশুনা করেন। উপের ১৯৭৫ সালে আলোইস চলচ্চিত্রের জন্য তার প্রথম সেজার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি দ্য লেসমেকার চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নবাগত বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ভায়োলেত নজিয়ে (১৯৭৮) ও দ্য পিয়ানো টিচার (২০০১) চলচ্চিত্রের জন্য দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, এবং স্টোরি অব ওম্যান (১৯৮৮) ও লা সেরেমোনি (১৯৯৫) চলচ্চিত্রের জন্য দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের ভল্পি কাপ জয় করেন। ২০১৬ সালে উপের তার এলি চলচ্চিত্র দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কার লাভ করেন, এবং একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি এলি ও থিংস টু কাম চলচ্চিত্রের জন্য ন্যাশনাল সোসাইটি অব ফিল্ম ক্রিটিকস, নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল এবং লন্ডন ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার লাভ করেন।
কর্মজীবনে ১৯৭১ সালে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ২০১২ সালে তার অভিনীত দুটি চলচ্চিত্র কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাল্ম দরের জন্য প্রতিযোগিতা করে: মাইকেল হানেকে'র আমুর এবং হং সাং-সু'র ইন অ্যানাদার কান্ট্রি। ফ্রান্সে তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল লুলু (১৯৮০), লা সেপারাশিওঁ (১৯৯৪), এইট ওম্যান (২০০২), গাব্রিয়েল (২০০৫), আমুর (২০১২), এবং থিংস টু কাম (২০১৬)। তার ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রগুলো হল হেভেন্স গেট (১৯৮০), আই হার্ট হাকাবিস (২০০৪), দ্য ডিজেপেয়ার্যান্স অব এলিনর রিগবি (২০১৩), লাউডার দ্যান বোম্বস (২০১৫), এবং গ্রেটা (২০১৮)। আমুর ছবিটি পাল্ম দর অর্জন করে। ২০১৬ সালে তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়, সেগুলো হলঃ মিয়া হানসেন-লোভের থিংস টু কাম ও পল ভেরহোভেনের এল। থিংস টু কাম-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং এল-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীয় হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তিনি এই দুটি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ন্যাশনাল সোসাইটি অব ফিল্ম ক্রিটিকস পুরস্কার, নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল পুরস্কার ও লস অ্যাঞ্জেলেস ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার লাভ করেন। এলি ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি আরও কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেন, সেগুলো হল গোল্ডেন গ্লোব, সেজার, গথাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম পুরস্কার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কার। এছাড়া তিনি এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে হুপার্ট ১৯৮২ সাল থেকে লেখক, প্রযোজক এবং পরিচালক রোনাল্ড চামাহ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। চামাহ ছিলেন লেবাননের বংশোদ্ভূত ইহুদি। এদের সংসারে অভিনেত্রী ললিতা চামাহ সহ তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। অভিনেত্রী ললিতা চামার সাথে তিনি কোপাচাবানা (২০১০) এবং ব্যারেজ (২০১৭) সহ পাঁচটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। আজ ভিনেত্রী ইজাবেল উপের এর ৬৭তম জন্মবার্ষিকী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফরাসি অভিনেত্রী ইজাবেল উপের এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্টোরি অব ওমেন দেখেছি। আপনি ?
আমার ধারণা আপনি আজই তার নাম
প্রথম শুনলেন!! ক্ষতি নাই উপরে একটা
লিংখ আছে, ক্লিক করুন, তার সম্পর্কে
কিছু ধারণা পাবেন। শুভহোক আপনার।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফরাসি অভিনেত্রী ইজাবেল উপের এর জন্মবার্ষিকীতে
..............................................................................................................
আমার ফুলেল শুভেচ্ছা।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল,
ফরাসি অভিনেত্রী ইজাবেল উপের এর জন্মবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানাের জন্য।
অপটপিক: Isabella Huppert নামের বাংলা উচ্চারণে কেউ তাকে ইজাবেল উপের,
আবার কেউ তাকে ইসাবেলা বা ইজাবেল হুপার্ট উচ্ছারণ করে।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: উনার মুভি দেখেছি কিনা মনে নাই।
আমার কিচ্ছু মনে থাকে না।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিয়ে করার কথাতো ভুলেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: উনার মুভি দুই একটা দেখেছেন?