নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বাধুনিক কারিগরি দক্ষতা এবং সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি হওয়া টাইটানিক জাহাজ ডুবির ১০৮তম বার্ষিকী আজ

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫


গ্রিক পুরানের শক্তিশালী দেবতা টাইটান। তার নামানুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল ‘টাইটানিক’। এটি আসলে জাহাজটির সংক্ষিপ্ত নাম। এর পুরো নাম ছিল ‘আর এম এস টাইটানিক’। ‘আর এম এস’ এর অর্থ হচ্ছে ‘রয়্যাল মেল স্টিমার’। অর্থাৎ পুরো জাহাজটির নাম ছিল ‘রয়্যাল মেল স্টিমার টাইটানিক’। টাইটানিক জাহাজটির ডিজাইনার ‘থমাস এন্ডু’র দাবি ছিল টাইটানিক কোনো দিন ডুবানো সম্ভব হবে না। আসলে তিনি গায়ের জোরে সে কথা বলেননি। টাইটানিক জাহাজটির ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যা সকল প্রকার ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মধ্যেও সমুদ্রে বুক চিতিয়ে চলতে পারবে। বিশ শতকের গোড়ার দিকের ঘটনা। নতুন একটি জাহাজ নিয়ে সারা পৃথিবীতে তখন হইছই। জাহাজটি এতই বড় ও মজবুত যে এর নির্মাতারা ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডুবাতে পারবেন না! (নাউজুবিল্লাহ) তারা গর্ব করে বলেছিলেন, সমুদ্রে একটি পাটকাঠি ডুবে যাবে তবুও এই জাহাজ ডুববে না! অথচ সবার ধারণা ভুল প্রমান করে ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে উত্তর আটলান্টিক সমুদ্রের ডুবন্ত একটি আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে সমুদ্রের নীল জলে তলিয়ে যায় এই টাইটানিক। তাও আবার প্রথম যাত্রাতেই! দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে ১,৫১৩ জন যাত্রীর। ভাগ্যবান ৬৮৭ জন যাত্রীর জীবন বাঁচলেও পরবর্তী জীবনে তাদের বয়ে বেড়াতে হয়েছে এই দু:স্বপ্ন। যেদিন টাইটানিক ডুবে যায় সেদিন তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪ দিন। যেই জাহাজ জীবনেও ডোবানো সম্ভব নয়, সেই জাহাজ কিনা মাত্র ৪ দিনেই ডুবে গেল। আপাতদৃষ্টিতে আইসবার্গের সাথে ধাক্কায় টাইটানিক ডুবির কারণ বলা হলেও এর কোনো সঠিক যুক্তি কোনো গবেষকই দিতে পারেন নি। একেক জন একেক ধরনের কারণ উদঘাটন করেছেন। এর ফলে এই জাহাজ ডুবির ঘটনা রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে।ইতিহাসের নজির বিহীন একটি ঘটনা ঘটেছিল আটলান্টিক সমুদ্রে। সেখানে শুধুমাত্র বরফের ধাক্কার ফলে তলিয়ে যায় বিশাল এই জাহাজ। পানি থেকে জাহাজটির ডেকের উচ্চতা ছিল ৫৯ ফিট(১৮মিটার)। এতে চার সিলিন্ডারের দুটি রিসিপ্রোকল ইঞ্জিন(এক ধরনের পিস্টন ইঞ্জিন), ট্রিপল এক্সপ্যানশান স্টীম ইঞ্জিন এবং তিনটি প্রোপেলারকে চালানের জন্য একটি লো পেসার টারবাইন ছিল। এর ২৯টি বয়লার সক্রিয় রাখার জন্য ছিল ১৫৯ টি কয়লা পোড়ানো চুলো, যা সর্বোচ্চ ২৩ নট(৪৩কি.মি./ঘণ্টা) গতিতে জাহাজটিকে চালাতে পারতো। টাইটানিক জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয় ১৯০৭ সালে। পাঁচ বছর একটানা কাজ করে ১৯১২ সালে জাহাজটির কাজ শেষ হয়। হল্যান্ডের ‘হোয়াইট স্টার লাইন’ এই জাহাজটি নির্মাণ করেন। ৬০ হাজার টন ওজন এবং ২৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জাহাজটি নির্মাণ করতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৭৫ লাখ ডলার। এত বড় আকারের জাহাজ নির্মাণ করা সেসময় মানুষ স্বপ্নও দেখতে পারতেন না।

১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পদন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। সে সময় টাইটানিকে মোট যাত্রী ছিল ২২০০ জন এবং কয়েকশ কর্মী। বৃটেন থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাওয়া খুবই বিপদজনক ছিল। ছোটখাটো জাহাজের পক্ষে বলা চলে জীবন বাজি রেখে যাত্রা করা। কেননা হঠাৎ সামুদ্রিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে পড়ার আশংকা সবসময়ই ছিল। তারপরও এত সংখ্যক যাত্রী সমুদ্রের রোমাঞ্চকর এই ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য টাইটানিকের যাত্রী হয়েছিল। টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩১০০ ডলার। আর তৃতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩২ ডলার। এখানে শুধুমাত্র গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো এবং টাকা পয়সার কোনো বিষয় ছিল না। সে সময় টাইটানিককে নিয়ে পুরো বিশ্বেই হইচই পড়ে গিয়েছিলো। তাই সবাই চেয়েছিল টাইটানিকের এই ঐতিহাসিক যাত্রায় নিজেকে সাক্ষী করে রাখতে। টাইটানিক জাহাজটি যখন বন্দর থেকে ছেড়ে যায় তখন বন্দরে বিশাল জনসমাগম হয়েছিল যা অনেক রাজনৈতিক সমাবেশেও হয় না। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাইরেন বাজিয়ে ধীরে ধীরে আটলান্টিকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো টাইটানিক। জাহাজের যাত্রীরা পৃথিবীর চিন্তা ভুলে পার্থিব ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। নির্ধারিত ৬ দিনের যাত্রাকে সামনে রেখে সবাই চলছিল নিয়মমতো আনন্দ মুখরিত পরিবেশে। এক দিন, দুই দিন, তিন দিন ভালোই কাটলো জাহাজের যাত্রীদের। ১৪ই এপ্রিল দুপুর দুইটার দিকে ‘Amerika’ নামের একটি জাহাজ থেকে রেডিওর মাধ্যমে টাইটানিক জাহাজকে জানায় তাদের যাত্রাপথে সামনে বড় একটি আইসবার্গ রয়েছে। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে ‘Mesaba’ নামের আরও একটি জাহাজ থেকে এই একই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় টাইটানিকে। এ সময় টাইটানিকের রেডিও যোগাযোগের দায়িত্বে ছিলেন জ্যাক পিলিপস ও হ্যারল্ড ব্রীজ। দু’বারই তাদের দুজনের কাছে এই সতর্কবার্তাকে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তাই তারা এই সতর্কবার্তা টাইটানিকের মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে পাঠান নি। টাইটানিক দুর্ঘটনার মাত্র ৪০ মিনিট আগে Californian সিপের রেডিও অপারেটর টাইটানিকের সাথে যোগাযোগ করে আইসবার্গটি সম্পর্কে বলতে চেয়েছিল কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটর ক্লান্ত জ্যাক পিলিপস্ রাগান্বিত ভাবে বলে ‍‍”আমি কেইপ রেসের সাথে কাজে ব্যস্থ এবং লাইন কেটে দেয়।” ফলে Californian সিপের রেডিও অপারেটর তার ওয়ার্লেস বন্ধ করে ঘুমাতে চলে যায়। বলা চলে তাদের এই হেয়ালীপনার কারণেই ডুবেছে টাইটানিক। রাত ২ টা থেকে ২ টা ২০ মিনিটের মধ্যে টাইটানিকের সম্পূর্ণ অংশ আটলান্তিকের বুকে তলিয়ে যায়। ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে জাহাজের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিকল হয়ে যায়। যার কারণে সেই পরিবেশটি আরও হৃদয় বিদারক হয়ে ওঠে। টাইটানিক যখন সমুদ্রের বুকে তলিয়ে যায় ঠিক তার এক ঘন্টা ৪০ মিনিট পর রাত ৪ টা ১০ মিনিটে সেখানে আসে ‘দি কারপাথিয়া’ নামের একটি জাহাজ। যারা সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন তাদেরকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিউইয়র্কে চলে যায়।

অনেকেরই ধারনা ছিল টাইটানিক জাহাজে কোন অভিশাপ ছিল। এ যুক্তি প্রমান করার অন্যতম একটি কারন হিসেবে তারা দেখিয়েছিল টাইটানিকের নম্বর ৩৯০৯০৪। পানিতে এর প্রতিবিম্বের পাশ পরিবর্তন করলে হয় no pope। এছাড়া প্রাথমিকভাবে ও সর্বাধিক মতানুসারে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত কাহিনীটি জানায় ১৯৯৮ সালের ১৯ অক্টোবরে টাইমস। সে অনুসারে টাইটানিক জাহাজে নাকি ছিল মিসরীয় এক রাজকুমারীর অভিশপ্ত মমি। বলা হয়, মমির অভিশাপের কারণেই ভাসমান বরফদ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল টাইটানিক। দীর্ঘ ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে যন্ত্রচালিত অনুসন্ধান শুরু করে একদল বিজ্ঞানী। যেই স্থানটিতে টাইটানিক জাহাজটি ডুবেছিল সেই স্থানের ১৩,০০০ মিটার পানির নিচে সন্ধান পান টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের। সমুদ্রের নীচে বালি, পলি, আর প্রবালের মৃতদেহের পাশে ছড়িয়ে আছে বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান ও প্রকৃতির অহমিকার শেষ চিহ্ন। অসাবধানতা বশত নয়, নাবিকের ভুলের কারণে ডুবেছে টাইটানিক। টাইটানিক-কে বাঁচানোর জন্য হাতে ৩০ সেকেন্ড ছিল। হয়তো বাঁচিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু যায়নি। কী ঘটেছিল সে‌ই রাতে? ঠিক যে মুহূর্তে হিমশৈলটি নাবিকদের চোখে পড়েছিল, তাঁরা বিষয়টি জাহাজের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে জানিয়েছিলেন। আর সেখানেই মোক্ষম একটি ভুল করে ফেলেন জাহাজের অফিসার-ইন-চার্জ উইলিয়াম মার্ডক। জাহাজের পথ পাল্টানোর নির্দেশ দিতে তিনি সময় নিয়েছিলে পাক্কা তিরিশ সেকেন্ড। আগে মনে করা হত, মার্ডক সঙ্গে সঙ্গেই জাহাজের পথ পাল্টানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কাজ হয়নি। বলা হয়েছিল যে, হিমশৈলটি দেখতেই দেরি করে ফেলেছিলেন নাবিকরা। যে সময়ে তাঁরা মার্ডককে সতর্ক করেন, সে সময়ে জাহাজের পথ পাল্টেও কিছু করার ছিল না। যদিও সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাস্তবে ঘটেছিল উল্টোটাই। গবেষকরা বলছেন, জাহাজের গতিমুখ পাল্টালে কী হতে পারে, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মার্ডক। তিনি ভেবেছিলেন, এক বিপদ থেকে বাঁচতে আরও বড় বিপদে পড়তে পারে টাইটানিক। বিবিসির বরাতে জানা গেছে, টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি ঔপন্যাসিক লুইস প্যাটার্ন তার নতুন এই বইয়ে জানিয়েছেন, একজন অফিসার টাইটানিককে আইসবার্গ বা বরফখন্ড থেকে দূরে নেয়ার বদলে উল্টো সেদিকেই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। টাইটানিক হয়ত একদিন ঠিকই সমুদ্রের গর্ভ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কিন্তু মানুষের মনে টাইটানিক বেঁচে থাকবে চিরদিন। যুগ যুগ ধরে অসংখ্য বিশেষজ্ঞরা টাইটানিককে ব্যখ্যা করার চেষ্টা করে আসছে কিন্তু তারা যত ব্যাখ্যাই দেয়ার চেষ্ট করুক না কেন : টাইটানিক চিরকালই থাকবে রহস্যের আড়ালে ঘেরা, সব জানার পরও যেন জানার আরও বহুকিছু রয়ে যায়।সর্বাধুনিক কারিগরি দক্ষতা এবং সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি হওয়া বিশালাকৃতির জাহাজ টাইটানিক ডুবির ১০৮তম বার্ষিকী আজ। টাইটানিক ডুবিতে নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

এইচ তালুকদার বলেছেন: ঐতিহাসিক ঘটনা

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি তালুকদার সাহেব
টাইটানিক জাহাজ ডুবি একটি
ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা!!

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আমি টাইটানিক মুভিতে দেখেহচি কিভাবে এত বড় একটা জাহাগ ডুবে যায়। মানুষ গুলো কিভাবে মারা যায়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সিনেমাটি আমিও দেখেছি
মহা বিপর্যয়েও নায়ক নায়িকার
আদিমতা বিস্মিত করে !!!

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: টাইটানিক দেখেছি, খুবই ডর লাগে আমার......নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন নূরু ভাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কামাল ভাই
ডর ভয়ের উর্ধ্বে এখন আমরা
কোন কিছুতেই আর ভয় হয় না।
ত্রানের চাল চুরি করতে হাত কাপেনা।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



"অভিশাপ" নিয়ে আপনার কি ধারণা?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাধারণত বলা যায়- কেউ ক্রুদ্ধ হয়ে, বা দুঃখিত হয়ে,
বা লাঞ্ছিত হয়ে দোষীর সর্বনাশ কামনা করাই অভিশাপ।
রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে অনেক সময় মানুষ অভিশাপ দিয়ে বসে।
অপছন্দের লোকের প্রতি আল্লাহর গজব নেমে আসার অপেক্ষা
করে। তার যেকোনো ধরনের ক্ষতি ও ধ্বংস কামনা করে।
এমন গর্হিত কাজ কিছু মানুষের অভ্যাসেও পরিণত হয়ে যায়।
ইসলামের দৃষ্টিতে এসব সম্পূর্ণ হারাম ও অনুচিত।

রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পরষ্পরে
আল্লাহর লা’নত, তার গজব ও জাহান্নামের অভিশাপ দিবে না।
সুনানে তিরমিযি-১৯৮৬
অভিশাপকারী আখেরাতেও মর্যাদা পাবে না। এ ব্যাপারে
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কিয়ামতের
দিন অভিশাপকারীরা সুপারিশ করতে পারবে না। এবং
সাক্ষ্যপ্রদানও করতে পারবে না। সহীহ মুসলিম-২৫৯৮ নং হাদীস।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে, আর কয়টা জাহাজ ডুবেছে, এইরকম কোনও স্টাডি কী আছে দুনিয়াতে?? নিশ্চয়ই এটা নিয়েও দুনিয়াতে অনেক কথাবার্তা হয়েছে :|

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটাই রীতি , দুনিয়া যত দিন আছে কানাঘুষা স্টাডি চলবেই।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সমুদ্রে ডুবে গেছে প্রায় তিন মিলিয়ন জাহাজ! হাজার বছরের
এই জাহাজডুবির ইতিহাস মানুষের মুখে মুখে ঘুরে-ফিরে জন্ম দেয় রূপকথায়।
বিশ্বের কয়েকটি জাহাজ ডুবির ঘ্টনা
১। টাইটানিক বিপর্যয়ের প্রায় ১০০ বছর আগে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে রহস্যজনকভাবে ডুবে গিয়েছিল ‘এসেক্স’ নামের একটি জাহাজ। হলিউডে এ নিয়ে একটি চলচ্চিত্রও রয়েছে। রন হাওয়ার্ড পরিচালিত চলচ্চিত্রটির নাম ‘ইন দ্য হার্ট অব দ্য সি’।
২। যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি ইউএসএস সাইক্লপস জাহাজ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত ম্যাঙ্গানিজ আকরিক ভর্তি জাহাজটি ১৯১৮ সালের ৪ মার্চ বার্বাডোস দ্বীপ থেকে যাত্রা শুরুর পর এর একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং ৩০৯ জন ক্রুসহ নিখোঁজ হয়।
।ফ্লোর ডি লা মারঃ ই জাহাজটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৫১১ সালে সুমাত্রার উত্তর তীরের সাগরে হারিয়ে যায় ফ্লোর ডি লা মার নামের জাহাজটি। পর্তুগিজরা যখন বাণিজ্যের অনুমতি চেয়ে মালয়েশিয়ার রাজার কাছে প্রত্যাখ্যাত হয় তখন তারা জাহাজটি লুটতরাজ শুরু করে। তারা তিন দিনে ৬০ টন সোনা, রাজার পারিবারিক সোনার সিংহাসন ও মূল্যবান মণিমুক্তাখচিত রাজকীয় তাজ, রাজভান্ডারের সোনার মোহর, ২০০ বাক্স ডায়মন্ড, মণিমুক্তা, পান্না ইত্যাদি লুট করে। তারা এসব মূল্যবান ধনরত্ন ফ্লোর ডি লা মার জাহাজে বোঝাই করে যাত্রা শুরু করে।কিন্তু মানুষের অভিশাপ লেগেছিল তিন বিলিয়ন ডলারের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রেজারে। তাই আর গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি জাহাজটি। অভিশাপেই জাহাজটি চিরতরে হারিয়ে যায়। আজও জাহাজটির সব ধনসম্পদ অজ্ঞাত কোনো জায়গায় আছে বলে অনেকের ধারণা। অনেকেই এর সন্ধানে ডুব দিয়েছেন নানা সময়ে কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি জাহাজটির কোনো অংশ। একেবারে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে অভিশপ্ত জাহাজটি।
৪। দ্য হানলেঃ জাহাজটি মূলত একটি সাবমেরিন। রণতরীটির নাম এইচএন হানলে। ইতিহাসে জাহাজটি বেশ উন্নত একটি রণতরী হিসেবে পরিচিত। তবুও তিন তিনবার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সম্মুখীন হয়। ১৮৬৩ সালে প্রথম পানিতে নামে হানলে। মিত্রপক্ষ থেকে শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় লিপ্ত শার্লেস্টন হারবার পর্যন্ত কতজন যে জাহাজটির সওয়ার হয়েছেন, তার হিসাব নেই। হানলের নাবিকদের জন্যই আত্মঘাতী হিসেবে প্রতীয়মান হয়। ধ্বংসাবশেষ শিকারিরা প্রায় ২২ বছর আগে খুঁজে বের করে হানলেকে, ভিতরে ছিল আট নাবিকের কঙ্কাল। কিন্তু আজও এইচএন হানলে ডুবির ঘটনা রহস্য হয়েই আছে।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের দেশে জাহাজ ডুবে এত মানুষ মরে কিন্তু বানাতে দেখলাম না । থাকলে বলবেন দেখবো এখন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কি বানাতে দেখতে চান আলি ভাই!!
খোলসা করে বলুন দেখি সাহায্য করতে
পারি কিনা?

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: টাইটানিকে সিনেমায় হৃদয়বিদারক ঐতিহাসিক ঘটনা ছাপিয়ে নায়ক জ্যাক আর রোজের অতিরঞ্জিত রোমান্টিকতা প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃতি,বিজ্ঞান কিংবা অভিশাপ নিয়ে ভাবেনা, বরং টাইটানিক বলতেই রোমান্স খুঁজে, টাইটানিক বলতেই জাহাজের সামনে একজনের পেছনে আরেকজন লেগে থাকাকে বুঝে,,,, কত দুঃখজনক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সঠিক বলেছেন বিভ্রান্ত পাঠক
টাইটানিকে সিনেমায় হৃদয়বিদারক ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমার মূল উদ্যেশ্য ছিলো
বাণিজ্য। তাই আদিমতাকে পুজিঁ করা হয়েছে ছবিতে। প্রেযোজক সফল হয়েছে । টাইটানিক মোট
২.১৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। টাইটানিক ছবিটি প্রেমের গল্প আর প্রধান চরিত্রগুলো
কাল্পনিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.