নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাসীদের জন্য সুখবর !! আল্লাহর রহমতে শিঘ্রই করোনা মুক্ত হবে বাংলাদেশ

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৫


জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ঠিকই বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নোভেল করোনাভাইরাসই পৃথিবীর কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এতো বড় যুদ্ধ, এতো কঠিন যুদ্ধ বোধহয় আগে কখনো মানুষকে লড়তে হয়নি। যে যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে চোখে দেখা যায় না। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে টালমাটাল বিশ্ব। ধ্বসে পড়েছে অর্থনীতি। লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার। ক্ষুধায় কাঁদছে শিশু। করোনা ভাইরাসের চতুর্মুখী আঘাতে লণ্ডভণ্ড গোটা বিশ্ব। গেল ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনার অস্তিত্ব পাওয়ার পর গত কয়েক মাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় সবার উপরে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশাল এই দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩২২ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ৫৫ হাজার ৪১৫ জন। প্রতিদিনই দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। মৃত্যুর মিছিলও হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়। ১৮ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিন পর থেকেই করোনার বিস্তার ঠেকাতে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। একে একে বন্ধ হয়ে যায়, স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত সবকিছু। গোটা দেশে অঘোষিত লকডাউন আরম্ভ হয়। গোটা দেশ হয়ে যায় গৃহবন্দি। এরইমধ্যে দেখতে দেখতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আজ মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৬২ জনে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৩৯ জন। এই পরিস্থিতিতে সবার মুখে প্রশ্ন একটাই- কবে করোনামুক্ত হবে বাংলাদেশ? অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা মহামারী দীর্ঘমস্থায়ী হয়না। একটা নিদৃষ্ট সময় পরে তা বিদায় নেয়। মানুষ পাপ করতে করতে যখন পাপের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখনই আল্লাহর শাস্তি নাজিল হয়। যার প্রমাণ বিগত আটশত বছরের ইতিহাস। যেমনঃ
১। ১৩২০ সালের দ্য ব্ল্যাক ডেথ অব বুবোনিক প্লেগ।
২। ১৪২০ সালের দ্য এওইডেমিক অব ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ (দ্বিতীয় প্লেগ প্রলয়)
৩। ১৫২০ সালের গুটি বসন্ত ও প্লেগ মহামারি।'
৪। ১৬২০ সালের মহামারির প্রলয়ে মূর্চ্ছা যায় রক্তিম ‘মে ফ্লাওয়ার।
৫। ১৭২০ সালের দ্য গ্রেট প্লেগ অব মার্শেই।
৬। ১৮২০ সালের ভারতবর্ষে কলেরা, যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েলো ফিভার মহামারি।
৭। ১৯২০ সালের দ্য স্প্যানিশ ফ্লু।
৮। ২০২০ সালের কোবিড-১৯ করোনা ভাইরাস।


প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম। পাপের ভরা পূর্ণ হলেই শুরু হয় প্রকৃতির নির্মম প্রতিদান। প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানই কোনো-না-কোনো শৃঙ্খলের অন্তর্ভুক্ত। এরা একে অন্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এই উপাদানগুলোর কোনো একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, নষ্ট হয় পরিবেশগত ভারসাম্য। এ ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার গুরুদায়িত্ব প্রকৃতিই নিজ কাঁধে তুলে নেয়। প্রতিটি কাজেই রয়েছে ‘প্রকৃতির প্রতিদান’ ভাল করলে ভাল পাবেন, মন্দ করলে মন্দ পাবেন। পরিবেশবিজ্ঞানের ভাষায়, করোনাভাইরাস প্রকৃতির প্রতিশোধ। প্রকৃতিকে নির্জীব, চলৎশক্তিহীন ও সর্বংসহা মনে হলেও আসলে তা নয়; বরং তা নির্মম প্রতিশোধ গ্রহণকারী। প্রকৃতি কারো অণু পরিমাণ অপরাধও সহ্য করে না। প্রতিশোধ হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামি, মহামারী ইত্যাদি প্রকৃতিরই প্রতিশোধের হাতিয়ার। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মানুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে। জয়ীও হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে জয়ী হয়েছে বলা যায় না। প্রকৃতি প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু। এ মোকাবেলায় মানুষ বড়ই অসহায়। স্মরনতব্য সাত দশক আগে ১৯৪৯ সালে চীনের ঘটনা। কৃষিপ্রধান চীন। চড়ুইপাখি কৃষকের ধান খেয়ে দেশের ক্ষতি করে। নতুন চীনের জনক মাও সে তুং একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, সময় হয়েছে চড়ুইপাখি বিলুপ্ত করার। সে আদেশ যথাযথভাবে পালন করা হয়েছিল। এমন নির্বোধ কর্মকাণ্ডের খেসারত দিতেও বেশি সময় লাগেনি। পরের বছরই ধেয়ে এসেছে প্রকৃতির নির্মম প্রতিশোধ। কারণ, শস্যদানার পাশাপাশি চড়ুইপাখি নানা ধরনের পোকামাকড়ও খায়। এ পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় জ্যামিতিক হারে বেড়ে গেল পোকামাকড়ের সংখ্যা। এতে করে ফসলের ক্ষেত ছেয়ে যেতে থাকে ক্ষতিকর পোকামাকড়ে। ফলে, যে শস্য বাঁচানোর জন্য এত কিছু করা হলো, তা গেল পোকামাকড়ের পেটে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শস্যভাণ্ডার খালি হয়ে গেল। সাধারণ মানুষের মজুদ করা খাদ্যেও ঘাটতি দেখা দেয়। খাদ্যসঙ্কটের মুখে পড়ে যায় কোটি কোটি মানুষ। দেখা দিলো দুর্ভিক্ষ। ফলে পরবর্তী তিন বছরেই প্রাণহানির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৫ মিলিয়নে। এ দুর্ভিক্ষ ‘দ্য গ্রেট ফেমিন’ নামে পরিচিত। এবারের করোনাভাইরাস্ও মানব জাতির ‘অহমিকা'র বিরুদ্ধে ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’ প্রকৃতির নিয়ম খুবই সুশৃঙ্খল। এর চিরন্তন নিয়মের কখনো ব্যত্যয় ঘটে না। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে আর পশ্চিম দিকে অস্ত যায়- এই নিয়মে কোনো হেরফের নেই। তাই সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে থাকা যাবেনা, তার আদেশ নির্দেশ মানতে হবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে ঘরে বসে মহান আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি দোয়া ও মোনাজাত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দেশের সংখ্যালঘু জনগণকে আল্লাহর কাছে করোনা মুক্ত ভারতের প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি বলেন, রমজান মাসে আরও বেশি করে প্রার্থনা করুন। যাতে ঈদের আগেই করোনা মুক্ত হয় ভারত। ইতালীর প্রধানমন্ত্রী কন্টিও নিরুপায় হয়ে সৃষ্টিকতার দয়া ভিক্ষা করেছেন। যুক্তরাজ্যের এক অমুসলিম সংসদ সদস্য পল ব্রিস্টো মুসলিমদের মতো সব নিয়ম মেনে রোজা রাখছেন- এমন খবরই প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ। এবার যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের মানুষদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে মহাসড়কের বিলবোর্ডগুলোতে ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী প্রচার করছে। বিলবোর্ড স্থাপনকারী সংগঠন ইলিয়নস অঙ্গরাজ্যের গেইনপিস। গেইনপিসের পরিচালক ডাক্তার সাবিল আহমেদ গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘ইসলাম একটি সুন্দর ও বাস্তবসম্মত জীবনব্যবস্থা। তবে বর্তমানে কিছু বিপথগামী লোকের দ্বারা ইসলামের ভুল বাণী ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের কাজ গণমাধ্যমের নানা উপকরণ ব্যবহার করে মানুষের মাঝে সঠিক ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়া।’

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ে দারুণ এক সুখবর দিয়েছেন ব্রিটিশ গবেষক অধ্যাপক অলিভার লিন্টন। লন্ডনের বিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক এবং ট্রিনিটি কলেজের ফেলো ওই গবেষক বলেছেন, আগামী মে মাসের মধ্যেই কমতে শুরু করব করোনা যার লক্ষণ ইতিমধ্যে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। তার মতে, করোনা নামের এই মহাবিপদ অনেকটাই কেটে যাবে এবং নতুন সংক্রমণের সংখ্যা অনেক কমে যাবে। তখন এতে মfরাও যাবে অনেক কম সংখ্যক মানুষ। তিনি এটাকে সবার জন্য সুখবর হিসাবে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের ডাটা ড্রাইভিং ইনোভেশন ল্যাবরেটরি এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, বিশ্বের কোন দেশ কবে নাগাদ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হবে। গতকাল রবিবার প্রকাাশিত ওই পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, ১১ এপ্রিল থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। আগামী ৩০ মে’র মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ১৭ জুনের মধ্যে ৯৯ শতাংশ ও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো বিশ্ব শতভাগ করোনামুক্ত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ওই পরিসংখ্যানে গত ২৩ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ মে’র মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে’র মধ্যে ৯৯ শতাংশ ও আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ শতভাগ করোনামুক্ত হবে। সামনে গরমের মৌসুম আসতেছে, তখন তার তীব্রতা, তীক্ষ্ণতা ও প্রসার কমে যাবে। পৃথিবী থেকে সে বিদায় নেবে। যদিও আমাদের অনেক ক্ষতিও করবে।"হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা বাকারা আয়াত নং ১৫৩) আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে, আল্লাহ তা দান করেন। আসুন আমরা আল্লাহর কাছে বেশী বেশী দো/য়া করি। ইনশাআল্লাহ শিঘ্রই করোনার আক্রমন কমে আসবে আল্লাহর রহমতে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শত শত নেককার বান্দার দোয়ায় আল্লাহ আমাদের মুক্ত করবেন । ভালো থাকবেন নুর ভাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গত ক’দিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ওয়ালে একটি বার্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। খবরটি এমন-
‘বিশাল খবর! করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি! ইনজেকশন পুশ করার
মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই সুস্থ হবেন করোনা আক্রান্ত রোগী! এটি আবিষ্কার করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন,
Roche Medical Company আবিষ্কৃত এই ভ্যাকসিনটি আগামী রবিবার
থেকে বাজারজাত হবে এবং কোম্পানি থেকে লাখ লাখ ডোজ তৈরি করা হচ্ছে।’

ইনসাআল্লাহ তার রহমতে ও বান্দাদের প্রতি তার
ভালোবাসায় অচিরেই আমরা করোনা থেকে মুক্তি
লাভ করতে পারবো। এ সুখবর শুধু বিস্বাসীদের জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আলি ভাই মন্তব্য প্রদানের জন্য।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলমান ঝড় বৃস্টিও আমাদের জন্য করোনা ভাগাতে আশীর্বাদ।

করোনা মুক্ত থাকতে সাবার দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলা হয়, কারণ সাবানে ক্ষার আছে,
যা করোনার চর্বিঅংশটা ভেঙ্গে ফেললে করোনা মরে যায়!
বৃষ্টির পানিতে অ্যলকালাইন পিএইচ এর পরিমান ৮-৯ তাই তা হালকা ক্ষারীয় বটে।
তাই আশা করতেই পারি বৃস্টির চোটে ধূয়ে মুছে যাবে করোনা!

প্রাকৃতিক ক্ষারদ্রবনে ধুয়ে মুছে যাক করোনা!

আপনার প্রার্থনা সত্য হোক।


২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু দাদা সুন্দর প্রত্যাশার জন্য।
আশা ও বিশ্বাস করি শিঘ্রই অমানিশার
ঘোর কেটে গিয়ে নতুন সূর্যদয় হবে।
কারণ আল্লাহর গজব থেকে তার রহমত
অগ্রগামী।
তবে এর মাঝেও একটা দুঃসংবাদ !!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এই প্রকোপের মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের দিয়ে
ধেয়ে আসছে আরেকটি বিপদ। যে বিপদের আশঙ্কা ইতিপূর্বেও করা হয়েছিল।
ভারতের হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে
একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে।
এরপরই ছুঁটে আসবে বাংলাদেশের দিকে।

আল্লাহ আমাদের সকল আসমানী জমিনী গজবের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমিন

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের আবহাওয়া একটা বড় ফ্যাকটর এবং হয়তো প্রবাসীরা যারা এসেছে তারা তেমন সংক্রামন নিয়ে আসেনাই। এবং দেশে যেই মানুষ গুলি সংক্রামিত আছে তাদের থেকে বেশি মানুষে ছড়ায় নাই।

আর আমাদের দেশে গরম শুরু হবার পরে নিউমোনিয়া, কাশি, শদি` লাগা কমে যায়। এটা আমাদের দেশের আবহাওয়ার কারনেই হয়।

এই বিষয়গুলিই আমাদের দেশে আশিবাদ হিসেবে কাজ করেছে করোনা পরিস্হিতিতে।

একটা প্রশ্ন। ধরেন আমার আর আপনার ব্যাংকের একাউন্ট
একই ব্যাংকে।
একই শাখায়।
একই দিনে একাউন্ট খুলেছি।
দুইজনেরই সেভিংস একাউন্ট।
দুইজনেরই বাড়ী একই দেশে, একই জেলায়, একই এলাকায়, একই গোস্টির।
পাশাপাশি বাড়ী আমাদের দুইজনের।

আপনার একাউন্ট নং আর আমার একাউন্ট নং পাশা পাশি। আপনার ০০১ আমার ০০২

এখন যদি আমি ১ কোটি টাকা লোন নিয়ে খেলাফি হই।

তবে ব্যাংক যদি আপনার একাউন্টের থেকে ১ টাকা জরিমানা করে আপনাকে কারন নিচের গুলি।

আমার বাড়ী আপনার বাড়ীর পাশে, একই এলাকার মানুষ, ব্লা ব্লা ব্লা... মানে আমার আর আপনার মাঝে সম্পক` এবং মিল গুলি দেখায়।

তবে কি আপনার প্রতি ঐ জরিমানা ঠিক হবে?

তেমনি অন্য কারুর অপরাধে ক অন্য কাউকে সাজা দেওয়া কি অন্যায় না? এটা কিভাবে সৃস্টিকতার ন্যায় বিচার হয়?

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের সর্বাবস্থায় আল্লার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে
যে তিনি যা করেন তা বান্দাদের মঙ্গলের জন্য। কারণ
তার রহমত অবশ্যই গজব থেকে অগ্রগামী। পৃথিবীতে
আল্লাহ গজব দেন মানুষকে সাবধান হবার জন্য। পৃথিবীর
মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে পাপচারে লিপ্ত হয় তখন্ই তার
পক্ষ থেকে গজব নেমে আসে। তাতে পাপীদের সাথে কিছু
ভালো মানুষও শাস্তি পায় কারণ যখন তাদের সামনে পাপাচার
হতে থাকে তখন তারা তার প্রতিবাদ করেনাই এমনকি ভ্রুও কুচকায়নি
তাই তারাও অপরাধী বিধায় তারাও শাস্তি পায়। এতে তাদের গুনাহ মাফ
হযে যায়। সুতরাং
আপনার প্রতিবেশীর চরিত্র আপনার জানার কথা,
আপনি তা ব্যংককে অবগত করান নাই। সত্য গোপন
করেছেন, সত্য গোপন করলে আমাদের দেশে কি শাস্তি হয়না?

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। এমাসে বেশী বেশী দোয়া করা উচিৎ। আল্লাহ ক্ষমাশীল। ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ইকবাল ভাই
রমজানের গুরুত্ব অনুধাবন করে
এখন বিধর্মীরাও ইসলামের সকল নিয়ম কানুন
মেনে রোজা রাখতেছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল তিনি
সবাইকে ক্ষমা করুন। আমিন

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমাদের সর্বাবস্থায় আল্লার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে
যে তিনি যা করেন তা বান্দাদের মঙ্গলের জন্য। কারণ
তার রহমত অবশ্যই গজব থেকে অগ্রগামী। পৃথিবীতে
আল্লাহ গজব দেন মানুষকে সাবধান হবার জন্য। পৃথিবীর
মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে পাপচারে লিপ্ত হয় তখন্ই তার
পক্ষ থেকে গজব নেমে আসে। তাতে পাপীদের সাথে কিছু
ভালো মানুষও শাস্তি পায় কারণ যখন তাদের সামনে পাপাচার
হতে থাকে তখন তারা তার প্রতিবাদ করেনাই এমনকি ভ্রুও কুচকায়নি
তাই তারাও অপরাধী বিধায় তারাও শাস্তি পায়।


এটা আপনাদের ব্যক্ষা তাই একজনের অপরাধে আরেকজনের সাজা সৃস্টিকতার নামে প্রচার করতে পারেন।

করোনাতে মারা যাওয়া বা আগের দিনে যত মহামারীতে মারা যাওয়া মানুষ গুলির কোন দোষ ছিলো না। তাই সমাজের অপরাধ বা সমাজে অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য হাজার বা লাখো মানুষের মৃত্যুকে সৃস্টিকতার সাজা বলা সৃস্টিকতাকে অন্যায় করেছে বলে অপবাদ দেওয়ার সামিল।

আমার অপরাধে আপনার একাউন্টের ১ টাকা জরিমানা্ অব্যশই সঠিক বিচার না।

তেমনি একজনের বা গোস্ঠীর অন্যায়ে সাধারন মানুষের মৃত্যু অবশ্যই অবিচার। সৃস্টিকতা এটা করতে পারেন না।

এটা মোল্লাদের ভ্রান্ত ব্যাক্ষা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা আপনার বিশ্বাস। যা আপনি বলেছেন।
আর আমি যা বিশ্বাস করি তাই মন্তবব্যে বলেছি।
আপনার কথা আমাকে মানতে হবে বা আমার বিশ্বাসে
আপনার বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে তা বলছি না।
আল্লাহই ভালো জানেন কোনটা সঠিক ।
ভালো থাকবেন।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম সুখবর আগেও শুনেছি। এবারও কি ভন্ডুল হবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব নিরাশ হওয়া যাবেনা।
সর্বঅবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা
রাখতে হবে। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের
তার রহমত থেকে বঞ্চিত করবেন না।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৪

কাতিআশা বলেছেন: আল্লাহ ভরসা!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শেষ ভরসার স্থল আল্লাহ।
তিনিই রক্ষা করবেন তার
সকল সৃষ্টি। তার প্রতি
বিশ্বাস রাখতে হবে।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী সেই কবে থেকে আল্লাহর উপর ভরসা করেই ঠিকে আছি। বেচে আছি।
শুকরিয়া জানাই।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহর উপর ভরসা করে আছেন বলেই হয়তো এখনো
কোন বিপদের সম্মুখীন হননি। দৃঢ় চিত্তে তার উপর ভরসা
রাখুন। নিজে নিরাপদ থাকুন অপরকেও নিরাপদে রাখুন।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যেভাবেই হোক এই সমস্যার সমাধান হোক।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই এই অমানিশা একদিন কেটে যাবে
আসবে নতুন ভোর। নতুন পৃথিবী হবে আরো
কল্যানকর মানুষের জন্য।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্ববাসীর সুখের দিন শেষ। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত একের পর এক ঝড় তুফান আর ভাইরাস আসতেই থাকবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুনেছি ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশে
পঙ্গপাল হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, '
ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত
উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে।
ভারতে পঙ্গপালের হানার আশঙ্কার কথা ইতিপূর্বেও করা হয়েছিল।
চলতি বছরের মে থেকে ভারতে পঙ্গপালের উপদ্রব শুরু হবে বলে
সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
তবে সেখানে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ ছিল না।

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন সকল আসমানী ও
জমিনী বালা মুছিবত থেকে। আমিন

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: শেষ হলেই ভালো। নইলে আমার পরিবারের কি হবে ভাবলে ভয় লাগে!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুধু আপনার নয়, প্রতিটি পরিবারের একই দুশ্চিন্তা !
অকসান হোক মহামারীর, ফিরে আসুক শান্তি ধরায়।
কেউকে যেন্ অকালে হারাতে না হয় তার প্রিয় জনদের।
ভালো থাকবেন মেহরাব ভাই

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নিঃসন্দেহে সুখবর। আমরা সকলেই অধীর আগ্রহে চেয়ে আছি এমনি একটি খবরের জন্য। ধন্যবাদ নুরু ভাই আপনাকে।
তবে সে যে করেই হোক মানব সমাজ এই দুর্যোগ থেকে রেহাই পাক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দৃঢ় বিশ্বাস ও একান্ত প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা তার
সৃষ্ট মানবজাতিকে রক্ষা করবেনই। তিনি
রহমানুর রাহীম, পরম দয়ালূ। বান্দার প্রার্থনা
তিনি অগ্রহ্য করতে পারেন না। অচিরেই তিনি
আমাদের এ্ই মহামারী থেকে মুক্তি দিবেন সে
প্রত্যাশায় সারা বিশ্বের মানুষ। ভালো থাকবেন দাদা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.