নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের নাজুক পরিস্থিতিতে গুজব ও ভুল খবর থেকে সতর্ক হোন

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪


করোনা ভাইরাস নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পুরো বিশ্ব আজ গুজব আর আতঙ্কে আক্রান্ত। গুজবে বিশ্বাস করে একদিকে রাতের অন্ধকারে মানুষ থানকুনি পাতা খুঁজে খাচ্ছে, অন্য দিকে গোমূত্র খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আতঙ্কে মানুষ বাজার খালি করে পণ্য কিনে বাড়িতে মজুদ করছে। এর সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে গুজবের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা পাওয়া যায়। সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায়, গুজব হল এমন কোন বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চত করা সম্ভব হয় না। গুজব অনেক ক্ষেত্রে "ভুল তথ্য" এবং "অসঙ্গত তথ্য” এই দুই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। "ভুল তথ্য" বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বুঝায় এবং "অসঙ্গতি তথ্য” বলতে বুঝায় ইচছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। আমেরিকান ইংরেজিতে rumor বা ব্রিটিশ ইংরেজিতে rumour; অর্থ হল, জনসাধারনের সম্পর্কিত যেকোন বিষয়, ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মুখে মুখে প্রচারিত কোন বর্ণনা বা গল্প। অনেক পন্ডিতের মতে, গুজব হল প্রচারণার একটি উপসেট মাত্র। পন্ডিত বা বিজ্ঞজনেরা যাই বলুকনা কেন গুজব হলো গুজবকে ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না। কারণ এই রোগগুলো একজন থেকে দু’জন, দু’জন থেকে চারজন, চারজন থেকে আটজন- এমনিভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ে। ঠিক তেমনি গুজবও এক কান থেকে অন্য কানে জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের ধর্ম হল এটি ‘যত বেশি প্রচার হবে, তত বেশি শক্তিসম্পন্ন হবে।’ তবে এই প্রচার হওয়াটা নির্ভর করে তথ্য যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর। তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে তত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে গুজব। বর্তমানের করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে তৈরি করেছে আতঙ্ক, উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জিকা ভাইরাস এবং সর্বশেষ ইবোলা ভাইরাস মোকাবেলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও।

সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে, কিছু মানুষ তখনো গুজব ছড়াচ্ছে। অতি রহস্যময় ভাইরাসটির গতিপ্রকৃতি নিরূপণে চূড়ান্ত হিমশিম খাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কেউ বলছেন এটি প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে, আবার কেউ বলছেন ঠাণ্ডায় এর প্রাদুর্ভাব ক্ষমতা বেশি, গরমে কম। তবে এসব তথ্য সাময়িক জল্পনা-কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ। ফ্রান্সের একদল বিজ্ঞানী বলছেন, উচ্চ তাপমাত্রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। দক্ষিণ ফ্রান্সের অ্যাক্স-মার্সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমি চ্যারেল ও তার সহকর্মীরা করোনাভাইরাসকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে ফুটিয়ে দেখেন যে, তখনও কিছু ভাইরাস পুনরুৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটানো হলে করোনাভাইরাস পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাস একটি সংবেদশীল ইস্যু হলেও, তা নিয়ে ইচ্ছে মতো চলছে গুজব ও গজব তত্ত্ব। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের একটা অংশও পা দিচ্ছে ভুলের ফাঁদে৷ শুরু থেকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে ছড়ানো হচ্ছে ভুল খবর বা গুজব। বিশ্বের বেশ কয়েকজন গবেষক এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী করেছেন চীনকেই। তারা আঙুল তুলেছেন চীনের সামরিক গবেষকদের দিকে। তাদের অভিযোগ- চীন জীবাণু অস্ত্র বানাতে গিয়ে পৃথিবীর জন্য এই ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। বেশ কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নানা তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। ইসরায়েলের একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারের বরাত দিয়ে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’দুটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে- এই ভাইরাসের জন্মদাতা উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’ও একই ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গোপন জৈব রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারখানায় এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিল চীন। অসাবধানতাবশত সেই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ। জৈব রাসায়নিক অস্ত্রের উপর গবেষণা করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। তবে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরাইল। তাছাড়া সংবাদ দুটির নির্ভরযোগ্য সূত্রও নেই। আবার অনেকেই করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনাদের খাদ্যাভাসকেও দায়ী করেছেন। চীনারা পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা পোকামাকড়সহ পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের প্রাণির মাংস খায়। তাদের এই অদ্ভুত খাদ্যাভাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের মত দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি এর চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তর গুজবের ডালপালা মেলছে। ফিলিপাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন নাগরিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গলা ভিজিয়ে রাখাসহ, মশলাযুক্ত খাদ্য এড়িয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়ার পরমর্শ দিয়েছেন। ‘ফর চেঞ্জ’ নামক একটি ফেইসবুক পেজ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আইসক্রিম এবং দুগ্ধজাতীয় খাদ্য পরিহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুটি পোস্ট হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। রীতিমতো পোস্ট দুটি ভাইরাল হয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই ধরনের পরামর্শ বা প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ইতোমধ্যে এটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

করোনা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে গুজবের। এমনকি বিভিন্ন নামজাদা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পর্যন্ত গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে! হাজার হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লাশ পুড়িয়ে ফেলছে চীন! সন্দেহের কারণ? করোনা উপদ্রুত উহানের বায়ুমণ্ডলে রহস্যজনক ‘স্মোগ’ বা ধোঁয়াশাকুণ্ডলি দেখা গিয়েছে। সংক্রমণের ভয়ে উহানের অধিবাসীরা গৃহবন্দি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির। কলকারখানা বন্ধ। তাহলে ধোঁয়া হবে কেন? এমনই খবর ছেপেছে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল এবং সানডে এক্সপ্রেস পত্রিকা। দ্য সান পত্রিকা লিখেছে, চীন করোনার প্রমাণ ধ্বংস করছে। গোটা দুনিয়া বিশ্বাস করে, চীন তথ্য লুকোয়। গোপনে অনেক অপকর্ম করে। সুতরাং খবরটি চাউর হতে সময় লাগেনি। ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অপরিসীম ক্ষমতাধর চীনের প্রশাসনও এবার নিজেদের দেশের ভেতরেই গুজব সামলাতে পারেনি। যখন সত্য জানার উপায় থাকে না, তখনই গুজব ছড়ায়। রাষ্ট্র সত্য না বললে বা অন্যদের সত্য বলতে না দিলে জনগণ বিকল্প সত্য বিশ্বাস করতে শুরু করে। চীনের জনগণ নিজেরাই সরকারি তথ্য বিশ্বাস করে না। চীনের সরকার সেই ভুলের মাশুল গুনেছে এবার। আন্তর্জাতিকভাবে চীনের ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’ পরিচিতি তৈরি হয়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বময় করোনাভাইরাস ভীতি গণ-আতঙ্কের রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকায় গুজব উঠেছে, আফ্রিকানদের করোনাভাইরাস হয় না। এমন সব গুজব মোকাবিলায় তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হিমশিম খাচ্ছে।

গুজবের আতঙ্ক আছড়ে পড়েছে আমাদের দেশেও। এখানেও সরকারি তথ্য মানুষ খুব একটা বিশ্বাস করে না। এর চেয়ে অনেক্ব বেশি বিশ্বাস করে ফেইসবুক, মেসেঞ্জারে ভাইরাল হওয়া সব আজগুবি তথ্য। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মৃত্যুর গুজব, অক্সফোর্ডে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম পরীক্ষায় সর্বপ্রথম অংশ নিয়েছেন যিনি - সেই স্বেচ্ছাসেবী মারা গেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা ফারগাস ওয়ালশ বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ঐসব খবর নেহাতই গুজব। বাংলাদেশের মিরপুরের টোলারবাগ মসজিদের ইমাম মুফতি মোজাফ্ফার আহমেদ বলে গুজব ছড়িেযে পড়েছিল। এই গুজবের প্রেক্ষিতে ইমাম সাহেব জানিয়েছেন তিনি বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। না জানালে বিভ্রান্তি থেকে হয়তো অনেক বড় অশান্তি জন্ম নিতো৷ সে আশঙ্কা জাগিয়েছিল একটি গুজব৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল করোনায় সংক্রমিত হয়ে মুফতি সাহেবের মৃত্যুর খবর৷তার ঠিক একদিন আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকেও ‘‘আমি বেঁচে আছি, সুস্থ আছি’’ বলে সবাইকে আশ্বস্ত করতে হয়েছে৷ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দুটো স্ক্রল জোড়া দিয়ে কে বা কারা যেন ছড়িয়েছিল নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আইভীর মৃত্যুর গুজব৷গুজব দুটো শুধু গুজব থাকেনি সংবাদমাধ্যমের একাংশের সবার আগে সব খবর প্রচারের ‘অসুস্থ’ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ার কারণে৷ ভালো জানে-বোঝে, এমন মানুষের কাছ থেকেও বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। যেমন এক গ্রুপের মতে, করোনাভাইরাস তেমন কিছুই না। মিডিয়া এটাকে নিজেদের স্বার্থে বড় করে বানিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এটাতে মোটে চার হাজার মানুষ মারা গেছে, তাও বয়স্ক অথবা ভীষণ অসুস্থ যারা, তারা। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জায় প্রতি বছর মারা যায় আড়াই থেকে পাঁচ লাখ মানুষ। তাহলে? এত মাতামাতি কেন? এ তো সর্দিজ্বর ছাড়া কিছু নয়! শিশুদের নাকি হয় না। তাহলে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কেন? গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই বা স্থবির হয়ে পড়ছে কেন?

সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনাভাইরাস নিয়ে নানা স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শগুলো। এসব পরামর্শের বেশিরভাগই ভুয়া। এগুলো ক্ষতিকর নাও হতে পারে। আবার বিপজ্জনকও হতে পারে। যেমন ধরা যাক রসুন। ফেইসবুকে রসুন নিয়ে অনেক পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে বলছে, রসুন খেলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব। অথচ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রসুন একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রচলিত ধারণা আছে যে রসুন অনেক ধরনের সংক্রমণ রোধ করতে পারে। তবে এ রকম কোনো প্রমাণ নেই যে, রসুন খেলে মানুষ করোনোভাইরাস থেকে রক্ষা পাবে। দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে জানা যায়, রসুন খেলে করোনা সংক্রমণ হয় না এমন তথ্যে বিশ্বাস করে এক নারী নাকি দেড় কেজি রসুন খেয়ে ফেলেছিলেন। গলায় সংক্রমণের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গুজবের পক্ষে, ভুল খবরের পক্ষে কিছু যুক্তিও আছে৷ কিছু যে খুব বাস্তবসম্মত এবং সুযুক্তি হিসেবে মেনে নেয়ার মতো তা- ও অস্বীকার করার জো নেই৷সরকারের সব দপ্তরের মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব আছে, সব তথ্য যে এখনো সহজলভ্য বা সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি তা-ও অনস্বীকার্য৷সব পর্যায়েই স্বচ্ছতা, সততা, আন্তরিকতা এবং দায়িত্বশীলতা এই মুহূর্তে খুব দরকার৷

ফেইসবুকের বেশ কিছু পোস্টে দেখা গিয়েছে, ‘মদ খেলে করোনা সংক্রমণ ঘটে না’। বিশ্বের এক নামজাদা হাসপাতালের এ সংক্রান্ত এক প্রত্যয়নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেইসবুকের দেয়ালে দেয়ালে। ইরানে তো এমন গুজবে বিশ্বাস করে বিষাক্ত মদ খেয়ে প্রায় ৪২ জনের মৃত্যুও ঘটেছে। ফেইসবুকে দেখা গেছে, জাপানি এক চিকিৎসক প্রতি ১৫ মিনিটে পানি খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, এতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ট্রুডি ল্যাং জানিয়েছেন, করোনোভাইরাস শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এর মধ্যে কিছু ভাইরাস মুখেও যেতে পারে। তবে ঘনঘন জল খেলে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে এমন কোনো প্রমাণ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে গরম পানি পান, গরম পানিতে গোসল করা ও চুল শুকানোর যন্ত্র (হেয়ার ড্রায়ার) ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। আইসক্রিম না খেতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক পোস্টে ইউনিসেফ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ধরনের পরামর্শ দিয়েছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। যদিও ইউনিসেফ কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এ ধরনের প্রচার পুরোপুরি মিথ্যে। ‘ভুল তথ্য ও গুজব ভাইরাসের চেয়েও ভীতিকর। গুজব ভাইরাস মোকাবিলায় একটি দেশের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে। এই সঙ্কট সন্ধিক্ষণেও একশ্রেণীর মতলববাজ মহল গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে চরিত্রহনন- ফেসবুকে অপপ্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার অশুভ পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তে কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সকলের সতর্ক ও সাবধানে থাকতে হবে। তা নাহলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা পরাভূত হবে গুজবের কাছে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সমাজে নির্বোধ লোকের সংখ্যা বেশি।
এরাই গুজন ছড়ায় এবং গুবজ বিশ্বাস করে।

নির্বোধ গুলো গুজব বিশ্বাস করার আগে একবার নিজের মেধা, বিবেক খাটায় না। অবশ্য দরিদ্র দেশের লোকজন গুজব বেশি বিশ্বাস করে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খা্নসাব
মন্তব্যের পিরিধি বিস্তৃত করার জন্য।
বিবেক বুদ্ধিহীণ মানুষই সমস্যা বাড়ায়ে
নিজে দূর্ভোগে ভোগে অপরের দূর্ভোগের
কারণ হয়।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি গুজবের কথা বলতে "বিশ্ব বিশ্ব" করছেন; আপনার বিশ্ব কি বাংলাদেশ ও ভারত? বাংলাদেশে ও ভারতের বাহিরে করোনা নিয়ে খুব একটা গুজব নেই। ব্লগে করোনা সম্পর্কে যা আপনি লিখছেন, অন্যান্য ব্লগারেরা লিখছেন, এসব তথ্য ইউরোপ আমেরিকা থেকে আসছে; বাকী সবাই উহাকে কম্পাইল করছেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: "গাজীসাব আমি আপনাকে আগে সচেতন ও সিরিয়াস
পাঠক মনে করতাম। কিন্তু এখন দেখছি আপনিও আপনার
তথাকথিত প্রশ্নফাস জেনারেশনের ব্যাক বেঞ্চের ছাত্র। পড়া
লেখায় মোটেই সিরিয়াস নন। যে খানে আমার লেখায় চীন,
ইসরায়েল,আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র্রের উল্লেখ করা হয়েছে
সেখানে আপনি শুধু ভারত আর বাংলাদেশ দেখলেন !! চোখের
অবস্থা আপনার খারাপ জানি তবে এতটা খারাপ বুঝতে পারিনাই।

সে যাহোক লেখাটিতে আরও একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন
যেখানে উল্লেখিত দেশের গুজবের কথাও বলা হয়েছে। এগুলোকে
আপনার গুজব মনে হলো না কারন আপনি যে দেশের অন্ন ধ্বংশ
করছেন সে দেশের গুনগানতো করবেনই। নিন্দা শুধু নিজ দেশের তবে।

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আমি বা অন্যান্য ব্লগাররা যা লেখে তা শুধু
ইউরোপ আর আমে্রিকা থেকে নয় এশিয়া থেকেও নিয়িমিত আপডেট
হচ্ছে। ব্লগারে কিছু অংশ ই্উরোপ আমেরি্কা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ
থেকেও আপডেট দেয়। সবইযে আপনার মেরিকার তাতো নয়। আর যারা
বাংলাদেশের ব্লগার তারা বিভিন্ন সোার্স থেকে নিউজ সংগ্রহ ও সম্পাদনা
করে প্রকাশ করে। কাররন তাদের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে সংবাদ সংগ্রহ করার
সুযোগ সুবিধা বা আর্থিক সংগতি নাই।

আপনার আজকের লেখার শিরোনামঃ ইতালী, স্পেন, আমেরিকার মানুষের মনে ক্ষোভ জমা হচ্ছে, মনে হয়!

আমেরিকার কথা না হয় বাদই দিলাম, তবে ইতালী, স্পেনের মানুষের মনে ক্ষোভ জমা হচ্ছে তা কি আপনি
স্বপ্নে প্রদত্ত হয়েছেন নাকি ওই দেশের জনগনের কাছ থেকে নিজে শুনেছেন বা দেখেছেন !!

ছোট খোকা বড়ো হও. পাগলের মতো যা তা বলে আর কতো নিজেকে হাসির পাত্র হবেন।
আজকালকার পেড়ার মুখে ডিজিটাল ছাত্রগুলা এখন আর মাস্টারদের খুব একটা পাত্তা দেয়না।
সুতরাং নিজের ধুতির গিট সামাল, সামাল !!

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

নতুন বলেছেন: বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের নাজুক পরিস্থিতিতে গুজব ও ভুল খবর থেকে সতর্ক হোন


১২ তারিখে একটা তারা উঠলে করোনা চলে যাবে এমনটা কতটুকু সত্যি?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নতুন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করার জন্যঃ
১২ তারিখ একটা উঠবে আর করোনা বিদায় নিবে কথাটা
বেশ কিছুদিন যাবত সোসাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
না বুঝার কারণে কারো কারো ঈমান ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে।
সপ্তম হিজরিতে মক্কার কাফিরদের সাথে সন্ধির সময় আমাদের রাসূল (সাঃ)
হুদায়বিয়্যাহতে অবস্থান করেন কয়েকদিন। একদিন সকালে ফাজরের সালাত
আদায় করলেন। এরপর তিনি সাহাবিগণের দিকে ফিরলেন। ঐ রাতে বেশ বৃষ্টি
হয়। তিনি বললেন, আজ তোমাদের রাব্ব আল্লাহ তাআলা কি বলেছেন জানো?
সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ
এই সকালে আমার বান্দাদের কেউ কেউ আমার উপর ঈমান নিয়ে জেগেছে,
কেউ কেউ হয়েছে কাফির। যে বলেছে, আমরা আল্লাহর রহমতে ও তাঁর কৃপায়
বৃষ্টি দ্বারা সিঞ্চিত হয়েছি, তারা আমার উপর বিশ্বাসী, এবং তারকায় অবিশ্বাসী।
কিন্তু যে বলেছে আমরা ঐ ঐ তারকার জন্য বৃষ্টি পেয়েছি, তারা আমার প্রতি
অবিশ্বাসী ও তারকার প্রতি বিশ্বাসী। (বুখারী ও মুসলিম)

এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম ড. শাইখ সালেহ আস সুহাইমী
(হাফিযাহুল্লাহ) বিশ্ববাসীর কাছে এক কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
হাদিসটিকে কোন কোন আলেম সহিহ বলেছেন। তা হল: “যদি কোন রোগ-বালায়ের
প্রাদুর্ভাব ঘটে তাহলে সুরাইয়া তারকার আবির্ভাবের মাধ্যমে তা শেষ হয়ে যায়।”
অর্থাৎ কদিন পরে ভোর রাতে সুরাইয়া তারকা উদিত হলেই বিপদাপদ (করোনা-মহামারী)
শেষ হয়ে যাবে! এমন দুর্যোগকালীন সময়ে এ সব কথাবার্তা প্রচার করা জায়েজ নেই।

সামনে গরমের মৌসুম ও তীব্রতা আসছে, তখন তার তীব্রতা, তীক্ষ্ণতা ও প্রসার
কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে তা হবে আল্লাহর রহমতে ও ফযলে। কোন তারকার
প্রভাবে বা শক্তিতে নয়।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: আসসালামু আলাইকা নূরু ভাই।প্যানিক আর গুজব সমানুপাতিক বলে মনে হয়।আর প্যানিক কমাতে পারে সঠিক তথ্য ও সঠিক নির্দেশনা যা এখন বিশ্বব্যাপি দুষ্প্রাপ্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত মবীন ভাই।
আজগুবী সব গুজবের সম্মুখীন হই আমারা সবসময়।
পদ্মা সেতুতে লাগবে শিশুর মাথা, নিখোঁজ হয়ে গেছে
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বেসিনে হারপিক ঢাললে মরবে
এডিস মশা- এমন সব গুজব ছড়িয়েছে বাংলাদেশে৷
গুজবে কান দিয়ে জামায়াত নেতা সাঈদীকে চাঁদেও
দেখেছিলেন কেউ কেউ৷
এটা এখন প্রায় সবাই বলছেন যে ফেসবুক গুজবের
একটি বড় জায়গায় পরিণত হয়েছে৷ আর সত্য ঘটনার
চেয়ে গুজবই যেন ফেসবুকে ভাইরাল হয় বেশি৷ এই
গুজবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অনেক অঘটনও ঘটছে৷
করোনা নিয়েও ফাঁদা হয়েছে অসংখ গুজব যা সারা বিশ্বেই
ডাল পালা বিস্তার করেছে। গুজবে কান দিবেন না বললেও
আমরা সত্য থেকে গুজবকেই প্রধান্য দিচ্ছি।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী ব্লগিং করে আপনার বেশ বুদ্ধি হয়েছে আজকাল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দুঃখ জনক!! আপনি তার
বিপরীত মেরুতে আছেন।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১১

শের শায়রী বলেছেন: নূরু ভাই শুধু কি পাবলিক গুজব ছড়ায়! এই দেখেন দেশের অন্যতম বড় পত্রিকার নিউজ মে মাসে বাংলাদেশ থেকে করোনার বিদায়, সিঙ্গাপুরের গবেষকদের পূর্বাভাস আবার তারপর দিন ই নিউজ দেশে ৩১ মে পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন । বোঝেন অবস্থা। যাব কৈ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শের শায়রী ভাই।
পত্রিকা নিমিত্ত মাত্র , এর পিছনে আছে
মানুষের কলকাঠি। মন্দের ভলো যে আমাদের
নারায়নগঞ্জের মেয়রকে মরিয়া প্রমাণ করতে হয়নি
যে তিনি মরেন না্ই।

৭| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইতালী, স্পেন, আমেরিকার মানুষ যে ক্রমে রেগে উঠছে, ইহা আমার ধারণা মাত্র।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অ্প্রমানিত ধারণা নিজের মাঝে আবদ্ধ রাখলে
দোষের কিছু নাই। তবে তা প্রকাশ করলেই সেটা
গুজবের মধ্যে পরে। কারন তার সত্যতা যাচাই
করা হয়নাই। আপনার লেখায় দৃঢ় প্রত্যায় ব্যক্ত
হয়েছে, আপনি সেখানে বলেন নাই যে এটা
আপনার ধারণা। তাই গুজব ছড়াচ্ছেন আপনিও।

৮| ০১ লা মে, ২০২০ ভোর ৫:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক পত্রিকা করোনার ওষুধ বা ভ্যাকসিন নিয়ে হেড লাইন দেয়। মনে হয় খুব শীঘ্রই এগুলি আসছে। কিন্তু পুরোটা পড়লে বোঝা যায় যে আসলে এগুলি আসতে অনেক সময় লাগবে অথবা ওষুধটা অতটা কার্যকরী নয়। এই ধরণের খবর প্রকাশ কে কি বলা যেতে পারে?

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এগুলো আশাবাদ
হতাশা কাটাতে প্রনোদনার মতো।
আমাদের হতাশ হওয়া চলবেনা কোন মতেই।
এ মহামারী আমরা অবশ্যই জয় করতে সক্ষম
হবো ইনসাআল্লাহ। আশা রাখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.