নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর নভেরা আহমেদের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪


আধুনিক সময়ে স্থাপত্য শিল্পে নভেরা আহমদ এক কিংবদন্তির নাম। এই নভেরাই যে আমাদের দেশের প্রথম আধুনিক ভাস্কর তা আমরা সবাই কমবেশি জানি; কিন্তু তাঁর জীবন ও শিল্পকর্মের কতটুকুইবা জানা সম্ভব? অথচ তাঁকে নিয়ে বিদগ্ধ বাঙালি সমাজে আগ্রহের শেষ নেই। ১৯৯৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদসংখ্যায় হাসনাত আবদুল হাইয়ের নভেরা নামে একটি উপন্যাস ছাপা হলে প্রায়-বিস্মৃত এই শিল্পীর জীবনের কিছু অধ্যায় নিয়ে চারদিকে হইচই পড়ে যায়। ‘কালো ট্রাউজার, কালো ব্লাউজ, গলায় কালো রুদ্রাক্ষের মালা। চোখের নিচে ভ্রূর আদলে দীর্ঘ মেকআপের কালো বাঁকা একটা রেখা টানা।’ এভাবেই নভেরার রূপের বর্ণনা করেছেন কথা সাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই। ১৯৫৫ সালে নভেরা লন্ডনের ক্যামবারওয়েল কলেজ অব আর্টস থেকে মডেলিং এবং ভাস্কর্য বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করে হামিদুর রহমানের সাথে দেশে ফিরে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজে হাত দেন। কিন্তু হামিদুর রহমান শহীদ মিনারের স্থপতির মর্যাদা পেলেও নভেরা আহমেদ কখনোই তার প্রাপ্য সম্মান পাননি। যার কারণে এই অভিমানী গুণী স্থপতি দেশ ছেড়ে যান। আর কোনদিনও তিনি দেশে ফিরে আসেননি। নভেরাকে নিয়ে আমরা পেয়েছি কথা সাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই রচিত জীবনীভিত্তিক উপন্যাস ‘নভেরা’ (প্রকাশকাল-১৯৯৪), এন রাশেদ চৌধুরীর প্রামাণ্যচিত্র ‘শিল্পী নভেরা আহমেদের সৃজন ভুবন ন হন্যতে’ (১৯৯৯) ও চয়ন খায়রুল হাবিবের কবিতা ‘নভেরায় হংসনিল’। নভেরা আহমেদ একটি রহস্যময় নাম—আধুনিক সময়ের কিংবদন্তি। এর কিছুটা তাঁর নিজের সৃষ্টি আর কিছু অংশের স্রষ্টা তাঁর বিহ্বল বন্ধুরা। ১৯৬০ সালে নভেরার এক প্রদর্শনীর পুস্তিকায় শিল্পাচার্য জয়নুল তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, "আজ এখানে নভেরা যা করছেন, তা বুঝতে আমাদের অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে"। তিনি ঠিকই বলেছিলেন, আমরা কি আজো তাকে বুঝতে পেরেছি? আজ কিংবদন্তি ভাস্কর নভেরা আহমেদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩০ সালের আজকের দিনে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের সুন্দরবনে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর নভেরা আহমেদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নভেরা আহমদ ১৯৩০ সালের ২৯মার্চ (ব্রিটিশ ভারত) বর্তমানে বাংলাদেশের সুন্দরবনে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও বহু সূত্র তাঁর জন্মসাল উল্লেখ করে ১৯৩৫ এমনকি ১৯৩৯ সাল। তবে যেহেতু তিনি ১৯৪৭ সনের দিকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন, অনুমান করা যায়, তখন তাঁর বয়স ষোল বা সতের। সে হিসেবে তার জন্ম সাল ১৯৩০ই যুক্তিযুক্ত। চাচা নাম রাখেন নভেরা। ফার্সি শব্দ ‘নভেরা’র অর্থ নবাগত, নতুন জন্ম। কর্মসূত্রে তার বাবা সৈয়দ আহমেদ কর্মরত ছিলেন সুন্দরবন অঞ্চলে। তবে পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের আসকারদিঘির উত্তর পাড়। পরবর্তীতে তার বাবা চাকরিসূত্রে কিছুকাল কলকাতায় অবস্থার করায় নভেরার শৈশব কেটেছে কলকাতা শহরে। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তিনি নাচ, গান শেখার পাশাপাশি মাটি দিয়ে মূর্তি তৈরী (মডেলিং) করতেন। তিনি কলকাতার লরেটা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (ম্যাট্রিক) পাস করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত বিভাগের পর তারা পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুমিল্লায় চলে আসেন। এ সময় নভেরা কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। পিতার অবসরগ্রহণের পর তাদের পরিবার আদি নিবাস চট্টগ্রামে গিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করে। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তী আইন শিক্ষার জন্য তাকে বাড়ি থেকে লন্ডনে পাঠানো হয় ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে। তবে শৈশব থেকেই নভেরার ইচ্ছা ছিল ভাস্কর্য করার; তাই তিনি সেখানে সিটি অ্যান্ড গিল্ডস্টোন কার্ভিং ক্লাসে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে ভর্তি হন ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন ডিজাইনের মডেলিং ও স্কাল্পচার কোর্সে। সেখান পাঁচ বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা কোর্স করার পর ১৯৫৫ সালে তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স ও ভেনিসে ভাস্কর্য বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। সে সময় তিনি লন্ডনে শিল্পী ও ভাস্কর হামিদুর রহমানের সাথে দেখা করতে আসেন। ১৯৫৫ সালে ডিপ্লোমা শেষে তিনি প্রফেশনাল দক্ষতা অর্জনের জন্য ফ্লোরেন্স এবং ভেনিসে চলে যান। সেখানে তিনি প্রখ্যাত স্থপতি ভেটোরিনো ভেনচুরির তত্ত্বাবধানে কাজ করেছেন। ইচ্ছা করলে সেখানেই থেকে যেতে পারতেন তিনি। কিন্তু হামিদুর রহমানের সাথে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এই কিংবদন্তি।

(তার ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে নভেরা)
সে সময় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদ শহীদ মিনার নির্মাণে কাজ করেন। যদিও শুধুমাত্র হামিদুর রহমানকেই শহীদ মিনারের স্থপতির মর্যাদা দেওয়া হয়। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক যে আমরা নভেরা আহমেদকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে পারিনি। প্রথম দিকে নভেরা আহমেদ পাথর, কংক্রিট এবং মাটি দিয়ে জ্যামিতিক আকৃতির মানুষ এবং প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি করেতেন। লোহা, ইস্পাত এবং ব্রোঞ্জ ব্যবহার শুরু করেন পরে। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমানের ভাঙ্গা অংশ ব্যবহার করে এবং স্প্রে পেইন্টিং এর মাধ্যমে ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। তার কাজে বিভিন্ন স্থান, দ্বীপ, আকাশ, ফিনিক্স, ফুল, জল, রোদ, চাঁদ এবং মানবিক দিকগুলোর প্রকাশ এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে। সে সময় নভেরা আহমেদ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে অনেক কাজ করেন যা পরবর্তীতে স্থাপত্য জগতে তার জাত চিনিয়ে দেয়। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ১০০ টির বেশি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন তিনি। তার ১০০ টি ভাস্কর্যের মধ্যে ৩৩ টি ভাস্কর্য বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরে স্থাপন করা হয়েছে। তিনি রূপকের আশ্রয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন। নারী প্রতিকৃতি নিয়ে নভেরা আহমেদ কাজ করেছেন তার অধিকাংশ স্থাপত্য নিদর্শনে। যদিও সমসাময়িক স্থাপত্য শিল্পীরা নারীকে তাদের মা, কন্যা, স্ত্রী এবং অনুভূতিপূর্ণ মানুষ হিসেবে প্রকাশ করেছে কিন্তু নারীর কর্মজীবন সবসময় রয়ে গেছে তাদের দৃষ্টির অগোচরে। নভেরা আহমেদের প্রথম প্রদর্শনী ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তার পরবর্তী প্রদর্শনী ছিল ১৯৬১ সালে লাহোরে। দীর্ঘ অন্তরালের পর ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে প্যারিসে নভেরার একটি রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনী হয়।

(১৯৫৮ সালে নভেরা আহমেদের ‘পরিবার’ নামের ভাস্কর্য)
পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও কাজের ক্ষেত্র হিসাবে নভেরা আহমেদ তার জন্মভূমিকেই বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কখনো তাকে বুঝতে পারিনি, মূল্যায়ন করতে পারিনি তার প্রতিভার। আমরা তাকে এমন পরিবেশ দিতে পারিনি যাতে আপন আলোয় আলোকিত হয়ে উঠতে পারেন তিনি। যার কারণে অভিমানী এই স্থপতি এ দেশ ছেড়ে চলে যান এবং বিচ্ছিন্ন জীবন বেছে নেন। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেরা আহমেদকে একুশে পদকে সম্মানিত করেন। যদিও এইটুকু মোটেই তার জন্য যথেষ্ট নয়। ২০১৫ সালের ৫ মে, মাতৃভূমি থেকে অনেক দূর প্যারিসে নভেরা আহমেদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এবং সেখানেই চির নিদ্রায় শায়িত আছেন। যা সত্যিই দুঃখজনক। আজকের এই যুগে বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্য নিয়ে যদি কথা বলতে হয় তবে প্রথমেই আমাদের নভেরা আহমেদকে মনে করতে হবে। শহীদ মিনারের স্থপতি হিসেবে তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় এসেছে। আমরা আশা করি নভেরা আহমেদ তার কাজের যথার্থ স্বীকৃতি পাবেন। যদিও তিনি এখন এর ঊর্ধ্বে। তবুও জাতি হিসেবে কিছুটা হলেও রেহাই পাবো এই লজ্জা থেকে। যদি আমরা তা না করি তবে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হবে।

(নভেরা আহমেদের ৮০ তম জন্মদিনে গুগল তাকে নিয়ে ডুডল প্রকাশ করেছিলো)
অসাধারণ প্রতিভাধর ও ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বাঙালি শিল্পী নভেরা আহমেদ একটি রহস্যের নাম। আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের কিংবদন্তি, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ভাস্কর বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যের ইতিহাসে যার অবদান অতুলনীয়। শিল্পচর্চায় প্রথম থেকেই নভেরা ছিলেন যথেষ্ট বৈশিষ্ট্যময়, ব্যক্তিগত জীবনযাপনেও তিনি ছিলেন খুবই ব্যতিক্রমী। আগাগোড়াই ভিন্ন মেজাজের শিল্পী। একপর্যায়ে তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন, আর ফেরেননি, কারণ দেশের ওপর অভিমান নাকি কোনো ব্যক্তির ওপর, না অন্য কিছু, আমরা জানি না। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে তাঁর প্রাপ্য শ্রদ্ধা বা সম্মান বা ভালোবাসা জানায়নি। তবে তারা তাঁকে একেবারে ভুলে গেছে তাও নয়। পথিকৃৎ আধুনিক ভাস্কর হিসেবে তাঁকে সবসময়ই স্মরণ করা হয়েছে। আজ কিংবদন্তি ভাস্কর নভেরা আহমেদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর নভেরা আহমেদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্টে ভালো লাগা্ জানবেন।
সতর্ক থাকুন আপনজন নিয়ে।
শুভকামনা্

২৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ইসিয়াক।
সতর্ক ও নিরাপদে থাকবেন।
ইনসাআল্লাহ আল্লাহ সবাইকে
হেফাজত করবেন।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেকদিন বেঁছেছিলেন তিনি।

২৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জ্বি,১৯৩০ সাল থেকে
২০১৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময়!!

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৪

আহা রুবন বলেছেন: এক অভিমানী শিল্পি নভেরা আহমেদ। তাঁর সম্পর্কে আমরা তেমন একটা জানি না।

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারনে নিভৃতচারিনী
এই শিল্পী সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানিনা।
তবে সময় এসেছে তাকে সঠিক মূল্যায়ন করে
তার যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: আমার ভীষন প্রিয় একজন মানুষ।

প্রিয় হবার কারণ-

তার অন্যরকম এক সৌন্দর্য্য
তার কাজ
তার অহংকার বা অভিমান
আর তার রহস্যময়তা....

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ সায়মা আপু
চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: একজন রহস্যময় নারী।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ খানসাব
মন ভালো?

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

সোহানী বলেছেন: ডিইউতে পড়ার সময় লাইব্রেরীর পারপাশে ছড়ানো ছিল নভেরার অনেক কাজ অবহেলায়। তারপর অবশ্য সেগুলো সংক্ষেন করা হয়। তখন থেকেই তাঁর জন্য মনে একটা গভীর ক্ষত ছিল।

নভেরারা অভিমানেই চলে যায় বা চলে যেতে বাধ্য হয় কিছু স্বার্থপরদের জন্য।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ আপু
শিল্পীকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ
করার জন্য। গুনী এই শিল্পীকে
যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করা হোক
এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.