নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৫তম বিশ্ব বই দিবস আজঃ বই পড়ি, সুন্দর জীবন গড়ি

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৬


আজ ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস বা বিশ্ব গ্রন্থ দিবস। বইয়ের নেশা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ দিন আজ। বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো জন্য প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল পালন করা হয় বিশ্ব বই দিবস। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বই ই পারে আপনাকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন করতে। উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল শুধুমাত্র বিশ্ব বই দিবসই নয়, শেক্সপিয়র, সত্যজিৎ রায়, ইনকা গার্সিলাসো ডে লা ভেগা প্রমুখ খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের জন্ম ও প্রয়ান দিবসও। আর এ কারণেও ২৩ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। অবশ্য সে দাবি তখন নজরে আসেনি কারোই। বহুদিন অপেক্ষা করতে হয় দিনটি বাস্তবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। অবশেষে ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বইয়ের থেকে বিশ্বস্ত ও জ্ঞানী বন্ধু আজ অব্দি কেউ পেয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। কারণ বই সর্বক্ষণের এবং সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের জন্য এক নিশ্চিন্ত ঠিকানা। বইগুলি সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি প্রকাশের এক রূপ, যা একটি নির্বাচিত ভাষা দ্বারা প্রকাশিত। প্রতিটি প্রকাশ একটি বিশেষ ভাষায় লেখা হয় এবং সেই ভাষা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য। এইভাবে একটি বই বিশেষ ভাষা এবং সংস্কৃতির অধীনে লেখা হয়, নির্মিত হয়, বিনিময় হয় এবং প্রশংসিত হয়। বইয়ের গন্ধ নেওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে ঠিকই, তবে পড়ার অভ্যাসে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বিশ্বের বাসিন্দারা বইয়ের লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন অনলাইনেও। বই আসলে অতীত এবং ভবিষ্যতের এক যোগসূত্র। পাশাপাশি সংস্কৃতির সঙ্গে প্রতি প্রজন্মের একটি সেতুবন্ধনের কাজও করে বই। বিশ্ব বই দিবসের দিনে ইউনেস্কো (UNESCO) ছাড়াও প্রকাশক, বই বিক্রেতাদের এবং লাইব্রেরির মতো প্রতিষ্ঠান মিলে এক বছরের জন্য বিশ্ব বই রাজধানী নির্বাচন করে। বিশ্ব বই দিবসের মাধ্যমে ইউনেস্কো সৃজনশীলতা, বৈচিত্র্য এবং জ্ঞানের উপর সকলের অধিকারের বিষয়টিকেই উৎসাহিত করে। সকলের কাছে শিক্ষা ওই বই পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী বইপ্রেমী সব মানুষ, বিশেষ করে লেখক, শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং গণমাধ্যম একটি মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করে মূলত, যাতে শিক্ষার উন্নয়ন ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শহর শারজাকে বিশ্ব বই রাজধানী নির্বাচিত করা হয়েছিলো। এবার ২০২০ সালে বইয়ের রাজধানী হবার কথা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর। তবে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের তান্ডবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে্। হয়তো উৎসব বর্জিতভাবে অনানুষ্ঠানিকতার মধ্যে তা পালন করা হবে।

বিশ্ব বই দিবস জাতিনসংঘ দ্বারা ঘোষিত বিভিন্ন দিবসের মধ্যে অন্যতম অজ্ঞাত এবং অনুজ্জাপিত একটি দিবস। গোটা পৃথিবীব্যাপী এই দিনটি খুব একটা উদযাপন করতে দেখা যায়না। তবে এই একটি দিন পালন না করলেও চলবে কিন্তু বই পড়া বা বই অন্যের সঙ্গে ভাগ করা জারি থাক আজীবন। প্রতিটা দিন হয়ে উঠুক আপনার নিজস্ব বই দিবস। জীবন থেকে বই কোন বিছিন্ন অংশ নয়। মানসিক প্রশান্তি বাড়াতে বই এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা। বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। মানসিক উদ্দীপনা বাড়াতে-স্থবির মনের উদ্দীপনা বাড়াতে বইয়ের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা। বই পড়লে স্ট্রেস কমে। খুবই মানসিক চিন্তায় থাকলে সুন্দর একটি বই পড়া শুরু করুন। দেখবেন অবসাদ কমে যাচ্ছে। একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমেই আপনি নতুন শব্দভাণ্ডারে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। তাছাড়া আপনার স্মরণশক্তি বাড়াতে দারুন এক কার্যকরী ভূমিকা রাখে বই। বই পড়ার মাধ্যমে আপনার যেকোনো একটা বিষয়ে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অথবা দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। শুধু যে আপনি ভালো বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করবেন তা না। ভালো বই পাঠ চিন্তার উৎকর্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সুন্দর শব্দ চয়নে লিখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যদি নিজের মাঝে নির্মল পরিবেশের সুন্দর একটি আবহ তৈরী করতে চান। তবে বই, বই আর বই। তাই প্রতিটি মানুষেরই নিয়মিত বই পড়া দরকার। শুধু বই কেনা নয়, বই হয়ে উঠুক আপনার নিত্য দিনের সঙ্গী। আজ বিশ্ব বই দিবসে লেখক, পাঠক, মুদ্রাকর, ছাপাকর্মী, বইয়ের বিপণনকারী এক কথায় বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে বিশ্ববই দিবসের শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


চলুন বই মেলার বই পড়ি, প্রতি ১০টায় ৯টিই গার্বেজ ।

ব্লগার অগ্নি সারথী একটি ডার্টি জোক লিখে, উহাকে 'রম্য গল্প' হিসেবে চালিয়েছিলো ব্লগে, ওখানে প্রচুর লোকজন লাইক দিয়েছিলো ও কমেন্ট করেছিলো। উনার বই নিশ্চয় ডার্টি জোকে ভরপুর হতে পারে; করোনার হতাশ কমাতে বইটি কাজে লাগতে পারে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বই মেলায় ১০০ টাকা মূল্যমানের বই
পরবর্তীতে ১০ টাকা অর্থাৎ ৯০% ছাড়ে
ফুটপাথে কিনতে পাওয়া যায়। আমি মেলার
শেষে সেই সুযোগটা কাজে লাগাই। কিন্তু
এবার তা হলোনা করোনার কারনে। তবে
করোনা শেষ হলে হয়তো এবার আরো কম
দামে কেনা যাবে। যদি বেঁচে যাই !!

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন বই পড়ছি

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি ২৪ ঘন্টায় ১৮ ঘণ্টাই
বইয়ের মধ্যে থাকি হোক তা
কাগজের নয় তো ইলেক্ট্রনিক্স!

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বই আমি নিয়মিত পড়ি।
শুনলাম আপনি নাকি আমাকে কিছু বই দিতে চান।
বই কি আপনার পছন্দ মতো দিবেন না আমার পছন্দ মতো??

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি জা্নি আপনি্ অনেক পড়েন।
বাড়িতে কি ব্যক্তিগত লাইব্রেরী আছে।
আমার সংগ্রহে দই শতাধিক ব্ই আছে।
আপনার কি বই চাই? মুফতে নাকি টাকার
বিনিময় মূল্যে?
উভয় মাধ্যমেই বই পেতে পারেন। সমস্যা নাই

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



@রাজীব,

আপনি যদি বইমেলার গার্বেজ পড়তে চান, আমাকে জানাবেন; আমাকে কয়েকজন বই পাঠায়েছেন, ঘরে পড়ে আছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
'বাহ !! গাজীসাব তার ভাবশিষ্যকে বই দান করবেন! সাধু সাধু
এমন একজন গুরু আমারও আবশ্যক ছিলো্।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.