নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা পরবর্তী সময়ের ভয়াবহ পিরিস্থিতি মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সকলের এক সাথে কাজ করতে হবে

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৫


মানব জাতির ইতিহাসে কখনো এমন সময় আসেনি যখন সকল ধর্মের সকল উপাসনালয়, ইবাদত খানা বন্ধ। প্রায় অর্ধেক দুনিয়ায় এখন মসজিদ, গির্জা, প্যাগোডা, চার্চ, মন্দির বন্ধ। হজ্জ অনেক বার বন্ধ হয়েছে ইতিহাসে, কিন্তু এক দুটি নয় হাজারো মসজিদে সালাত বন্ধ হয়েছে এটা ইতিহাসে এই প্রথম যা করতে বাধ্য করেছে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। করোনাভাইরাসের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া, যার প্রভাব দেখা যাবে ভবিষ্যতেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারী নতুন কিছু না, ইতিহাসে এমন বহু ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে। ব্ল্যাক ডেথ এবং স্প্যানিস ইনফ্লুঞ্জায় কোটি কোটি লোক মারা যায়, এবারো মারা গেলে ইতিহাসে তা নতুন কিছু হবে না। কিন্তু, মানব জাতির প্রায় ৬ হাজার বছরের ইতিহাসে এমন একটিও ঘটনা নেই যেখানে বিশ্ব লক ডাউন পাওয়া যায়। মানুষ ঘরে বন্দী হয়ে আছে। বিশ্ব যেন থমকে গেছে। বিশ্ব সূর্যের চারদিকে ঘুরা বন্ধ করে হঠাৎ থেমে গেছে। আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ইতালি, স্পেন, বা ইন্দোনেশিয়া মালয়শিয়া, বা আরব ইসরাইল। যেন একজন সচল মানুষের হাত পা মাথা সব অবশ হয়ে গেছে। রক্ত চলাচল থেমে গেছে। বাস, ট্রেন, প্লেন, শিপ সব বন্ধ হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরি, মিল খালি পড়ে আছে। আমদানি রপ্তানি প্রায় বন্ধ। বর্ডার কোলসড। ওইসিডির মহাপরিচালক এঞ্জেল গুরিয়া বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে অনেক বছর সময় লেগে যাবে। করোনাভাইরাস গুরুতর আকারে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির হার অর্ধেকে কমে তা ১ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুরিয়া বলেছেন, এ মহামারী থেকে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তার থেকে বেশি বড় হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এর আকস্মিকতা।

তাই পোস্ট করোনা পিরিয়ড হবে ভয়াবহ। রাজনীতি-অর্থনীতি সহ সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক ভয়ঙ্কর প্রভাব রেখে যাবে করোনা। দুর্ভিক্ষ, বেকারত্ব, রেসেশন, দ্য গ্রেট ড্রিপ্রেশন, হাইপারইনফ্লেশন, পুলিশ স্টেট, ডলার কলাপ্স, তেলের মূল্য ১০ ডলারে নেমে যাওয়া, কালার রেভ্যুলুশন, ডিপ্রেশন, ম্যান্টালি ডিসঅর্ডার, রায়োড, 5G নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল কারেন্সি, ডলার প্রিন্ট, দাজ্জাল, মালহামা, ইমাম মাহদি, থার্ড টেম্পল, চীনের উত্থান, এন্ড অফ প্যাক্স আমেরিকানা ইত্যাদি ইত্যাদি। করোনার প্রবাবে ইতিমধ্যেই বদলে গেছে পৃথিবীর চেহারা। পুরো মানব জাতি আজ সংকটের মুখে। রাজনীতি-অর্থনীতি সহ সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক ভয়ঙ্কর প্রভাব রেখে যাবে করোনা। দুর্ভিক্ষ, বেকারত্ব, রেসেশন, দ্য গ্রেট ড্রিপ্রেশন, হাইপারইনফ্লেশন, পুলিশ স্টেট, ডলার কলাপ্স, তেলের মূল্য ১০ ডলারে নেমে যাওয়া, কালার রেভ্যুলুশন, ডিপ্রেশন, ম্যান্টালি ডিসঅর্ডার, রায়োড, 5G নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল কারেন্সি, ডলার প্রিন্ট, দাজ্জাল, মালহামা, ইমাম মাহদি, থার্ড টেম্পল, চীনের উত্থান, এন্ড অফ প্যাক্স আমেরিকানা এমন অনেক অনেক ডট পোস্ট করোনা পিরিয়ড হবে ভয়াবহ। ২০০৮-২০০৯ সালে শেষ বার বিশ্ব রিসেশন দেখেছে চিন। সেই সময়ের আর্থিক মন্দার সঙ্গেও ঝুঝে গেছিল চিন। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে আপাতত পশ্চিমী দেশগুলির শ্যেন নজরে থাকায় চিনের পক্ষে আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভ নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিগত ৪৪ বছরে যা দেখেনি চিন। ২০১৯ সালে ৬.১ শতাংশ ছিল চিনের জিডিপি। তবে ২০২০ সালে তা ১ থেকে ২ শতাংশ নামলেও নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষবার ১৯৯০ সালে চিন এমনভাবে ধরাশায়ী হয়েছিল। আর ২০২০ সালে সেই পরিস্থিতি আগত বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশও এমন পরিস্থিতির আশঙ্কার বাইরে নয়। করোনার কারণে প্রতিনিয়তই দেশে দেশে বাতিল হচ্ছে কলকারখানার অর্ডার। সবকিছু কবে স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। করোনা-পরবর্তী সময়ে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুনভাবে শুরু করতে পারলেও ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে চিরতরে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়বে মানুষ। উৎপাদন না হলে, বিক্রি হবে না। মানে লাভ হবে না। যার অর্থ, কর্মী নিয়োগ হবে না উপরন্ত চলবে ছাটাই। কারণ পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে এগোলে তারা আর কর্মীদের ধরে রাখে না।

করোনার সংক্রমণ ও এর বিশ্বায়নের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছে এককেন্দ্রিক বিশ্বকাঠামোর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুরুতে তেমন একটা পাত্তা না দিলেও বর্তমানে আমেরিকায় করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৫৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৪০৬ জনের। তবে আমেরিকার শক্তির অবক্ষয়ের পেছনে বেশ কিছু উপাদান সক্রিয়। এগুলো হচ্ছেঃ চীনের অর্থনীতির বিস্ময়কর উত্থান। আরও রয়েছে পারমাণবিক শক্তির ক্রমবিস্তৃতি, মুক্তবাণিজ্যে অনেক দেশের অনীহা, সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় বেড়ে যাওয়া, ফলে অনিবার্যভাবে সামরিক খাতে ব্যয় সংকোচন করতে হয়। এ ছাড়া রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত মিত্র যেমন ইউরোপ ও জাপানের শক্তি কমে যাওয়া। করোনা-পরবর্তী সময়ে কেমন হবে বিশ্ব, তা নিয়ে গবেষকরা দিচ্ছেন নানা মত। অনেকে মনে করছেন ভবিষ্যতে নাগরিকদের কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হতে পারে। শুধু আপনি কী করছেন তা-ই নয়। এমনকি আপনার শারীরিক অবস্থার সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে সরকারের কাছে। ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়াহ হারারি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিনে কোনো লিঙ্কে আপনি যখনই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিক করেছেন, সরকার শুধু জানতে চেয়েছে, কিসের লিঙ্কে আপনি ক্লিক করেছেন। কিন্তু এই করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের ফোকাসটা সরে গেছে অন্যদিকে। এখন সরকার জানতে চায়, আপনার আঙ্গুলের তাপমাত্রা কত, ত্বকের নিচে আপনার রক্তের চাপ কত। করোনা পরবর্তী সময়ের করণীয় সম্পর্কে সমাজের বিশিষ্টজনেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

অমর্ত্য সেনঃ
‘কিছু মানুষ শুধুই ভাবছেন, কীভাবে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, আর অন্যদিকে কিছু মানুষ শুধু দু’‌মুঠো ভাতের সন্ধান করছেন। চিন্তা করছেন, পরের দিনও খাবার জুটবে তো?‌ এই লকডাউনের সময়ে মানুষ যদি কর্মসংস্থান হারাতে থাকেন, তাহলে রোজগারের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষের হাতে টাকা থাকবে না। তখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যেখানে দেখা যাবে, শেষে খাদ্যের অভাবে মানুষকে মরতে হচ্ছে। এটা এমন একটা পরিস্থিতি, যেখানে আমাদের আরও সহযোগী হয়ে উঠতে হবে। আসল যুদ্ধে সহযোগী হয়ে ওঠার কোনও অবকাশ নেই।’‌

অভিজিৎ ব্যানার্জিঃ ‘লোকে যদি ভাতের খোঁজে রাস্তায় বেরোতে বাধ্য হয়, তা হলে লকডাউনের সুফল পাওয়া যাবে না। যদি গোটা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত সফল করতেই হয়, তা হলে গরিব মানুষের হাতে টাকা তুলে দিতেই হবে। তা নাহলে মানুষ শুধু খাবারের খোঁজেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে!‌ শুধু রেশন বা বিনামূল্যে খাবার দিলেই হবে না। তাঁদের আরও কিছু চাহিদা থাকে। সেগুলোও যাতে তাঁরা পূরণ করতে পারেন, তার পরিসর তৈরি করে দিতে হবে। তাঁদের হাতে এমন কিছু তুলে দিতে হবে যাতে তাঁরা এই লকডাউনের সময়ে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে।’‌

এস্থার ডুফলোঃ
'তিন সপ্তাহ পরও যদি মানুষের হাতে টাকা না থাকে, খাবার না থাকে, মানুষকে ঘরে আটকে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। তার ফলে যেটা হবে, করোনার মোকাবিলা করতে যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটাই ব্যর্থ হবে। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষ যদি ঘর থেকে বেরতে শুরু করে, তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। লকডাউন অবশ্যই জরুরি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তখনই সফল হবে, যখন তা মানুষের প্রাণরক্ষা করতে পারবে। করোনা পরবর্তী সময়ে যদি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হয়, সেক্ষেত্রে এখন থেকে তার প্রস্তুতি নিতে হবে।’‌

কৌশিক বসুঃ
‘‌অনেকেই বলছেন, এই মুহূর্তে আমাদের শুধুই করোনার মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনীতি নিয়ে পরে ভাবা যাবে। আমি বলব, এটা একেবারেই ভুল ধারণা। করোনার মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকার যদি দেশের অর্থনীতির বিষয়টি এড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তার মাশুল গুণতে হবে সাধারণ মানুষকেই। যার পরিণাম ভয়ঙ্কর। এটা ঠিকই যে করোনার মোকাবিলায় ভারত সরকার শুরুতেই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তাতেও বেশকিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। কিন্তু যেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, অর্থনীতির বিষয়টি সবসময়েই মাথায় রাখতে হবে। ডলারের তুলনায় টাকার দাম যদি ক্রমাগত পড়তে থাকে, তাহলে দেশের অর্থনীতি সত্যিই ধ্বসে পড়বে। আর যদি দেশের অর্থনীতি ধ্বসে যায়, তার সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। ইতিহাস তার সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়। সুতরাং, প্রশ্ন এটা নয়, করোনার মোকাবিলা নাকি দেশের অর্থনীতি?‌ প্রশ্ন হল, কীভাবে করোনার মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে সঠিক দিশা দেখানো সম্ভব?‌’‌

মহামারী আটকাতে হলে গোটা জনগোষ্ঠীকে একটা নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। না হলে বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। ইউভাল নোয়াহ হারারি দুটি উপায়ের কথা বলেছেন। একটা হচ্ছে সরকার তার জনগণকে নজরদারির মধ্যে রাখবে এবং নিয়মকানুন মেনে না চললেই শাস্তির ব্যবস্থা। আগে নাগরিকের ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারির কথা ভাবতেও পারত না কেউ। এখন সরকারগুলো দেশের সবখানে ছড়িয়ে থাকা সেন্সর আর শক্তিশালী অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজটা করতে পারে খুব সহজেই। করোনায় গৃহবন্দি হয়ে থাকায় এখন উপলব্ধি করতে পেরেছেন বেশি বোঝা চাপিয়ে প্রকৃতিকে কতটা অগ্রাহ্য করা হয়। আগে বিশ্বের শহরগুেলোতে এত সুন্দর রূপ দেখা যায়নি । লকডাউনের জেরে নীল আকাশ, দূষণমুক্ত বায়ু এবং জঞ্জাল বিহীন রাস্তা দেখা যাচ্ছে। প্রকৃতি এটা শেখাতেই কি এমন স্বাস্থ্য সংকটের দরকার ছিল? কোনো একটি ঘটনা পর্দার পিছনে ঘটছে। যা বুঝতে পারছি না। দাজ্জালের পূর্ববর্তী বছর গুলো হবে অনেক ধোঁয়াশাপূর্ণ, ফিতনাময়, ফ্যাসাদময়। সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য মনে করা হবে। কারণ যাই হোক করোনা পরবর্তী সময়ের নাস্তানাবুদ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সকলের এক যোগে কাজ করতে হবে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

অদ্যকার লেখাটি গাজীসাবের নামে উৎসর্গ করা হলো। তিনি আমাকে বিগতদের নিয়ে না ভেবে বর্তমানকে নিয়ে ভাবতে বলেছিলেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আপনার পোষ্ট টি হাস্যকর।

শুনুন মানুষ মরে গেলে সমস্ত উপসনালয় এমনিতেই অফ হয়ে যাবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এসব কথা বার্তা আপনার উর্বর মস্তিস্কে ঢুকবেনা
আপনার জন্য এই পোস্ট নয়। সবাই মৃগনাভী কস্তরী
সহ্য করতে পারেনা। এই পোস্ট আপনার গুরুর জন্য।

আপনার চিন্তা
১। কবে সব ঠিক হবে! কতদিন হয় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে, ঝাল বেশি দিয়ে ফুচকা খাইনা।
বেশী করে ঝাল দিয়ে ফুচকা খান।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: করোনা নিয়ে ভালো পোস্ট দিয়েছেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম ভাই
অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে
আর দেরীকরা সমুচীন হবেনা।
কাজে লেগে পড়তে হবে এখনি।
তা না হলে পোস্ট করোনা পিরিয়ডে
অর্থনৈতিক মন্দায় খাবি খেতে হবে আমাদের।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব কথা অতি সহজ সরল ভাবে চমৎকার উপস্থাপন । আমরা বোকা লতা পাতা খাই ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আলি ভাই,
আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস রেখেই
আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এই মহামারী
থেকে উত্তরণের জন্য। "মহান আল্লাহ কোন জাতির
ভাগ্য পরিবর্তন ততক্ষণ পর্যন্ত করেন না, যতক্ষণ সেই
জাতি তার কর্মনীতির পরিবর্তন না করে."
সুরা আনফাল (৪৮ থেকে ৫৪) ::

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।
আমিন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ সব কিছুুর মালিক
আসিফ নজরুল আজ বলেছেন
করোনা আল্লাহ প্রদত্ত গজব।
আল্লাহই আমাদের এই গজব
থেকে নাজাত দেবার মালিক।ঠ

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে
প্রচুর পরিমাণে জিকির করতে হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে তার নাফরমানিতে
রত হবার কারনেই এটা আল্লাহর গজব।
এর থেকে পরিত্রাণ পেতে তার এবাদত
বন্দেগি, এস্তেগফার ও জিকির করতে হবে।
আল্লাহ আমাতের হেফাজাত করুন। আামিন

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: শত প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার উপরই আস্থাশীল। আমরা বিশ্বাস করি, তিনিই আমাদেরকে চলমান করোনা সংকট থেকে মুক্ত করবেন।
সচেতনতার পাশাপাশি বিশ্বাসই আমাদের সংকট মুক্তির পথ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আজ আসিফ নজরুলও আপনার মতো আল্লাহর
কাছে নিজেকে সপে দিয়ে বলেছেন
করোনা আল্লাহর গজব।
বান্দাকে সুতোয় বেঁধে দুনিয়াতে পাঠাইয়েছেন
মহান আল্লাহ, নাটা্ই তার হাতে। সুহরাং পালাবার
পথ নেই! ধরা পড়তেই হবে। সময় ফুরিয়ে যাবার আগে
তার কাছে সপে দিন নিজেকে। মুক্তি পাওয়া যাবে কারণ
আল্লাহ বান্দাকে ভালোবাসেন। তার দিকে এক কদম অগ্রসর হলে
তিনি বান্দাদের দিকে দশ কদম এগিয়ে আসেন।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মোটামুটি সবই কাভার করেছেন। বর্তমান পরিস্হিতে চীন তার নিজস্ব সিষ্টেমের কারণে সবার চেয়ে ভালো আছে। তাদের বড় সমস্যা হলো সবার জন্য খাদ্য ও জ্বালানী তেল; এর বাইরে তাদের সমস্যা নেই।

জন সংখ্যা নিয়ে ভারত ভয়ংকর সমস্যা আছে; ভারতের মানুষ মোটামুটি নির্দয়, কোন প্রতিবেশী অন্যকে খাবার দেবে না। তাদের বড় সমস্যা জ্বালানী।

আমেরিকা ঢুবে গেছে, সবকইছু প্রাইভেট হওয়ায়, ও শহরের মানুষের গ্রামে কোন পরিবার বা ঘর না থাকায়, তারা নড়তে পারবে না। তাদের হাতে জ্বালানী ও খাবার আছে; তারা বিপদে পড়বে করোনার পরে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য। ইউরোপ আমেরিকার উপর নির্বভরশীল হয়ে যাবে; কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমটায় থাকায় তারা সাহায্য পাবে না; তাদের শেষ ভরসা মারখেল

বাংলাদেশে গার্মেন্টসকে ১ টাকা দিলে উহা "ভুল" হবে; কারণ, উহা চালু করে লাভ নেই। বাগলাদেশকে সব টাকা খরচ করতে হবে কৃষিতে, খাবারে ও জ্বালানীর জন্য।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ লেখাটি আপনাকে উদ্যেশ্য করেই লেখা হয়েছিলো।
আপনি বারে বারে অভিযোগ করতেন আমি সমসাময়িক
বিষয় নিয়ে লেখালেখি করিনা। আপনার উক্তিটিকে
ভুল প্রমানিত করার জন্যই এ পোস্ট।
আমি নিরীহ গোবেচারা মানুষ, জ্ঞান বুদ্ধি কম
তাই গুণীজনদের নিয়ে থাকি। অবশ্য সেখানেও
ক্যাচাল হয়। যা হোক আপনার ফরমায়েশি লেখায়
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। এই প্রথম আপনি
পজেটিভ মন্তব্য করলেন। সাধু! সাধু !!

আপনার শিষ্যকে কিছু শিখান !! বেচরা বালখিল্য
কথাবার্তা বলে নিজেকে হাস্যকর করে তুলছে!!
এখন নাকি তার বেশী ঝাল দিয়ে ফুচকা খেতে
মন চায় !! খাদক একটা !!

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ভালো এই পোষ্টটি মিস করেছিলাম; অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আপনি বর্তমান নিয়ে সময় সময় লিখবেন, আপনার লেখায় ভুল থাকে না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি নিজে যা বিশ্বাস করি আর সঠিক
বুঝি তাই লিখি। আমার লেখায় ভুল থাকেনা
তা মানতে পারছি না। আমার কাছে যেটা সঠিকৎ
অপরের কাছে তা সঠিক নাও হতে পারে।
যেমন এই লেখার প্রথম মন্তব্যে আপনা শিষ্য
বলেছে লেখাটি হাস্যকর!!! হা =p~ হা =p~হা =p~

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।

আমি ভালই আছি তবে চিন্তা হয় আপনাকে নিয়ে।
বয়স বাডছে আর তার সাথে পাল্লাদিয়ে কমছে
আপনার বুদ্ধি !! সময় থাকতে গুরুর কাছ থেকে
কিছু শিখৃুন !! আপনি যাকে বলেন হাস্যকর তাকে
আপনার গুরু কি বলেন !!!

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

জোবাইর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। এখন করোনা মহামারী নিয়ে আর হৈচৈ না করে করোনাত্তোর দিনগুলো কেমন হবে এবং কীভাবে তা সামাল দিতে হবে সে ব্যাপারে সবার চিন্তাভাবনা করা দরকার।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
'আাপনাকে ধন্যবাদ মন্তবা প্রদানের জন্য।
আসলে আমরা সময়ের মর্যদা দিতে জানিনা
বা সময়ের কাজ সময়ে করিনা। তার জন্য
আমারা পিছনে পড়ে থাকা জাতি। যতই
আমরা বলিনা কেন দেশ এখন উন্নয়নের
জোয়ারে ভাসছে কিন্তু বাস্তবতা হলো করোনা
পরবর্তী সময়ে সেই জোয়ারে আমরা কোথায়
ভেসে যাবো তা আমাদের অজানা্। সুতরাং
সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। এখন সবাই
মিলে একযোগে কাজ করলে পরিস্থিতি
সামাল দেওয়া সম্ভব্।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.